• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আরব আমিরাতে নজিরবিহীন বৃষ্টি, বহু ফ্লাইট বাতিল
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে মাঝপথ থেকে অনেক বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ১৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে রাতের পাঁচটি বিমানকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং নয়টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কায় বিমানবন্দরে আসার ক্ষেত্রে সময় নিয়ে বের হওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল আমিরাতে প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় বন্যা হয়। এ সময় ২২ হাজার ফ্লাইট বাতিল করেছিল দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পল গ্রিফথস জানিয়েছেন, গত ১৪ এপ্রিলের বৃষ্টির সময় যে জরুরি প্রটোকল ব্যবহার করা হয়েছিল এবারই সেই একই প্রটোকল ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে অবস্থাকে কাটিয়ে ওঠা এই বিমানবন্দর ভবিষ্যতেও এ ধরনের অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বেশ ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছে। সঠিক মানুষ, সঠিক পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এত বড় বিপর্যয় রেকর্ড সময়ের মধ্যে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছিল। উল্লেখ্য, আরব আমিরাতের ইতিহাসে এমন বৃষ্টিপাত বিরল। গত ১৪ এপ্রিল প্রায় এক বছরের সমান বৃষ্টিপাত হয়। এতে বন্যার ফলে রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো ভেসে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়।
০২ মে ২০২৪, ১৮:১৪

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
গাজায় যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দ্য ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া (ইউএসসি) প্রধান স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয়েছে অনুষ্ঠানটি। আগামী ১০ মে এটি হওয়ার কথা ছিল। গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে ইউএসসি ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন বিক্ষোভে উত্তাল। এসব বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন অনেক শিক্ষকও। ওয়াশিংটনে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছেন হোয়াইট হাউসের অদূরে। এদিকে ক্যাম্পাস ছাড়ার নির্দেশ অমান্য করায় বৃহস্পতিবার ২৮ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। নিউইয়র্ক সিটিতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের এদিন রাতের মধ্যে শিবির তুলে নিতে যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, সেটি প্রত্যাহার করেছে। ইউএসসি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, এ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ৬৫ হাজার শিক্ষার্থী, তাদের পরিবারের সদস্য ও বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতে ১০ মে নির্ধারিত স্নাতক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার (গাজায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যা’) আহ্বান জানিয়ে আসছেন। ইসরায়েলে সরবরাহের জন্য অস্ত্র তৈরিতে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধকে সমর্থনকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ না করার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলা বিক্ষোভ নিয়ে ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু ইহুদি শিক্ষার্থী বলেছেন, তারা কলাম্বিয়াসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিরাপদ বোধ করছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্য ইহুদি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় গত সপ্তাহে। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন ক্যাম্পাসের অচলাবস্থা নিরসনে তাদের সঙ্গে একটা মতৈক্যে আসতে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের গতকাল রাত পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেছেন, ঐকমত্যে পৌঁছানো না গেলে ক্যাম্পাসে শান্ত অবস্থা ফেরাতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় বিবেচনা করবেন তারা। গতকালই এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি জানায়, আলোচনায় অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে ও এটি চলবে। এমন অবস্থায় পূর্বঘোষিত সময়সীমা তুলে নেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজধানী ওয়াশিংটনে জর্জটাউন ও জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিডব্লিউ) শিক্ষার্থীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (জিডব্লিউ) ক্যাম্পাসে গতকাল একটি শিবির প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের অবস্থান এখন হোয়াইট হাউস ও পররাষ্ট্র দপ্তরের অদূরে। ওয়েসেলস বলেন, আমরা যদি ওয়াশিংটনে কিছু না করি, তবে আমরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে থাকতে পারব না। গত রোববার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ধরনের ‘স্পষ্ট ইহুদিবিরোধিতার’ নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে এর কোনো স্থান নেই।’ তবে হোয়াইট হাউস বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন প্রেসিডেন্ট। সূত্র : বিবিসি
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৬

চাঁদপুরে তিন উপজেলার ২৬ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, বাতিল ৪ 
চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। আজ এই তিন উপজেলায় মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইতে ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল এবং ২৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ছিলেন ৩০ জন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও রিটার্নিং অফিসার বশির আহমেদ। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে জানানো হয়, কাগজপত্র ত্রুটি ও সঠিক তথ্য না থাকায় সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে রাকিব মাঝি, ভাইস চেয়ারম্যান পদে হারুনুর রশিদ হাওলাদার, হাজীগঞ্জ উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া আক্তার ও শাহরাস্তি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী নুর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। বৈধ প্রার্থীরা হলেন- চাঁদপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে মিজানুর রহমান, মো. আইয়ুব আলী, মো. হুমায়ুন কবির, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম দেওয়ান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আবুল বারাকাত মো. রেজওয়ান ও মো. নুরুল হায়দার এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেবেকা সুলতানা ও শ্রিপা দাস। হাজীগঞ্জ উপজেলার বৈধ প্রার্থীরা হলেন- চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সুফিয়ান মজুমদার, মো. জসিম ও মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে গোলাম ফারুক মুরাদ ও সুমন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মির্জা শিউলি পারভীন ও রুবি বেগম। শাহরাস্তি উপজেলার বৈধ প্রার্থীরা হলেন-চেয়ারম্যান পদে মো. ওমর ফারুক, মো.কামরুজ্জামান মিন্টু ও মোহাম্মদ মকবুল হোসেন পাটোয়ারী। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ ইরান, মো. ইব্রাহীম খলিল, মো. ইমদাদুল হক, মো. ওমর ফারুক এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কামরুন্নাহার, নাজমুন নাহার, হনুফা আক্তার ও হাছিনা আক্তার।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৮

যে কারণে হোয়াইট হাউসে বাইডেনের ইফতার আয়োজন বাতিল হলো
পবিত্র রমজানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইফতারের আয়োজন বাতিল করেছে হোয়াইট হাউস। বিষয়টির সঙ্গে জড়িত এমন দুজন বলছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে বাইডেনের সমর্থন দেওয়ার প্রতিবাদে কয়েকজন মুসলিম মার্কিনি আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে এ আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে। খবর আল জাজিরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আল-জাজিরাকে বলেছে, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইফতারের আয়োজনটি বাতিল করা হয়। এর আগে, মুসলিম কমিউনিটির সদস্যরা হোয়াইট হাউসের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে নেতাদের সতর্ক করে দেন। কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্সের (সিএআইআর) উপ-পরিচালক অ্যাডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল আল জাজিরাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে যেতে রাজি হওয়া আমন্ত্রিতরাসহ অনেকে উপস্থিত না হওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। আহমেদ মিচেল আরও জানান, আমেরিকান মুসলিম জনগোষ্ঠী বেশ আগেই বলেছিল, যে হোয়াইট হাউস গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণকে ক্ষুধায় মারতে ও হামলা চালিয়ে মেরে ফেলতে ইসরায়েল সরকারকে সক্রিয় সমর্থন দেয়, তার সঙ্গে খাবার খাওয়াটা হবে একবারেই অগ্রহণযোগ্য।  সোমবার (১ এপ্রিল) মার্কিন গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, হোয়াইট হাউস মুসলিম কমিউনিটির জন্য ইফতারের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এর কয়েক ঘণ্টা পরই হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, তারা ইফতারের আয়োজন নয় বরং শুধু মুসলিম সরকারি কর্মীদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করবে। আর মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির নেতাদের সঙ্গে আলাদা একটি সাক্ষাতের ব্যবস্থা করবে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরেই প্রভাবশালী মুসলিম আমেরিকান প্রতিনিধিদের নিয়ে ইফতারের আয়োজন করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। পবিত্র রমজানে হোয়াইট হাউসে ইফতারের অনুষ্ঠান করার বিষয়টি সেখানে অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতির অনুষ্ঠান আয়োজনেরই এক প্রতিফলন। এমন আয়োজন স্থানীয় মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের উৎসবের অনুভূতি দেয় এবং ঐতিহ্যগতভাবে এটি সংবাদকর্মীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। এদিকে মুসলিম আমেরিকান অধিকারকর্মীদের কয়েকজন বলেছেন, সাক্ষাতের এ আয়োজন হবে একসঙ্গে ‘ছবি তোলার এক সুযোগমাত্র’। তাদের যুক্তি, মুসলিম জনগোষ্ঠীর লোকজন ছয় মাস ধরেই তাদের অবস্থান জানিয়ে আসছেন।  আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইন সংগঠনের পরিচালক (উন্নয়ন) মোহাম্মদ হাবেহ আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের কটা বৈঠক হলো, তাতে কতজন গেলেন, কতটা আলাপ-আলোচনা চলছে—এসব কোনো বিষয় নয়। হোয়াইট হাউস (নীতি) বদলাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মোহাম্মদ হাবেহ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়া বন্ধ না করলে মুসলিম আমেরিকান কমিউনিটির প্রতি তিনি যে যত্নবান, সেটি দাবি করতে পারবেন না। 
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪১

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করলেন নিপুণ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেওয়ায় শিল্পী সমিতির সদস্যপদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অভিনেতা শ্রাবণ শাহকে। গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেতা নিজেই। ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে নিপুণের কিছুটা বিরুদ্ধে যাওয়ায় নাকি তার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে। শুধু শ্রাবণই নন, আরও ছয়জনের শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিপুণ বাতিল করেছেন বলে জানা গেছে।  গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে শ্রাবণ বলেন, আমার সদস্যপদ কেন বাতিল করা হলো জানতে চাইলে নিপুণ আপু তখন একটা স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট দেখায় আমাকে। মূলত স্ক্রিনশট ছিল— আমার ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাস। আসলে চিত্রনায়িকা রত্না আপা আর আমি মিলে মজা করে আলাপ করছিলাম।   রত্না আপা ফেসবুকে লেখেন, দুজন এত ঝামেলায় না জড়িয়ে, একজন সভাপতি আরেকজন সাধারণ সম্পাদক হয়ে যাক। দ্বন্দ্বের অবসান হোক। রত্না আপার এই কথার সূত্রেই আমি লিখেছিলাম, সভাপতি পদে কাউকে না পাওয়া গেলে শেষে জায়েদ খানকে সভাপতি করে প্যানেল ঘোষণা দিয়ে আমাদেরকে সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে না তো? আর সেটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। নিপুণ আপু স্ক্রিনশটটি আমাকে দেখিয়ে বললেন, এই স্ট্যাটাসের কারণেই নাকি আমার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।   অভিনেতা আরও বলেন, এই সামান্য কারণে আমার সদস্যপদ কেন স্থগিত করা হবে। আমি গত ১৯ তারিখে শিল্পী সমিতির সমস্ত চাঁদা পরিশোধ করেছি। আসলে বুঝতে পারছি না শিল্পী সমিতিতে এসব কী চলছে? ব্যক্তি আক্রোশ কেন ঝাড়া হচ্ছে? অন্যদিকে এবার স্বতন্ত্র থেকে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন শ্রাবণ। এটাও  একটা কারণ হতে পারে বলে মনে করেন এই অভিনেতা। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন ধরেননি তিনি। তবে নির্বাহী কমিটির সদস্য চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, কিছু সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা শুনেছি। প্রসঙ্গত, পরীমণির সঙ্গে আপন মানুষ চলচ্চিত্র করে আলোচনায় আসেন শ্রাবণ। সর্বশেষ কাজী হায়াতের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ‘জয় বাংলা’ সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে।   
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৫

ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের আদেশ বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদিন আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। এর আগে, ড. ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৮ মার্চ দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন। আদালতে ওইদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার তানভীর শিহাব খান। তারও আগে তৃতীয় শ্রম আদালতের ১ জানুয়ারি দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ২৮ জানুয়ারি দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ড. ইউনূসসহ চারজন ও রাষ্ট্রের পক্ষে ঢাকার জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া ড. ইউনূসকে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ মামলার বাকি তিন আসামিকেও বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে একই আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়।
১৮ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫৮

ধর্ষণকাণ্ড : জাবির ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, ২ জনের সনদ বাতিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং দুইজনের একাডেমিক সনদ বাতিল করা হয়েছে। রোববার (১০ মার্চ) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান জানান, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সহযোগী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৭

১৬৯ শিশুর ভর্তি বাতিল  / মাউশি-ভিকারুননিসার ভুলের বলি কোমলমতিরা
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১ম শ্রেণিতে অনিয়মে ভর্তি হওয়া ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করে শুন্য আসনে ৭ দিনের মধ্যে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ছাত্রী ভর্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুইদিন আগে হাইকোর্ট এই রায় দেন। উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা মেনে ১৬৯ শিশুর ভর্তি বাতিল করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে অনেক অভিভাবক তার সন্তানের ভর্তি বাতিলের নোটিশ পেয়েছেন। দুই মাস ক্লাস করার পর সন্তানের ভর্তি বাতিলের এমন খবরে মাথায় যেন বাজ পড়েছে তাদের। অভিভাবকদের দাবি, তারা কোনো ধরনের ছলচাতুরির আশ্রয় নেননি। অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমেও সন্তানকে ভর্তি করাননি। মাউশি ও ভিকারুননিসার ভুলে কেন তাদের শিশুসন্তানদের ভবিষ্যৎ এভাবে অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের এই প্রশ্নের জবাব নেই ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষ ও মাউশি কর্মকর্তাদের কাছেও। তারা বলছেন, ত্রুটি হয়েছিল, নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছিল। অন্য দুজন অভিভাবক রিট করেছিলেন। উচ্চ আদালত সেটার সুরাহা করেছেন। তারা এখন আদালতের নির্দেশনা মানতে বাধ্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ২৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয় বেসরকারি স্কুলের ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করে। নীতিমালার ৩ নম্বর অনুচ্ছেদে শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ৬ বছরের বেশি হতে হবে। সেই হিসাবে সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ হবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি। তবে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ, সর্বোচ্চ বয়সসীমা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। এরপর ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভিকারুননিসা। প্রতিষ্ঠানটি প্রথম শ্রেণির জন্য ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জন্ম নেওয়া শিশুরা যোগ্য বিবেচিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে। পরে ২৮ নভেম্বর ঘটা করে রাজধানীর সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির আয়োজন করে মাউশি। লটারির মাধ্যমে আবেদনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঠিক করে দেওয়া হয়। এরপর যে শিক্ষার্থী যে প্রতিষ্ঠান পেয়েছে, তারা সেখানে নির্ধারিত দিনে কাগজপত্র নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়। তখন ভিকারুননিসা জানতে পারে মাউশি থেকে লটারিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে তাদের প্রতিষ্ঠানে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের নামও রয়েছে। বিষয়টি মাউশিকে অবগত করে চিঠি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। মাউশির পরামর্শে গত ২ ডিসেম্বর গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান, সব সদস্য, শিক্ষক ও ভর্তি কমিটির প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা করে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ। সেখানে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণ করা যেসব শিশু লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে, তাদের ভর্তি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে ২০১৫ সালের ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া ১৫৯ জন ছাত্রী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পায়। তবে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া পাঁচজনকে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচনা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন। এরপর গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক–২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী আদালতে হাজির হন। তিনি ভুল হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন আদালতে। তারপর মাউশি থেকে ভিকারুননিসাকে চিঠি দিয়ে ভর্তি বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ভর্তি বাতিলের ফলে শূন্য হওয়া আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে আগামী সাতদিনের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দুইদিন আগে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের পরিচালক বেলাল হোসাইন বলেন, ‘বর্তমানে আমি মাধ্যমিকে নেই। কলেজ বিভাগে দায়িত্বে আছি। তবে আমার সময়েই এটা ঘটেছে, তা সত্য। নীতিমালা অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সীরা প্রথম শ্রেণির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শিশুর ভর্তির সুযোগ ছিল। কিন্তু ভিকারুননিসা ভুল করে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া শিশুদের যোগ্য বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেটা আমরা পরে সংশোধনও করেছি চিঠি দিয়ে।’ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে জন্ম নেওয়া শিশুদের ভর্তি গভর্নিং বডি ও ভর্তি কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে হয়েছে। মাউশির পরামর্শে আমরা এটা (গভর্নিং বডির সভা) করেছিলাম। উচ্চ আদালত যেহেতু এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, এখন মন্তব্য করাটা আইনের লঙ্ঘন।  এদিকে ভর্তি বাতিলের খবরে শিশুরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। তারা কিছুতেই সন্তানের ভর্তি বাতিল মানতে পারছেন না। দুই মাস ক্লাস করার পর এখন সন্তানদের অন্য কোথাও ভর্তি করানোর চিন্তাও করতে পারছেন না বাবা-মা। মানবিক দিক বিবেচনায় তাদের ভর্তি বাতিল না করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে আইনি লড়াইয়েও নেমেছেন অভিভাবকরা। তবে, মাউশির উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) ও ঢাকা মহানগরী ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলছেন, ‘কার দোষ, কার ভুল এগুলো জিজ্ঞেস করে তো আর লাভ নেই। উচ্চ আদালত এটার বিহিত করে দিয়েছেন। এ নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। ভবিষ্যতে বিষয়টি (সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বয়স) নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রাখা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।’
০৮ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪

শিল্পী সমিতির সদস্যপদ বাতিল করায় যা বললেন জায়েদ খান
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে সমিতির বর্তমান কমিটি। শনিবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই ঘোষণা দেওয়া হয়। যদিও গত বছরই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্পী সমিতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। তিনি শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন। খসরু জানান, আজকের বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির  দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।  ঘোষণাপত্রে জানানো হয়, কোনরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। এদিকে সদস্যপদ বাতিলের বিষয়ে  জায়েদ খানের বলেন, আমার কাছে এখনও এ বিষয়ে কোনো চিঠি আসেনি। আগে চিঠি হাতে পাই তারপর বলতে পারব, কেন তারা এমনটা করেছে।  জায়েদ খান আরও বলেন,আমি একজন ব্যক্তির আক্রোশের শিকার। শিল্পী সমিতিতে সে নিজের মতো করে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। আমার সদস্যপদ বাতিলের সিদ্ধান্তের আগে অন্তত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেটাও করেনি। কিছু জানানোও হয়নি। আমি চলচ্চিত্র অঙ্গনের আমার সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। এর আগে চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, কোনো সাংগঠনিক দুর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশ ধারাবাহিক ভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় গত বছর এপ্রিলের দুই তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:৪০

শিল্পী সমিতি থেকে জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিল করেছে সংগঠনটির বর্তমান কমিটি। শনিবার (২ মার্চ) অনুষ্ঠিত শিল্পী সমিতির বার্ষিক বনভোজনে দ্বি-সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঢাকার অদূরে আশুলিয়া প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজে শিল্পী সমিতির এই বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এই তথ্যটি নিশ্চিত করেন চলচ্চিত্র পরিষদ নেতা খোরশেদ আলম খসরু। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে এবার প্রধান নির্বচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।    এ প্রসঙ্গে খসরু জানান, বনভোজনের শুরুতে শিল্পী সমিতির দ্বি-সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদনে ৯ নং একটি বার্তায় জায়েদ খানের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।   ওই ঘোষণাপত্রে জানানো হয়— কোনোরূপ সাংগঠনিক দূর্বলতা না পেয়ে জনাব জায়েদ খান ব্যক্তিগত আক্রোশে ধারাবাহিকভাবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ সাধারণ সম্পাদকের নামে মিথ্যা, মনগড়া, কুরুচিপূর্ণ কল্পকাহিনী সাংবাদিক সম্মেলন, ইউটিউব, ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় ০২/০৪/২০২৩ তারিখে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জনাব জায়েদ খানের এর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।  সভায় চিত্রনায়িকা ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার বলেন, আমরা অনেক জটিল কাজের সমাধানের চেষ্টা করেছি এবং সফলতাও পেয়েছি। কাজ করতে করতে গিয়ে ভুল-ক্রটি হয়ে থাকে। সেগুলো উপেক্ষা করে সামনের দিনগুলোতে আরও কাজ করতে চাই। পাশাপাশি গেল বছর এপ্রিলে জায়েদের সদস্যপদ বাতিল করা হয় বলে তিনিও অবগত করেন।    প্রসঙ্গত, চলতি বছর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে দুটি প্যানেলে দুটি প্যানেল দাঁড় হতে পারে। একটি হলো মিশা-ডিপজল প্যানেল এবং অন্যটি অমিত হাসান-নিপুণ প্যানেল। আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। 
০২ মার্চ ২০২৪, ২০:১৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়