• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেলার কারণ খোলাসা করলেন পাপন
আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বসতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সময়ের হিসেবে আর মাত্র ৩৬ দিন বাকি বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের। বৈশ্বিক এই মহারণকে সামনে রেখে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রোডেশিয়ানদের পর টুর্নামেন্টের আয়োজকদের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লাল-সবুজেরা। এদিকে অন্য দলগুলো যখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ খেলছে, সেখানে বাংলাদেশ অপেক্ষাকৃত দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেন খেলছে, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মন্তব্য, কার সঙ্গে খেলছি; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। ক্রীড়ামন্ত্রীর ভাষ্যমতে, প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য ওইখানে (যুক্তরাষ্ট্র) যাচ্ছে না। প্রস্তুতি যা হওয়ার এই বিশ্বকাপের আগেই শেষ বা করতে হবে। আর যেহেতু জীবনে প্রথমবার ওইখানে খেলছে, তাই সেখানকার কন্ডিশন বোঝার জন্যই তাদের সঙ্গে খেলতে যাচ্ছি। সেটার জন্য আমি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খেললাম, না কার সঙ্গে খেললাম; সেটা গুরুত্বপূর্ণ না। কন্ডিশন বোঝার জন্য খেলছে, সেটাই মূল কারণ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে গিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। এ সময়ে ঘরের মাঠে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের বাদ পড়া নিয়েও খোলাসা করেন বিসিবি বস। পাপনের ভাষ্যমতে, আমি জানতাম না। কিন্তু এখানে বেসিক জিনিসটা হচ্ছে, তারা যখন দলটা নির্বাচন করে, আপনি এখন এখানে কার কথা বলবেন, ১৫ জনের দলে বা ১৭ জনের দলের মধ্যে খেলবে কিন্তু ১১ জন। এই ১১ জন যখন আপনারা ঠিক করেন, আপনাদেরই যদি প্রশ্ন করি বলবেন, এখানে বাকিরা খেলবে না। এখন আপনি কি মনে করেন মিরাজের মত ছেলেকে না খেলিয়ে বসিয়ে রাখা উচিত। ক্রীড়ামন্ত্রীর মন্তব্য, ‘আমি বলছি যাদের নিয়ে খেলানোর সম্ভাবনা আছে, তারা আছে কিনা; সেটা দেখেন, বেস্ট ইলেভেন। সেরা একাদশে আপনি যদি নিজেরাই সাজাতে চান, তাহলে আপনি দেখবেন; স্কোয়াড ঠিক আছে! আপনি যদি এখন অতিরিক্ত প্লেয়ার কাকে নেওয়া হচ্ছে, সেটার ভিতরে যদি মিরাজকে ধরেন, এটা তো দুঃখজনক। এটায় মিরাজকে ধরা উচিত না। তার যেকোনো সময় যেকোনো ফরম্যাটে সেরা একাদশে খেলতে পারে। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে এই মুহূর্তে সে হয়তো আসে নাই। কিন্তু সে সবসময় প্রস্তুত থাকবে। আমাদের যদি দরকার হয়, সে যাতে ওইখানে গিয়ে জয়েন করতে পারে।’ এ সময়ে বছরজুড়ে সিরিজের প্রসঙ্গও যোগ করেন তিনি। পাপনের দাবি, আরেকটা কথা যে পরিমাণ খেলা ক্রিকেটে এখন সারা বছর ধরে, এটা কারোর পক্ষেই সব খেলা সম্ভব না। ওডিআই, টি-টোয়েন্টি আর টেস্ট; অনেক খেলা। আমরা বছরে যেখানে খেলতাম, দুই বা তিনটা সিরিজ, এখন আমাদের ১৫ থেকে ১৬টা খেলতে হচ্ছে। তাই সবাই যেসব ফরম্যাটে খেলবে, বিষয়টা সেটা না। মিরাজ যদি টেস্ট এবং ওয়ানডেতে মনোযোগ দেয়, তাহলে ভালো। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে খেলবে না। এমন কোন কথা নেই। যখন দরকার হবে, অবশ্যই খেলবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৯

লঙ্কা সিরিজে ভরাডুবির কারণ জানালেন সুজন
ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পেছনে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির ঘাটতি দেখছেন বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে সুজনের ভাষ্য, ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট ম্যাচের কথা যদি বলেন, পুরো কম প্রস্তুতি সম্পন্ন একটি দল খেলেছে। ওইখানে যে সফলতা আসবে না; এটা সবাই আমরা জানতাম। লাল বলের খেলা কঠিন। এটা এত সহজ না। ছেলেরা এখন আর নিয়মিত বাংলাদেশে লাল বলের খেলা হয় না। সাদা বলের রঙিন পোশাকেই খেলা হচ্ছে। লাল বলের চর্চাটা কমে যাচ্ছে। আমরা বিপিএল, ডিপিএল শেষ করলাম। এরপর আমরা শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টেস্ট খেলি, আমাদের টেস্ট প্লেয়াররা কোথায় ছিল? ডিপিএলে খেলছিল। তারা তো লাল বলে প্রস্তুত হয়নি। আপনি যদি প্রস্তুতি ছাড়া খেলেন তাহলে টেস্ট হারবেন খুবই স্বাভাবিক। সেটাই হয়েছে আসলে।’ এদিকে দলের এমন ভরাডুবির পেছনে টিম ম্যানেজমেন্টের দায়ও দেখছেন বিসিবির এই পরিচালক। তার মন্তব্য, ‘আমার মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টের এখানে আরও ফোকাস করা উচিত ছিল। দুটা টেস্ট ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের হোম কন্ডিশনে। টেস্ট প্লেয়ারদের অনেক আগেই ডিপিএল থেকে উঠিয়ে নেওয়া উচিত ছিল, লাল বলের ট্রেনিংয়ের জন্য। কেন তারা করেননি, তারা জানে। শ্রীলঙ্কা সিরিজ দেখে আমাদের লাল বলের দলকে বিবেচনা করলে হবে না। এটা আমাদের প্রস্তুতির অভাব। আশা করি, বিসিবি থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে; আমাদের লাল বলের প্লেয়াররা হয়তো প্রিমিয়ার লিগের পর একটা বিশ্রাম নিয়ে রাজশাহী বা বগুড়া চলে যাবে লম্বা ট্রেনিং ক্যাম্পের জন্য। ওইটা যদি হয়, তাহলে বলতে পারি সামনে যেসব টেস্ট ম্যাচ হবে সেখানে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ লড়াই করলেও ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় শান্তর দল। সাদা বলে সিরিজে জমজমাট লড়াই করলেও লাল-বলে পাত্তাই পায়নি টাইগাররা। তালগোল পাকিয়ে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব জায়গাতেই ব্যর্থ ছিল তারা। ফলে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটা হেরেছে টাইগাররা।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫১

কাজলের সঙ্গে কথা না বলার কারণ জানালেন রানি মুখার্জি
বলিউডের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী কাজল ও রানি মুখার্জি। একসময় দুজনেই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বিটাউনে। শুধু সহকর্মীই নন, সম্পর্কে খালাতো বোন তারা। দুজনেই মুখার্জি বাড়ির মেয়ে হলেও তাদের মধ্যে খুব একটা মধুর সম্পর্ক ছিল না।  ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কাজল-রানির মধ্যে তেমন ভাব ছিল না। তবে বর্তমানে পাল্টে গেছে দুই বাঙালি কন্যার সম্পর্কের সমীকরণ। এবার কাজলের সঙ্গে কথা না বলার কারণ জানালেন রানি।   সম্প্রতি ‘কফি উইথ করন’ শোতে হাজির হয়েছিলেন কাজল-রানি। মূলত সেখানেই দুই বোনের মাঝে দূরত্বের কারণ খোলাসা করেন তারা। এ সময় দুজনেই জানান, দুই বোনের মধ্যে দূরত্বের তেমনও কোনো বড় কারণ ছিল না।   রানি বলেন, সব পরিবারেই মতপার্থক্য থাকে। কিন্তু যদি মতপার্থক্যের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণই না থাকে তাহলে কেনইবা অহেতুক এর জন্য সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হবে! জানা গেছে, শুধুমাত্র যোগাযোগের অভাবেই নাকি তাদের সম্পর্ক ঠিক ছিল না বলে কাজল-রানির। দুজনেরই বাবার মৃত্যুর পরই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে তাদের।   অভিনেত্রী আরও বলেন, কারণ আমরা সবাই ছোট ছিলাম। আর অনেক ছোট থেকেই পরিবারের ছেলেদের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ ছিল কাজল। এরপর ওরা থাকত শহরে, আর আমরা থাকতাম জুহুতে। তাই খুব একটা দেখাও হতো না দুজনের।  বোনের কথায় সায় দেন কাজল বলেন, সত্যি তেমন কোনো কারণ ছিল না। খুব স্বাভাবিক দূরত্ব। আসলে সে সময়টায় আমাদের কাছে কাজই প্রথম গুরুত্ব পেত।  এর আগে একটি ইন্টারভিউতে কাজলের বোন তানিশা জানিয়েছিলেন, তিনি রানির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পেয়েই যোগাযোগ করেছিলেন। তবে কাজলের চেয়ে বোন তানিশার সঙ্গে তার সম্পর্ক যে বেশি খোলামেলা সেটা স্বীকার করেছেন রানি।   
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০০

মৃত্যুর কারণ জানা গেল মহাসড়কে পড়ে থাকা সেই হাতির
গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান এলাকায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকা মৃত হাতিটি লিভার ডিসফাংশনে মারা গেছে বলে জানিয়েছেন ভেটিরিনারি সার্জন। ময়নাতদন্ত শেষে হাতিটির মরদেহ গজারি বনে পুতে রাখা হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার পর হাতিটিকে মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজেন্দ্রপুর ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ২ নম্বর গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোজাম্মেল হোসেন বলেন, মৃত হাতিটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর হবে। এটি ছিল পুরুষ হাতি। দুপুরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পাশে ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রুবিয়া ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখা যায় মৃত হাতিটির মাথায় ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে, দাঁতগুলো কে বা কারা উঠিয়ে নিয়েছে। আমরা প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি, অন্য কোথাও হাতিটির মৃত্যু হওয়ার পর এখানে এনে ফেলে রেখেছে। হাতির দাঁতের মূল্য রয়েছে। হাতির দাঁতের জিনিস কেনাকে ‘গুড ইনভেস্টমেন্ট’ বলে ধরেন অনেকে। কারণ, এটি বিরল ও টেকসই। তাই মারা যাওয়ার পর হাতিটির দাঁত খুলে নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিভার ডিসফাংশনের কারণে হাতিটি মারা গেছে। পোস্টমর্টেমের সময় লিভার, ফুসফুস ও পেরিটোনিয়াম নষ্ট পাওয়া গেছে। উদ্যানের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের রাজেন্দ্রপুরে এলাকায় মৃত হাতিটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হায়দার ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটিরিনারি সার্জন মোস্তাফিজুর রহমান যৌথভাবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ময়নাতদন্ত শেষে ভাওয়াল গজারি বনের ভেতর হাতিটিকে মাটি চাপা দেওয়া হয়।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৬

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার কারণ জানাল তদন্ত কমিটি
ফরিদপুর শহরতলীর কানাইপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্ত কমিটি।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে চারটি কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তা হলো- ঈদের পরে বাসচালকের দীর্ঘ সময় গাড়ি পরিচালনায় ক্লান্তি আর চোখে ঘুম; দুটি যানের অধিক গতি; মহাসড়কে নিজস্ব লেনে ব্রেক করা ও মহাসড়কে অটোরিকশা-ভ্যানের উপস্থিতি। হাইওয়ে পুলিশের মাদারীপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর আলম খান সোমবার বলেন, গাড়িচালককে র‍্যাব আটক করেছে, তা জানতে পেরেছি। তবে চালককে এখনও হাইওয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। হাইওয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার পর চালককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের তেঁতুলতলা দিকনগর এলাকায় ঢাকা থেকে খুলনাগামী উত্তরা ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে  নারী, পুরুষ, শিশুসহ ১৫ জন নিহত হন।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:১১

চলচ্চিত্রে অভিনয় না করার কারণ জানালেন ববিতা
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ববিতা। যার রূপ ও অভিনয়গুণে এখনও বুঁদ ১৬ থেকে ৮০। ক্যারিয়ারে অসংখ্য হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে সিনেমায় একসময়ে দাপিয়ে বেড়ানো এই অভিনেত্রীকে এখন আর দেখা যায় না রুপালি পর্দায়। চলচ্চিত্রে অভিনয় না করার কারণ জানালেন ববিতা। সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমে চলচ্চিত্রের নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন ববিতা।  এ সময় অভিনেত্রী বলেন, সুযোগ হলেই আবারও আমাকে পর্দায় দেখতে পারবেন ভক্তার। সঙ্গে এ-ও জানান, আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করা হলে অবশ্যই অভিনয় করব। অভিনয়কে আমি কখনোই বিদায় বলতে পারি না। ববিতা বলেন, বর্তমানে যেসব চরিত্রের জন্য আমাকে বলা হয়, এগুলো করতে অভ্যস্ত নই। মাঝে শাকিব খানের একটি সিনেমার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সিনেমার শুটিং নাকি আমেরিকা, কানাডায় হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমি রাজি হয়নি। কারণ, শুধু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই না। কেউ যদি আমাকে কেন্দ্র করে গল্প তৈরি করে তাহলে অবশ্যই সিনেমায় অভিনয় করব। অভিনেত্রী আরও বলেন, আমাদের পাশের দেশগুলোতে দেখেন, অমিতাভ বচ্চন এই বয়সে এসেও কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন। শ্রীদেবী মৃত্যুর আগেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু আমাদের দেশে এই চর্চাটা নেই। সবাই মনে করে বয়স হয়ে গেলেই নায়ক কিংবা নায়িকার বাবা-মার চরিত্র ছাড়া আমাদের আর কোনো চরিত্র নেই। আর এ কারণেই সিনেমায় নেই আমি। ভালো এবং মনের মতো গল্প হলে অবশ্যই সিনেমায় দর্শক দেখবে আমাকে।     প্রসঙ্গত, সর্বশেষ নারগিস আক্তারের ‘পুত্র এখন পয়সাওয়ালা’ সিনেমায় দেখা গেছে ববিতাকে। তবে আগামীতে কোনো সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে সুযোগ পেলে অবশ্যই তাকে রুপালি পর্দায় দেখা যাবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫১

জানা গেল ভাইরাল তরুণ-তরুণীর মারধরের কারণ
ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। অবশেষে জানা গেছে তাদের মারধরের কারণ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি পটুয়াখালীর বাউফলের কালাইয়া শৌলা সড়কের। সম্পর্কে ওই তরুণ-তরুণী স্বামী-স্ত্রী। ৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করেতে এগিয়ে আসছে না কেউ। জানা গেছে, নির্যাতিত তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। ঈদের দিন কামরুল শ্বশুরবাড়ি আসেন। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে বাউফল থানা পুলিশের ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি এমনই ভাইরাল হয়েছে যে থানায়ও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে নির্যাতিত তরুণীর পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তবুও পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬

আইপিএল না খেলার আসল কারণ জানালেন জাম্পা
চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলার কথা ছিল অ্যাডাম জাম্পার। তবে নিজের ইচ্ছাতেই নাম প্রত্যাহার করে নেন অজি এই লেগি। এবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে না খেলার কারণ জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি উইলো টক পডকাস্টে জাম্পার ভাষ্য, ‘বেশ কিছু কারণেই এবারের আইপিএল আমার জন্য ছিল না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এটি বিশ্বকাপের বছর এবং ২০২৩ সালের ধকলে আমি পুরোপুরি ক্লান্ত। গত বছর পুরো আইপিএলে ছিলাম। বিশ্বকাপের সময়েও ভারতে থাকতে হয়েছে তিন মাস।’  জাম্পা আরও জানান, ‘এবারও আইপিএলে খেলার চেষ্টা করার সর্বোচ্চ ইচ্ছা আমার ছিল। কিন্তু প্রয়োজনের সময়টা যখন এলো, বুঝতে পারলাম যে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে নিজেকে সেরা ছন্দে উপস্থাপন করতে পারব না। এ ছাড়া সামনে (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপও আছে, নিশ্চিতভাবেই যা আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ এই লেগির মন্তব্য, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সবকিছুর ওপরে প্রাধান্য দিতে হয়েছে আমাকে। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু সমীকরণ বিবেচনায় নিতে হয়েছে। তরুণ একটি পরিবার আছে আমার। একাদশে জায়গার জন্য লড়তে হবে, এই পরিস্থিতিতে ভারতে ৯ সপ্তাহ কাটানো সহজ নয়।’  জাম্পার মতে, ‘জানি না, দুটি ম্যাচ পাব নাকি চারটি কিংবা ৬টি। এজন্য মনে হয়েছে, বিশ্রাম নেওয়া, পরিবারকে সবার ওপরে রাখা, শরীরকে প্রাধান্য দেওয়া, এসবই আমার জন্য ভালো। সিদ্ধান্তটি অবশ্যই সহজ ছিল না। কারণ, মনের কোনো সবসময়ই ভাবনা চলতে থাকে যে আইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালে লোকে কী বলবে বা কীভাবে নেবে, পরেরবার আইপিএল খেলতে গেলে কী হবে, লোকে কি আমাকে এবারের সিদ্ধান্ত দিয়েই বিচার করবে? অনেক কিছুই মনে হয়েছে। তবে সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করার পর অনুভব করেছি, আমি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি।’
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৪

পুরস্কারপ্রাপ্তি : ইউনূস সেন্টারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরামে ড. ইউনূসকে ইউনেসকো থেকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে ‘ট্রি অব পিস’ সম্মাননা প্রদানের একটি তথ্য জানিয়েছিল ইউনূস সেন্টার। এবার ইউনূস সেন্টারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশন। বুধবার (৯ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ঢাকার কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এবং ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেইজে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদানের সংবাদটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।  এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৬ মার্চ আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ১১তম গ্লোবাল বাকু ফোরামে ড. ইউনূসকে ইউনেস্কো থেকে ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউনেস্কো ঢাকা অফিস জানিয়েছে, প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তর এ বিষয়ে একেবারেই অবহিত নয়। ১১তম বাকু ফোরামে এ সম্মাননা প্রদানকালে ইউনেস্কোর কোনো অফিসিয়াল প্রতিনিধিত্বই ছিল না। ইউনূস সেন্টার কর্তৃক দাবি করা সম্মাননা ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়। ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ প্রদানকারী ইসরায়েলি ভাস্কর্য শিল্পী হেদভা সের নিজেও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে ড. ইউনূসকে ‘ট্রি অব পিস’ প্রদানে ইউনেস্কোর কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বাকু ফোরামের আয়োজক নিজামী গনজবী ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের আহ্বানে হেদভা সের ড. ইউনূসকে এটি প্রদান করেন। হেদভা সের ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক কূটনীতি বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত কিন্তু ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা দেওয়ার এখতিয়ার তিনি রাখেন না। ইউনেস্কো সদর দপ্তর এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন জানায়, উল্লিখিত বাস্তবতার নিরিখে ড. ইউনূস পরিচালিত ইউনূস সেন্টার কর্তৃক প্রেরিত এবং প্রচারিত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতারণামূলক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি অনতিবিলম্বে সংশোধন-পূর্বক ইউনূস সেন্টারের অফিসিয়াল ওয়েব পেইজ থেকে অপসারণ এবং আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উল্লিখিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হলো। ব্যাখ্যা প্রদানে অপারগ হলে তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশনকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৪

মা হওয়ার খবর গোপন রাখার কারণ জানালেন অভিনেত্রী
চলতি বছরের  মার্চর মাসের ৪ তারিখে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী আরতি ছাবরিয়া। সন্তান জন্মলাভের পরেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী। ভক্তদের সঙ্গে সুখবরটি শেয়ার করেছেন ঠিক একমাস পরে। অভিনেত্রীর মা হওয়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। প্রশ্ন উঠে― কেন এত দেরিতে মা হওয়ার খবর জানালেন আরতি? ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪১ বছর বয়সে মা হলেও অন্তঃসত্ত্বা ও মা হওয়ার খবর লুকিয়ে রেখেছিলেন অভিনেত্রী আরতি। সন্তানের নাম ইউভান। তবে এই সুখবর এতদিন গোপন রাখার পেছনে রয়েছে মর্মান্তিক ঘটনা। এ বলি তারকা জানিয়েছেন, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন তিনি। তখন গর্ভেই মৃত্যু হয় সেই সন্তানের। এ কারণে তখন মানসিকভাবে একদমই ভেঙে পড়েছিলেন আরতি। এছাড়া গর্ভপাত হওয়ার পর ব্যক্তিজীবনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন। এ জন্য দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর কাউকে জানাতে চাননি।  এ ব্যাপারে আরতি বলেন, আমি এটা নিয়ে দ্বিধা বোধ করি না কখনো। এটাই তো স্বাভাবিক। আমিও একজন মানুষ। মানুষের ধারণা তিনি একজন অভিনেত্রী, তার জন্য এটা সহজ। টাকা দিয়েই সব হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এই যন্ত্রণা ভোলার নয়। এর চিকিৎসা শরীরকে শেষ করতে পারে। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের খারাপ প্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলাম আমি। আর ৪১ বছর বয়সে সন্তান জন্ম দেয়া সহজ নয়, যতটা ২০ বা ৩০ বছর বয়সে সম্ভব।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়