• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয় সেই প্রার্থনা করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার নিজ গ্রামের বাড়ির জামে মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রার্থনার কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা আমাদের দেশে যে সম্প্রীতি আছে, সেই সম্প্রীতির বন্ধনকে যেন আরও দৃঢ় করতে পারি। একই সঙ্গে আমাদের দেশ থেকে অপরাজনীতি যেন চিরতরে দূর হয়। নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে গণমাধ্যমকর্মীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে পবিত্র ঈদের দিন আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের দেশে যে শান্তি স্থিতি বিরাজমান এবং আজকে বাংলাদেশ যে পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে, এই উন্নয়ন অগ্রগতি যেন আরও বেগবান হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার সম্মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের এই দেশ রচিত হয়েছে। এই দেশ থেকে যেন সমস্ত সম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ ঘটে। এই দেশে যেন আমরা সব সম্প্রদায় এবং সব মত-পথের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করতে পারি। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদেরকে সেখানে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। নারী ও শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে যেন অবিলম্বে শান্তি আসে। সেখানে ইসরায়েল যে বর্বরতা চালাচ্ছে সে বর্বরতার যেন চির অবসান হয়। এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে তার নেতৃত্বে দেশ যেন আরও এগিয়ে যায় মহান আল্লাহর কাছে সেই প্রার্থনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

যে যত্নে দূর হবে চোখের নিচের ফাইন লাইনস ও রিংকেল
ছোটবেলা থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমাদের ত্বক নানান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে আমাদের ত্বক হারায় তার দৃঢ়তা ও জেল্লা। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় সবার মাঝে একটি সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যাটি হলো–চোখের নিচে ভাঁজ পড়ে যাওয়া কিংবা কুঁচকে যাওয়া, একেই ফাইন লাইনস ও রিংকেল বলে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনাচরণ, কম ঘুমানো, স্ট্রেস, ব্যাস্ততা,পরিবেশদূষণ, সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্নি, বংশগত কারণ ইত্যাদি কারণগুলো চোখের নিচের কালো দাগ হওয়ার জন্য দায়ী। এটা আমাদেরকে জানান দেয় যে খাদ্যাভাস, বয়স বা জীবনযাত্রায় হচ্ছে অনিয়ম। এজিং সাইনগুলো সাধারনত সবচেয়ে প্রথমে চোখের নিচেই দৃশ্যমান হয়। কারন আমাদের চোখের নিচে প্রিঅরবিটাল হলো নামক অংশের চামড়াতে থাকা রক্তের শিরাগুলো তুলনামূলক পাতলা হয়। আগে থেকেই এ ব্যাপারে সচতন থাকতে হবে, সময় করে যত্ন নিতে হবে চোখের।  যে কারণে হয় ফাইন লাইনস ও রিংকেল:  রিংকেল এবং ফাইন লাইন হবার পেছনে এমন কিছু ফ্যাক্টর কাজ করে, যা আমরা চাইলেই কন্ট্রোল করতে পারি না। যেমন- বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের ত্বকের ইলাস্টিসিটি এবং নমনীয়তা কমতে থাকে। ধীরে ধীরে আমাদের শরীরে ফ্যাট কিংবা তেল উৎপাদন কমে যায়,যা ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। যে কারণে ত্বকের চামড়া ঝুলে যেয়ে ত্বকে ফাইন লাইন অর্থাৎ বলিরেখা এবং রিংকেলের সৃষ্টি করে। সূর্যের আলো কিংবা আলট্রা ভায়োলেটের প্রভাব: ত্বকে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নির প্রভাবে এজিং শুরু হয়, যা রিংকেল হওয়ার একটি প্রাথমিক কারণ। ইউভি রশ্নির সংস্পর্শে আমাদের ত্বকের গভীরের কানেক্টিভ টিস্যু- কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারকে নিস্তেজ করে দেয়। যার কারণে ত্বকে ভাজ অর্থাৎ রিংকেল দেখা যায়। এ ছাড়াও ধূমপান, খাদ্যাভ্যাস এবং আমাদের প্রতিদিনকার বিভিন্ন ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন (যেমন- চোখ কুঁচকে রাখা, কিংবা হাসার সময় চোখ ছোট করে ফেলা) ইত্যাদিও এই রিংকেল বা ফাইন লাইনের জন্য দায়ী। চোখের নিচে রিংকেল কিংবা ফাইন লাইনসের প্রতিকারের জন্য কিছু টিপস- সানস্ক্রিন: সূর্যের আলো থেকে যতটা পারা যায় স্কিনকে সুরক্ষা দিতে হবে। সরাসরি সূর্যের আলো পড়ার সম্ভাবনা থাকলে সানগ্লাস, ছাতা এবং লং-স্লিভ অর্থাৎ লম্বা হাতাওয়ালা জামা পরতে হবে। আর এক্ষেত্রে স্কিনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে- সানস্ক্রিন। বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিট আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন দিতে হবে। সানপ্রটেকশন যুক্ত স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে, যাতে ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ থাকে। বয়স ভেদে সানস্ক্রিনের এসপিএফের মাত্রা ১৫ থেকে ৫০ পর্যন্ত হতে পারে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে তা ক্লিন করার জন্য অবশ্যই ডাবল ক্লেনজিং করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার: স্কিন ড্রাই কিংবা শুস্ক থাকলে সহজেই ফাইন লাইনস এবং রিংকেল দেখা দেয়। তাই শুষ্কতা থেকে বাঁচতে ময়েশ্চারাইজার  ব্যবহার করতে হবে। কয়েক সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি ত্বকে পরিবর্তন লক্ষণ করতে পারবেন। আই-ক্রিম: আমাদের চোখের নিচের ত্বক ফেইসের অন্যান্য অংশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল। তাই এর পরিচর্যাতেও দরকার এক্সট্রা কেয়ার। ত্বকের ধরণ ও বয়স ভেদে মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের আই-ক্রিম পাওয়া যায়। রিংকেল ও ফাইনলাইনসের মতো সমস্যা এড়াতে আই-ক্রিম খুবই কার্যকরী। হেলদি ডায়েট: আমমাদের ত্বকের জন্য কিছু কিছু ভিটামিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৫ সহ ইত্যাদি। এই  প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলো আমাদের ত্বকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল থেকে আমরা এ ভিটামিনগুলো পেয়ে থাকি। জেনে নিন রিংকেল দূর করার জন্য কিছু প্রাকৃতিক প্যাক- একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে ত্বকের এই সমস্যাগুলো দেখা দিতে থাকে। তাই আমাদের উচিত স্কিনকেয়ারের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং ত্বক অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট স্কিন-কেয়ার রুটিন ফলো করা। তাহলে এই সমস্যাগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। রিংকেল বা ফাইন লাইনস রোধে কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে তৈরি হোম রেমেডির কথা বলা যাক। আপনি সহজেই বাসায় বসে বানিয়ে নিতে পারবেন কার্যকরী এই প্যাকগুলো। শসা এবং দইয়ের প্যাক: চোখের সৌন্দর্য চর্চায় শসা  প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। শসায় এমন উপাদান আছে, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি কে ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বককে টানটান রাখে।  যার ফলে রিংকেল এবং ফাইনলাইনসের মতো সমস্যাগুলো এড়ানো যায়। এই প্যাকটি বানানোর জন্য শসা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পরিমাণ মতো টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চোখের নিচে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ বার প্যাকটি ব্যবহার করলে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যাবে।আপনি চাইলে দিনের সকল কাজ শেষে ২ টুকরো শসা চোখের উপরে দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন। এতে আপনি বেশ রিফ্রেশ ফিল করবেন এবং একই সাথে ত্বকের যত্নও হবে। কফি বিন প্যাক: অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কফি এবং কোকোয়া পাউডার রিংকেল এবং ফাইনলাইনস কমাতে সাহায্য করে। কোকোয়া পাউডার এবং মধু একসাথে মিশিয়ে আপনি সহজেই আপনি প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন। চোখের নিচে এবং পুরো ত্বকে প্যাকটি লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা  করলে ধুয়ে নিতে পারেন। নারকেল তেল এবং হলুদের প্যাক: নারকেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-ই, যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী। এক টেবিল চামচ নারকেল তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সহজেই প্যাকটি তৈরি করে ফেলতে পারবেন আপনি। নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড ওয়েল এবং ক্যামোমাইল ওয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।  অলিভ অয়েল ম্যাসাজ: চোখের নিচে ফাইন লাইন কিংবা রিংকেলের জন্য অলিভ অয়েল ম্যাসাজ বরাবরই কার্যকরী একটি পদ্ধতি। ভিটামিন ই, কে এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অলিভ অয়েল ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরা ফেইস প্যাক: ত্বকের পরিচর্যায় অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি এবং ভিটা ক্যারোটিন। যা আমাদের ত্বককে সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা দেয় এবং ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। পেঁপে এবং মধুর ফেইস প্যাক: চোখের নিচের রিংকেল, ফাইনলাইনস এবং আইব্যাগের জন্য এই প্যাকটি খুবই কার্যকরী। ত্বকের সুরক্ষা এবং ত্বকের নানা সমস্যা সমাধানে মধুও ব্যবহার হয়ে থাকে। পরিমাণ মত পেঁপে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে কয়েক ফোঁটা মধু মেশাতে হবে। সাথে কিছুটা টকদই মিশিয়ে লাগিয়ে নিন, ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে কয়েকদিন ব্যবহারেই চোখের নিচের রিংকেলস কমতে দেখা যাবে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৬

ডিহাইড্রেশন দূর করবে টক দইয়ের শরবত
দই কমবেশি সবারই অনেক পছন্দের একটা খাবার। আর টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। টক দইকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে। দইতে ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। ছোট থেকে বড় সবার জন্য কিন্তু দই অনেক উপকারী একটা খাবার। সারাদিন রোজা রেখে আমাদের শরীরে ইলেকট্রোলাইটের যে ঘাটতি হয় তা একগ্লাস দইয়ের লাচ্ছি, মাঠা বা ঘোল পূরণ করতে সাহায্য করে।  যার জন্য সেহরির খাবার তালিকায় দই রাখতে বলা হয় সব সময়। কারণ দই আমাদের অল্প অল্প করে সারাদিন এনার্জি দিতে সাহায্য করে। সারাদিন রোজা রেখে যাদের ঘন ঘন পানির পিপাসা লাগে তারা অবশ্যই সেহরি তে দই রাখবেন। দইয়ের শরবত খেলে আর ডিহাইড্রেশনের ভয় পেতে হবে না। এ ছাড়াও দই চিড়া, দই বড়া, দই দিয়ে ওটস, দই ভাত ও দই দিয়ে ফ্রুট সালাদও খেতে পারেন যা শুধু পেট ঠান্ডা রাখবে না পাশাপাশি দিবে নানান স্বাস্থ্য উপকারিতাও। বাড়িতেই এই শরবত বানিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে। জেনে নিন রেসিপি- যা যা লাগবে:  টক দই চার কাপ, একটা কাঁচামরিচ, ৫-৬টা পুদিনা পাতা, ২ টেবিল চামচ চিনি, পরিমাণমতো লবণ ও অল্প ঠান্ডা পানি। তৈরি করবেন যেভাবে:  প্রথমে একটি ব্লেন্ডার বা মিক্সারে টক দইয়ের সঙ্গে কাঁচামরিচ ও পুদিনা পাতা নিন। এবার উপকরণগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে চিনি ও লবণ দিয়ে দিন। এবার মিশ্রণটি একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন কিছুক্ষণ। চাইলে ফ্রিজেও রাখতে পারেন। এবার ফ্রিজ থেকে বের করে তাতে অল্প ঠান্ডা পানি মিশিয়ে ভালো করে গুলে নিন। পরিবেশনের আগে চাইলে ওপর থেকে অল্প ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এতে স্বাদটা দারুণ আসবে। টক দইয়ের শরবত নিয়মিত খেলে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কমে। গরমে শরীরে পানি কমে যায়, যার সেরা সমাধান টক দই।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০০

কাবা থেকে ৩ কিলোমিটারেরও বেশি দূর গেলো তারাবির কাতার
সৌদি আরবের পবিত্র কাবা শরীফে তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য শুক্রবার (২২ মার্চ) জড়ো হয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। মুসল্লিদের নামাজের কাতার কাবার গ্র্যান্ড মসজিদ পেরিয়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি দূরের মাআলা এলাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ। মাআলা এলাকায় মানুষের নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। ড্রোন থেকে তোলা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার অলি-গলিতে হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তারাবির নামাজ আদায় করছেন। ভিডিওতে যতদূর চোখ যায়, শুধু মুসল্লি আর মুসল্লি। এসময় মূল সড়কে যানবাহন চলাচল করতেও দেখা যায়। আল মাআলা মক্কার একটি প্রসিদ্ধ এলাকা। সেখানে রয়েছে মক্কার অন্যতম পুরোনো কবরস্থান ‘আল মাআলা কবরস্থান’। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর অনেক সঙ্গী এবং ইসলামিক ব্যক্তিত্ব এই কবরে শুয়ে আছেন। পবিত্র রমজান মাস এলে মক্কায় লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরাহ পালন করতে মক্কায় ছুটে আসেন।
২৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২৫

পার্টির আগে ত্বকের মলিনতা দূর হবে এই ফেশিয়ালেই
শীতের বিদায়ের এই সময়য়টাতে উৎসবের যেন কোনো কমতি নেই। পার্টি, পিকনিক একের পর এক চলতেই থাকে। কিন্তু এ দিকে শীতে ত্বকের অবস্থা একেবারে বেহাল হয়ে গিয়েছে। তার উপর সারা দিনের ক্লান্তি তো রয়েছেই। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে পার্লারে যাওয়ার সুযোগও হচ্ছে না। কিন্তু আনন্দ-অনুষ্ঠানে একটু সাজগোজ করে না গেলে কি হয়! তাই শত ব্যস্ততার মাঝেও একটু সময় বের করে যদি বাড়িতেই চকলেট ফেশিয়াল করে ফেলতে পারেন, তা হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই ত্বক হয়ে উঠবে ঝলমলে। দেখে নিন কীভাবে করবেন চকলেট ফেশিয়াল- মাসে অন্তত একবার ফেসিয়াল করা দরকার। এতে ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। পাশাপাশি ত্বকের উজ্বলতা বাড়ে। আর ফেসিয়ালে যদি চকলেট থাকে, তাহলে পাবেন দ্বিগুণ উপকারিতা। চকোলেট ফেসিয়াল ত্বকের জন্য উপকারী। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টতে ভরপুর কোকো রয়েছে, যা ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধ করে এবং ত্বকে উজ্বলতা এনে দেয়।  প্রতিদিনের ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। দেখে নিন, মুখ থেকে সমস্ত মেকআপ, ময়লা ও তেল পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরপর পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।  ডার্ক চকলেট গলিয়ে নিন। মাইক্রোওয়েভে ডার্ক চকলেট গরম করে নিতে পারেন। এরপর ডার্ক চকলেট ঘরের তাপমাত্রা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর এতে মধু ও টক দই মিশিয়ে দিন। মধুর মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান এবং ময়েশ্চাইরাইজিং এফেক্ট রয়েছে। টক দইয়ের মধ্যে এক্সফোলিয়েটিং উপাদান রয়েছে, যা ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে দেয়। এবার এই চকলেট ফেসপ্যাক মুখ ও গলায় মেখে নিন। এবার ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে গেলে ভিজে হাতে মুখে স্ক্রাব ক্রুন। এটি ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে এবং এক্সফোলিয়েট করবে।  ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ মুছে নিন। শেষে পছন্দের ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি ত্বক হয়ে উঠতে নরম ও কোমল। 
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:২৮

ঘরে বসেই দূর করুণ নাকের ওপর জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস 
মুখের যে কোনও কালো দাগ বা ব্ল্যাক হেডস মুখ পরিষ্কার করার সময় তুলে ফেলাই ভালো। ত্বকে ময়লা জমে তৈরি হয় ব্ল্যাক হেডস। পার্লারে গিয়ে ব্ল্যাক হেডস তোলার অভিজ্ঞতা হয়ত রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু সব সময় তো পার্লারে যাওয়া সম্ভব নয়, তাই জেনে নিন বাড়িতেই ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলার উপায়।  কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে ব্ল্যাক হেডস তুলে ফেলবেন, জেনে নিন- >> ব্ল্যাকহেডস তুলতে বেকিং সোডা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। সাধারণ পানিতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা গুলে নিন। মুখের যে সব অংশে ব্ল্যাক হেডস রয়েছে, সেখানে এই মিশ্রণ লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এবার তা শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক দিনে যদি না ওঠে তাহলে পর পর দু'তিন দিন ব্যবহার করুন। >> ব্ল্যাক হেডস তুলতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে টমেটো। প্রথমে টমেটো পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণ এবার লাগিয়ে নিন ব্ল্যাক হেডসের ওপর। পুরো মিশ্রণ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত উপকার পেতে সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যবহার করুন। >> আপনি চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ডিম ভেঙে কুসুম প্রথমেই আলাদা করে নিন। এরপর সাদা অংশের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন ব্ল্যাকহেডসের ওপর। মিশ্রণ পুরো শুকিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশ খুব সহজেই রোমকূপ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

কর নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব দূর করতে হবে  
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, কর ও ভ্যাট কোনো বোঝা নয়।এটি দেশের উন্নয়নে গর্বিত অংশীদার হওয়ার মাধ্যম। কর ও ভ্যাট শব্দটি দীর্ঘদিন জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে, তা দূর করতে হবে।  শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাজেট শীর্ষক এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, আমদানি নির্ভরতা, সিজন পরিবর্তন ও সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও করের বোঝাটাই সবার কাছে মাথা ব্যথার কারণ, সবাইকে এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে। আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, কর ও ভ্যাট শব্দটি দীর্ঘদিন জনমনে যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করেছে, তা দূর করতে হবে। জনগণের কর ও ভ্যাটের টাকায় দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। কর দেওয়ার অর্থ হলো দেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়া। দেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে এগিয়ে নিতে কর প্রদানের ক্ষেত্রে সবার দায়িত্বশীলতা ও ইতিবাচক মানসিকতা ধারণ করতে হবে। তিনি বলেন, বিগত চার বছরে ২১ লাখ থেকে ৩৬ লাখে করদাতা এবং ২ লাখ থেকে ৫ লাখে ভ্যাটদাতা উন্নীতকরণ করা হয়েছে। ধীরে ধীরে কর নেট ও ভ্যাটের আওতা বাড়ানো হচ্ছে। আয়কর ও ভ্যাট প্রদানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়েছে। আলোচনা সভায় আগামী বাজেটে সহজ ও ব্যবসাবান্ধব আয়কর ব্যবস্থা, আয়কর ও ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি, কর ব্যবস্থার সম্পূর্ণ অটোমেশন, স্থানীয় শিল্পায়ন উৎসাহিতকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণের ওপর জোর দাবি জানানো হয়।  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর চেম্বারের সভাপতি মো. আকবর আলী।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর নীতি) এ কে এম বদিউল আলম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর চেম্বারের সভাপতি রেজা হুমায়ুন ফারুক চৌধুরী,  রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, নীলফামারী চেম্বারের সভাপতি এস এম শফিকুল আলম ডাবলু,লালমনিরহাট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি মোড়ল হুমায়ূন কবীর, কুড়িগ্রাম চেম্বারের পরিচালক মাহমুদ নবী মুন্না, রংপুর উইমেন চেম্বারের সভাপতি আনোয়ারা ফেরদৌসি পলি, রংপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি আবুল কাশেম, গাইবান্ধা চেম্বারের সহসভাপতি আব্দুর রশীদ, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সদরুল আলম দুলু ও রংপুর জেলা বিড়ি মালিক সমিতির কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায়ী রশিদুস সুলতান বাবলু প্রমুখ।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করল জাতিসংঘ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সরকার গঠনের পরে তাকে অভিনন্দন জানিয়ে পাঠানো জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে বিএনপির সন্দেহ দূর করলো জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র।  যে চিঠি নিয়ে বিএনপি সন্দেহ প্রকাশ করেছে সে চিঠি তারাই পাঠিয়েছেন বলে ব্রিফিং তিনি জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি নিয়ে এ ধরনের সন্দেহ প্রকাশ করে বক্তব্য দিয়ে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করেছে বিএনপি। মহাসচিবের চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকারের মধ্য দিয়ে বিএনপির রাজনীতি আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।  টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে গত ১৮ জানুয়ারি চিঠি লেখেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। অথচ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ী হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারকে স্বাগত জানিয়ে, জাতিসংঘের দেয়া চিঠির সত্যতা নিয়ে ২০ জানুয়ারি প্রশ্ন তোলেন বিএনপি নেতারা। তাদের দাবি, চিঠির ভাষায় নানা অসংঙ্গতি রয়েছে। এসব অসংঙ্গতির জবাব চায় দলটি।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করেন এবং শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া চিঠির বিষয়ে জানতে চান। জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেমনটা বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানরা পুনর্নির্বাচিত হলে মহাসচিব (চিঠি) পাঠিয়ে থাকেন। জাতিসংঘের মতো একটি সংস্থার চিঠি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার মিথ্যাচার করবে এটা ভাবাই বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতা উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, ‘তারা পাবলিক পরিসরে এধরনের দাবি কীভাবে করলো। জাতিসংঘের মতো সংস্থার চিঠি কি ছেলেখেলা, চাইলেই এটা পাওয়া যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এধরনের বক্তব্য দেওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত। মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অধিকার কোন রাজনৈতিক দলেরই নেই।’   এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশীদ বলেন, ‘বিএনপি যদি মনে করে জাতিসংঘের চিঠি নিয়ে তাদের সন্দেহ বিষয়ে একটা উড়ো কথা বলবে এবং সেটা জাতিসংঘের নজরে আসবে না সেটা ভুল। ফলে এধরনের অদায়িত্বশীল আচরণের জন্য তাদেরকে মাশুল গুণতে হবে। জনগণের কাছে এখন সব তথ্য অনেক বেশি থাকে। তারা মিথ্যা ও সত্য তথ্য মিলিয়ে দেখার সুযোগ পায়। সেহেতু যা খুশি বক্তব্য না দিয়ে তাদের উচিত গঠনমূলক রাজনীতির পথে আসা।’
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:০৫

‘গ্যাসের সংকট দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে’
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম ও ঢাকার গ্যাস সংকট আগামী দু-একদিনের মধ্যে দূর হবে। রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের (এফএসআরইউ) মধ্যে একটিকে মেরামতের জন্য বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। তা দেশে ফিরেছে তবে কাজ শুরু করার সময় কিছু সমস্যা দেখা গেছে। আমাদের দ্বিতীয় এফএসআরইউটিতেও সমস্যা দেখা গেছে। আজকে দুটি এফএসআরইউ-ই চালু থাকলেও একটি আবার ডকিংয়ে চলে যাবে। যেটি মেরামত হয়ে এসেছে, সেটি পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তিনি বলেন, আশা করি আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাস সংকট পরিস্থিতি ভালো হবে। সংকটটি একটা আকস্মিক বিষয়। এমনিতেই শীতের সময় বিশেষ করে বাসা বাড়িতে গ্যাসের রান্নাবান্নার কাজে সমস্যা দেখা দেয়। নসরুল হামিদ বলেন, এ মুহূর্তে গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ৮০০ এমএমসিএফ। আমরা ৩ হাজার ২০০ এমএমসিএফের মত সরবরাহ দিতে পারি। শিল্প এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আমাদের একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাস না থাকায় আমাদেরকে বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছে। আমরা আশা করছি, এটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। ‘নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের শিল্প কারখানাগুলো কোনো গ্যাসই পাচ্ছে না’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন,  আজকের দিনটা একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীকাল সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭৫ শতাংশ গ্রাহকই এলপিজি ব্যবহার করে। শিল্প কারখানা বাদে আমাদের গ্যাসের গ্রাহক ২০ থেকে ২৫ লাখ। তাদেরকে ধীরে ধীরে আমরা মিটারের মধ্যে নিয়ে আসছি। ইতোমধ্যে সাড়ে চার লাখ মিটার লাগানো হয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে সব মিটার লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থের জন্য গ্যাস মিটার লাগাতে দেরি হচ্ছিল, সেই অর্থের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি এবং জেবি ফাইন্যান্স করছে। এরই মধ্যে ঢাকায় প্রায় সাড়ে চার লাখ, জালালাবাদ ৫০ হাজার ও কর্ণফুলীতে আড়াই লাখ মিটার লাগানোর কাজ চলছে। নসরুল হামিদ বলেন, বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় সাড়ে সাত লাখ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপরও আবার অবৈধ লাইন হচ্ছে। এসব অবৈধ লাইনের কারণে বড় এলাকায় গ্যাস প্রাপ্তিতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির পাইপ লাইনের গ্যাস এবং এলপিজির সিলিন্ডারে দামের মধ্যে পার্থক্য নিরসনে বিইআরসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রিপেইড গ্যাস মিটারের ভাড়া ১০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি খবর নিব।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২৫

অনিদ্রা দূর হবে বেডরুমের এই ৪ গাছেই 
সারাদিন ব্যস্ততার পর বিছানায় শুয়েই শান্তির ঘুম কে না চায়! কিন্তু নানারকম পদ্ধতি ট্রাই করেও কোনভাবেই ঘুম আসছে না, বিছানায় শুলেই ঘুম একেবারে গায়েব। ঘুম ভালো না হলে মনও ভালো থাকে না। শরীরেও বাসা বাঁধে নানা ধরনের রোগবালাই। সুস্থ থাকতে চাইলে টানা সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই। তাই ভালো ঘুমের জন্য শুধু চারটি গাছেই হতে পারে নিত্যদিনের এই সমস্যার মহা ঔষধ।   জেনে নিন গাছগুলোর নাম-  কর্নার টেবিলে ছোট্ট একটা টবে রাখুন অ্যালোভেরা গাছ। এই গাছের উপকারিতা অনেক। ঘরের হাওয়া শুদ্ধ করতে এই গাছ দারুণ কাজ করে। শুধু তাই নয়, এই গাছের হালকা একটা গন্ধ আপনাকে ঘুম পারিয়ে দেবে। বেডরুমে জানলার সামনে রাখুন কামিনি ফুলের গাছ। এক্ষেত্রে বনসাই ব্যবহার করুন। কামিনি ফুলের গন্ধে ঘুম আসতে বাধ্য। তবে অবশ্য খাট থেকে দূরে রাখুন এই গাছের টব। ছোট্ট একটা টবে রাখুন চামেলি ফুলের গাছ। চামেলি ফুলের গন্ধ স্ট্রেস দূর করতে দারুণ কাজ করবে। আর এর ফলে ঘুম হবে দারুণ। ঘরের এক কোণায় বড় একটা টবে রাখুন ইমিটেশন বাঁশগাছ। দেখবেন, পুরো ঘরে আবহওয়াই বদলে যাবে। বাঁশগাছ ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ করতে দারুণ কাজ করে। তবে শুধু গাছ নয়, বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাসও। রাতে শোয়ার আগে চা বা কফি পান করবেন না। চেষ্টা করুন কোনও একটি বইয়ের ১০ পাতা পড়তে। দেখবেন দারুণ একটা ঘুম হবে।
১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়