• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
পরিবেশবান্ধব আবাসন পাবেন শহর-নগরের নিম্ন আয়ের মানুষ
ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন শহরে নিম্ন আয়ের মানুষের, বিশেষ করে বস্তিবাসীদের জন্য পরিবেশবান্ধব আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রকল্প প্রস্তাবনা তৈরি ও তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন গণপূর্তমন্ত্রী। প্রকল্পটি পরিবেশবান্ধব করে বাস্তবায়নের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা, প্রয়োজনীয় বনায়ন, উন্মুক্ত স্থান সংরক্ষণ, খেলার মাঠ, স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন, সৌরশক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার, পোড়ামাটির ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহার, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংয়ের ব্যবস্থা, সারফেস ওয়াটার ব্যবহারের সর্বোচ্চ সুযোগ রাখার পরামর্শ প্রদান করেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে মন্ত্রী জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় টঙ্গীর দত্তপাড়ায় তিনটি পর্যায়ে ১০০টি বহুতল ভবনে ১২ হাজার ৬০০টি ফ্ল্যাট নির্মাণের যে প্রস্তাবনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দেন। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ১৭টি ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবনে দুই হাজার ১৪২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ে ৪৭টি ভবনে ৫ হাজার ৯২২টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ৩৬টি ভবনে ৫ হাজার ৪৩৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ হবে, যার প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর কড়াইল বস্তি ও টি অ্যান্ড টি কলোনির বস্তিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত অধিদপ্তরকে পৃথক পৃথক প্রকল্পের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন মন্ত্রী। ৭৫০ বর্গফুট আয়তনের এসব ফ্ল্যাটের অভিন্ন ডিজাইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান স্থপতিকে মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। সভায় ঢাকার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শহরেও প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পর্যায়ক্রমে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছন গণপূর্তমন্ত্রী।  উল্লেখ্য, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বাস্তবায়নাধীন উত্তরা আবাসন প্রকল্পে (তৃতীয় পর্যায়) নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ১০ একর জমি নির্দিষ্ট রয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই জমিতে নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছেন মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিজস্ব অর্থায়নের পাশাপাশি সম্ভব হলে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অর্থায়নও গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুরের বস্তিবাসীর জন্য ৫৩৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের কোবদাস পাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের উন্নত জীবন ব্যবস্থা শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার নদীভাঙন কবলিত ও ভূমিহীন বস্তিবাসীর পুনর্বাসন সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে এসব প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে সরকারের এসব জনহিতকর কার্যক্রম সম্পর্কে সর্বসাধারণের মাঝে ইতিবাচক প্রচার চালানোর জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
১৩ মে ২০২৪, ১৮:১৩

আরও ২ পোশাক কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ
গাজীপুর টঙ্গীর উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কমফিট বানানা লিফ নামে আরও দুই পোশাক কারখানা পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে।     শনিবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফলে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২১৩–তে। যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে কারখানা দুটি পরিবেশবান্ধব সনদ পেয়েছে। সনদ পাওয়ার ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০–এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।  উইন্ডি অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কমফিট বানানা লিফ লিড গোল্ড সনদ পেয়েছে। ১১০ নম্বরের মধ্যে উইন্ডি অ্যাপারেলস পেয়েছে ৬৯ নম্বর। আর কমফিট বানানা লিফ এর নম্বর ৭৩। বিজিএমইএ তথ্যানুযায়ী, তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে বর্তমানে লিড সনদ পাওয়া পরিবেশবান্ধব কারখানা বেড়ে হয়েছে ২১৩। তার মধ্যে ৮০টিই লিড প্লাটিনাম সনদধারী। এ ছাড়া ১১৯টি গোল্ড, ১০টি সিলভার ও ৪টি কারখানা সার্টিফায়েড সনদ পেয়েছে। পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তা সাজ্জাদুর রহমান মৃধার হাত ধরে ২০১২ সালে দেশে পরিবেশবান্ধব কারখানার যাত্রা শুরু হয়। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ১০ পরিবেশবান্ধব কারখানার ৯টিই বাংলাদেশে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে বিশ্বের শীর্ষ পরিবেশবান্ধব কারখানার স্বীকৃতি লাভ করেছে গাজীপুরের কোনাবাড়ীর এসএম সোর্সিং। ১১০ নম্বরের মধ্যে কারখানাটি ১০৬ পেয়েছে। দেশের অন্য শীর্ষস্থানীয় পরিবেশবান্ধব কারখানাগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহের গ্রিন টেক্সটাইল, গাজীপুরের নিট এশিয়া ও ইন্টিগ্রা ড্রেসেস, নারায়ণগঞ্জের রেমি হোল্ডিংস ও ফতুল্লা অ্যাপারেলস, গাজীপুরের লিডা টেক্সটাইল অ্যান্ড ডাইং ও লিজ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিজ এবং মানিকগঞ্জের তারাসিমা অ্যাপারেলস। উইন্ডি অ্যাপারেলসের কারখানা গাজীপুরে টঙ্গীতে এবং কমফিট ব্যানানা লিফের কারখানা টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে অবস্থিত।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়