• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন সংস্থাটির ১৫ জন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা। জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান, আকিব রায়হান, শাওন হাসান অনিক, তালুকদার ইনতেজার ও চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ প্রশাসন ক্যাডারে এবং আশরাফুল হোসেন, সুজনুর ইসলাম সুজন ও মো. ইমাম হোসেন পুলিশ সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দিচ্ছেন। দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম পলেন জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। আশা করি, বিদায়ী কর্মকর্তারা তাদের সততা, পেশাদরিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে জনগণের সেবা করবেন। ডুসার পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করি। বৃহস্পতিবারের বিদায়ী অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহসভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

রাবিতে দুদকের অভিযান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এদিন নির্মাণাধীন হলটিতে অভিযান চালিয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে বৈঠকে বসেন দুদকের কর্মকর্তারা। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রকৌশলী খন্দকার শাহরিয়ার রহমান। বৈঠক শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের অডিটোরিয়ামের ছাদ ভেঙে পড়ে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন নাম্বারে (১০৬) প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা এই অভিযানে এসেছি। ভবনটির নির্মাণকাজে কোনো ত্রুটি আছে কি না পরীক্ষা করার জন্য নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। আমরা কিছু রেকর্ড সংগ্রহ করেছি। রেকর্ডগুলো এবং প্রকৌশলীদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা কমিশনকে আমাদের সিদ্ধান্ত জানাবো। এরপর কমিশন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, নির্মাণকাজে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। এই ভবনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণাধীন অন্যান্য কাজের রেকর্ডও আমরা সংগ্রহ করে দেখবো যে, তাদের কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো অসঙ্গতি আছে কি না। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা নিয়ে নির্মিত এই হলটি ১০ তলাবিশিষ্ট হবে। ভবনের মধ্যে থাকবে তিনটি ব্লক। প্রায় ১ হাজার আসনবিশিষ্ট এ হলের সব কক্ষই হবে দুই আসন বিশিষ্ট। পুরো ভবনে ৪টি লিফটের ব্যবস্থা থাকবে। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ওঠানামা করতে পারবেন। প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন এই হলের নির্মাণকাজ করছে। এর আগে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের এক অংশের ছাদ গত ৩০ জানুয়ারি ধসে পড়ে। এতে ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেই রাতেই জরুরি সভা ডেকে ওই ঘটনার কারণ নির্ধারণে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় তদন্ত করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নির্মাণকাজে গাফিলতি খুঁজে পায় তদন্ত কমিটি। ফলে ওই প্রকল্পে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার ও আহত শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এক্ষেত্রে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসাব্যয় ও পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দিতে বলা হয়। এরপর গত ৩১ মার্চ থেকে ভবনটির নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু হয়। প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে বেশ আলোচিত ছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদেরই একটি ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। বালিশকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে এই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৪

বেনজীরের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চান ব্যারিস্টার সুমন
সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান দাবি করেছেন। এ সময় তিনি হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এ নিয়ে এক আবেদন জমা দেন তিনি। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, একজন নাগরিক হিসেবে আবেদন করেছি। সবাইকে আল্লাহ বাঁচাইছে, ‘বেনজীর সাহেব বেশিদিন সময় পাননি। আর কিছুদিন সময় পেলে গোপালগঞ্জ কিনে নিতেন। পুলিশে যারা অসৎ হবেন বেনজীর সাহেবকে আদর্শ ধরে নেবেন।’ দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা আবেদনে বলা হয়, ৩৪ বছর পর ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর বেনজীর আহমেদ অবসরে যান। অবসরের পর বেনজীর আহমেদ চাকরিকালীন স্ত্রী ও মেয়ের নামে অনেক সম্পদ গড়েছেন। যা তার জ্ঞাত-আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আবেদনে আরও বলা হয়, বেনজীর ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ এবং কন্যাসন্তান তাদের বৈধ আয়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে বেনজীর তার পদের অপব্যবহার করে উল্লিখিত সম্পত্তি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে অর্জন করেছেন। আবেদনে তিনি বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, কন্যা ফারহিন রিশতা বিন্তে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের অবৈধ সম্পদ বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করছি। পরে সাংবাদিকদের ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আসেছে। এটার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো ইনকোয়ারির ব্যবস্থা না দেখে আমি দুদকের দ্বারস্থ হয়েছি। দুদক আমলে না নিলে হাইকোর্ট আছে মন্তব্য করে সুমন বলেন, সাবেক আইজিপির এতো সম্পদ দেখে সৎ পুলিশ অফিসার খুব বেশি ফ্রাস্ট্রেটেড হবেন। সৎ নাগরিকদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। এটা যদি সত্য হয়, যারা অসৎ আছে তারা প্রতিযোগিতায় নামবে, আমরা সবাই বেনজির হতে চাই। এর জন্য মনে হয়েছে এটা দেশের জন্য ভয়ানক বিষয়। এটা ইনকোয়ারি হওয়া দরকার। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে একটি ভিডিও আপলোড করেন ২০ এপ্রিল। ভিডিওতে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করে বলেন, এসবের দালিলিক প্রমাণ দিতে পারলে প্রমাণদাতাকে সেই সম্পদ বিনামূল্যে দিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

দুদকের মামলায় সাবেক এমপি কাদের খানের চার বছরের কারাদণ্ড 
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতা কর্নেল (অব.) ডা. আব্দুল কাদের খানকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৭৯১ টাকার অর্থদণ্ডও হয়েছে তার। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। তবে, সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাপা নেতাকে ওই অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন বিচারক। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এসব তথ্য জানিয়েছেন। জানা যায়, গাইবান্ধা-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলামকে (লিটন) হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হন কাদের খান। অবসরপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাকে বগুড়া শহরের বাসায় ছয় দিন ‘নজরবন্দি’ করে রাখার পর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর কয়েক দিন পরেই কাদের খানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। সম্পদ বিবরণীতে তথ্য গোপনের অভিযোগ, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৬মে রমনা থানায় মামলা করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ। মামলার এজাহারে বলা হয়, দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে আবদুল কাদের খান ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক নূর আলম গত বছরের ১০ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রায়ের আগে কাদের খানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজার পরোয়ানা দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৫

ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জে জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোপাটের অভিযোগে ওই শাখার ম্যানেজারসহ ৫ কর্মকর্তা ও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।   সোমবার (১ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখার ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুছ (৩১), অফিসার মো. রাশেদুল হাসান (৩৪),  ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯) ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জন।   বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।   সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জনতা ব্যাংক পিএলসি, তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ব্যাংকটির সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানায় আসামিদের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় সেটি দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনার উপপরিচালক বরাবর পাঠানো হয়। অভিযোগটি যাচাই বাছাই করে দুদুকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানোর হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন দেওয়া হলে ১ এপ্রিল মামলাটি দায়ের হয়।   মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, জনতা ব্যাংক সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নজরুল ইসলাম, এরিয়া অফিসের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মো. আসাদুজ্জামান ও প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মনিরুজ্জামান গত ২০ মার্চ তামাই শাখা পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া শাখার ম্যানেজার আল আমিন শেখকে অনুপস্থিত দেখতে পাওয়া যায়। ক্যাশ যাচাই করে দেখা যায় যে, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় ব্যাংকের নগদ ক্যাশ, চেক বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক রাজশাহী বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক অরুণ প্রকাশ বিশ্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে ২৪ মার্চ তামাই শাখার ম্যানেজার আল আমিন শেখ ব্যাংকে যোগদান করলে হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়ে টাকা আত্মসাতের বিষয় স্বীকার করেন। দায় স্বীকার করে তিনি পরিশোধের নিমিত্তে সানড্রি ডিপোজিট হিসাবে ২০ লাখ টাকা জমা দিলেও বাকি টাকা দিতে ব্যর্থ হন।   দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, জনতা ব্যাংকের ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগটি থানা থেকে আমাদের কাছে আসে। সেটি দুদুকের যাচাইবাছাই কমিটি (যাবাক) যাচাই করে প্রধান কার্যালয়ে পাঠান। সেখান থেকে অনুমতি আসার পর মামলা হয়েছে হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধরকে।    
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০১

স্ত্রীসহ সাবেক এমপির পিএসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল (৪৬) ও তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের (৪৪) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ আয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বাদী হয়ে এ মামলা দুটি করেন। মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৪৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৭৬ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য দাখিল করেন। তবে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী অনুসন্ধানকালে তার নামে ১৮ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর এবং এক কোটি ৫০ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে দুই লাখ ৪৯ হাজার ১৮৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় আরও দেখা যায়, মীর আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৯৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অন্যদিকে একই তারিখে দাখিলকৃত তার স্ত্রী মোরশেদা মরিয়মের সম্পদ বিবরণীতে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৬২৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তবে অনুসন্ধানকালে তার নামে ৬২ লাখ ৮২ হাজার ৪৫ টাকা মূল্যের স্থাবর এবং ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৮১৪ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। এতে তিনি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মোরশেদা মরিয়ম এক কোটি ৩৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৮ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন ও ভোগদখলে রেখেছেন। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমাকে বরাবরই একটি মহল বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। দুদকের এ মামলা তারই অংশ। আমি আইনগতভাবেই এটার মোকাবেলা করবো। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খাইরুল হক বলেন, তারা উভয়ই জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা করা হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২৩:৩৮

স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।  এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।  বুধবার (২০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।  মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা কার্যালয় তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে। গত বছরের ১২ মে তিনি তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।  এছাড়াও  তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকা। কিন্তু উল্লেখিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  একইভাবে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা জোমেলা খাতুনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ জোমেলা খাতুন ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।  পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল অফিস টাইমে দুদক অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানাবো। 
২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৪

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে আবেদন দুদকের
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়াতে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। পিকে হালদারের ১৩ সহযোগী হলেন-লিলাবতী হালদার, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি। এর আগে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১০ বছর ও অর্থ পাচারের অপরাধে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পি কে হালদারকে। এছাড়া এ মামলার বাকি ১৩ আসামিকে আদালত সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ অক্টোবর একই আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এ মামলার প্রধান আসামি পি কে হালদার। একই মামলা আরও ১৩ জন আসামি রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কানাডায় ৮০ কোটি টাকা পাচার ও প্রায় ৪২৬ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-পি কে হালদারের আইনজীবী সুকুমার মৃধা, মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা, সহযোগী অবন্তিকা বড়াল ও চাচাতো ভাই শঙ্খ বেপারী, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার এবং ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার এবং সহযোগী পূর্ণিমা রানী হালদার, অমিতাভ অধিকারী, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায়, উত্তম কুমার মিস্ত্রি এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি। আর অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের অশোকনগরে পি কে হালদার গ্রেফতার হন। সুকুমার, অনিন্দিতা, অবন্তিকা ও শঙ্খ আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং কারা হেফাজতে আছেন। সুকুমার, শঙ্খ ও অনিন্দিতা এর আগে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আদালত এ মামলায় অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন। ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি পিকে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে পি কে হালদারসহ ১০ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে এবং তাদের অনুপস্থিতিতে বিচার চলে। ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পি কে হালদারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৮

‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগপত্র দায়ের করেন। ২০১২ সালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার ভেতরে আটক হয় তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়ি। ওই ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি ‘রেলের কালো বিড়াল’ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে ‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ ধরা পড়ে। এই বিড়াল একজন কেরানি, নাম আবজাল। চাকরিকালে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটেছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। নিজের অস্বাভাবিক কাজের জবাবদিহি থেকে রক্ষা পেতে অর্ধাঙ্গিনী রুবিনার নামে অর্থের সম্পদ রেখেছেন। তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ আবজালের সম্পদকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত এই কেরানি দম্পতি আবজাল-রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলার প্রায় চার বছর পর এবার তাদের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোট ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছে। এ ছাড়া দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসেবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। আর তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন। দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এইসব তথ্য পাওয়া যায়। আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭

গাজীপুরে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাস্টমসের উপকমিশনার বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক। সোমবার (৪ মার্চ) দুদকের গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক বায়েজিদুর রহমান খান বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। বিল্লাল হোসেন বর্তমানে রংপুর কাস্টমস হাউজে ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মহাখালী ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটে কর্মরত। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বিল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের সম্পদের তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে সম্পদ বিবরণী জারি করা হয়। পরে তিনি ২০২০ সালে ২৭ ডিসেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে উপকমিশনার বিল্লাল হোসেনের নামে ৫১ লাখ ৩৮ হাজার ৮১৬ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পান। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অপরাধে বিল্লাল হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে ৫৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনসহ এক কোটি ১৩ লাখ এক হাজার ৮৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা। ওই সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের নামেও আরেকটি মামলা করা হয়।
০৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়