• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
জেদ্দায় সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা
মুসলিম উম্মাহর পবিত্র নগরী মক্কার প্রবেশদ্বার জেদ্দায় আগামী ১ আগস্ট থেকে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহের প্রতিদিন ৪৩৬ আসনের এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে সরাসরি ঢাকা থেকে জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালিত হবে। সোমবার (৬ মে) থেকে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের সকল বিক্রয় মাধ্যমে ঢাকা-জেদ্দা রুটের টিকেট বিক্রয় শুরু হয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে সোম, বুধ, শুক্র ও শনিবার বিকাল ৫টা ১৫মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং জেদ্দায় স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে অবতরণ করবে। পুনরায় জেদ্দা থেকে রাত ১১টা ১০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকাল ৮টা ৫৫ অবতরণ করবে।  এছাড়া মঙ্গলবার ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫মিনিটে ও রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে উড্ডয়ন করে যথাক্রমে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ও ১০টা ৫মি মিনিটে জেদ্দায় অবতরণ করবে। পুনরায় মঙ্গলবার ও রবিবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দা থেকে উড্ডয়ন করে বুধবার ও সোমবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে। সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে জেদ্দার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে এবং জেদ্দা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় সকাল ৬টা ২৫মিনিটে পৌঁছাবে।    ঢাকা থেকে জেদ্দার ন্যূনতম ভাড়া ট্যাক্স ও সারচার্জসহ ওয়ানওয়ে ৫৮,৬০৫ টাকা এবং রিটার্ণ ভাড়া ৯৬, ০৩৭ টাকা। এছাড়া জেদ্দা থেকে ঢাকার ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া ৮৯৩ সৌদি রিয়েল এবং রিটার্ণ ভাড়া ১,৬১১ সৌদি রিয়েল। বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে দুইটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, নয়টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সকল রুট ছাড়াও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স দুবাই, শারজাহ, আবুধাবী, মাস্কাট, দোহা, মালে, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, চেন্নাই ও কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। 
২০ ঘণ্টা আগে

হিলিতে তীব্র তাপ প্রবাহে ঝরে যাচ্ছে লিচুর গুটি
টানা কয়েক দিনের তাপ প্রবাহের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে ঝরে যাচ্ছে লিচুর গুটি। অনাবৃষ্টি ও অব্যাহত তাপপ্রবাহে এবার ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন লিচুচাষিরা। প্রকৃতির বিরূপ আচরণে বাগানি এবং কৃষকরা অনেক চেষ্টা করেও থামাতে পারছেন না গুটিঝরা। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।  উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। লিচুর জন্য বিখ্যাত এই জেলা। মৌসুমের শুরুতে মুকুলে পরিপূর্ণ ছিল লিচু বাগানগুলো। প্রতিটি মঞ্জুরি মুকুলে পরিপূর্ণ ছিল। কিন্তু গুটি আসার সময় থেকে অব্যাহত তাপ প্রবাহে মঞ্জুরিগুলো শুকিয়ে তামাটে রং ধারণ করেছে। গুটি ঝরে লিচুর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। আর এতে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় আছেন লিচুচাষিরা। দিনাজপুরের বাগানগুলোতে এবার মাদ্রাজি, বোম্বাই, কাঁঠালি, চায়না, চায়না থ্রি, আর বেদানার প্রচুর মুকুল এলেও বৈশাখে তীব্র তাপ প্রবাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে পুড়ে যাচ্ছে মুকুল, ঝরে পড়ছে নতুন গুটি। কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না লিচুর গুটি। চোখের সামনে সব গুটি ঝরে যাচ্ছে। কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না বাগানি-কৃষকরা। লাভের আশা ছেড়ে দিয়ে এখন আসলের দুশ্চিন্তায় তারা। হিলির লিচু চাষি আসলাম হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন থেকে দিনাজপুরের হিলিতে তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফলে লিচুর গুটিগুলো ঝরে পড়ছে। আমরা কৃষি অফিসের পরমর্শ অনুযায়ী লিচুর গাছে স্প্রেসহ পানি দিচ্ছি। তবুও লিচুর গুটি ঝরা কমছে। আমরা এই বাগানের লিচুর জন্য যে পরিমাণ খরচ করেছি সেই পরিমাণ টাকাও তুলতে পারবো কি না সন্দেহ আছে। এই অবস্থাতে আমরা খুব চিন্তার মধ্যে রয়েছি।  হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, লিচুর গুটি রক্ষায় বাগানে নিয়মিত সেচ ও গাছে ওষুধ প্রয়োগ করতে চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগ। দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে আমাদের কারো হাত নেই। তবুও আমরা নিয়মিত উঠান বেঠকসহ নানা পরামর্শ দিচ্ছি বাগান মালিকদের।  তিনি আরও বলেন, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ৫ হাজার ৬৮০ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন।
০৪ মে ২০২৪, ২০:১২

গ্রিস থেকে পালতোলা জাহাজ বেলেমে অলিম্পিক শিখা যাচ্ছে ফ্রান্সে
অলিম্পিকের জনক গ্ৰিস। তিন হাজার বছর আগের অলিম্পিক গেমসের জম্ম। এবার অলিম্পিকের আয়োজন করতে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশ ফ্রান্স। তাই অলিম্পিকের মশাল জ্বালিয়ে পালতোলা বেলেম নামক জাহাজে রওনা হচ্ছে পেরিয়ার বন্দর হয়ে করিনতোস ক্যানেলের মধ্যে দিয়ে রওনা হচ্ছে মশালবাহি পালতোলা জাহাজ। আইকনিক ঐতিহ্যবাহী শত বছরের পুরনো পালতোলা ফরাসি জাহাজ বেলেম যা শনিবার সকালে অলিম্পিক শিখাকে স্বাগত জানায় যা গ্রীসের চারপাশে ভ্রমণ করে ফ্রান্সে নিয়ে যায়। গ্ৰিসের প্যানাথেনাইক স্টেডিয়ামে শিখা জ্বালানো আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হয়। আধুনিক অলিম্পিক গেমসের পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রথম একবার ১৮৯৬ সালে এই পালতোলা জাহাজে করে ফ্রান্সে গিয়েছিল। শনিবার পেরিয়া থেকে যাত্রা করে এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে মার্সেইলে গিয়ে পৌছাবে ৮ মে।  ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত লরেন্স আয়ার, ফ্রান্সের ক্রীড়া মন্ত্রী অ্যামেলি ওউদিয়া-কাস্টেরা, মার্সেই শহরের প্রতিনিধি এবং পেরিয়াস মেয়র ইয়ানিস মোরালিস এ সময় উপস্থিত ছিলেন। "প্যারিস 2024" আয়োজক কমিটির সভাপতি, ক্যানোতে ফরাসি ট্রিপল অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন টনি এস্টানগুয়েট বেলেমে অলিম্পিক শিখা জ্বালিয়ে লিয়ে শুরু করেন মাত্রা। অলিম্পিকের প্রাচীন নাম অলিম্পিয়া, এই নামের ইতিহাস রয়েছে প্রাচীন গ্রীক পৌরাণিক কাহিনী এবং ইতিহাসে। এটির নামকরণ করা হয়েছে মাউন্ট অলিম্পাস, গ্রীসের সর্বোচ্চ পর্বত এবং দেবতাদের আবাস হিসাবে গ্রীক পুরাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রাচীন গ্রীসে, অলিম্পিক প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হত, পেলোপোনিস উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে অবস্থিত দেবতা জিউসকে উৎসর্গ করে। গ্ৰিসে অলিম্পিক গেমস ছিল একটি প্রধান সাংস্কৃতিক এবং অ্যাথলেটিক ইভেন্ট, এবং সমস্ত গ্রীস থেকে ক্রীড়াবিদরা বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অলিম্পিয়ায় জড়ো হতো। জিওসি’র পুত্র হারকিউলিস অলিম্পিককে ধরে রেখে আজ এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে।  
০৩ মে ২০২৪, ০৬:৪১

শুরু হতে যাচ্ছে টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট
টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠন “মার্চেন্ডাইজারস এসোসিয়েশন অব প্রাইমএশিয়া- ম্যাপ” সংগঠনটির বয়স ১১ বছর। তবে এই প্রথম ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে সংগঠনটি। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠনটি তাদের টুর্নামেন্টের নাম দিয়েছে এমসিএল। বুধবার (১ মে)  ঢাকার একটি হোটেলে ১১তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী পালনের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছে ম্যাপ। উৎসব মুখর আয়োজনে হয়েছে টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন ও ক্রিকেটার নিলাম। টুর্নামেন্টে মোট ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। ১১মে থেকে টি-১০ ফরম্যাটের ছয়দিনের এই টুর্নামেন্ট হবে রাজধানীর আশিয়ান সিটির কাওলা মাঠে। টুর্নামেন্টের ১২টি দল হলো, ম্যাপ ক্লাব ডি ফ্যাশননেস্তা, ম্যাপ স্পারটান্স, ম্যাপ টাইগার্স, ম্যাপ ওরিয়রস, ম্যাপ বিটিএল টাইটানস, ম্যাপ কিংস, ম্যাপ সুপারস্টারস, ম্যাপ ট্রিমস ভ্যালী ,ম্যাপ টুসিন ফেলকন, ম্যাপ রকারস, ম্যাপ ফাইটারস এবং ম্যাপ হান্টারস। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন পোশাক ব্র্যান্ড এইচ এম এন্ড এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউর রহমান, পোশাক ব্র্যান্ড জি- স্টার র এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার শাফিউর রহমান, নিয়োগ প্রতিষ্ঠান টিজেএস সিইও আজম সাইফুল। টুর্নামেন্টের জার্সি স্পন্সর দেশীয় ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এমকেএস। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে টুর্নামেন্টের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস। এছাড়া স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা মন্ডলী, আহ্বায়ক কমিটি, সাংগঠনিক কমিটির সদস্য এবং সকল দলের মালিক এবং ম্য্যানেজাররাও উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর মামটেক্স, কো -স্পন্সর জং লং ও অ্যাপারেল এক্স, ফুড পার্টনার ক্রিয়েটিং ডেনিম। টেক্সটাইল মার্চেন্ডাইজারদের বৃহৎ সংগঠন “মার্চেন্ডাইজারস এসোসিয়েশন অব প্রাইমএশিয়া- ম্যাপ” 
০২ মে ২০২৪, ২২:৪৩

শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। বুধবার (১ মে) ‘মহান মে দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।  বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে, শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল এক অনন্য মাইলফলক। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, ‘টেকসই শিল্প ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করি।’ সবশেষে মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
০১ মে ২০২৪, ১০:১৩

রেকর্ড উৎপাদনেও সামাল দেওয়া যাচ্ছে না লোডশেডিং
বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সময় উপযোগী উদ্যোগে ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে বিদ্যুৎ খাত। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতাও বেড়েছে আগের তুলনায়। এরই মধ্যে দুদিন আগে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপরও বেতাল ভূতের মতো ঘাড়ে চেপে আছে লোডশেডিং। হিসাব বলছে, উৎপাদনে রেকর্ডের কয়েক দিন না যেতেই রেকর্ড হয়েছে লোডশেডিংয়েও। রোববার দেশে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ছাড়িয়েছে এক হাজার ৮৬০ মেগাওয়াট, গত এক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।  পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২২ এপ্রিল রাত ৯টায় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড ছিল ১৬ হাজার ২৩৩ মেগাওয়াট। কিন্তু তা সত্ত্বেও দেশজুড়ে লোডশেডিং অব্যাহত। ২৮ এপ্রিল দুপুর ১২টায় এই লোডশেডিং  পৌঁছায় এক হাজার ৮৬৪ মেগাওয়াটে। পিজিসিবি কর্মকর্তারা বলছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও তাপপ্রবাহের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ ও তার চাহিদার মধ্যে পার্থক্যের কারণেই লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হয়। এদিকে আবার বিভিন্ন বিদ্যুৎ সংস্থার গ্রামীণ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লোডশেডিংয়ের মাত্রা এনএলডিসির দেখানো সরকারি হিসাবের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থানীয়ভাবে হওয়া বিঘ্নগুলো সবসময় তালিকাভুক্ত হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) একজন কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় বিভ্রাট বিবেচনায় নিলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ দুই হাজার মেগাওয়াটের চেয়েও বেশি হতে পারে। তার তথ্যমতে, গ্রামীণ এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট এত ঘনঘন হয় যে, কোনো সমস্যা হলে গ্রাহকদের দিনে ও রাতে উভয় ক্ষেত্রেই কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় বিদ্যুৎ ফিরে পেতে।  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে দিনের চাহিদার পূর্বাভাস নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট এবং সান্ধ্যকালীন চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। আর বিআরইবি বলছে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোর বাসিন্দাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়ে গেছে। এদিকে রেকর্ড উৎপাদনের মধ্যেও লোডশেডিং বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে গ্যাস সংকটের ব্যাপারটিও। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় চার হাজার এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে দেশে বর্তমানে দৈনিক গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে তিন হাজার ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট। উৎপাদিত এ গ্যাসের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র।  বিশেষ করে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, গ্যাস সংকটের কারণে তাদের বেশিরভাগেরই উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। রোববারের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দুই হাজার ৩১৭ এমএমসিএফডি চাহিদার বিপরীতে ওইদিন এক হাজার ৪২৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ ছাড়া যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো আমদানিকৃত জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল, চলমান ডলার সংকটের কারণে তাদের উৎপাদনও অদূর ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে, চলতি বছর দেশের সার্বিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সরকারের আরও কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি, কমছে ডিম উৎপাদন
দিনাজপুরের হিলিতে কয়েক দিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবদাহ, সেই সঙ্গে ঘনঘন লোডশেডিং। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র গরমে পোলট্রি খামারগুলোয় হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি। নানা রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও মুরগি বাঁচানো যাচ্ছে না। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে খামারিদের। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।  দিনাজপুরের হিলিসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে পোলট্রি খামারে। ঘনঘন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন পোলট্রি উদ্যোক্তারা।  প্রতিদিন খামারে ২০ থেকে ৩০টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খামারগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার দাবি জানান তাদের। হিলির মুরগি খামারি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আগে ৩ বেলা পানি স্প্রে করা হলেও এখন খামারে ৪-৫ বার স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করেও ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। গরমের কারণে মুরগির ডিমের উৎপাদনও অর্ধেকে নেমেছে। যে খামারে এতদিন ৩ হাজার পিস ডিম পাওয়া যেত এখন সেই একই খামারে ১ থেকে দেড় হাজার পিস ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। এদিকে হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহাবুবুর রহমান বলেন, মুরগির খামারে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠকসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়াও মুরগির খামারের ছাদে পাটের বস্তা ভিজিয়ে এবং খড় ছিটিয়ে নিয়মিত পানি দিতে বলা হচ্ছে। আগের তুলনায় খাবারের পরিমাণ কম দিতে হবে সেই সঙ্গে যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন খাবার দিতে বলা হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, এই উপজেলাতে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় মুরগির খামার আছে। এ ছাড়া দেশি হাঁস-মুরগি রয়েছে সাড়ে তিন লাখ। স্থানীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯

আল-কাহতানির দাবি সত্যি হলো, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে সৌদি
সৌদি আরব প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে- সৌদি ফ্যাশন মডেল রুমি আল-কাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রামে এই দাবি করার পর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।কিন্তু এক মাস পর প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে সেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলো। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সমন্বয়ক মারিয়া হোসে উন্ডা এ সপ্তাহে বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তারা সৌদি আরবের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করতে কঠোর যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া অনসুরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এ প্রতিযোগিতার জন্য সৌদি আরবের জাতীয় পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতার আসরের আগে সৌদি আরবের একজন প্রতিযোগী প্রস্তুত করা ‘সম্ভব’। গত মার্চের শেষের দিকে এবিষয়ে সৌদি মডেল রুমি আল–কাহতানির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই পোস্টে তিনি বলেন, আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন।  ওই পোস্টে রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী আল–কাহতানির ছবি ছিল। ছবিতে তিনি কালিমা শাহাদাৎ লেখা সবজ সৌদি পতাকা মেলে ধরেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।  এর এক সপ্তাহের মধ্যেই কাহতানির পোস্টের প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ জানায়, তার এ দাবি ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। উপসাগরীয় রাজ্যে কোনো বাছাই প্রক্রিয়া চালানো হয়নি বলে জানায় তারা।  মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তা হবে রাজতন্ত্রের অতি–রক্ষণশীল ভাবমূর্তি শিথিল করার প্রচেষ্টায় বড় পদক্ষেপ। দেশটির কার্যত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।  বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ এবং সবসময় আবায়া পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৭

‘হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দিনে লক্ষাধিক মুরগি’
চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোক করে সারাদেশে লাখ-লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিনে যার মূল্য দাড়ায় ২০ কোটি টাকা। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সংকটে পড়তে পারে দেশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পোলট্রি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।   পোলট্রি খামারিরা এখন উভয় সংকটে রয়েছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরগির বাচ্চার সংকটে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চা খামারিদের দ্বিগুণ দামে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল ব্রয়লার মুরগি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম ও মুরগি সরবরাহকারীরা ও তেজগাঁও-ভিত্তিক ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।   এ থেকে উত্তরণের পথ দেখানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সরকারের প্রতি পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে। সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে হবে। এতে করে বাজারে সংকট সৃষ্টি হবে না। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮

তাপদাহে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে কেন
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহ্য গরমের হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে যশোর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, বগুরাসহ আরও কয়েকটি জেলার পাকা সড়কের পিচ বা বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যশোর জেলার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। কারণ কয়েক দফায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এই জেলায়। ‘প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে’ গলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন। তবে পুরো সড়কের বিটুমিন গলছে না। কিছু কিছু স্থানে গলছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কেন গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বা বিটুমিন? মূলত প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণেই সড়কের কিছু কিছু অংশের বিটুমিন গলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একাধিক ঠিকাদার বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহারে ঘাটতির কারণে সড়কের কোনো কোনো অংশ গলে যাচ্ছে। আবার ওসব অংশে যথেষ্ট পরিমাণ উন্নত বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে এমনটি হচ্ছে।    মহাসড়কের কিছু অংশের বিটুমিন কেন গলে যাচ্ছে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণে জড়িত এক ঠিকাদার বলেন, ‘আগে আমরা পদ্মা, যমুনাসহ বিভিন্ন অয়েল কোম্পানি থেকে বিটুমিন সংগ্রহ করতাম। এছাড়া একসময় ইরান থেকে বিটুমিন আমদানি করা হতো। এখন অবশ্য বন্ধ। ফলে দেশীয় সাধারণ গ্রেডের অর্থাৎ তরল বিটুমিন ব্যবহার করতে হয়। সঙ্গত কারণেই উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহার করা হয় না। লোকাল মার্কেট থেকে কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনতে হয়। তারা যে ধরনের বিটুমিন সরবরাহ করে, সেগুলো দিয়ে মানসম্মত সড়ক তৈরি সম্ভব নয়। এই কারণে বিটুমিন বেশি তাপ পড়লে গলে যায়।’ এদিকে দেশে দুই ধরনের বিটুমিন বাজারজাত হয় বলে জানিয়েছেন সড়ক নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তারা বলছেন, একটি ৬০-৭০ গ্রেডের, যা অধিকতর গাঢ়। এই শ্রেণির বিটুমিন সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হলে তা উন্নত ও টেকসই হয়। আর ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন কিছুটা তরল। তরল বিটুমিন দিয়ে পিচ ঢালাই হলে সড়ক টেকসই হয় না। ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন গুণগত মানে তরল বা পাতলা হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালে সড়কগুলো গলে ঢিবির মতো উঁচু-নিচু বা ঢেউয়ের আকৃতি ধারণ করে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত।  যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরও বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু সড়ক বেশ কয়েক বছর আগের তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণে এগুলো গলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, ‘সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে মূলত তাপমাত্রার কারণেই। গত কয়েকদিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বিরাজমান। এই তাপমাত্রায় কোথাও কোথাও পিচ বা বিটুমিন গলে যাচ্ছে।   
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়