• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে মিলছে না স্বস্তি, বাড়ছে তাপপ্রবাহ 
মেহেরপুর জেলাসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকৃতিতে স্বস্তির দেখা নেই। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মেহেরপুরের প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গায় আবহাওয়া অফিস মঙ্গলবার পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে।  প্রতিদিন সকালের সূর্যের চোখ রাঙানি সারাদিনের তীব্র উত্তাপের আভাস দেয়। সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। তীব্র রোদের সঙ্গে গরম হাওয়া বয়ে যায় দিনজুড়ে। ফলে সীমাহীন কষ্টের মধ্যে সময় পার করেন ঘর থেকে বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষ। প্রাণ শীতল করতে তাই শারীরিক ঝুঁকি নিয়ে অনেকে পান করছেন ঠান্ডা শরবত।  এদিকে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনের পাশাপাশি খেতের ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে চাষিদের মনে। বোরো ধান, আম লিচু ও পাট আবাদ পড়েছে হুমকির মুখে।
০১ মে ২০২৪, ১৮:০৫

তীব্র তাপপ্রবাহে মেহেরপুরে স্কুল ছুটি দেওয়ায় স্বস্তি
মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র থেকে খুব তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এর মাঝে সোমবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আজ মেহেরপুর জেলাসহ ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বন্ধ রয়েছে জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  মেহেরপুর জেলার প্রতিবেশী জেলা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের দেশের সর্বোচ্চ।  অব্যাহত তাপপ্রবাহের ফলে জনজীবনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। ভ্যাপসা গরম আর ঘামে নাকাল অবস্থায় সময় পার করছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ।  এ দিকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালের সূর্য উঠার পর পরই শুরু হয় গরমের তীব্রতা। সকাল নয়টার পর রাস্তাঘাটে চলাফেরায় অস্বস্তি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তীব্র তাপদাহের ফলে ৫ জেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। তবে মেহেরপুর জেলা বন্ধের আওতায় না থাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে। বিদ্যালয়গুলো খোলা রাখা হলেও ছাত্রছাত্রী উপস্থিতি নেমে আসে ৩০ ভাগের নিচে। শেষ পযন্ত সোমবার সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগের সব জেলাসহ দেশের ২৭টি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরে আসে মেহেরপুরে।  কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানান, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে গেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। যা পশ্চিমবঙ্গের কিছু এলাকার সঙ্গে রাজশাহী থেকে শুরু করে যশোর হয়ে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত বহমান। তাই রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরসহ ৫টি জেলায় তীব্র তাপদাহের কারণে স্কুল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। যার মধ্য থেকে বাদ পড়ে চুয়াডাঙ্গা-যশোরের প্রতিবেশী জেলা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর। এ তিন জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ডের জন্য আবহাওয়া অফিস নেই। ফলে অসহনীয় গরম আর তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেলেও আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকৃত জেলাগুলোর তাপমাত্রা নিয়েই বেশি মাতামাতি হয়। 
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৮

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, কমেছে শ্রমজীবীদের আয়
মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবীদের আয়-রোজগারেও।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই রোদের বাড়তি তেজ। বেলা বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে রোদ আর গরমের তীব্রতা আরও বাড়বে, আবহাওয়া অফিস এমনটিই জানাচ্ছে।   তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে ঘর থেকে বের হলেও স্বস্তি নেই কর্মজীবীদের। গরম সহ্য করতে না পেরে গাছের ছায়ায় বসে শীতল হওয়ার চেষ্টা করেন ভ্যান ও ইজিবাইক চালকরা। আবার গরমের ক্লান্তি নিয়ে ইজিবাইকেই ঘুমিয়ে পড়েন কেউ কেউ। দিনের সর্বোচ্চ সময়টুকু ইজিবাইক চালাতে না পারায় আয় রোজগার কমে যাচ্ছে এসব খেটে খাওয়া মানুষের। চলার পথে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নেওয়া আর শরবত পান করে শীতল হওয়ার চেষ্টা করে তারা।  তীব্র গরমে মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছেন। পেটের পীড়া, ঠান্ডা জ্বর, কাশি, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া পানিশূন্যতা ও শ্বাসকষ্টসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা, বাড়ছে হিটস্ট্রোকের রোগী। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শয্যাসংকট। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিন থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এখন তা অতি তীব্র তাপদাহে রূপ নিয়েছে। বুধবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অঞ্চলে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৭

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

মেহেরপুরে গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা, যত্রতত্র দোকান
দেশের যে কয়টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এতে গেল কয়েক দিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠান্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে ভিড় বাড়ছে পথচারীদের। গরমের মধ্যে ঠান্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান। গরমে ঠান্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা শরবত পান করলে সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়বে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।  তবে ঠান্ডা পানি নয়, টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন অনেকে। তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকি জেনেও নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ভারী কাজ করছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২২

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, দুশ্চিন্তায় বোরো ধান চাষিরা
মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এতে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার চাষিরা। অন্যদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল থেকে ঝলমলে রোদে তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এর আগে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে। যা এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এ অঞ্চলে।  চাষিরা জানান, রাত দিন ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে সেচ-পাম্প। তবুও সেচের জোগান হচ্ছে না। দিনের বেলায় তীব্র খরতাপে জমিতে সেচ দেওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই তা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ধানের শীষ বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চিটা পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহের বিরূপ প্রভাব পড়েছে শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষের জীবনে।  গ্রামের চায়ের দোকানগুলোতে যেখানে মানুষ অবসর সময় আড্ডা দেয় সেখানের চিত্রও বদলে গেছে। সকাল ৯টার পর তেমন কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। শহরের সড়কগুলোর মতো গ্রামের রাস্তাঘাট হয়ে যাচ্ছে ফাঁকা। শ্রমজীবী আর কর্মজীবী মানুষ তীব্র রোদ আর গরমে কাজ করতেও পারছে না। ফলে তাদের আয়-রোজগারে একটা বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে।  গ্রামের অনেকেই জানান, এক সময় গাছ গাছালিতে ভরপুর ছিল গ্রামগুলো। বড় বড় গাছ উজাড় করার কারণে শহুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। যতটুকু শীতল ছায়া রয়েছে তা তীব্র গরমকে প্রতিরোধ করতে পারছে না।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৪২

মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চাষের কাজ 
চৈত্র পেরিয়ে বৈশাখ শুরু হলেও মেহেরপুরে তাপমাত্রায় স্বস্তি আসেনি। চলতি সপ্তাহে পেরিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। তীব্র তাপপ্রবাহে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চাষাবাদ।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টায় এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চাষিরা জানান, বৈশাখ মাঠের আবাদ হিসেবে পাট ও সবজি বীজ বপন এবং বোরো ধানের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ততা রয়েছে। তবে সকাল ১০ টার পর থেকে মাঠে অবস্থান বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তাই শ্রমিকরা কাজে যেতেই চাচ্ছে না। স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক যারা কাজে যাচ্ছেন তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন দুপুরের অনেক আগেই। দুপুর পর্যন্ত কেউ আর মাঠে অবস্থান করতে চাইছেন না। তাপপ্রবাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সূর্যের আলো উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ঝড়ের গতিতে বয়ে যাওয়ার গরম বাতাস অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। ফলে কাজ বাদ দিয়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন চাষিরা। আবার কেউ কেউ মাঠের মধ্যে থাকা টিউবওয়েলের পানি পান করে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করছেন।  এদিকে মাঠ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান সড়ক পর্যন্ত তাপপ্রবাহের চিত্র একই। ব্যস্ত সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে দুপুরের আগে থেকেই। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মানুষ।    
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৩

মেহেরপুরে মুজিবনগর দিবসে বিশেষ আয়োজন 
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা প্রবাহের সঙ্গে যে নামটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে, তা হলো মুজিবনগর দিবস। এ দিন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বে ছিল এই সরকার। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ঐতিহাসিক বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে এ সরকারের শপথ হয়েছিল। যার মাধ্যমে পাল্টে গিয়েছিল যুদ্ধের গতিপ্রকৃতি। সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে এবার জাকজমকপূর্ণ বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। মুজিবনগরকে বলা হয় স্বাধীনতার সূর্যোদয় ভূমি। যে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সাত কোটি বাঙালির হৃদয়ে। তাই মুজিবনগর আর স্বাধীনতা এক সুতোয় গাঁথা রয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।  সরেজমিনে মুজিবনগর কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যনাথতলা আমবাগানে যেখানে একাত্তরে প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন, সেখানে শেখ হাসিনা মঞ্চে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। দর্শনার্থীদের কাছে মুজিবনগরকে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থাপনাগুলো ধুয়েমুছে করা হচ্ছে পরিষ্কার। প্রবেশ পথগুলোতে রঙের আঁচড় দিয়ে ফুটিয়ে তোলার কাজও শেষ পর্যায়ে। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, আম্রকানন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স পেয়েছে এক নতুন রূপ।  মূলত জেলা প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটি ঘিরে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে থাকছে, সকাল ৯টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ। এতে অংশ নেবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গালর্স গাইড এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।  সকাল ১০টায় গীতিনাট্য সোনালি স্বপ্নের দেশ উপস্থাপন করবে আনসার ও ভিডিপি অর্কেস্ট্রা দল। একাত্তরের শপথের পর গার্ড অব অনার প্রদানকারী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছেন ১২ আনসার সদস্য। স্বাধীনতা যুদ্ধে আনসার সদস্যদের আত্মত্যাগের স্মৃতি সমুন্নত রাখতে মুজিবনগর দিবসে আনসার ভিডিপির এই কর্মসূচি থাকে প্রতি বছরই।  এ দিকে সন্ধ্যা ৬টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কেন্দ্রের সামনে আয়োজন করা হযেছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দেশ বরেণ্য শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করবেন এ মঞ্চে। এ ছাড়াও আতশবাজি উৎসব আর রঙিন আলোর ঝলকানি থাকছে সন্ধ্যার পর থেকে। এ দিকে সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন।  সঞ্চালনায় থাকবেন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক।  জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা রিমিন হোসেন সিমি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেবেন এ আলোচনা সভায়।  আয়োজন সম্পর্কে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিহাসের অত্যন্ত গৌরবময় ঘটনার দিন মুজিবনগর দিবস পালনে এবারও নানা আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজনে ছেদ পড়লেও এবার অত্যন্ত জাকজমকতার সঙ্গে হচ্ছে সব আয়োজন। যার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলার মানুষ।  ৫০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।  দিবসটি আয়োজনের সকল প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, গরমে মানুষ যাতে কষ্ট না পান তার জন্য পানি পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল টিমসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।  জাতীয় এ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  এ দিকে অনুষ্ঠান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, মেটাল ডিটেকটিভ দিয়ে তল্লাশি এবং আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকেও আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স। এ ছাড়াও থাকছে র‌্যাবের কয়েকটি দলের টহল।  স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বাঙালির বিজয়ের গৌরবগাঁথা বীরত্ব মিশে রয়েছে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল শপথের মধ্যে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সমুন্নত হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর। 
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৯

মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম বৃদ্ধি, ক্রেতা নেই সবজির 
মেহেরপুরে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং আলুর দর বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। তবে দাম কমেছে সব ধরনের সবজির। ঈদের সময় সবজির দাম আরও কমার কথা জানালেন ব্যবসায়ীরা।  মেহেরপুর তহ বাজার ও গাংনী কাঁচাবাজার জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজি বাজার। এ দুটি পাইকারি বাজারে রোববার (৭ এপ্রিল) প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারিতে ১০ টাকা বেড়ে ৫৪ টাকা, রসুনে ২০ টাকা বেড়ে ১৬৩ টাকা এবং আদা ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। পাইকারি তে দর বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খুচরা বাজারে দর। বাজারগুলোতে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্য কেজিতে আরও ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।  গাংনী কাঁচা বাজারের আড়তদার সাহাদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে স্থানীয় পেঁয়াজ সংরক্ষণ শুরু হওয়ায় দর বেড়েছে। বিশেষ করে ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চলে মৌসুম ভিত্তিক পেঁয়াজ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে ঈদের সময়ে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণেও দর বৃদ্ধি হতে পারে।  এদিকে সব ধরনের সবজির দর কমেছে। গত এক সপ্তাহের মতই আজও লাউ, কুমড়ো, পটল, ঢেঁড়স, বেগুন ও পুঁইশাকের দাম রয়েছে ১০ টাকার নিচে। ঈদে মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় আগামী এক সপ্তাহ সবজির দর আরও কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। রোজায় এবার সবচেয়ে আলোচিত ছিল শসার দাম। মাঝ রোজার সময়টাতেও শসার বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা ছিল। ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। সেই শসার কেজি এখন মাত্র ১১ টাকা। খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ২০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি  বাজারে সবজি কিনতে আসা কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ী জানান, গত সপ্তাহে এক কেজি পটলের দর ছিল ৬০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২৫ টাকায়। এছাড়া ঢেঁড়সের দাম অর্ধেকে নেমে বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। অন্যদিকে আগের মতই কম দামে পাওয়া যাচ্ছে লাউ, পুঁইশাক ও বেগুন। ব্যবসায়ীরা জানান, রমজান মাস এবং ঈদের কয়েকদিন পর পর্যন্ত সবজির চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে। তবে এবার এ সময়টাতে স্থানীয় সবজির ব্যাপক জোগান থাকায় অনেকটাই পানির দরে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি। ঈদের পরে ভোক্তা পর্যায়ে সবজির চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে উৎপাদন কমে আসবে। এতে আবারও সবজির দর আকাশচুম্বী হওয়ার আশংকা রয়েছে।  
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

মেহেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী বাজারের অদূরে ট্রাকের ধাক্কায় মারুফ হোসেন (৩৫) নামের এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মারুফের স্ত্রী আনিকা খাতুন (৩০)। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাত ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দিকে সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।  নিহত মারুফের বাড়ি রাজশাহীতে। তিনি গাংনীর জোড়পুকুরিয়া গ্রামে শশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে বামন্দী থেকে মোটরসাইকেলে মারুফ হোসেন তার স্ত্রীকে নিয়ে জোড়পুকুরিয়া গ্রামে শশুরবাড়িতে ফিরছিলেন। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে বামন্দী বাজারের অদূরে একটি তেল পাম্পের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্কিং থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয় মারুফ। এতে ঘটনাস্থলেই মারুফের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ দিকে সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর ইটভাটার কাছে একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল চালক টুটুল হোসেন, আরোহী রবিউল ও মিরাজ গুরুতর আহত হন।  স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টুটুল ও মিরাজকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করেছেন।   মারুফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, মোটরসাইকেল চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ২২:১০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়