• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ম্যাচ হেরে রেফারিকে কাঠগড়ায় তুললেন জাভি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়াটার ফাইনালে প্রথম লেগে জয়ে পেলেও ঘরের মাঠে ৪-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলেনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৬ গোলের ব্যবধানে হেরে আসর থেকে ছিটকে গেছে কাতালানরা। তবে এই হারের জন্য ম্যাচের রেফারিকে দায়ী করেছেন বার্সেলোনার কোচ জাভি হার্নান্দেজ। এদিন রেফারির নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাভি হার্নান্দেজ। এমনকি পানির বোতলে লাথি মেরে নিজেও দেখেছেন লাল কার্ড। ম্যাচ শেষেও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটালেন বার্সেলোনা কোচ।  প্রথম লেগে পিএসজির মাঠ থেকে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফেরা বার্সেলোনা ঘরের মাঠেও দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় রাফিনিয়ার গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান তখন দুই গোলের। তবে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পিএসজির বারকোলাকে বিপজ্জনকভাবে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনার ডিফেন্ডার রোনাল্দ আরাউহো। এরপর খেলার চিত্র বদলে যায়। প্রথমার্ধে পিএসজির হয়ে গোল করেন বার্সেলোনা থেকেই আসা উসমান দেম্বেলে। দ্বিতীয়ার্ধে ভিতিনিয়ার গোলে সমতা ফেরে দুই লেগ মিলিয়ে। পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের দুটি গোল গড়ে দেয় ব্যবধান। ম্যাচ শেষে জাভি বলেন, আমরা ক্ষুব্ধ। ওই লাল কার্ডই খেলার ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। ১১ বনাম ১১ লড়াইয়ের সময় আমরা খুবই গোছানো ছিলাম। লাল কার্ড সবকিছুই বদলে দিয়েছে পুরোপুরি। আমার মতে, আরাউহোকে বের করে দেওয়া একটু বেশিই কঠোর ছিল। ‘রেফারি খুবই বাজে ছিল। আমি তাকে বলেছি, সে ধ্বংসাত্মক ছিল। লড়াইটাই শেষ করে দিয়েছে সে। রেফারিদের নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি না আমি, কিন্তু এটা না বলে উপায় নেই। আমার মাথায় ঢুকছে না (এই সিদ্ধান্ত)। ১০ জনের দল হয়ে পড়া কখনোই ভালো কিছু নয় এবং খেলাটাই বদলে যায় এটির পর। এই ম্যাচ নিয়ে যত কথাই বলি, লাল কার্ডই সবকিছুর মূল।’ দ্বিতীয়ার্ধে ইলকাই গিন্দোয়ানকে করা মার্কিনিয়োসের একটি চ্যালেঞ্জে রেফারি পেনাল্টি না দেওয়ায় টাচলাইনের পাশে বোতলে লাথি মেরে লাল কার্ড দেখেন কোচ জাভি। বার্সেলোনার ডাগআউটে ছড়িয়ে পড়ে প্রবল উত্তেজনা। লাল কার্ড দেখানো হয় গোলকিপিং কোচ হোসে রামন দে লা ফুয়েন্তেকেও। নিজের লাল কার্ড নিয়ে বার্সা কোচ বলেন, ওটা আমার ভুল ছিল, আমি দোষ করেছি। সমতায় ফেরার সুযোগ নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সুযোগ ছিল সমতায় ফেরার। কিন্তু গিন্দোয়ানের শট পোস্টে লেগেছে। ওই লাল কার্ডের আগে ২-০ গোলে এগিয়েও যেতে পারতাম আমরা, রবের্ত লেভানদোভস্কির শট একটু ওপর দিয়ে চলে গেছে। ‘খুবই হতাশাজনক ব্যাপার যে, গোটা মৌসুমের কঠোর পরিশ্রম এভাবে শেষ হয়ে গেল রেফারির একটি বাজে সিদ্ধান্তে। গোটা ম্যাচই ১১ বনাম ১১ লড়াই দেখতে চেয়েছিলাম আমি। ওই লাল কার্ড অপ্রয়োজনীয় ছিল।’
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৭

বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দিলেন জাভি
চলতি মৌসুমটা ভালো যাচ্ছে না স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। তাই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যেকোনো সময় চাকরি হারাতে পারেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেস। তবে গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নেওয়ার আগেই মৌসুম শেষে বার্সেলোনা ছাড়ার কথা জানিয়েছেন জাভি হার্নান্দেস।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে লা লিগায় ভিয়ারিয়ালের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে শিরোপা লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে কাতালানরা। হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন জাভি। জাভি বলেন, আমি এই ক্লাবেরই খেলোয়াড়, এমনকি নিজের চেয়ে ক্লাবকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি। আমার যা কিছু ছিল, সবকিছুই দিয়েছি এই ক্লাবকে এবং ভক্তদের গর্ব করে তুলতে আমি এটা বজায় রাখব। আমি মনে করি ক্লাবের গতিশীল পরিবর্তন প্রয়োজন। খেলোয়াড়দের ভালোর জন্য আমি বিশ্বাস করি, তারা আরও নিজেদের স্বাধীন করতে পারবে। আমরা প্রচুর দুশ্চিন্তা নিয়ে খেলি। তিনি বলেন, পরিচালনা পরিষদের ভালোর জন্য আমার চলে যাওয়াটাই সঠিক সিদ্ধান্ত হবে। আমি মনে করি, আমি সঠিক কাজটাই করছি। বার্সেলোনায় আপনার সবসময়ই মনে হবে আপনাকে মূল্য দিচ্ছে না, বাজে ব্যবহার করা হচ্ছে- ক্লাব এভাবেই চলে। মানসিক দিক থেকে এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কঠিন। আমি একজন ইতিবাচক মানুষ, কিন্তু আমার ব্যাটারি লেভেল ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং একটা সময়ে বুঝতে পেরেছি যে, এখানে থাকার কোনো মানে নেই। তিনি আরও বলেন, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে গেলেও আমি সিদ্ধান্ত বদল করব না। আমি খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলব। খেলোয়াড়রা অবশেষে নিজেদের মুক্ত বোধ করবে। আমি অর্থের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিইনি। আমার হৃদয় বলছে, ক্লাবের জন্য এটাই ভালো হবে। আমি সমস্যা না, সমাধান হতে চাই। জুন পর্যন্ত এরকম থাকতে চাই।  গত ২০২১-২২ মৌসুমের মাঝখানে কাতারি ক্লাব আল সাদের দায়িত্ব ছেড়ে বার্সায় আসেন। সেবার অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে পরের মৌসুমেই তার অধীনে লিগ শিরোপার স্বাদ পায় বার্সা।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩

আনচেলত্তিকে প্রশংসায় ভাসালেন জাভি
টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে লড়াই করবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ। গতবার রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল কাতালানরা। তাই সেই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া আনচেলত্তির শিষ্যরা। তবে লড়াই প্রস্তুত বার্সেলোনাও। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন কোচ জাভি হার্নান্দেজ। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ‍দিবাগত রাতে সৌদি আরবের রিয়াদের কিং সাউদ ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি দুই দল। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।  জাভি বলেন, আমরা ম্যাচে আধিপত্য করার এবং নিজেদের ধরন অনুযায়ী পজিশন ধরে রেখে খেলার চেষ্টা করব। আমরা তাদের (রিয়াল মাদ্রিদ) থেকে একটু কম ফর্মে থেকে এখানে এসেছি, কিন্তু বল যখন মাঠে গড়াবে, তখন কেউ ফেভারিট থাকবে না। তিনি বলেন, আমি গত মৌসুমের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যে আছি। তবে রিয়াল মাদ্রিদ সবসময় জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত। আমরাও আদর্শ একটি মঞ্চে আছি, যা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমরা সবকিছু উজাড় করে দেব। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে প্রশংসায় ভাসালেন জাভি হার্নান্দেজ। রিয়াল কোচকে নিয়ে তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই আনচেলত্তি বিশ্বের ও ইতিহাসের সেরা কোচদের একজন। তিনি যেখানেই কোচিং করিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন। খুব কম মানুষই পাবেন যারা তাকে নিয়ে মন্দ কথা বলে। আমার কাছে তিনি উদাহরণস্বরূপ, তার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধাবোধ আছে।
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:১৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়