• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

স্ত্রীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২০ মার্চ ২০২৪, ২৩:০৬
ছবি : সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ থাকায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।

এছাড়া ৩৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের সাথে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অসঙ্গতিপূর্ণ থাকায় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. জোমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (২০ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হলে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা কার্যালয় তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করে। গত বছরের ১২ মে তিনি তার সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মিলে সর্বমোট ২ কোটি ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৪ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪৩ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৫৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

এছাড়াও তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ১৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪৩ টাকা। কিন্তু উল্লেখিত সম্পদের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মোট ১ কোটি ৬০ লাখ ২২ হাজার ৬৭৯ টাকা। অর্থাৎ সাইফুল ইসলাম জ্ঞাত আয়ের সাথে ৪ কোটি ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬৪ টাকা মূল্যের অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

একইভাবে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছা জোমেলা খাতুনের দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর ও অস্থাবর মোট ১ কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দিয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৫৭ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। তাছাড়া তার নামে পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় পাওয়া যায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট অর্জিত সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা। এসব সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় মাত্র ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৮৩০ টাকা। অর্থাৎ জোমেলা খাতুন ১ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৯১৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

পাবনা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক খায়রুল হক মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার দুটির তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও লিখিত কোনো চিঠি পাইনি। ফলে বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল অফিস টাইমে দুদক অফিসে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর এবিষয়ে বিস্তারিত জানাবো।

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৩৯
টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
X
Fresh