• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ আবজাল দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

আরটিভি নিউজ

  ০৫ মার্চ ২০২৪, ১৮:০৭
ফাইল ছবি

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন ও তার স্ত্রী রুবিনা খানমের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম আদালতে এই অভিযোগপত্র দায়ের করেন।

২০১২ সালে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানার ভেতরে আটক হয় তখনকার রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়ি। ওই ঘটনার পর রেলমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হয় সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তিনি ‘রেলের কালো বিড়াল’ খুঁজে বের করতে চেয়েছিলেন।

এরপর ২০১৯ সালে ‘স্বাস্থ্যের কালো বিড়াল’ ধরা পড়ে। এই বিড়াল একজন কেরানি, নাম আবজাল। চাকরিকালে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি অর্থ লুটেছেন, হয়েছেন টাকার কুমির। নিজের অস্বাভাবিক কাজের জবাবদিহি থেকে রক্ষা পেতে অর্ধাঙ্গিনী রুবিনার নামে অর্থের সম্পদ রেখেছেন। তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ আবজালের সম্পদকেও ছাড়িয়ে গেছে।

২০১৯ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত এই কেরানি দম্পতি আবজাল-রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সেই মামলার প্রায় চার বছর পর এবার তাদের সম্পদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা ১১৩ কোটি ৩৯ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ দম্পতি ৮৯ কোট ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ দেশে গোপন করেছে। এ ছাড়া দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৩ হিসাবে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে ৩২৫ কোটি ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিরা মালয়েশিয়ার ৫টি ব্যাংক হিসেবে ২২ লাখ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ার ২২টি ব্যাংক ও ৩ প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ১৮ অস্ট্রেলিয়ান ডলার, কানাডায় ২ ব্যাংকে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেছেন। পাশাপাশি কানাডা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮ লাখ ৪৪ হাজার ডলার পাচার করেছেন।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, আবজাল মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ ২৯ হাজার ৬৭০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৭ অজি ডলার এবং কানাডায় কানাডিয়ান ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫৫ ডলার পাচার করেন। আর তার স্ত্রী রুবিনা মালয়েশিয়ায় ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫২০ রিঙ্গিত, অস্ট্রেলিয়ায় ৬১ লাখ ৪৯ হাজার ৭১৮ অজি ডলার এবং কানাডায় ৪ লাখ ৬১ হাজার কানাডিয়ান ডলার পাচার করেন।

দেশে আবজালের ৬ কোটি ৬৩ লাখ ৬৭ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে তার অবৈধ লেনদেন ১৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা। রুবিনার দেশে ১০৬ কোটি টাকার সম্পদ এবং ব্যাংকে অবৈধ লেনদেন ৩০৭ কোটি পাওয়া গেছে। তাদের ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লেনদেন তদন্ত করে এইসব তথ্য পাওয়া যায়।

আবজাল-রুবিনা দম্পতির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ দুটি মামলা করেন সংস্থাটির উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বেনজীর ও তার পরিবারের নগদ অর্থের তথ্য চেয়েছে দুদক
ফের পেছাল এস কে সিনহার অবৈধ সম্পদের মামলার প্রতিবেদন
X
Fresh