• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ৬ দিনের (২৪ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল) সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে তিনি একটি লিখিত ভাষণ পড়ে শোনান। নিম্নে তার ভাষণের পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরা হলো— বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, ও সহকর্মীবৃন্দ। আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন এর আমন্ত্রণে দ্বিপাক্ষিক সফরে এবং ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য আমি গত ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল ২০২৪ থাইল্যান্ড সফর করি। কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ আমার সফরসঙ্গী ছিলেন। ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ব্যাংককে পৌঁছালে বিমানবন্দরে আমাকে লালগালিচা সংবর্ধনা, গার্ড অব অনার ও গান স্যালুটের মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়। গত ২২ হতে ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ব্যাংককে ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদানের জন্য সংস্থাটির এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। দেশে ব্যস্ত থাকায় আমি তাতে অংশ নিতে পারিনি। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অধিবেশনের মূল প্রতিপাদ্য ‘এশীয়-প্রশান্ত মহাসারীয় অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে ডিজিটাল উদ্ভাবনা জোরদার’ বিষয়ে আমার পূর্বধারণকৃত একটি ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়। ২৫ এপ্রিল সকালে ইউএন-এসক্যাপের এর একটি অধিবেশনে আমি এশীয় প্রশান্ত অঞ্চলে সহযোগিতা জোরদার করার মধ্য দিয়ে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করি। আমি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি ইউএন-এসক্যাপ এর মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব উদ্ভাবিত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন মডেল এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বিনিময় করার বিষয়ে আমাদের আগ্রহ ব্যক্ত করি। আমি সকল ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই। আমি ফিলিস্তিনে অব্যাহত গণহত্যা; মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, ও রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলসহ বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাই। একইদিন, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএন-এসক্যাপ এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মিজ্ আরমিদা সালসিয়ান আলিসজাহবানা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলাপকালে, আমি দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করি। ইউএন-এসক্যাপ এর ৮০তম বার্ষিক অধিবেশনের বিভিন্ন সেশনে মাননীয় অর্থমন্ত্রী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বক্তব্য প্রদান করেন। সম্মেলনস্থলে আইসিটি বিভাগের আয়োজনে একটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় এবং ‘ডিজিটাল টু স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১’ শীর্ষক প্যাভিলিয়ন স্থাপন করা হয়। আমি প্যাভিলিয়নটি ঘুরে দেখি। একইদিন বিকেলে আমি থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে মহামহিম রাজা মহা ভাজিরালংর্কন ফ্রা ভাজিরা ক্লাওচা উহুয়া এবং মহামহিমা রাণী সুধিদা বজ্রসুধা বিমলা লক্ষণ-এর সঙ্গে দেখা করি। এ সময় আমি থাইল্যান্ডের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের জন্য রাজা ও রাণীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে একসাথে কাজ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করি। সফরের তৃতীয় দিন ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছিলে আমাকে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনারের মাধ্যমে থাই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় থাইল্যান্ডে স্বাগত জানান। পরে গভর্নমেন্ট হাউসে আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ¯্রথো থাভিসিন এর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশগ্রহণ করি। বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক বিষয়ের পাশাপাশি আমি জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত মায়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর) দ্রুত তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করি।   একান্ত বৈঠকে শেষে আমার এবং থাইল্যান্ডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দু’দেশের প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অধিকতর উন্নয়নকল্পে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করি। এ সময় আমি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞান-ভিত্তিক, ডিজিটালাইজড এবং জলবায়ু সহনশীল দেশে রূপান্তর এবং বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মূল্যবান অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের সহযোগিতা কামনা করি। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’-এর পর্যালোচনার পাশাপাশি অন্যান্য অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়। উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, পর্যটন সহযোগিতা, জালানি নিরাপত্তা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, স্থল এবং সমুদ্র সংযোগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। এ সময় আমি দুই দেশের বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষার জন্য বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে বিশেষ করে, আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য থাই প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করি। থাই প্রধানমন্ত্রীকে তৈরি পোষাকসহ কিছু বাংলাদেশী পণ্যের একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের জন্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছি। কৃষি উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগতিা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা থাইল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে পারি। এজন্য থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের সহযোগতিা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে আলোচনা করি। থাইল্যা-কে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানাই। নিরবচ্ছিন্ন আঞ্চলিক যোগাযোগের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে থাইল্যান্ডের রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি কোস্টাল শিপিং দ্রুত চালু করার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে আমরা একমত পোষণ করি। এ ছাড়াও, আঞ্চলিক সহযোগিতা সুদৃঢ়করণে ‘ভারত-মিয়ারমার-থাইল্যান্ড’ তে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে আমাদের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করি। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমি ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একমত পোষণ করি যে, বিমসটেক এ অঞ্চলের প্রায় ১৮০ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হতে পারে। আমি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি হিসেবে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর নেতৃত্বে থাইল্যান্ড শীঘ্রই বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে সফলভাবে আয়োজন করবে মর্মে শুভকামনা জানাই। ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ আসিয়ানের প্রতিবেশী। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগস্থলে অবস্থিত বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ মর্যাদা চলতি বছরের মধ্যে প্রাপ্তির জন্য আবেদনের বিষয়ে থ্যাইল্যান্ড সরকারের নিকট আবারও অনুরোধ জানিয়েছি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে, দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি ‘আগ্রহ পত্র’ লেটার অব ইনটেনশন) সই হয়েছে। সেগুলো হলো: (ক) অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি; (খ) জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; (গ) পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; (ঘ) শুল্ক সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; এবং (ঙ) মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করার জন্য একটি আগ্রহ পত্র চুক্তি ও সমঝোতাসমূহ স্বাক্ষর শেষে আমি ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনেরন সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখি। সংবাদ সম্মেলন শেষে আমার সৌজন্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আয়োজিত রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগদান করি। আমার ছোট বোন শেখ রেহানাও এতে অংশ নেয়। থাইল্যান্ডে আমার সরকারি সফরটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসু অংশীদারিত্বের একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে। আসিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাষ্ট্র থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সরকারি সফর অত্যন্ত তাৎর্পযর্পূণ। সফরে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরুর বিষয়ে অগ্রগতি, আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি প্রভৃতি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ়করণে বিশেষ গুরুত্ব পালন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’-এর প্রার্থীতা লাভের জন্য এ সফর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা থাইল্যান্ডকে দ্বিপাক্ষিকভাবে এবং আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোরালো অবস্থান নেওয়ায় সহায়তা করবে মর্মে আমি আশাবাদী। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের বিশেষ প্রয়াস হিসেবে এ সফরটি সফল ও  ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সবাইকে ধন্যবাদ। খোদা হাফেজ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
০২ মে ২০২৪, ১৩:১২

বিব্রতকর বক্তব্য থেকে দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে। বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপি কর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃত কর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার ওপর বাইরের কারও তো কোনোকিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কী হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী? পাল্টা প্রশ্ন রাখেন কাদের। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে। আর আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের কাছে ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দাম না.... সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাংলাদেশে পরিবহনের চাঁদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। বলেন, আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন? সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

দেশে কওমি মাদরাসা থাকা নিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরলেন শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদেরও যাতে কর্মসংস্থান হয় সেটাও আমরা চাই। এ জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাই। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেলা প্রশাসক সম্মেলনের প্রথম দিন কওমি মাদরাসা নিয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তার এ বক্তব্যকে বিকৃত করে একটি রাজনৈতিক দল প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি জেলা থেকে একটি আলোচনা এসেছিল, অনিবন্ধিত, নাম-পরিচয়হীন নুরানি মাদরাসার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। সেগুলো নিবন্ধনের প্রক্রিয়া কী? সেই প্রেক্ষিতে আমি বলেছিলাম, যেসব নুরানি মাদরাসা গড়ে উঠছে, সেগুলোর যথাযথ নিবন্ধন আছে কি না, সেগুলোতে কীভাবে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হচ্ছে? অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যাতে সাংঘর্ষিক না হয়, সে বিষয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কীভাবে তা ইউনিফরমিটির মধ্যে আনা যায়। বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, নুরানি বা কওমি মাদরাসার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে—এই ধরনের মন্তব্য (কওমি মাদরাসা বন্ধ) আমি করিনি। এই আলোচনা সৃষ্টি করে এক পক্ষ গুজব রটাচ্ছে। গুজব রটিয়ে কওমি মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টির নোংরা অপচেষ্টা করছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তারা আগে আরও অনেক ধরনের মানহানিকর এবং আপত্তিকর কথা বলছে।  তিনি বলেন, বারবার বলছি, কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে, অবশ্যই থাকবে। কারণ আমরা আইন দিয়ে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স স্বীকৃতি দিয়েছেন। কওমি মাদরাসা বাংলাদেশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। কিন্তু সেখানকার শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও ন্যূনতম লিটারিসির কথা বলছি, তারা যাতে কর্মসংস্থান পায়, সে সমস্ত বিষয় নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছি, আগামীতেও কাজ করব। তাদের বারবার আমন্ত্রণও জানিয়েছি। এখানে মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার মতো কথা কেউ কখনো বলেননি। তিনি আরও বলেন, একটি পরিকল্পনার মধ্যে থেকে, নিবন্ধনের মধ্যে থেকে, কী পড়ানো হচ্ছে সেসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে, আমার শিক্ষার্থী, আমাদের এই প্রজন্মকে কী পড়াচ্ছি, সেটা জাতীয় শিক্ষাক্রম হোক, কওমি মাদরাসা হোক বা ইংরেজি মাধ্যমে হোক, সেটির ওপর রাষ্ট্রের নজর তো অবশ্যই থাকতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু যদি পড়ানো হয়, সেটা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে হোক; আমরা দেখেছি, অনেক পাবলিশিং হাউজের নাম করে উসকানি দেওয়ার জন্য বই ছাপানো হয়েছে এবং পড়ানো হচ্ছে, সেগুলো আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে।  
০৫ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৪

ড. ইউনুসের সংবাদ সম্মেলনের পরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ব্যাংকের বক্তব্য
সম্প্রতি দরিদ্র ও ভূমিহীন সদস্যদের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ। তারই অংশ হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা বোর্ডে চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণ ব্যাংক।  বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংক মিডিয়া সেল প্রধান মোছা. আঞ্জু আরা বেগম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, এ বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি সংবাদ সম্মেলন করে বেশ কিছু বিভ্রান্তমূধুক্ত, অসত্য, বেআইনি ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য দিয়েছেন, যা ১ কোটি ৫ লক্ষ সদস্য ও তাদের পরিবারের অধিকার খর্ব করার শামিল। তাই গ্রামীণ ব্যাংক এ বিষয়ে সঠিক তথ্য উল্লেখ করে নিজেদের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা জাতির সামনে প্রকাশ করাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে। গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা- আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তনের বিষয়ে ড. ইউনূসের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, ২০০৯ সালে গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন পরিবর্তন করে চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষমতা বিলুপ্ত করা হয়েছে। তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূস নিজেকে গ্রামীণ ব্যাংক ও এই ব্যাংক কর্তৃক সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক দাবি করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা গ্রামীণ ব্যাংকের ১ কোটি ৫ লক্ষ ঋণগ্রহীতার স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, অনৈতিক ও আইন পরিপন্থী। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৮৩ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, যার মালিক বাংলাদেশ সরকার ও এর ঋণগ্রহীতা শেয়ারহোল্ডারগণ। এমনকি এ বিষয়টি বাংলাদেশের মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে ড. ইউনূসের পক্ষে বলা হয়েছে, সরকারি আদেশবলে তৈরিকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক কখনোই আইনগতভাবে কোনো প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সৃষ্টি করা বা উহার মালিক হতে পারে না। এই বক্তব্য স্ববিরোধী ও আইনের অপব্যাখ্যার শামিল। কারণ ২৫-০৪-১৯৯৬ তারিখে অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৪২তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. ইউনূসের প্রস্তাবেই খোদ গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এইসব আইনি বিধান মেনেই গত ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের ১৫৫তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট প্রতিনিধিগণ গ্রামীণ টেলিকম ভবনে অবস্থিত ছয়টি প্রতিষ্ঠানে যান। সংবাদ সম্মেলনে তারা জবরদখলের অভিযোগ তুললেও প্রকৃত পক্ষে সেদিন তারা ব্যাংকের প্রতিনিধিগণকে সাদর অভ্যর্থনা জানান এবং আপ্যায়ন করেন। প্রতিনিধিগণ নিয়ম মেনে প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামীণ ব্যাংকের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তের চিঠি হস্তান্তর করেন। গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদ আশা করছে, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বৃহত্তর কল্যাণে এবং তাদের স্বার্থরক্ষার যে অঙ্গীকারে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বোর্ড সভার এ সিদ্ধান্ত তা বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০৬

বিএনপির বক্তব্য ভুল, বিভ্রান্তিমূলক : রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত
বিএনপির বক্তব্য ভুল ও বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভি মান্টিটস্কি বলেছেন, নির্বাচনে জনগণের ভোটেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনসহ অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে নাক গলায় না মস্কো। আর রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে বিএনপির দেওয়া বক্তব্য ভুল। রাশিয়া-ভারত-চীন সম্পর্কে বিএনপির মন্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। তিনি বলেন, জনগণের ভোটেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। তিনি আরও বলেন, রাশিয়া কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বাংলাদেশও। এদিকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রুশ মুদ্রায় করার বিষয়ে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন মন্টিটস্কি। তিনি বলেন, নিজস্ব মুদ্রায় বিনিময় করার জন্য চীন, রাশিয়া, ভারত কাজ করছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়টি ঝুলে আছে বলে জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, বাণিজ্য বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার যেকোনো সময় চুক্তি হতে পারে বলে। রাশিয়া সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান মন্টিটস্কি।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:১৯

নারীদের নিয়ে যে বক্তব্য দিয়ে তোপের মুখে ইউপি চেয়ারম্যান
নারী নেতৃত্ব হারাম বলায় বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদারকে অপসারণ, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ‘মোংলা উপজেলা নারী সমাজ।’  বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় পৌর মার্কেটের সামনে স্থানীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস-চেয়ারম্যান কামরুন্নাহার হাইর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংগঠনটির দাবি, নারী নেতৃত্ব হারাম বলে ওই ইউপি চেয়ারম্যান রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে নারী সমাজকে অপমান ও অসম্মান করেছেন। এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান চেয়াম্যান ইকরাম ইজারাদার গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পক্ষ নিয়ে নারী নেতৃত্ব হারাম বলে রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়ে নারী সমাজকে অপমান ও কলুষিত করেছেন। যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী, মহান সংসদের স্পিকার একজন নারী এবং দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা অবস্থান করছেন।  এ ছাড়া বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন রাষ্ট্রে নারীরা নেতৃত্ব দিচ্ছে। চেয়াম্যান ইকরাম ইজারাদার এক নারীর অধীনেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, সেখানে কীভাবে তিনি নারীদের অসম্মান করে কথা বলেন। আমরা জানতে চাই তিনি জামায়াত, বিএনপি, জাসদ নাকি আ.লীগের চেয়ারম্যান? আমরা এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ সময় বক্তারা অবিলম্বে সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদারকে দ্রুত অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবি জানান। এ সময় বক্তব্য দেন সোনাইলতলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম নারজিনা, মোংলা পোর্ট পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর জাহানারা হোসেন চাঁনু, শিউলি আকন, জোহরা বেগম, মহিলা আ.লীগ নেত্রী রাহিলা খানম বেবীসহ অন্যান্য নারী নেত্রীরা। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার তার ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের এক সভায় বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি নেই।’ 
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৭

মোদির বিরুদ্ধে বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য: মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্যের পর মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জামির বলেছেন, বিদেশি নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মন্তব্য ‘অগ্রহণযোগ্য’। এই বক্তব্য মালদ্বীপ সরকারের অফিসিয়াল অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। মালদ্বীপ তার সব অংশীদার, বিশেষ করে প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সংলাপ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক পোস্টে মুসা জামির বলেন, বিদেশি নেতৃবৃন্দ ও আমাদের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য এবং এটি মালদ্বীপ সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার ভিত্তিতে আমাদের সব অংশীদার, বিশেষ করে আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সংলাপ গড়ে তুলতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। মালদ্বীপের এক উপমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্য এবং সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাম্প্রতিক লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে অপমানজনক ও অপ্রীতিকর মন্তব্য করার পরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। গত ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ সফর করেন এবং বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন, যার মধ্যে একটি আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতার ছবিও রয়েছে। রবিবার মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহামেদ সোলিহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারা ভারতের বিরুদ্ধে ‘ঘৃণ্য ভাষা’ ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, নয়াদিল্লি সবসময় দ্বীপরাষ্ট্রের ভাল বন্ধু। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ নিজের অফিসিয়াল হ্যান্ডেলে সোলিহ লিখেছেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় মালদ্বীপের সরকারী কর্মকর্তাদের দ্বারা ভারতের বিরুদ্ধে ঘৃণাপূর্ণ ভাষা ব্যবহারের নিন্দা জানাই। এদিকে মালদ্বীপের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ শাহিদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মালদ্বীপের সাবেক ও সহকর্মী ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য ‘নিন্দনীয়’ ও ‘অবমাননাকর’।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:০১

আজান শুরু হতেই বক্তব্য বন্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী
নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একপর্যায়ে মসজিদের মাইকে আসরের আজান শুরু হলে সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য বন্ধ করে দেন তিনি। আজানের পুরোটা সময় তিনি চুপ ছিলেন। এ সময় নেতাকর্মীরাও নীরবতা পালন করেন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শহরের ইসদাইর এলাকায় এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভা ছিল। আজান শেষ হওয়ার পর ফের বক্তব্য শুরু করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ বছর আমরা সরকারে আছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছিলাম। সেবার বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় ঐক্যজোট আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের মহাজোট ছিল। সেই নির্বাচনে শুধু নৌকা মার্কায় আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি সিট। আর বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০ সিট। বাকিগুলো আমাদের যারা জোটে ছিল তারা পেয়েছিল। তারপর থেকে বিএনপি আর নির্বাচনে আসতে চায় না, ভয় পায়। যার জন্য তারা সন্ত্রাস করে। শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধ করার জন্য তারা (বিএনপি) অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করে। তিন হাজারের বেশি মানুষকে তারা পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ জনমারা গেছেন। তিন হাজার আটশ’র বেশি গাড়ি পুড়িয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ খুন এটাই হচ্ছে বিএনপির একমাত্র গুণ। তারা শুধু এটাই পারে। আর কিছু পারে না। এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শহরের এ কে এম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জনসভাস্থলে পৌঁছালে নেতাকর্মীরা তাকে স্লোগানে স্লোগানে বরণ করে নেন। প্রধানমন্ত্রীও হাত নেড়ে জনসভাস্থলে উপস্থিত জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। সবশেষ ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ শহরের ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় আসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫০

এই সরকারের কোনো বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না : জোনায়েদ সাকি
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর ওই দিন কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি আরও বলেছেন, এই সরকারের কোনো বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একতরফা ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগপূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।  জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে যার ন্যূনতম দায়বোধ আছে, তারা কেউই ভোটকেন্দ্রে যাবে না। এই দেশ আমাদের সবার। এই দেশকে রক্ষা করতে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত। সে কারণে দেশের মানুষ সংগঠিত হবে, লড়াই করবে, গলায় গামছা বেঁধে এদেরকে (সরকার) ক্ষমতা থেকে নামাবে—এর প্রস্তুতি চলছে।  সরকার আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে তামাশা করতে যাচ্ছে মন্তব্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এ দেশের যারা আসল মালিক নাগরিকদের আবার ভয়ংকরভাবে অপমান করতে যাচ্ছে। তারা আবার গণতন্ত্র কেড়ে নিতে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েছিল। ২০১৮ সালে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে না দিয়ে নিজেরাই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালটবাক্স ভরে নিয়েছিল। আর আজকে ৭ তারিখে পরিকল্পিত সহিংসতা তৈরি করে বিরোধীদলের ওপর সর্বাত্মক ক্র্যাকডাউন তৈরি করে তারা মাঠ খালি করে একতরফা নির্বাচনের ব্যবস্থা তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ভোটার আনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এই আওয়াজ তুলে সরকার আজকে নানাভাবে মানুষকে ভয় দেখিয়ে, জোর করে ভোটকেন্দ্রে আনতে চায়। মানুষ যাতে বাধ্যতামূলকভাবে ভোটকেন্দ্রে আসে সেজন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আদালতে রিট করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের দশা। তারা (সরকার) এমন নির্বাচন করে, যে নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। ভয়, আদালত, টাকা-পয়সা দিয়ে মানুষকে জোর করে ভোটকেন্দ্রে আনতে চায়। নাগরিকদের এই অপমান আমরা হতে দিতে পারি না। সাকি বলেন, এই সরকারের কোনো বক্তব্য দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এই সরকারের বক্তব্য আন্তর্জাতিক বিশ্বেও গ্রহণযোগ্য হবে না। সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার সময় সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর নৌকার একটি নির্বাচনী ক্যাম্প থেকে হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খানসহ ৬-৭ জন আহত হয়েছেন। আমাদের ব্যানার কেড়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে আজকে তারা আক্রমণ করছে। এই হচ্ছে সরকারের সাহসের নমুনা। আমরা এর তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। গণতন্ত্র মঞ্চ দেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছে জানিয়ে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, আমরা যেখানেই যাচ্ছি, জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকছে। আমরা জনগণের পক্ষে লড়াই-সংগ্রাম করছি। জনগণ আমাদের পক্ষে থাকছে। এটাই আমাদের বড় বিজয়, এটাই আমাদের জন্য সম্মানের, গৌরবের। আমাদের এমপি-মন্ত্রী হওয়ার কোনো দরকার নেই। আমরা জনগণের সঙ্গে থাকব। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাড. হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে তারা বিভিন্ন এলাকায় ভোট বর্জনের আহ্বানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৬

বুধবার ৫ জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বুধবার পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বুধবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে ভার্চুয়ালি দেশের ৫ জেলা ও একটি উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি পর্যায়ক্রমে রংপুর বিভাগের গাইবান্ধা জেলা, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী জেলা ও মহানগর, ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, কুমিল্লা উত্তর-দক্ষিণ জেলা ও মহানগর এবং চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা, সংশ্লিষ্ট জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা-থানা-পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর নির্বাচনী এলাকাসমূহের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়াল জনসভা সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়