• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চলতি মাসে আরও তাপপ্রবাহের আশঙ্কা
সদ্য শেষ হয়েছে বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত মাস এপ্রিল। মাসজুড়ে সূর্যের তাপ টের পেয়েছে দেশের মানুষ। দিন যতই গড়িয়েছে সেই তাপের তীব্রতায় পুড়েছে প্রকৃতি। শেষদিকে তাপদাহ ছাড়িয়েছে সহনীয় সীমা। ৭২ বছরে প্রথমবারের মতো ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রার সাক্ষীও হয়েছে দেশের মানুষ।  তবে মে মাসেও আছে ২টি অতি তীব্র এবং ৩টি ছোট বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। চলতি সপ্তাহে সারাদেশে বৃষ্টি হয়ে তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে ১১ মে থেকে আবারও তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। শনিবার (৪ মে) সকালে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন। ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এপ্রিল মাসের মতো তীব্র তাপমাত্রা না হলেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পুড়ছে ঢাকা। আজ রাতে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৩০ শতাংশ। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারের মে মাসের গড় তাপমাত্রা বেশি থাকবে। সাধারণত মে মাসের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়। তিনি বলেন, আগামী ১১ মে’র পর আবার তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে। তবে এপ্রিলের চেয়ে মে মাসের তাপমাত্রা কম থাকবে। মে মাসে ১ থেকে ২টি তীব্র বা অতি তীব্র তাপপ্রবাহ ও ২ থেকে ৩টি ছোট বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। বজ্রপাতের সময় সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছে এ আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, আগামী ৬ মে সারাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গড়ে এ মাসে ১৩ দিন বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। এবারও একই রকম হবে।
০৪ মে ২০২৪, ১৫:৩৯

‘নির্যাতনে চার মাসে ৩৬ শ্রমিক নিহত’
দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন, আহত হয়েছেন ২১৩ জন। কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে এসব ঘটনা ঘটেছে।  আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। প্রায়ই শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহতের ঘটনা ঘটছে। তারা আরও জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন।  এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একজন। এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানের নদ্দা এলাকায় চোর সন্দেহে আটকের পর হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করে ছাদ থেকে ফেলে মো. শাকিল নামের এক রিকশা শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছাদ থেকে ফেলে দিলে তিনি মারাত্মক আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিন পর মারা যান। নিহত শাকিল মাঝেমধ্যে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবেও কাজ করতেন। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নে মন্দিরে আগুনের ঘটনার জেরে শ্রমিক আশরাফুল খান ও আসাদুল খানকে (আপন দুই ভাই) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার এ ঘটনার পর দেশজুড়ে এখনো ব্যাপক সমালোচনা চলছে। ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই দুই শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত আছে। গাজীপুরের শ্রীপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় গত ১৮ জানুয়ারি একটি বেসরকারি কারখানায় নিহত হন নারগিছ আক্তার, রিফাত হাসান ও শিউলি আক্তার নামের তিন নারী শ্রমিক।  প্রতি বছরের মতো এ বছরও বাসায় গৃহকর্মী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েকটি। এর মধ্যে ১৬ জানুয়ারি ঢাকার বাইরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি বাসায় এক শিশু গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির বাবা সুমন মিয়ার দাবি, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগ এলাকার একটি বাসার ছাদ থেকে পড়ে আনোয়ারা নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়। শ্রমিক নির্যাতন ও মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আখতার লিমা বলেন, ‘মে দিবসের শুরুটাই হয়েছিল রক্তপাতের মাধ্যমে। এখনো শ্রমিকরা হত্যা, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। গত বছরও দাবি আদায়ে সোচ্চার হওয়া চার শ্রমিককে সড়কে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা এসবের অবসান হওয়া আবশ্যক। আমরা অবসান চাই। ’  
০১ মে ২০২৪, ১৬:২৮

১ মাসে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্পদ কমেছে ১৩ হাজার কোটি টাকা
এক মাসের ব্যবধানে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ কমেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি। এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল নিলামের মাধ্যমে ৩২টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই রেপো ও তারল্য সহায়তা সুবিধার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ১৩ হাজার ২০ কোটি টাকা ধার নেয়। তারল্য সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া অব্যাহত রেখেছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ওই সময় জানা যায়, নিলামের মাধ্যমে ১৮টি ব্যাংক ও চারটি এনবিএফআই সাত দিন মেয়াদি রেপো সুবিধার মাধ্যমে ৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা ধার নেয়। আর একদিনের তারল্য সহায়তা সুবিধার মাধ্যমে ৫ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা ধার নিয়েছে ১৪টি ব্যাংক। সুদের হার ছিল যথাক্রমে ৮ দশমি ১০ শতাংশ ও ৮ শতাংশ।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫১

চলতি মাসে টানা ৫ বার কমলো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে চলতি মাসে টানা পাঁচ বার কমলো স্বর্ণের দাম। পঞ্চম দফায় স্বর্ণের দাম কমেছে ৩১৫ টাকা। স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম কমার প্রেক্ষিতে এক সপ্তাহ ব্যবধানে পাঁচ দফায় ভালো মানের স্বর্ণের দাম কমেছে। এ সময়ে ভালো মানের স্বর্ণ ভরিতে ৬ হাজার ৮১২ টাকা কমেছে। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩০৪ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২৫৬ টাকা কমিয়ে ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ২১০ টাকা কমিয়ে ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৪টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। একইদিন বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের বৈঠকে নতুন এ দাম নির্ধারণ হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। এর আগে গতকাল ২৭ এপ্রিল এবং তার আগে ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল চার দফা স্বর্ণের দাম কমানো হয়। ২৭ এপ্রিল ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৩

চলতি মাসে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই
বাংলাদেশে ‘হিট ওয়েভ' বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা রোববার পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারের এপ্রিল উষ্ণতম বলে জানিয়েছেন এক আবহাওয়াবিদ৷ বাংলাদেশ তীব্র গরম থেকে এখনই রেহাই মিলছে না৷ তাপপ্রবাহের সতর্কতা আরো ৭২ ঘণ্টা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ এদিকে আবহাওয়ার সবশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকার বাদ বাকি জেলার উপর মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে৷ আগামী তিনদিন সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে৷ এছাড়া ২৭ এপ্রিলের পর বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর৷ বুধবার বাংলাদেশ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল মংলায় ৪১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ স্বাধীনতার পর উষ্ণতম এপ্রিল বার্তা সংস্থা এএফপি বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে গত সপ্তাহে ঢাকার তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড়ের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল৷ আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস৷ কিন্তু স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে৷ স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত এর একটি কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি৷ মাসের বাকি সময়টুকুও পরিস্থিতি এমনই থাকবে বলে জানান তিনি৷ অতিরিক্ত তাপের কারণে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের শহর পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ভূপেন চন্দ্র মণ্ডল৷ 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৯

বেড়েছে বিদেশি ঋণের চাপ / ৯ মাসে সুদ পরিশোধ ১০০ কোটি ডলারের বেশি
বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ আরও বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। গত জুলাই-মার্চ সময়ে বিদেশি ঋণের বিপরীতে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। একই সময়ে গত অর্থবছরে সুদ বাবদ ৪৮ কোটি ডলার পরিশোধ করেছিল বাংলাদেশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দেশের বৈদেশিক ঋণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে প্রকাশিত সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তৈরি করা সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণের সুদাসল পরিশোধ বাবদ খরচ বেড়েছে। যা পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৮৯ কোটি ডলার। গত ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলারের বেশি সুদ ও আসল পরিশোধ করা হয়েছে। গত বছর একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৭৩ কোটি ডলার। বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ এসেছে এমন সময়ে, যখন দেশে কয়েক মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট চলছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডলার-সংকটের এ সময়ে বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে রিজার্ভ ও বাজেটের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার স্বল্প মেয়াদের ঋণের কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের কিস্তিও শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ঋণ পরিশোধও শিগগিরই শুরু হবে।  আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে অন্য মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হলে চাপ আরও বাড়বে। অন্যদিকে ঋণের ছাড় আগের তুলনায় তেমন বাড়েনি। ইআরডি সূত্র বলছে, জুলাই-মার্চ সময়ে সব মিলিয়ে এসেছে ৫৬৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৫৩৬ কোটি ডলার।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৮

‘বৈশাখ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের শিশু কিশোর কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় বাংলাদেশ বেতারের আয়োজনে বহিরাঙ্গণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ও চাঁদপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত মাসব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব বৈশাখী মেলার মঞ্চে শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বৈশাখ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। আর চৈত্র মাসে  স্বাধীনতা অর্জন হয়। শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য আমরা ভবিষ্যৎ হিসাবে কি করতে পেরেছি সেটা মনে রাখা জরুরি। ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়। তা করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।  অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজওয়ানুল আহসান বিপুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। তিনি উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে যোগসূত্রের কথা বলেছেন।  তিনি বলেন, শিশুরা হলো জাতির ভবিষ্যৎ। আগামী ১৫-২০ বছর পরে এখন যারা পেছনের সারিতে বসে আছে তারাই হয়তো মঞ্চে অতিথির আসনে বসবে বক্তব্য রাখবে, মঞ্চে এসে কথা বলবে। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে এই শিশুদেরকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা। আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অনেক উন্নত হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আমরা যারা অভিভাবক রয়েছি আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকি। এখানে যেসব শিক্ষক এবং অভিভাবক রয়েছেন আপনাদের কাছে বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার চেষ্টা করবেন। যাতে শিশুরা মানুষের মতো মানুষ হতে বড় হতে পারে।   বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আল আমিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাহাদাত হোসেন শান্ত প্রমুখ।   আলোচনা শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কিংবদন্তী লালন সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীন, সঙ্গীত শিল্পী আসিফুর রহমান আগুন, কাজী শুভ ও মৌসুমী ইকবাল। এ ছাড়া জাদু পদর্শন করেন সজীব হোসেন ও বোরহান উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপমহাদেশের প্রখ্যাত বাঁশি বাদক গাজী আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন ।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১৯

পাকিস্তানে রোজার মাসে ছিনতাই-ডাকাতির ঘটনায় ১৯ মৃত্যু
রোজার এক মাসে পাকিস্তানে ছিনতাই-ডাকাতির মত অপরাধের ঘটনা বেড়েছে। ওই সময়ে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় বাধা বা প্রতিরোধের কারণে ১৯ জনের প্রাণ গেছে, আহত হয়েছেন ৫৫ জন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, করাচিতে ডাকাতির সময় সশস্ত্র ডাকাতদের হাতে ওই ১৯ নাগরিক নিহত হয়েছেন। চলতি বছরেই ডাকাতি সংক্রান্ত প্রাণহানির ঘটনা অনেক বেড়েছে। এ পর্যন্ত ৫৬ জনের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। গতবছরের একই সময় পর্যন্ত একই রকমের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হন, আহত হন ১১০ জন। ওই বছর ডাকাতি প্রতিরোধ বা বাধা দেওয়ার সময় সশস্ত্র ব্যক্তিদের হাতে প্রাণ যায় ১০৮ জনের, আহত হন ৪৬৯ জন। অপরদিকে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডাকাতদের প্রতিরোধে ৪২৫টি গোলাগুলির ঘটনায় যুক্ত হয়েছে করাচির পুলিশ। এসব ঘটনায় ৫৫ ডাকাত নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৪৩৯ জন। সিটিজেন-পুলিশ লিয়াজোঁ কমিটির (সিপিএলসি) প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে করাচিতে ২২ হাজার ৬২৭টি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে ৫৯ জনের, আহত হয়েছেন ৭০০ জনেরও বেশি। এছাড়া ৩৭৩টি গাড়ি, ১৫ হাজার ৯৬৮ মোটরসাইকেল ও ৬ হাজার ১০২টি মোবাইল ফোন চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৪

মোবাইলে এক মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন
যতই দিন যাচ্ছে ততোই বিকাশ, নগদ ও রকেটের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) এর প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় গত ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। যা এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, এমএফএসের মাধ্যমে ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পাঠানো হয়েছে ৩৯ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা। এসময় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ৩৪ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ চার হাজার ১০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৬ হাজার ৪৫৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৫৯০ কোটি টাকার রেমিট্যান্সও এসেছে মোবাইলের মাধ্যমে। এর আগে, একক মাসে হিসেবে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে। ওই মাসে বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ নানা নামে ১৩টির মতো ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা দিচ্ছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজারে। গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণ, অনেক গ্রাহক একাধিক হিসাব খুলছেন। নিবন্ধিত এসব হিসাবের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার ও নারী ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৮

ঈদের সময়সহ চলতি মাসে যেমন থাকবে আবহাওয়া
এপ্রিলে হালকা বৃষ্টি হলেও মাসজুড়েই গরমের দাপট থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। এ জন্য এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল রোববার দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও তাপমাত্রা কমবে না। আর ঈদের সময় তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আরও কিছুদিন স্থায়ী হবে। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, বর্তমানের আবহাওয়া অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করবে। এপ্রিলজুড়েই সারাদেশে তাপপ্রবাহ থাকবে। তিনি বলেন, এপ্রিলে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হবে। ভৌগোলিক অবস্থা আর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও বছরের পর বছর বেরিয়ে আসছে। ২০২৩ সাল এখন পর্যন্ত রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণতম বছর ছিল। আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিদ্যমান তাপপ্রবাহের কারণে বাতাসে এখন জলীয়বাষ্পের আধিক্য থাকবে। এতে করে মানুষের শরীরে অস্বস্তিবোধ বৃদ্ধি হতে পারে। এপ্রিল উষ্ণতম মাস, এ সময় তাপমাত্রা এমনিতেও বেশি থাকে। কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া দরকার। যখন ঝড় হয়, তখন ভারী বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আর বাড়ে না। কিন্তু ৮-৯ এপ্রিলের আগে ভারী বৃষ্টি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে তাপপ্রবাহ হলে কোনো কোনো এলাকার বায়ুর চাপ কমে যায়। বায়ুর চাপ কমলে সাগর থেকে আসা জলীয়বাষ্প বাতাসের কোথাও জড়ো হতে শুরু করে এবং তখন সেখানে বজ্রমেঘ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে সেই মেঘ বৃষ্টিপাত ঘটায়। বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাসকে বছরের উষ্ণতম সময় ধরা হয়। এর মধ্যে এপ্রিল মাসেই সাধারণত তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোর ক্ষেত্রে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সাল ছিল উত্তপ্ত বছর। কিন্তু এগুলোর মাঝে ২০২৩ সালের কথা আলাদাভাবে উল্লেখযোগ্য। আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, গত বছর চরম তাপপ্রবাহ ছিল। গত বছরের এপ্রিলে সারাদেশে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময়জুড়ে তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে বাংলাদেশে একটানা ২০ থেকে ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা জানান, বাংলাদেশের ওই অঞ্চলের দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অবস্থান। কিন্তু এসব প্রদেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি। এসব জায়গায় বছরের এই সময়ে তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করে। ড. কালাম মল্লিক বলেন, গত বছর ভারতের ওইসব অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেহেতু সেগুলো উত্তপ্ত অঞ্চল, তাই ওখানকার গরম বাতাস চুয়াডাঙ্গা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং তা আমাদের তাপমাত্রাকে গরম করে দেয়। এই আন্তঃমহাদেশীয় বাতাসের চলাচল ও স্থানীয় পর্যায়েও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশব্যাপী এ বছর তাপপ্রবাহ তুলনামূলক বেশি থাকতে পারে। বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন এবং হার বেশি পেতে যাচ্ছি। এদিকে শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ। গত বছর রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৭ এপ্রিল, ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়