• ঢাকা রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ঝালকাঠিতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।  রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। রাতে জেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও থেমে থেমে দমকা হাওয়া বইছে। নদী পাড়ের সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রচারণা করছে জেলা তথ্য অফিস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। জেলার অভ্যান্তরীণ ও ঢাকাসহ সকল রুটের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সকাল ১০টা থেকে ঝালকাঠিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী পাড়ের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৯টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল, নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪শ’ টন চাল মজুত রয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ১০টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি রোববার দুপুরে জরুরি সভা করেছে। সভায় জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম সভাপতিত্ব করেন। এ সময় পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির, সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগে

সেন্টমার্টিনে পানি বেড়েছে ৩ থেকে ৪ ফুট, আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সেন্টমার্টিনের চারপাশে সমুদ্রের পানির উচ্চতা হু হু করে বাড়ছে। ইতোমধ্যে দ্বীপের চারপাশে আগের তুলনায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে গেছে। এ কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে টেকনাফসহ সেন্টমার্টিনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি ওসমান গণি। তিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। ইতোমধ্যে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর এবং কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’  তিনি আরও বলেন, ‘এ সংকেত জানার পরপরই টেকনাফ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিসহ টেকনাফ, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও হ্নীলায় মাইকিং করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। জলোচ্ছ্বাসের বিষয়টিও মাথায় রেখে আমরা নিরাপদে আশ্রয়ে যেতে দ্বীপটির স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করছি।’  যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবিলায় পুলিশের টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।  এ দিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, ‘সকাল থেকে দ্বীপে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতির তীব্রতা বেড়েছে। পাশাপাশি জোয়ারে বঙ্গোপসাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমরা দ্বীপের লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে যেতে মাইকিং করছি। কিন্তু এখনো কোনো মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে যায়নি।’  টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফকাত আলী বলেন, ‘বিপদ সংকেত বৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের উপকূলে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। দ্বীপসহ উপকূল ইউনিয়নে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার-পানি মজুত রাখার পাশাপাশি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’ 
২ ঘণ্টা আগে

হাতিয়ায় লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে মাইকিং
নোয়াখালী হাতিয়ায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের হাত থেকে বাঁচাতে লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়েছে।  শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার পর সিপিপির সদস্যরা বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে বেড়িবাঁধের ওপর এই মাইকিং করেন।  এ সময় বেড়িবাঁধের বাইরে থাকা লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলা হয়। হাতিয়াতে সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটের সদস্যরা এ মাইকিং করেন।  এ দিকে ৩ নম্বর ও পরে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর হাতিয়ার সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের সকল ধরনের নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালীন যে কোনো ধরনের যোগাযোগ রক্ষা করা সহজ হয়। এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীস চাকমা জানান, হাতিয়াতে ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাতিয়ার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ থেকে করা কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি ইউনিয়নে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে।’ 
২৩ ঘণ্টা আগে

উত্তাল সমুদ্র, পর্যটকদের নিরাপদে থাকতে মাইকিং
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকত। সৈকতে থাকা পর্যটকদেরকে বারবার মাইকিং করে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ড। তবে সবকিছু উপেক্ষা করে আগত পর্যটক মেতেছেন ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে। শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকেই উত্তাল ঢেউ উপভোগ করতে অনেক পর্যটক হইহুল্লোড় করছেন সৈকতে। তবে অনেকে নির্দেশনা মেনে বালিয়াড়িতে বসে উল্লাস করছেন। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বেড়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে নদ-নদীর পানির উচ্চতা ২ থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। এটি শনিবার সকাল ৯টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টার মধ্যে পটুয়াখালীর উপকূলের স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস। ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বন্ধুদের নিয়ে গোসল করছি। উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে সব বন্ধুরা মিলে অনেক আনন্দ করছি। পুলিশের বারবার মাইকিংয়ের কারণে বেশি দূরে যাচ্ছি না।’ ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে সমুদ্রে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। তাই পর্যটকদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ দিচ্ছি। উত্তাল ঢেউ পেয়ে অনেক পর্যটক গোসলে মেতেছেন। সেজন্য আমরা মাইকিং করছি বারবার। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আমাদের টিম টহলে রয়েছে।’ জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
২৫ মে ২০২৪, ১৯:১৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল সতর্কতায় পাথরঘাটায় মাইকিং
ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় বরগুনায় সচেতনতামূলক মাইকিং করেছেন কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ প্রচার মাইকিং করা হয়। কোস্ট গার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামানের নেতৃত্বে পাথরঘাটা পৌর শহরের লঞ্চঘাট, নিলিমা পয়েন্টসহ উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার মাইকিং করেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের সমুদ্র বন্দর সমূহে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। পরবর্তীতে সংকেত বেড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে রূপ নিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এতে সংকেত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নিতে সচেতনতামূলক মাইকিং শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. শাকিব মেহবুব বলেন, বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সমুদ্র বন্দরে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পাথরঘাটা উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়। এছাড়াও জেলেদের নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন নদী এলাকয় প্রচার মাইকিং করা হবে।
২৪ মে ২০২৪, ২৩:০৪

ভোটারের জন্য মাইকিং
আখাউড়ার একটি কেন্দ্রে ভোটের জন্যে মাইকিং করা হয়েছে। মোগড়া দক্ষিণ জামে মসজিদ থেকে মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্যে মাইকিং করা হয়। ওই সময়ে কেন্দ্রটিতে ভোট পড়ে প্রায় ২০০।  আখাউড়ার প্রায় সব ভোটকেন্দ্রে ভোটারের কোনো সারি দেখা যায়নি। ২ থেকে ১ জন করে এসে ভোট দিয়ে চলে যান। ফলে কেন্দ্র ফাঁকা। আখাউড়ার সালেহ আহমেদ নূরপুর-রুটি আবদুল হক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টায় ফাঁকা ভোটের সারি চোখে পড়ে। ১ থেকে ২ জন করে ভোটার আসছেন। তবে মহিলা ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ৪ হাজার ৮৬১ ভোটকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৭৬টি। এরমধ্যে মহিলাদের ৬টি বুথে ভোট পড়েছে ৪৮টি। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে ৪ নম্বর বুথে ৩টি। ৩ নম্বর বুথে ৫টি।  এদিকে পুরুষ ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নূরপুর গ্রামের হাসেম ৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে এলে জানানো হয়, তার ভোট দেওয়া গেছে। বুথের পুলিং অফিসার সাবিকুন্নাহারের দাবি, হাসেম ভোট দিয়েছেন। কিন্তু হাসেমের হাতে ভোটের কোনো চিহ্ন নেই। সাবিকুন্নাহারের সঙ্গে সুর মিলান আনারসের এজেন্ট সালমান হোসেন ভূঁইয়া। তবে এর প্রতিবাদ করেন ঘোড়া প্রতীকের এজেন্ট আনোয়ার।  কেন্দ্রে দেখা মিলে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুরাদ হোসেন ভূঁইয়ার। তিনি জানান, ভালোই চলছে ভোট। তবে কেন্দ্রে প্রবেশের প্রধান গেটে মানুষের জটলা দেখা যায়।  কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সালেহ আহমেদ জানান, ‘ভোটার কেন আসছে না তাতো বলতে পারব না। ম্যাজিস্ট্রেট বলে গেছেন, এ দিকে যাতে কোনো লোক না থাকে। লাল পতাকা দেওয়া আছে।’ অপরদিকে কসবার শিমরাইল, আকছিনা, শাহপুর, মান্দারপুর কেন্দ্রে ভোটে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন।  উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-২ উপজেলা কসবা ও আখাউড়ায় ভোটগ্রহণ চলছে। 
২১ মে ২০২৪, ১৫:১২

তীব্র তাপপ্রবাহ, সতর্ক থাকতে মাইকিং
তীব্র তাপপ্রবাহ আর তিন দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। গরমে স্বাস্থ্য সতর্কতার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কিসিঞ্জার চাকমা। বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি বা ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এ ব্যাপারে প্রচার চালানো হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। একইসঙ্গে চোখে-মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে বলা হচ্ছে। গরমে অস্বস্তি কিংবা অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বৈশাখের খরতাপে দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। যা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলতি মৌসুমে টানা তিন দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। রোদের মধ্যেই তাদের পেটের তাগিদে বের হতে হচ্ছে। তরা  হিট স্ট্রোক ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন বুধবার ছিল ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ছিল ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে ধরা হয় মৃদু তাপপ্রবাহ। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। সে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

মাইকিং করে মাদক কারবারিকে হুঁশিয়ারি!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদক ব্যবসায়ীর পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে এলাকায় মাইকিং করেছেন দিপু নামের এক যুবক।  এ সময় মাসুদ নামের ওই মাদক ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে শনিবার সন্ধ্যায় সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য এলাকাবাসীকে আহ্বান জানান তিনি। রোববার (২৪ মার্চ) এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  মাদক ব্যবসায়ী মাসুদ উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়ার দক্ষিণপাড়া গ্রামের এনায়েতের ছেলে। মাইকিংকারী যুবক দিপু মোল্লা একই গ্রামের আমির হামজা মোল্লার ছেলে।  এদিকে উপজেলায় মাদকের বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদক সেবকরা হাত বাড়ালেই পেয়ে যাচ্ছে মাদক। বিস্তার ঠেকাতে কোন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ভয়াবহ এমন মাদকে জড়িত জনপ্রতিনিধিরাও। মাইকিং করে দিপু মোল্লা বলেন, ‘কয়েড়া ঈদগাঁ মাঠ-সংলগ্ন মাদক সম্প্রাট হেরোইন খোর ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। যা রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর। এলাকায় মাদক কারবারি করলে মাসুদের পিঠের চামড়া থাকবে না। তাই আজ শনিবার সন্ধ্যার পর মাসুদের বাড়ির সামনে মাদকবিরোধী গণসভার আয়োজন করা হয়েছে। এলাকার সকলের উপস্থিত কামনা করছি। অনুরোধক্রমে- নলুয়া ও কয়েড়া ঈদগাঁ মাঠের সাবেক সভাপতি মো. খসরু মিয়া, কয়েড়া ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার ও সমাজ সেবক তুলা শেখ। এ বিষয়ে দিপু ও মাদক ব্যবসায়ী মাসুদের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।  গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল সরকার বলেন, মাইকিংকারী দিপু তার বাবাকে একাধিকবার মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। এলাকার মাসুদ ও ইউপি সদস্য সুমনের সঙ্গে তার বাবা মাদক সেবন করতো। মাদক নিয়ে হয়তো মাসুদের সঙ্গে তাদের তর্কাতর্কি হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে মাসুদের বিরুদ্ধে এলাকায় মাইকিং করেছে দিপু। শনিবারের মাইকিং করার ঘটনার ভিডিও রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখতে পাই। পরে দিপুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে সে দুঃখপ্রকাশ করে। অলোয়া ইউনিয়নের মেম্বার সুমন ও মাসুদকে একাধিকবার রিহাব সেন্টারের রেখেছিল তার পরিবার। কিন্তু তারা ভাল হয়নি। এলাকায় এসে আবারও নেশায় জড়িয়ে পড়ে। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এলাকায় মাইকিংয়ের বিষয়টি জানা নেই। ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ বলেন, মাইকিংয়ের বিষয়টি জানি না।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:২৫

জেলেদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উপকূলে মাইকিং 
রাত পোহালেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। তাই উপকূলীয় বরগুনার পাথরঘাটায় জেলেদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করতে মাইকিং করেছে জেলা ট্রলার মালিক সমিতি।  শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী। জানা যায়, বরগুনা জেলায় ৪২ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে পাথরঘাটায় রয়েছে প্রায় ২৫ হাজার জেলে। এসব জেলেদের ভোট না দিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যেতে মাইকিং করে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাগরে থাকা জেলেদের ঘাটে ফিরে আসতে মালিকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। এই সময়ে যদি জেলেরা নতুন করে মাছ শিকারে সাগরে যায় তাহলে ভোট দিতে পারবেন না। তাই নতুন করে সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাগরে থাকা ১০ হাজার জেলে শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে ঘাটে ফিরবে। এসব জেলেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবেন। পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান খান জানান, পাথরঘাটায় ১ লাখ ৪১ হাজার ২৪৯ জন ভোটার রয়েছে। ভোটগ্রহণের জন্য পাথরঘাটায় ৫৩টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এক হাজারের অধিক নৌবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এ  ছাড়াও র‌্যাবের কয়েকটি টহল টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়