• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ফাহিম ফয়সালের সুফি গানের মিউজিক ভিডিও প্রকাশ
দেশের অন্যতম পর্যটনস্পট সুন্দরবেন চিত্রায়িত হলো কণ্ঠশিল্পী ও সুরকার ফাহিম ফয়সালের সুফি গান ‘সিজদাহ করি তোমায়’। সম্প্রতি গানটি প্রকাশ পেয়েছে ফাহিম ফয়সালের ফেসবুক পেজ, স্পটিফাই, আইটিউনস, অ্যামাজন মিউজিক, ডিজারসহ জনপ্রিয় সকল অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে। গানের সংগীতায়োজন করেছে রাফি এবং কথা ও সুর করেছেন শিল্পী নিজেই।    গানটি নিয়ে ফাহিম ফয়সাল বলেন, ‍সুফি গানের প্রতি আমার ভীষণ রকমের দুর্বলতা রয়েছে। গানটিতে আমি মহান সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি ও মানুষের সাথে তার যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। গানটি পুরোপুরি সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করেই লেখা হয়েছে। চেষ্টা করেছি প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক কিছু চিরন্তন সত্য বিষয় গানের ভেতর তুলে ধরতে। খুব সহজ সরল কথামালা, সুর ও সংগীত দিয়ে গানটি সাজিয়েছি। গানটি রেকর্ডিংয়ের পর থেকেই আমার ইচ্ছে ছিলো প্রকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত কোন স্থানে গানটির চিত্রায়ন করার। তাই আমাদের দেশের অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটনস্পট এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কোল ঘেষে একটি ইকো রিসোর্টে ‘সিজদাহ করি তোমায়’ গানের চিত্রায়ন করেছি। আশাকরি সৃষ্টিকর্তার স্মরণে প্রশংসামূলক এই গানের বাণী, সুর, সংগীত, গায়কী ও চিত্রায়ন শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে দেবে। সাম্প্রতিক সময়ের  ব্যস্ততা প্রসঙ্গে ফাহিম ফয়সাল বলেন, নিয়মিত বিভিন্ন গানের সুর ও সংগীতায়োজন করছি, কপিরাইট গবেষণা ও সচেতনতায় কাজ করছি। এ ছাড়াও আমার ডিজিটাল এজেন্সি ভার্সডসফট লিমিটেডে সময় দিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি।
১৯ মে ২০২৪, ১৩:২৫

ফারিণের সঙ্গে নতুন গান করতে চান তাহসান
শোবিজের দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। পেশাদার সংগীতশিল্পী না হয়েও ‘রঙে রঙে রঙিন হব’  গানটি তিনি গেয়েছিলেন চমৎকারভাবে। এতে সহশিল্পী হিসেবে তার সঙ্গে ছিলেন তাহসান খান। গেল ঈদে ইত্যাদিতে প্রচারিত গানটি মুহূর্তেই লুফে নেন শ্রোতারা। থাকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে। এরই ধারাবাহিকতায় ফারিণের সঙ্গে নতুন করে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাহসান। শুক্রবার (১৭মে) গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভালোবাসার জন্য বছরের পর বছর ধরে গান করি। তবে এবারের সুযোগটা এসেছিল ইত্যাদির হানিফ সংকেতের মাধ্যমে। তিনি আমাকে এবং তাসনিয়া ফারিণকে একসঙ্গে গান করার জন্য বলেন। কবির বকুল ভাইকে ধন্যবাদ এ সুযোগটা করে দেওয়ার জন্য। তাহসান আরও বলেন, আমরা ভেবেছি নতুন গান নিয়ে আরও কাজ করব। তবে এখনই না। যখন আমাদের মনে হবে গানটা প্রকাশ করার সময় হয়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই আমরা কাজ করব।  ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি নিয়ে তিনি বলেন, মানুষ যে গান ভালোবাসে এটা তারই বহিঃপ্রকাশ। কারণ, আমাকে অনেকেই বলেছেন, ভাই গানটা খুব ভালো লেগেছে। তা শুনে আমারও ভালো লেগেছে।
১৮ মে ২০২৪, ১৭:২৩

মাকে লাইফ সাপোর্টে রেখে ঢাকায় গান শোনালেন মোনালি
ওপার বাংলার সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী মোনালি ঠাকুর। মহামারি করোানাভাইরাসের সময়ই বাবা গায়ক-অভিনেতা শক্তি ঠাকুরকে হারিয়েছেন। এবার মৃত্যু পথযাত্রায় তার মা। বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন মোনালির মা। আর এই কঠিন পরিস্থিতিতে দুঃসাহিসিক সিদ্ধান্ত নিলেন গায়িকা মোনালি।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এপার বাংলায় ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত একটি কনসার্টে অংশ নেন গায়িকা মোনালি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন। আয়োজকদের সঙ্গে আগে থেকেই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ায় অনুষ্ঠানটি বাদ দিতে পারেননি এ গায়িকা। মাকে কলকাতায় রেখে এসেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শ্রোতামহলে মুগ্ধতা ছড়ালেন মোনালি। কাঁপা কণ্ঠে মাকে স্মরণ করে বিশ্বকবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান ‘তুমি রবে নীরবে, হৃদয়ে মম’ পরিবেশন করেন তিনি। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় তারই একটি দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, এ পরিস্থিতিতে মোনালির গান করায় তার পেশাদারিত্ব নিয়ে ইতিবাচক কথা বলছেন শ্রোতা ও নেটিজেনরা। একই সঙ্গে গায়িকার মা’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকে। এ গায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্টে লেখেন, এই কঠিন পরিস্তিতি কীভাবে লড়াই করতে হয়, তা কেন শেখাওনি তুমি। অসহায় লাগছে, কী করব বুঝতেই পারছি না। মা তুমি শান্তিতে থেকো। তোমাকে ছাড়া জীবনটা আমার কীভাবে চলবে, কোথায় রয়ে গেলাম মা আমি। এখন কী করব? আমার মা, আমার শিকড়, আমার সব তুমি।
১৭ মে ২০২৪, ২০:৫১

জেফারের নতুন গান নিয়ে সমালোচনার ঝড়
সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী জেফার রহমান। ভিন্ন ধারার গান ও ফ্যাশন স্টেটমেন্টের জন্য সবসময় নজর কেড়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময় ভক্তরা তার গানের আলোচনা-সমালোচনা করে থাকেন। দীর্ঘ বিরতির পর ইংরেজি গানে ফিরলেন জেফার। সম্প্রতি ‘ওকেব্রো রেকর্ডস’-এর ইউটিউব চ্যানেলে ‘স্পাইসি’ শিরোনামে গানটি প্রকাশ পেয়েছে। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। যেখানে ভক্তদের মাঝে দেখা দিয়েছে তর্ক-বিতর্ক।  ফেসবুকে গানের লিরিক্স, সোনা বন্ধু তুই আমারে ভোথা দাও দিয়া কাইট্টা লা, পিরিতের খেতা দিয়া যাইত্তা ধইরা মাইরালা। নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ইভান আহমেদ রাসেল লিখেছেন, গরমের জ্বালায় বাঁচি না, ছেড়ি আইছে খেতা দিয়া জাইত্তা ধরতাম, বেয়াদব। এদিকে ইউটিউবে এ গানের কমেন্টে সজীব নামে একজন লিখেছেন, একবার গায়ক বা গায়িকা হতে পারলেই ছাগলের মতো ম্যা...ম্যা করতে পারলেই গান হয়ে যায়। মারুফ নামে আর একজন লিখেছেন, কীসব করতেছে! তোমাদের লিরিক্স দরকার হলে যোগাযোগ কইরো আমার সাথে। আমার নিজের লেখা অনেক গান আছে। সেগুলো ফ্রিতে নিও দরকার হয়। ক্রেডিটও লাগবে না ভাই। তা-ও এসব কইরো না দয়া করে। বাংলার একটা সৌন্দর্য আছে, সম্মান আছে। অন্তত সেটা বজায় রেখে গান বানাও প্লিজ। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে ‘স্পাইসি’ গানের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। গানটির প্রযোজক ফুয়াদ আল মুক্তাদীর। জেফার রহমান বাংলাদেশের প্রথম ইউটিউব বেইজড মিউজিশিয়ান। তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ পরিচিত মুখ, তবে সেটা সংগীতশিল্পী হিসেবে। এর বাইরে তিনি নিজেই গান লেখেন, সুর করেন। এ ছাড়াও তার আর একটি পরিচয় তিনি একজন প্রযোজকও।
১৭ মে ২০২৪, ১৯:৩৩

ব্যাড গার্লস নিয়ে দুই গীতিকারের গান 
ওয়েব সিরিজ 'ব্যাড গার্লস' এর শুটিং শুরু হচ্ছে সম্প্রতি। ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে গেছে 'ব্যাড গার্লস' শিরোনামের টাইটেল সং।  গানটি লিখেছেন যৌথভাবে দুই গীতিকার। পরিচালক সেলিম রেজা'র এ সিরিজের কাহিনীর সাথে মিল রেখে টাইটেল গানটির মূল অংশ লিখেছেন অনুরূপ আইচ। এ গানের র‍্যাপ অংশটি লিখেছেন সুদীপ কুমার দীপ।   গানটি প্রসঙ্গে অনুরূপ আইচ বলেন, ব্যাড গার্লস গানটি রেকর্ডের সময় সংগীত পরিচালক সাদ শাহ আমাকে বললেন, এ গানের মধ্যে র‍্যাপ ঢুকালে আরও ভালো লাগবে। তার সাথে আমিও একমত পোষণ করলাম। সেই সাথে সিদ্ধান্ত নিলাম, র‍্যাপের অংশটি দীপ লিখলে ভালো হবে। আমাকে ভালোবেসে দীপ লিখে দিলো খুব সুন্দর কয়েকটি লাইন।  ব্যাড গার্লস সম্পর্কে অনুভূতি জানাতে গিয়ে সুদীপ কুমার দীপ বলেন, ছোটবেলা থেকে অনুরূপ দা'র লেখা জনপ্রিয় গানগুলো শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। এখনো অবধি তিনি হিট গান দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু লোকটার ভিতরে কোনো হিংসা কাজ করে না। তিনি আমার লেখাকে ভালো বেসেছিলেন আমাকে দেখার আগেই। তখন আমার এতো নামডাক হয়নি। কিন্তু তিনি হুমায়ুনের স্টুডিওতে আমার লেখা গান শুনে আমাকে খুঁজে বের করেন। কত বড় মানসিকতার গীতিকার তিনি, বুঝে নিন। কাজেই এমন বড় একজন গীতিকারের সাথে যৌথ গান লেখার আনন্দটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।'  উল্লেখ্য, সেলিম রেজা পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'ব্যাড গার্লস' এর সূচনা সংগীতটি গেয়েছেন রাকা জারা। এ গানটির সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি র‍্যাপ অংশটিও গেয়েছেন সাদ শাহ।
১৩ মে ২০২৪, ১৫:৫১

‘ঘুড়ি’র যুগপূর্তিতে তিন বন্ধুর গান
জাহিদ আকবর, লুৎফর হাসান এবং সোমেশ্বর অলি। এই তিনবন্ধুর পথচলা দুই দশকের। তিনজনই নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করছেন সুনামের সঙ্গে।  লুৎফর হাসানের গাওয়া গান ‘ঘুড়ি তুমি কার আকাশে ওড়ো’ লিখেছিলেন সোমেশ্বর অলি। তাদের তিন বন্ধুর টানাপড়েনের গল্প উঠে এসেছিল সেই গানে। পরবর্তীতে সেই গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঘুড়ি গানের প্রকাশের পর কেটে গেছে এক যুগ। এই এক যুগ পরের ভাবনা নিয়ে সোমেশ্বর অলি ফের লিখেছেন নতুন গান। কণ্ঠে নিয়েছেন লুৎফর হাসান। আর গানে অলির লেখা কবিতায় কণ্ঠ দিয়েছেন জাহিদ আকবর।  এবারের গানের শিরোনাম ‘মিছিল আমাকে এখনও টানে’। ‘ঘুড়ি’ গানের সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন কিশোর দাস। নতুন গানের সঙ্গীত আয়োজনও যথারীতি তিনিই করেছেন। অলির সঙ্গে যৌথভাবে সুর করেছেন নাহিদ হাসান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এই গানের ভিডিওচিত্রের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।  এর আগে আল মাসুদ নির্মাণ করেছিলেন ‘ঘুড়ি’ গানের মিউজিক ভিডিও। যথারীতি এবারও তিনি নির্মাণ করেছেন নতুন গানচিত্র। তিন বন্ধুর একত্রে যুক্ত হবার ব্যাপারে সোমেশ্বর অলি জানান,  ‘এটি হয়তো সময়েরই দাবি ছিল। অদৃশ্য চিত্রনাট্য মেনেই আমরা নিজেদের চরিত্রে অভিনয় করছি। আমার মতে, জাহিদ আকবর ও লুৎফর হাসানের বন্ধুত্বের নতুন সেতুবন্ধন এই গান। সেই জায়গা থেকে গানটির আবৃত্তির অংশে জাহিদ আকবরকে যুক্ত করা।’ শিগগিরই গানচিত্রটি জি সিরিজ থেকে প্রকাশ পাবে। 
১২ মে ২০২৪, ১৯:২৭

মাকে নিয়ে জনপ্রিয় সাতটি গান 
মা-ই হচ্ছেন সব সন্তানের একমাত্র আশ্রয়স্থল। সন্তানদের একমাত্র শান্তির জায়গা। মায়ের পরম যত্ন ও ভালোবাসায় বেড়ে ওঠে ছোট্ট শিশুটি। মা-ই সন্তানদের ভালো বন্ধু। যার সঙ্গে মন খুলে কথা বলা যায়, হাসিতে মেতে ওঠা যায়, সব শেয়ার করা যায়। মাকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে অনেক নাটক-সিনেমা। পাশাপাশি গানও তৈরি হয়েছে মাকে ঘিরে।    মাকে নিয়ে অনেক গানই তৈরি হয়েছে। সেসব গানে মাকে নিয়ে থাকা বিভিন্ন রকম কথা আপ্লুত করে দর্শক-শ্রোতাদের। বারবার স্মরণ করিয়ে দেয় মাকে। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে দেয়।  মাকে নিয়ে রচিত এমন জনপ্রিয় সাতটি গান নিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন— মায়ের একধার দুধের দাম, কাটিয়া গায়ের চাম : এখন পর্যন্ত মাকে নিয়ে যতগুলো গান তৈরি হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত গান এটি। ফকির আলমগীরের গাওয়া এই গানটি আজও ঝড় তোলে শ্রোতাদের মনে। ১৯৭৭ সালে ফকির আলমগীর তার মাকে নিয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার পথে অন্ধ এক বাউলের সঙ্গে দেখা হয় তার। দোতারা বাজিয়ে মনের সুখে দেহতত্ত্বের গান গাইছেন। গানটা শুনেই তার কানে লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ডার বের করে গানটা ধারণ করে নেন তিনি। পরে গানটি বিটিভির একটি অনুষ্ঠানে নিজের মতো তৈরি করে কণ্ঠ দেন এই সঙ্গীতশিল্পী। পরবর্তীতে নব্বইয়ের দশকে বিটিভির জন্য আবারও গানটি রেকর্ড করান অজিত রায়।  মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে : মাকে নিয়ে প্রকাশিত অন্যতম সেরা গান ‘মায়ের মতো আপন কেহ নাই রে।’ আতাউর রহমানের কথা ও সুরে এই গানটি গেয়েছিলেন রুমানা ইসলাম। ১৯৭৯ সালে ‘দিন যায় কথা থাকে’ অ্যালবামে এই গানটি প্রকাশিত হয়। এখনও শ্রোতাদের মুখে মুখে শোনা যায় গানটি। এমন একটা মা দে না : ১৯৭৪ সালে কলেজে পড়ার সময় একটি গান গাওয়ার ডাক পান ফেরদৌস ওয়াহিদ। প্রয়াত শিল্পী ফিরোজ সাঁই তাকে একদিন ডেকে বলেন, একটা গান গাইতে হবে। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন ডা. নাসির আহমেদ। গানটা শোনার পর ভীষণ পছন্দ হয় তার। ফিরোজ সাঁই আরও বললেন, ‘গানটি তোমার গলায় খুব মানাবে। আমি সব ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, তুমি শুধু টাকা জোগাড় কর।’ গানটি রেকর্ড করতে মোট খরচ হবে ৩৩০ টাকা। কিন্তু সেসময় এত টাকা ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে ছিল না। তবে চার বন্ধুর সহযোগিতায় টাকা জোগাড় হয়ে যায়। এরপর ইপসা রেকর্ডিং স্টুডিওতে গানটি রেকর্ড করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিটিভির বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানে গানটি প্রচার হয়। চারদিকে ব্যাপক সাড়া ফেলে এটি। গানটির বয়স আজ প্রায় ৪০ বছর। এখনও গানটি অনেক জনপ্রিয়।   মাগো মা, ওগো মা, আমারে বানাইলি তুই দিওয়ানা : এই গানটি খুরশিদ আলমের গাওয়া জনপ্রিয় একটি গান। প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা দিলীপ বিশ্বাসের ‘সমাধি’ সিনেমার গান এটি। গানের গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। পর্দায় এই গানে ঠোঁট মেলান নায়করাজ রাজ্জাক। গানটি প্রসঙ্গে খুরশিদ আলম বলেন, দুই-তিনদিন সময় লেগেছিল এই গানের কথা ও সুর তৈরি করতে। এরপর রেকর্ডিং হয় কাকরাইলের ইপসা রেকর্ডিং স্টুডিওতে। সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরই গান হিট হয়। কিন্তু সত্যদা যেন আগেই বুঝে গিয়েছিলেন, গানটি হিট হবে। সেসময় তিনি আমাকে বলেন, যত দিন তুই বেঁচে থাকবি, ততদিন তোকে এই গানটা গাইতে হবে। তার সেই কথাটি সত্যে পরিণত হয়েছে। আমি যেখানে গান গাইতে যাই, সেখানেই এই গানটি গাইতে হয়।’      ১০ মাস ১০ দিন ধরে গর্ভধারণ : ১৯৯৭ সালে প্রিন্স মাহমুদের মা মারা যাওয়ার পর এ রকম মানসিক কষ্টের ভেতরই ‘মা’ গানটি লিখেছেন তিনি। গানটি সুর করার পর অনেক ভেবে প্রিন্স ঠিক করলেন, জেমসকে দিয়ে গাওয়াবেন গানটি। জেমসের মাও বেঁচে নেই। ১৯৯৯ সালে ‘এখনও দুচোখে বন্যা’ মিশ্র অ্যালবামে গানটি প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনায় আসে গানটি। এটি জেমসের ক্যারিয়ারে অন্যতম একটি গান হয়ে জ্বলজ্বল করছে এখনও।  আম্মাজান : ‘আম্মাজান, ও আম্মাজান, চোখের মণি আম্মাজান, প্রাণের খনি আম্মাজান, বুকের ধ্বনি আম্মাজান’— কাজী হায়াতের ‘আম্মাজান’ সিনেমার গান এটি। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। মাকে নিয়ে যত গান আছে তার মধ্যে অন্যতম সেরা গান এটি। আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে গানটিতে কণ্ঠ দেন আইয়ুব বাচ্চু।  ওই আকাশের তারায় তারায় : ২০০৬ সালের দিকের কথা। হঠাৎ ভোর বেলা গীতিকার আসিফ ইকবালের ফোন এলো। কান্নাভেজা কণ্ঠ শুনে ভয় পেয়ে গেলেন ইমন। কী হয়েছে জানতে চাইলেই তিনি বলে উঠলেন, ‘১৪ বছর আগে এই দিনে মাকে হারিয়েছি। আজ প্রথমবার মাকে স্বপ্নে দেখেছি আমি। খুব খারাপ লাগছে।’ মাকে ভেবে লেখা চারটা লাইন ইমনকে শোনান তিনি। ইমন শুনেই বলে ওঠে, ভাই, আমি  আপনার গানটা সুর করতে চাই। গানটা রাশেদকে দিয়ে গাওয়ান। ‘তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার’ ওই রাউন্ডটি প্রচার হওয়ার পর এই গানটি দিয়েই বিখ্যাত হয়ে যান রাশেদ। মাকে নিয়ে আবেগী গানগুলোর মধ্যে শীর্ষে স্থানে রয়েছে এই গানটিও। 
১২ মে ২০২৪, ১৩:২৭

মুরাদ নূরের সুরে সামিনা চৌধুরীর নতুন গান ‘মেঘবরষা’
বাংলাদেশের নন্দিত কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরী। বেছে বেছে রুচিশীল কথা-সুরে গান করায় বাংলা গানের ইতিহাসে অনন্য উচ্চতায় আসীন। এবার বৃষ্টি নিয়ে ডা. রুখসানা পারভীন সুরমার কথায়, মুরাদ নূরের সুরে ‘মেঘবরষা’ শিরোনামের গান গাইলেন গুণী এই শিল্পী। নতুন গান প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী বলেন, মেঘবরষা গানটি অনেক আগেই মুরাদ নূর পাঠিয়েছিলো, দেশের বাইরে থাকার কারণে গাইতে পারিনি। সঙ্গীত ক্যারিয়ারের অল্প সময়েই নূর বেশ পরিণত কাজ করছে। সুরকে ধারণ করতে পারছে নূর। গানটি ভীষণ মনে ধরাতে, কবে গাইবো সে অপেক্ষায় আমিও মুখিয়ে ছিলাম, গাইতে পেরে বেশ আনন্দ লাগছে। চমৎকার কথা সুরের সমন্বয়ে স্যাড-রোমান্টিক ‘মেঘবরষা’ গানে মেধাবী কবি নতুন কিছু শব্দ সৃষ্টি করেছে, যা আমাকে মুগ্ধ করেছে। বিশ্বাস করি, আমার ক্যারিয়ারেও বেঁচে থাকার উল্লেখযোগ্য গান হচ্ছে ‘মেঘবরষা’। সুরকার মুরাদ নূর বলেন, সামিনা আপা আমার ভীষণ পছন্দের শিল্পী। মানুষ হিসেবে আপার শতভাগ শৈল্পিক আচরণ আমাকে মুগ্ধ করে। গানটির ডেমো শোনার পরেই আপা তিনবার বাহ্ বলেছে। যা আমার সৃষ্টিতে স্বস্তি ও সাহস জুগিয়েছে। গীতিকবি রুখসানা পারভীন আপার বেশ কিছু গান সুর করেছি। মেঘবরষা তারমধ্যে অন্যতম। মেঘবরষা আমাদের বাঁচিয়ে রাখার গান হবে। সংশ্লিষ্ট আমরা উচ্ছ্বসিত। গীতিকবি রুখসানা পারভীন সুরমা বলেন, চিকিৎসা পেশায় প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। গান-কবিতা লেখার সময় বের করা কষ্টকর। তবুও নেশা থেকেই কলম ধরি। ছোট ভাই মুরাদ নূর অসাধারণ সুর করেছে। কম বয়সে পরিণত সুরজ্ঞান। মুশফিক লিটুর অসাধারণ সঙ্গীতায়োজনে আমরা মুগ্ধ। আমি নিজেই সামিনা আপার বেশ ভক্ত। তার কণ্ঠেই ‘মেঘবরষা’ পূর্ণতা পেলো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে।
০৫ মে ২০২৪, ১৮:০৩

মা দিবসে রুনা লায়লার নতুন গান
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। আগামী ১২ মে ‘বিশ্ব মা দিবস’ উপলক্ষে আসছে তার নতুন গান। ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ শিরোনামের গানটিতে গুণী এই শিল্পীর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন খায়রুল ওয়াসী। আল আমিন জমাদ্দার সবুজের কথায় এটির সুরও করেছেন তিনি। সংগীত পরিচালনা করেছেন রিপন খান। গানটি নিয়ে গণমাধ্যমকে রুনা লায়লা বলেন, ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটির কথাগুলো বেশ টাচি। মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়েই এই গান। এখন যারা সন্তান, একদিন তারাও বাবা-মা হবে। তাই বাবা-মাকে তাদের স্রষ্টার আশীর্বাদ মনে করা উচিত। গানেও এই বার্তা থাকবে।  সুরকার ও শিল্পী খায়রুল ওয়াসী বলেন, ছোটবেলা থেকেই প্রিয় স্বপ্নের কণ্ঠশিল্পী ও ব্যক্তিত্ব রুনা লায়লা ম্যামের গান শুনে শুনে বড় হয়েছি। গানচর্চায় এত দ্রুত ম্যামের সঙ্গে দ্বৈত গান গাইতে পারব ভাবতে পারিনি। আমি সত্যিই অনেক ভাগ্যবান তিনি আমার সুরে আমার সঙ্গেই গান গেয়েছেন। একইসঙ্গে মাথায় হাত রেখে দোয়া করে বলেছেন, ভালো ভালো কাজ যেন অব্যাহত রাখি। গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ বলেন, কত স্বপ্ন, কত কষ্ট ও কত আশা নিয়ে বাবা-মা তার সন্তানদের বড় করেন। অথচ কিছু সন্তান নামের কুলাঙ্গার বাবা-মাকে শেষ জীবনে বোঝা মনে করে। নিজেদের কাছে রাখতে চায় না। ফলে তাদের ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু এ সময় তারা ভুলেই যায় কদিন পর তারাও বাবা-মা হবে, বৃদ্ধ হবে। তাদের সন্তানরাও তাদের সঙ্গে একই আচরণ করতে পারে। বাস্তবতার এমন নিরিখেই ‘এই না বৃদ্ধাশ্রম’ গানটি লেখা। লেখার পাশাপাশি গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন গীতিকার আল আমিন জমাদ্দার সবুজ নিজেই। এটি এজেএস ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে। 
০৫ মে ২০২৪, ১৪:৪৯

‘সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও ভালো গান হচ্ছে’
টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ। যিনি ব্যতিক্রমধর্মী গল্প আর নির্মাণের মুন্সিয়ানায় তৈরি করেছেন আলাদা এক পরিচিতি। সম্প্রতি এই নির্মাতা কাজসহ নানা বিষয় নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন আরটিভির। আরটিভি: নির্মাণে বাজেট একটা বড় ব্যাপার। প্রায়ই শোনা যায়, আগের তুলনায় বাজেট কমে গেছে। কথাটা কতটুকু সত্য? বান্নাহ: কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজেট কমে গেছে। আর যখনই বাজেট কমে যায়, নির্মাণে তার প্রভাব পড়ে। তখন মেকিংয়ের ফ্রিডমটা আসলে থাকে না। ভালো কিছু করার ইচ্ছে থাকলেও সেই অর্থে আসলে হয়ে ওঠে না। আরটিভি: নাটকে গান যুক্ত হচ্ছে, সেগুলো দর্শকপ্রিয়তাও পাচ্ছে। বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখছেন? বান্নাহ: নাটকে গান থাকাটা দারুণ বিষয়। কারণ, কালচারালি আমাদের উপমহাদেশের মানুষ গান পছন্দ করে। তাই আমাদের নাটকে এর ব্যবহার আরও বাড়ানো উচিত। আরও কোয়ালিটি সম্পন্ন গান আসা উচিত। যেটা অলরেডি হচ্ছে এবং এটা খুব ভালো বিষয়। সিনেমাতে তো হচ্ছিল, এখন নাটকেও হচ্ছে। যার ফলে গানের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদেরও কাজ করার জায়গা বেড়ে যাচ্ছে। এটা খুব পজিটিভ বিষয়।    আরটিভি: বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে একটু জানতে চাই... বান্নাহ: নিয়মিত কাজ করলেও এখন ইচ্ছে করেই সংখ্যাটা কমিয়ে দিয়েছি। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ভেজা চোখের গল্প’ ও ‘মন জড়াবো তোরই ঘরে’ নামের দুটি নাটক। দুটোতেই দর্শকদের প্রচণ্ড ভালোবাসা পেয়েছি এবং পাচ্ছি।  আরটিভি: এখনকার অনেক তরুণ নির্মাতা ভালো কাজ করছেন। তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী? বান্নাহ: তরুণ নির্মাতারা ভালো কাজ করছেন। তাদের জন্য বিশেষ করে বলার কিছু নেই। তবে একটাই অনুরোধ, গল্পটা ভালো বইলেন। এই জায়গাটা স্ট্রং রাইখেন। যেটা অলরেডি আপনারা করছেন। সেজন্য আপনাদের অভিনন্দন। আরটিভি: অন্যদের কাজ দেখা হয়? বান্নাহ: হ্যাঁ, দেখা হয়। সময় পেলেই অন্যদের কাজ দেখতে বসে যাই। আরটিভি: হালের অভিনয়শিল্পীরা কেমন কাজ করছেন, আপনার চোখে তাদের মূল্যায়ন কেমন? বান্নাহ: তরুণ অভিনয়শিল্পীরা খুব ভালো করছেন। বিশেষ করে খায়রুল বাসার, ইয়াশ রোহান, শ্বাশত দত্ত, আরশ খানদের কথা বলতে হবে। এর বাইরেও অনেকে আছেন, সবার নাম যদিও এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে তারা ভালো করছেন, এতটুকু বলতেই হবে। আরটিভি: নাটকের মান আগের মতো নেই, এই অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। বিষয়টি নিয়ে কি বলবেন? বান্নাহ: নাটকের মান আগের মতো নেই, এটা একটা পুরোনো অভিযোগ। ক্যারিয়ারের শুরুতে শুনেছি, এখনও একই কথা শুনি। আমার মনে হয়, এই অভিযোগটা সবসময়ই থাকবে। এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। আরটিভি: ঈদের কাজের প্ল্যানিং কী? বান্নাহ: ঈদের কাজের পরিকল্পনা করছি। ইনশাআল্লাহ, খুব দ্রুতই করে ফেলবো।  আরটিভি: প্রায় সাড়ে চার শ’র মতো একক নাটক তৈরি করেছেন। নিজের সেরা ১০টি কাজের কথা যদি জানতে চাই... বান্নাহ: ওভাবে আসলে কখনো তালিকা করা হয়নি। তবে এই মুহূর্তে মনে পড়ছে ফ্ল্যাশব্যাক, ফায়ার ফ্লাই, শত ডানার প্রজাপতি, তোমার পিছু পিছু, আমি তোমার গল্প হবো, আশ্রয়, মায়ের ডাক, সুইপারম্যান, ব্যঞ্জনবর্ণ ও মেমোরিজ কল্পতরুর গল্প’র নাম। আরটিভি: বড় পর্দায় আপনাকে কবে পাচ্ছি আমরা? বান্নাহ: বড় পর্দায় আমাকে খুব দ্রুতই পাবেন। তবে দিনক্ষণ তারিখ বলতে পারবো না। সেটা ৬ মাসও হতে পারে, আবার ১ বছরও হতে পারে।
১৫ মে ২০২৪, ২০:১৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়