• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
‘তামিমের জাতীয় দলে ফেরা উচিত হবে না'
গত কয়েক মাস ধরে ক্রিকেটের বড় বড় দলগুলো যখন বিশ্বকাপের স্কোয়াড তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করেছে, তখন টাইগার ক্রিকেটে আলোচনার শিরোনামে ছিলেন তামিম ইকবাল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে দলে ফিরছেন এই ড্যাশিং ওপেনার, এমন খবরও প্রকাশ করা হয়েছে গণমাধ্যমে। মঙ্গলবার (১৪ মে) মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। যেখানে নেই তামিম ইকবালের নাম, না থাকাটায় তো স্বাভাবিক। কারণ, অনেক আগেই টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ওয়ানডে ও টেস্টে কবে দেশের জার্সিতে তামিম ফিরবেন, আসলেও ফিরবেন কিনা এই প্রশ্নর উত্তর জানা নেই বিসিবির। তবে তামিম যেভাবে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছে, এরপর তার দলে ফেরা ঠিক হবে না বলে মনে করেন তামিমের সাবেক সতীর্থ ইমরুল কায়েস। জাতীয় দলে তামিম ইকবালের ফেরা প্রসঙ্গে সাবেক তারকা ক্রিকেটার ইমরুল কায়েস বলেন, আমি তামিমের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি, ও আসলে জাতীয় দলের ড্রেসিংরুম উপভোগ করছে না। কারণ, সে ড্রেসিংরুমে আগের মতো শ্রদ্ধা পাচ্ছে না। সে যতদিন ক্রিকেট খেলেছে ডমিনেট করে খেলেছে, নিজের লেভেলটা একটা জায়গায় রেখেছিল। ওখান থেকে অবসর নিল, আবার ফিরেও এলো। আসলে ফিরে আসার পর মানুষ খুব ভালোভাবে নেয় না।  দেশের হয়ে ১৩১ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৭টি সেঞ্চুরি আর ২০টি ফিফটির সাহায্যে ৪ হাজার ৩৫০ রান করা ইমরুল আরও বলেন, এখন হয়তো মিডিয়া, বোর্ড অনেকেই তামিমকে দলে নিতে চাচ্ছে। তামিম হয়তোবা আবেগ দিয়ে চিন্তা করে বলছে, আমি হয়তো একটা ফরম্যাট খেলতে পারি। আমার মনে হয় তার আর জাতীয় দলে ফেরত আসাটা উচিত হবে না। মূলত, গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। অভিমানী তামিমকে দলে ফেরাতে গণভবনে ঢেকে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে বের হয়ে তামিম জানান এক মাস পর ফিরবেন।  এরপর বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাকে দলে ফেরানো হয়; কিন্তু নভেম্বরে বিশ্বকাপ দলে তাকে রাখা হয়নি। যে কারণে দেশের হয়ে খেলার আগ্রহ হারান সাবেক এই অধিনায়ক।
১৪ মে ২০২৪, ২২:৫২

যে পাঁচটি প্রশ্ন মায়েদের অবশ্যই করা উচিত
মা দিবস। সামাজিকমাধ্যমে দেখলাম, ‘এই দিনে ফেসবুকে আম্মা আম্মা না করে বাস্তবে আম্মাদের সময় দিতে, তাদের কাছাকাছি থাকতে।’ পোস্ট পড়ে হাইলি মোটিভেটেড হয়ে আম্মার কাছে  ছুটে গেলাম। গিয়ে দেখি, আম্মা ডালঘুটনি দিয়ে ডাল নাড়ছেন। কাজের সময়, এখন আম্মাকে জ্বালানো মানেই ঘুটনিটা হাঁড়ি ছেড়ে সোজা আমার কপালে চলে আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। নাহ, এই ভুল করা যাবে না। সিদ্ধান্ত বদলে আম্মার রান্না শেষ হওয়ার অপেক্ষায় মন দিলাম। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ বোধহয় অপেক্ষা করা। এই মুহূর্তে আমাকে সেই কঠিন কাজটি করার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, আম্মার জন্য। কারণ, ফেসবুকের ওই পোস্ট আমার মাথায় গেঁথে গেছে— ‘আম্মাদের সময় দিতে হবে।’ কর্মব্যস্ত হওয়ার কারণে আম্মাকে অত সময় দেওয়া হয় না আমার। আজ দেব, পুরো সময়টাই আজ আম্মার জন্য বরাদ্দ। ঠিক কয়েক হাজার কোটি বছর পর আম্মার ডাল রান্না শেষ হলো। সারা ঘরে ডালের ম ম ঘ্রাণ। চোখ বুজে  ঘ্রাণ অনুভব করলাম। আশ্চর্য, ডালেও আম্মা আম্মা গন্ধ! ছোটবেলায় আম্মার আশেপাশে ঘুরঘুর করা আমার একমাত্র কাজ ছিল। বড় হয়ে নানান ঝুট-ঝামেলায় আম্মার আশেপাশে ঘুরঘুর করার অবকাশ আর আমি মেলাতে পারিনি। আম্মাও অভ্যস্ত হয়ে গেছেন এই দূরত্বে। আজ এত বছর পর এই ঘুরঘুর করাতে আম্মা সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছেন। আম্মার মন হয়তো বুঝে ফেলেছে, কোন এক অভিসন্ধিতে আমার এই আগমন। আম্মা পাত্তা দিলেন না। আগে খেয়ে নিতে বললেন। খাওয়া-দাওয়ার পাট চুকিয়ে আম্মার সামনে বসে আছি। বসে আছি বললে ভুল হবে। সূক্ষ্ম  চোখে আম্মাকে পরখ করছি। কিছু প্রশ্ন মনে উঁকি দিচ্ছে। ভাবছি, করব কি করব না। আম্মার চেহারায় অবশ্য শরতের শুভ্রতা ভর করেছে। কোনো কারণে হয়তো তার মন ভালো। কিন্তু প্রশ্নগুলো করার পর কালবৈশাখীর মেঘ ভর করবে কি না, এ ব্যাপারে আগাম পূর্বাভাস আমি অন্তত সন্তান হয়ে দিতে পারছি না। আম্মাদের এই এক বৈশিষ্ট্য। ষড়ঋতুর প্রত্যেকটা রূপ যেন তাদের দেখেই শিখেছে কখন কেমন ব্যবহার করা উচিত। তবে এই মুহূর্তে আমার হাত-পা কাঁপছে। কথা ফোটার পর থেকেই আম্মাকে কোটি কোটি প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে ফেলেছিলাম আমরা ভাই-বোনরা। আম্মাকে কাছে বেশি পাওয়ার কারণেই এই অধিকারটা আমাদের তীব্র ছিল। আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, আম্মাকে প্রশ্ন করার অধিকার আছে আমাদের। আমাদের ছেলেবেলার একমাত্র জ্ঞানভাণ্ডার ছিলেন আম্মা। ছিলেন বলছি কেন, এখনও আছেন। আব্বার সাথে ছোট থেকেই সখ্যতা কম থাকার কারণে আম্মার কাছেই আমাদের সব আবদার। তবুও প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে আম্মাকে এখনও ভয় পাই। আমার ভয় পাওয়া আম্মা টের পেয়ে গেছেন হয়তো। ভাবলেশহীন গলায় বললেন, ‘যা বলার বইলা ফালা।’ সাহস পেয়ে আম্মাকে জিজ্ঞাসা করেই বসলাম, ‘প্রথম প্রশ্ন, আম্মা তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন কী? একদম সত্য বলবা।’ আম্মা আকাশের দিকে তাকালেন। আমি খেয়াল করলাম, আমার আম্মার চোখে বয়সের ছাপ। কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠল। এত গভীরভাবে কতকাল দেখি না আম্মাকে? আম্মার চোখেমুখে হাসির ঝিলিক। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি আম্মার দিকে। আম্মা হাসিমুখেই বললেন, ‘তোরা তিন ভাইবোনই আমার অর্জন, পড়াশোনা করে যে এতদূর এসেছিস এইটাও অর্জন।’ ‘দ্বিতীয় প্রশ্ন, আম্মা তোমার কেমন লাগছিল যখন আমরা হইছি?’ আম্মার মুখভর্তি হাসি। দাঁত কেলিয়ে হাসি না, আম্মার চোখ হাসছে। দুনিয়ার সুন্দরতম দৃশ্য চোখের সামনে দেখার জন্য মনে মনে কয়েকবার আলহামদুলিল্লাহ পড়ে ফেললাম আমি। সেই হাসি নিয়েই আম্মা বলে উঠলেন, ‘তোদের দুই বোনের জন্মের সময় আমি অতটা বুঝি নাই। তবে ছোটটা হওয়ার আগে বুঝছিলাম। অনেক ভালো লাগছিল।’ একটু জানিয়ে রাখি, আমরা দুই বোন, এক ভাই। ভাই ছোট। আমি মেজো। ছোট ভাইটাকে আব্বা-আম্মা দুজনেই যে চোখে হারান সে আমরা দু’বোন হাড়ে হাড়ে টের পাই। আগে খুব ঈর্ষা হতো, কেন আম্মা ওকেই বেশি ভালোবাসেন। এখন হয় না। বরং আম্মা-আব্বা ওকে কিছু বললে মনে হয় আমাদের দুই বোনের গায়েই লেগে গেল সবটা। আমি আম্মার মুখের দিকে তাকিয়ে তৃতীয় প্রশ্নটি করলাম, ‘আচ্ছা আম্মা, তোমার জীবনে কোনটাকে ব্যর্থতা হিসেবে নেবে?’ এই প্রশ্নে আম্মাকে একটু হতাশ মনে হলো। প্রশ্ন করে ভুল করলাম না তো? অনুতপ্ত হচ্ছিলাম। কেন যে ট্রেন্ডে গা ভাসাতে গেলাম। এক জীবনে সব প্রশ্নের উত্তর না জানলে তো ক্ষতি নেই।  তবে আম্মা মুখ খুললেন কিছু বলার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই বললেন, ‘আমি ঠিক অন্য মায়েদের মতো হইতে পারি নাই। সন্তানকে নাকি পারসোনাল স্পেস দেওয়া লাগে। অথচ, আমি তোদের হাতড়ায়া না পাইলে আমার দুনিয়া অন্ধকার লাগে। এই স্পেস হয়তো আমি কোনোদিনও দিতে পারব না তোদের।’ কী সহজ স্বীকারোক্তি! আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি আম্মার দিকে। এই মায়ের সন্তান আমি। আহা! কোনো পদক না পেলেও চলবে জীবনে কিন্তু একজন মা অবলীলায় তার ব্যর্থতার গল্প করছেন সন্তানের কাছে, আর সন্তান হয়ে আমি সে গল্প বসে থেকে শুনছি। আমার জীবনে প্রাপ্তির খাতা এখানে বন্ধ হলেও আফসোস থাকবে না আর। একটা তৃপ্তির হাসি বের হলো আমার। টেনে একটা নিশ্বাস নিয়ে চতুর্থ প্রশ্নটি করলাম আম্মাকে, ‘আমাদের ভাইবোনদের কোন দিকটায় বেশি কষ্ট পাও তুমি?’ এইবার আম্মা ফর্মে চলে এলেন। চেহারায় বিরক্তিভাব ফুটে উঠেছে তার। এভাবেই আম্মা বলতে শুরু করলেন, ‘তোরা তিনটা তিন রকম। বড়টা সামান্য ব্যাপারে এত চিন্তা করে, বিরক্তিকর। নিশ্চিত হইতে পারে না কিছুতে। তুই যখন রাগ করোস, বেশি করোস। যখন করোস না, পাত্তাই দেস না। ছোটটার অভিমান, অভিযোগ, জেদ সবই বেশি। হবেই তো, বংশের রক্ত আছে না শরীরে!’ এই পর্যায়ে এসে আমি ঘর কাঁপিয়ে হেসে দিলাম। দোষগুলো সব বংশের আর গুণগুলো সব মায়ের দিকের। আজকাল এই-ই সই, আম্মা যেহেতু বলেছেন, ঠিকই বলেছেন। তবে প্রশ্নোত্তরের ফাঁকে ফাঁকে আমি আম্মাকে দেখে নিচ্ছিলাম বারবার। আম্মার অস্বস্তি হচ্ছে কি না, আমার প্রশ্নে কষ্ট পাচ্ছেন কি না। আমাকে অবাক করে দিয়ে আম্মা অনেক সাবলীল ছিলেন এই প্রশ্নোত্তরের সময়ে। সাহস পেয়ে শেষ প্রশ্নটি ছুড়লাম, বলো তো আম্মা, আমাদের ভাইবোনের কার ওপর তুমি কী কী কারণে খুশি? আম্মা আমার দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে গালভরে হাসলেন। হাসতে হাসতেই বললেন, তোরা তিনটা হইছিস তিন রকমের। তোর আপা অনেক বাধ্যগত। নিজের কষ্ট হইলেও তোর আব্বা আর আমার কথা মাথায় রাখে, হাসিমুখে মানিয়ে নেয় সবটা। ওর কাছে সবার আগে ওর বাপ-মায়ের খুশি। আম্মা না জানালেও আপার এই গুণ সম্পর্কে আমি জানি। আপা আম্মার কার্বনকপি। আম্মার সবকয়টি ভালো গুণ নিয়ে আপা দুনিয়াতে এসেছেন, এটা আমার বিশ্বাস। এমন আপা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আমি ভাগ্যবতী। কিন্তু আম্মা এখনও আমার আর আমার ভাইয়ের ব্যাপারে কিছু বলেননি। আমি আম্মার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি, আরও কিছু শোনার জন্য। অবশেষে আম্মা মুখ খুললেন, ‘তুই অনেক বাস্তববাদী, সংসারের অনেক কিছু বুঝোস, খেয়াল রাখোস। সংসারের অনেক সিদ্ধান্তে তোর আব্বাকে পাইনাই আমি। তার ব্যস্ততা আকাশচুম্বী। কিন্তু তুই ছিলি। আমার যেকোনো সিদ্ধান্তহীনতায় তোরে আমি পাশে পাইছি। এই পর্যায়ে দৌড়ে আসা কান্নাটা সন্তর্পণে গিলে নিলাম। আমি ভাবতাম, আম্মা বোধহয় আমাকে খেয়ালই করেন না। কিন্তু তিনি তার তিন সন্তানকেই যে এত খেয়াল করেন, এটা আমার কল্পনার বাইরে। তবে প্রশ্নগুলো আমার জানা জরুরি। দরকার পড়লে প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে আম্মার গলা ধরে কাঁদব। কিন্তু এখন না। আম্মা আবার বললেন, তোদের ভাইটাকে নিয়া আমার গর্ব হয়, অহংকার না। এই বয়সের ছেলে অনুযায়ী ও অনেক ভদ্র আছেরে। আল্লাহ যেন আমার সব কয়টা ছেলেমেয়েরে আজীবন এমনই রাখেন, আমিন। আমিন। আমিন। আল্লাহ যেন আমার আম্মার সন্তানদেরকে আজীবন এমনই রাখেন। মাঝে মাঝে অনেককে আফসোস করতে শুনি। আকাশ কাঁপিয়ে কাঁদতে দেখি, ‘মায়ের কাছ থেকে এটা জানা হলো না, ওটা জানা হলো না, মা-কে একবার জড়িয়ে ধরা হলো না’! ছোট একটা জীবন আফসোসের ভারেই তো বিশাল হয়ে যায়। বলি, এত আফসোস রেখে কী হবে? এক জীবনে কী আছে আর? মা পাশে আছে, দেখছেন, ছুঁতে পারছেন, ঘ্রাণ পাচ্ছেন, কথা শুনতে পারছেন। একটু না-হয় জেনেই নিন আপনাকে ঘিরে আপনার মায়ের না-বলা কথা। কিছু মুহূর্ত জমা হোক মায়ের সাথে। সাথেই তো আছে, শুধু একটু কদর করতে হবে বৈ কি! হারালে চোখের জল ফেললে উসুল হবে কিছু?
১২ মে ২০২৪, ১৪:০২

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের উচিত অংশীদার হওয়া, শত্রু নয়: শি জিনপিং
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে উদ্দেশ করে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক শত্রুতা নয় বরং দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত। যদিও তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হলে অনেক বিষয় ঠিকঠাক করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।   শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফরের দ্বিতীয় দিনে শি ও ব্লিঙ্কেনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ মন্তব্য করেন শি জিনপিং। বেইজিংয়ের গ্রেট হলে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের সঙ্গে রাশিয়া, তাইওয়ান ও বাণিজ্য নিয়ে নানা পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেন।  বৈঠকে শি বলেন, গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দুই দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক অগ্রগতি অর্জন করেছে। তিনি বলেন, প্রচেষ্টা আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভি এ কথা জানায়।  চীনের উন্নয়নের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আরও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন মৌলিক সমস্যার সমাধান হবে, তখন সম্পর্ক আরও টেকসই, উন্নত ও অগ্রগামী হবে।’ ব্লিঙ্কেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের আলোচনা নিবিড় ও গঠনমূলক ছিল।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

বিএনপি নেতাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল : কাদের
গণতন্ত্র নিয়ে বিএনপি নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের উচিত ছিল তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের ন্যায় দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।  সোমবার (৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট মানবসভ্যতার ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। একইভাবে হন্তারকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। জাতিকে মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপনির্বাচন উপহার দিয়েছিল বিএনপি। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। অপারেশন ক্লিনহার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু না। গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই। গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪৭

জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বিএনপির : কাদের 
অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপি নেতাদের জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (২৭ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক দাবি করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, বিএনপি নেতাদের উচিত তাদের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের জন্য জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা। অথচ তারা সেটা না করে বরাবরের মতো দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা আজ যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলে তখন বুঝতে হবে, তাদের ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য তাদের মায়াকান্না ছাড়া আর কিছু নয়।  গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপির কোনো দায়বদ্ধতা নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রের জন্য তাদের এই আহাজারি মূলত একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড, হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবনের অধিপতি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের বরপুত্র তারেক রহমানের দুঃশাসনের যুগে দেশকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য। কিন্তু, এ দেশের গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজ এই অন্ধকারের অপশক্তির বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পর খুনি জিয়ার হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপি যখন গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, ইতিহাস তখন বিদ্রূপের হাসি হাসে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে অসাংবিধানিক পন্থায় বন্দুকের নলের মুখে জাতিকে জিম্মি করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল। বিচারপতি সায়েমকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেছিল সে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বপ্নের পথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালো রাতে মানবসভ্যতার ইতিহাসে নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করা হয়েছিল। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছিল। একইভাবে হস্তবকের দল ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছিল। সেদিন ঘাতকচক্র অসহায় নারী, শিশুকে নির্বিচারে হত্যা করেছিল। সেদিন কোথায় ছিল গণতন্ত্র? কোথায় ছিল মানবাধিকার? তিনি বলেন, ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের প্রহসনের নির্বাচনের নামে দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান। জিয়ার তথাকথিত গণতন্ত্র ছিল কারফিউ মার্কা গণতন্ত্র। লাগাতার সামরিক শাসন বলবৎ রেখে জনগণের ওপর দুঃশাসনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করে গণতন্ত্রকামী জনগণের সঙ্গে নির্মম তামাশা করেছিল স্বৈরাচার জিয়া। অবৈধভাবে একইসঙ্গে সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপতির পদ দখল করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করেছিল সে। পরিকল্পিতভাবে গলা টিপে হত্যা করেছিল গণতন্ত্রকে, নির্বাসিত করেছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে।  সেই স্বৈরাচার জিয়ার হাতে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখনও সুপরিকল্পিতভাবে এদেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, জিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনের নির্বাচন করেছিল বেগম খালেদা জিয়া। জাতিকে উপহার দিয়েছিল মিরপুর ও মাগুরা মার্কা উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন এবং ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল বিএনপি। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তখন বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করা হয়েছিল। ২০০১ পরবর্তী সময়কালে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে ২১ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। স্বৈরাচারের গর্ভে জন্ম নেওয়া বিএনপি সুপরিকল্পিতভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে এখনও অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপিই এ দেশে গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নের প্রধান প্রতিবন্ধক।
২৭ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৫

‘অনির্দিষ্টকালের আগাম জামিন দেওয়া উচিত নয়’
কাউকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিন দেওয়া উচিত নয় বলে অভিমত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রমনা থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন ও যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের জামিন প্রশ্নে এক আদেশে এমন অভিমত দেন আপিল বিভাগ। গত ৬ মার্চ প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চের ওই আদেশ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের আগের দেওয়া কয়েকটি রায়ের রেফারেন্স দিয়ে আদেশে বলা হয়, এই সব রায়ের নীতি অনুযায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য আগাম জামিনে থাকতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ রিপোর্ট পর্যন্ত বিবাদীদের আগাম জামিন দিয়ে হাইকোর্ট বিভাগ আপিল বিভাগের রায়ের নীতি বিবেচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ মাঝেমধ্যে যথাযথ তদন্তের স্বার্থে কোনো মামলার প্রতিবেদন দিতে বেশি সময় নিতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। এমন পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত পুলিশ রিপোর্ট দাখিল না করা পর্যন্ত আগাম জামিনের সুবিধা উপভোগ করার অধিকারী নয়। গত বছর ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় রমনা, পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৩৯টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে রমনা থানার এক মামলায় গত বছর ৮ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন ও যুগ্ম মহাসচিব এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। হাইকোর্ট বিভাগ তাদের পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন দেন। পরে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগ দুই বিএনপি নেতার জামিন আদেশ সংশোধন করে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
২৪ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৬

আমার জীবনে যা যা হয়েছে তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল : মাহি
সময়টা ২০১২ সাল, ‘ভালোবাসার রঙ’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় নিজের নাম লেখান মাহিয়া মাহি। এরপর বেশকিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। তার ক্যারিয়ারের একযুগ। কিন্তু কখনও ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ছিলেন না এই অভিনেত্রী। তবে জীবনে বড় একটি ধাক্কা খেয়ে এখন ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন মাহি। নতুন ভাবনায় এই ‘অগ্নি’ কন্যা।                                          সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, চলতি বছর থেকে আমি যত সিনেমা করব সব ভালো প্রজেক্ট। আমি আর কোন নরমাল কাজ করব না। জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে মানুষের একেক রকেমর একেক অভিজ্ঞতা হয়। প্রত্যেকটা শিল্পী যদি বড় রকমের ধাক্কা না খায় তাহলে সে প্রকৃত শিল্পী হতে পারে না। এটা আমার কাছে এই সময়ে মনে হচ্ছে। এখন আমি কাজ নিয়ে যেভাবে সিরিয়াস, ক্যারিয়ার নিয়ে যেভাবে চিন্তা করছি ১২ বছরে ক্যারিয়ার নিয়ে এত চিন্তা করিনি। মাহি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে এখন আবার আমার জিরো থেকে সবকিছু শুরু করি। নতুন করে শুরু করে ‘অগ্নি’ ও ‘পোড়ামন’ সিনেমার সময়ে যে রকম জনপ্রিয়তা ছিল, সে রকম আরও একবার কিভাবে অর্জন করা যায় কিংবা সেটা কিভাবে ছাড়িয়ে যাব তা নিয়ে রাত-দিন যেভাবে চিন্তা করি আমার কাছে মনে হয়, আমার জীবনে যা যা হয়েছে তা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তাহলে হয়ত নতুন করে জীবনটা আরও আগে শুরু করতে পারতাম। আমি কখনোই ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন ছিলাম না। তবে আমার ভাগ্য খুবই ভালো। সে জন্যই আপনাদের সামনে এখনো বসে আছি। কখনোই আমি বেশি প্রফেশনাল ছিলাম না। এখন যেভাবে চিন্তা করছি, সেটা যদি আগে থেকে চিন্তা করতাম তাহলে আমার অবস্থা আরও অনেক ভালো থাকত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্তব্য করে বলেছিলেন, মাহি যদি ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন থাকত তাহলে শাকিব খানকে টপকে যেত। একথা মাহি নিজেও মনে করেন। তিনি বলেন, নিজেকে শাকিব খানের সঙ্গে তুলনা করব না। কারণ, তিনি অনেক বড় মাপের একজন শিল্পী। অনেক যুগ পর এ রকম শিল্পী আসে। তবে আজিজ ভাই যেটা বলেছেন সেটা উড়িয়ে দেয়া যাবে না। আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মাহির অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে আসলে মিশা ভাইয়ের প্যানেল থেকেই অংশ নেব। কারণ, এই প্যানেলে গুণী সব শিল্পীরা আছেন। তাই এ প্যানেলের প্রতি দুর্বলতা বেশি। আমার যে কোনো বিপদে যাকে আমি পাশে পাব তাদেরকেই তো সবসময় সাপোর্ট করব। যখন যে সমস্যা হয়েছে মিশা ভাইদের ফোন করা মাত্রই তারা এগিয়ে এসেছেন। রিয়াজ ভাইকেও পাশে পেয়েছি। কিন্তু অন্য কাউকে কখনোই পাশে পাইনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন করলে মাহিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হতো না—জাতীয় নির্বাচনের সময় চিত্রনায়িকা মাহিকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন আরেক চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। তার ভাষ্যমতে, মাহি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিলে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগাতে পারত। তার এমন মন্তব্যর পর শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে নতুন করে ভাবছেন মাহি। তিনি বলেন, তিনি (নিপুণ) সিনিয়র শিল্পী, যেহেতু বলেছেন এ জন্যই নির্বাচন নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করছি। তার এ কথার জন্য নির্বাচনে আসার সম্ভাবনা বেশি। আমার নির্বাচনে কাউকে পাশে পাইনি। একমাত্র ফেরদৌস ভাই ফোন করেছিল। তিনি অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছিলেন। যোগ করে ‘তবুও ভালবাসি’ সিনেমার এই নায়িকা বলেন, সে সময় সবচেয়ে আমার বড় শক্তি সাংবাদিক ভাইয়েরা পাশে ছিল। পুরো বাংলাদেশ সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে আমার কার্যক্রম দেখেছেন। এখন সহকর্মীদের চেয়ে অনেক আপন লাগে সাংবাদিকদের।  
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৪:২২

বিব্রতকর বক্তব্য থেকে দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিব্রতকর কোনো বক্তব্য যে-ই দেবেন দায়িত্বশীল যারা, তাদের দায়িত্ব নিয়েই কথা বলা সমীচীন। সরকারের জন্য বিব্রতকর এমন বক্তব্য থেকে আমাদের সব দায়িত্বশীলদের বিরত থাকা উচিত। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির উদ্দেশে কাদের বলেন, সরকারের পরিবর্তন চাইলে আরেকটা নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। যে পরিবর্তন হয়েছে সেটা গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে। বিএনপি নেতারা আরাম আয়েশ করে সময় কাটাচ্ছেন। কর্মীদের আশা দিয়ে মাঠে নামিয়েছিল, সেই কর্মীরা এখন হতাশ। বিএনপি কর্মীরা নেতাদের ডাকে আন্দোলন করবে সেই অবস্থা নেই। এক কথায় বলব, বিএনপি এখন আন্দোলন করার সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছে। তিনি বলেন, জনগণ বিএনপির সঙ্গে নেই, জনগণের আন্দোলনে নেই, জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল। তার সততা, নেতৃত্ব এদেশের মানুষ মেনে নিয়েছে। ৭৫ এর পর দেশে সৎ, পরিশ্রমী, দক্ষ একজন নেতাও জন্ম হয়নি। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে একজন কংগ্রেসম্যান যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও নিবিড় করার চেষ্টা চলছে। ড. ইউনূসকে হয়রানি করা হচ্ছে এ মর্মে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেসম্যান। বলা হচ্ছে তার এমন মন্তব্য সম্পর্কে প্রভাব পড়বে, কেন প্রভাব পড়বে? আমার দেশের আইন, আমার দেশের বিচার ব্যবস্থায় কোনো ব্যক্তি যদি তার কৃত কর্মের জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়, বিচারের মুখোমুখি হয় সে অবস্থায় আমার দেশের বিচার ব্যবস্থার যে স্বাধীনতা সে স্বাধীনতার ওপর বাইরের কারও তো কোনোকিছু বলার অধিকার থাকতে পারে না। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক প্রেসিডেন্টের ওপর এতগুলো চার্জ এনে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। সেখানে ২০১৩ সাল থেকে মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। তো সেখানে রেজাল্ট কী হবে, রায় ঘোষণার আগে তো আমরা বলতে পারছি না। সেখানে সংক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সে মামলা চলছে। তাহলে এর মধ্যে বিচার ব্যবস্থা বন্ধুত্বের মধ্যে সম্পর্ক কী? পাল্টা প্রশ্ন রাখেন কাদের। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয় যেখানে আমরা আপনাদের খুব সুখে শান্তিতে রাখতে পারব। অন্যেরা ভালো নেই, আমরাও ভালো নেই। সবাই একযোগে ভালো থাকার চেষ্টা আন্তর্জাতিকভাবেও চলছে। আর আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেটের কাছে ব্যর্থও না, জিম্মিও না। দেশটা অনেকের চেয়ে ভালো চলছে। সারা বিশ্বের যে অবস্থা, আজকে শুধু ডলারের দাম না.... সারা বিশ্বের যে টালমাটাল অবস্থা, আমি বার বার আপনাদের বলতে চেয়েছি সারা বিশ্বেই সমস্যা চলছে। পরিবহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পরিবহনের চাঁদাবাজি সারা জনম ধরে চলে আসছে। এটা নতুন নয়। তবে এ চাঁদাবাজিটা বন্ধ করার জন্য চেষ্টা চলছে। আইন প্রয়োগকারী লোকজনও তৎপর। প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবাই কাজ করে যাচ্ছে। যাতে করে এ চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। একেবারে বন্ধ করা যাবে এ কথা আমি বলব না। এই কালচারটা হাঠাৎ করে বন্ধ করা যাবে না। নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। বাংলাদেশে পরিবহনের চাঁদাবাজি কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন। বলেন, আপনি কি বাংলাদেশকে আলাদা একটি স্বর্গরাজ্য ভাবেন? সভায় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অনেকে।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৪

সুস্থতায় ইফতারে যা খাওয়া উচিত
তীব্র গরমের এই সময় রোজা রাখা এবং সুস্থ থাকাটা বেশ চ্যালেঞ্জের বিষয়। আবহাওয়ার ওপর কারও হাত না থাকলেও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই কঠিন সময়ে আপনি পেতে পারেন স্বস্তি ও প্রশান্তি। এ জন্য ইফতার ও সেহেরিতে বেশকিছু খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। আবার কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে রোজা রাখার সময়টা কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে আশা করা যায়। রমজানে আপনি যেসব খাবার খেতে পারেন, সেগুলো নিয়ে আজকের আয়োজন। বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ফারাহ মাসুদা ইফতারে এমন কিছু খাওয়ার পরামর্শ দেন যা উদরপূর্তির পাশাপাশি শরীরের সার্বিক পুষ্টিচাহিদা পূরণেও সহায়তা করে। তিনি পরামর্শ দেন, “গরমকালে সারা দিন শরীর থেকে প্রচুর পানি ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। রোজার দিনে শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করা যায় না। তাই ইফতারে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।” পানির চাহিদা পূরণ করতে যে কোনো রসাল বা তরল খাবার যেমন- ফলের রস, শরবত, সুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এতে সারাদিনের পানির ঘাটতি কমে আসে।” বললেন এই অধ্যাপক। তিনি আরও বলেন, “একবারে বেশি পানি পান করা ঠিক নয়। ইফতারের পর থেকে খানিকক্ষণ পর পর অল্প পরিমাণে পানি পান করতে হবে।” তবে কোনোভাবেই কৃত্রিম রং মেশানো জুস বা কোমল পানীয় খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া সারাদিন কিছু না খেয়ে ইফতারে আজে বাজে খাবার না খাওয়াই ভালো- বলে মনে করেন এই পুষ্টিবিদ। তিনি বলেন, “ইফতারে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে চাইলে অবশ্যই তেল সমৃদ্ধ ও ভাজাপোড়া-জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। তাছাড়া অতিরিক্ত মিষ্টি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কেউ চাইলে হালকা মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখতে পারেন। তবে তার পরিমাণ যেন খুব বেশি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।” তার দেওয়া অন্যান্য পরামর্শগুলো হল- সরাসরি মিষ্টি না খেয়ে মিষ্টি ফল, পুডিং খাওয়া যেতে পারে। ঠিক ইফতারের সময় দুধের তৈরি মিষ্টি খাবার যেমন- পায়েস, সেমাই ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজনে ইফতারি শেষে এই ধরনের খাবার খাওয়া যেতে পারে। ইফতারে খেজুর একটি আদর্শ খাবার। মিষ্টি ফল হওয়ায় দ্রুতই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। এছাড়াও এটি ডাইজেস্টিভ এনজাইম বিতরণকারী হিসেবে কাজ করে যা খাবার হজমে সাহায্য করে। কেবল খেজুরই নয় অন্য যে কোনো ফল ইফতারে রাখুন। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজের চাহিদা সহজে পূরণ হবে। তাছাড়া ফল আঁশ বহুল হওয়ায় তা অন্যান্য খাবার হজমেও সাহায্য করে। ইফতার ও সেহেরিতে আঁশজাতীয় ফল খাওয়া ভালো। কারণ এই ধরনের ফল বেশিক্ষণ পানি ধরে রাখতে পারে। তাই ফলমূল ও সবজি শরীরকে ‘ডিটক্সিফাইন’ হতে সাহায্য করে। ফলে শরীর সুস্থ থাকে । এই সময় অতিরিক্ত চা বা কফি এবং কোমল পানীয় পান করা থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ অতিরিক্ত চা ও কফি শরীরের পানি শূন্যতার সৃষ্টি করে। অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। ইফতারে পেট ঠাণ্ডা থাকে এমন খাবার যেমন দুধচিড়া বা দই-চিড়া অথবা মুড়ি খাওয়া ভালো। দই পেটের সার্বিক সুস্থতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। অনেকে ইফতারে তেহারি, বিরিয়ানি ধরনের খাবার খান। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কোনোভাবেই এই ধরনের খাবার ইফতারিতে খাওয়া উচিত না। কারণ এইগুলো পেট গরম করে, ফলে নানা রকমের পেটের অসুখ দেখা যায়। তাই সুস্থ থাকতে ইফতারের সময় বেশি করে তরল খাবার ও ফলমূল খেতে হবে। তিনি আরও বলেন, ইফতার শুরু করার সময় খুব বেশি তাড়াহুড়া করে খাওয়া উচিত নয়। একটু সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খাওয়া উচিত। প্রথমে, দুতিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করা। তারপর কিছু সময়, আনুমানিক ১০ থেকে ১৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভারি খাবার খাওয়া প্রয়োজন। কারণ মস্তিষ্কে খাদ্য সংবেদন পৌঁছাতে একটু সময় লাগে। নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি খাওয়া শুরু করা হয় তবে অধিক ভোজনের সম্ভাবনা বেড়ে যায় যা ওজন বাড়ার অন্যতম কারণ।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৪:১৩

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান কত হওয়া উচিত
সংসার জীবনে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পারিক সুসম্পর্ক ও ভালবাসার মর্যাদা ব্যাপক। কুরআন ও হাদিসের বর্ণনাসহ রাসুল (সা.)-এর পবিত্র জীবনে এর অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। দাম্পত্য জীবনে সাধারণ আচার-আচরণে রয়েছে সাওয়াব, কল্যাণ ও ভালোবাসার হাতছানি। যা হতে পারে দুনিয়ার সব মানুষের জন্য গ্রহণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। অসম বিয়ের কারণে বর্তমানে দেশে একটি দম্পতিকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। নিজের মেয়ের ১৮ বছরের বান্ধবীকে বিয়ে করে আলোচনার শীর্ষে আছেন ৬০ বছরের এক ব্যক্তি। আসুন দেখে নিই স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান নিয়ে ইসলাম কী বলে। ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর বয়সের ভারসাম্য রাখার ইঙ্গিত রয়েছে বয়স স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আচরণগত স্বভাব ও দৈহিক বিষয়ের প্রভাবক। যদিও এ ক্ষেত্রে কোরআনের সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও ইঙ্গিত আছে। সুরা সাদের ৫২ নং আয়াতে বলা ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং (জান্নাতে) তাদের পাশে থাকবে সমবয়সী আয়তনয়না (জান্নাতি রমণী)।’ অন্যদিকে সুরা ওয়াকিয়ার ৩৫-৩৮ আয়াতে এসেছে, মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি জান্নাতি রমণীদের উত্তমরূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদের করেছি চিরকুমারী, সোহাগিনী, সমবয়স্কা।’  সুতরাং, স্বামী-স্ত্রীর বয়স কাছাকাছি হওয়া বাঞ্ছনীয়। বয়সের বেশি ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। যে কারণে বিবাহে বয়েসের ভারসাম্য প্রয়োজন। রাসুল (সা.)-এর কন্যা ফাতেমা (রা.)-কে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন আবু বকর (রা.) এবং ওমর (রা.)। খলিফাদ্বয়ের উদ্দেশ্য ছিল—তাঁরা রাসুল (সা.)-এর জামাতা হওয়ার সম্মান অর্জন করবেন। রাসুল (সা.) বলেন, সে [ফাতেমা (রা.)] অনেক ছোট। তাঁদের বয়স অনেক বেশি ছিল। রাসুল (সা.) বয়সের কথা বিবেচনা করে তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেন। উল্লেখিত ঘটনা থেকে বোঝা যায়, মেয়ের বয়স কম হলে স্বামীর বয়স অতিরিক্ত বেশি হওয়া উচিত নয়। বয়সের বেশি অসমতায় বিয়ে দেওয়াও ঠিক নয়। (ইত্তিহাফুস সায়েল বিমা লিফাতিমাতা মিনাল মানাকিবি ওয়াল ফাদাইল, পৃষ্ঠা : ৩৪-৩৬)। উল্লেখ্য, ইসলামে সবচেয়ে আদর্শ বিয়ে হয়েছিল আলী (রা.) ও ফাতেমা (রা.)-এর বিয়ে। সে সময় ফাতেমা (রা.)-এর বয়স ছিল সাড়ে ১৫ বছর। (সিয়ারু আলামিন নুবালা, পৃষ্ঠা : ৪২৩)। তবে ইবনে সাদের মতে, সে সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। আর আলী (রা.)-এর বয়স ছিল ২১, মতান্তরে ২৫ বছর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্ত্রী যদি স্বামীর চেয়ে বয়সে একটু ছোট হয় তাহলে ভালো। আর নারীর শারীরিক কাঠামো থাকে দুর্বল। ফলে সে আগে বৃদ্ধা হয়ে যায়। যদি দুই-চার বছরের পার্থক্য থাকে তাহলে সমতা আসে। (হুকুকুল জাওজাইন, পৃষ্ঠা ৩৭০)। তবে শরিয়তে বয়সে তারতম্যময় বিবাহ নিষিদ্ধ নয়। আবার ইসলাম এ বিষয়ে কাউকে উৎসাহও দেয়নি। এ ক্ষেত্রে প্রশস্ততা ও অবাধ স্বাধীনতা আছে। কিন্তু বিষয়টি নির্ভর করে বাস্তবতা, সমাজ, সংস্কৃতির ওপর। প্রশ্ন উঠতে পারে রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর চেয়ে ২৫ বছরের বড় খাদিজা (রা.) এবং ৪৪ বছরের ছোট আয়েশা (রা.)-কে কেন বিয়ে করেছিলেন? প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, ইসলাম প্রচার এবং ইসলামের জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর চেয়ে ১৫ বছরের বড় খাদিজা (রা.) কে বিয়ে করেন। বংশমর্যাদা, সহায়-সম্পদ, বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই খাদিজা (রা.) ছিলেন সমাজের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়া। তাঁর জীবদ্দশায় রাসুল (সা.) অন্য কোনো নারীকে বিবাহ করেননি। (ইবনে হিশাম ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৮৯-১৯০; ফিকহুস সিরাহ, পৃষ্ঠা ৫৯)। আর রাসুল (সা.) যখন তাঁর সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রী আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক শুরু করেন, তখন তাঁদের বয়স ছিল যথাক্রমে ৫৩ ও ৯। যদিও বিবাহ আরো আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মহানবী (সা.) আয়েশা (রা.)-কে প্রধানত যেসব কারণে বিয়ে করেছিলেন— ১. আয়েশা (রা.)-এর পিতা আবু বকর (রা.)-এর অতি আগ্রহ ছিল যে তিনি [আবু বকর (রা.)] যেভাবে ঘরের বাইরে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গী হয়ে যাবতীয় খেদমত আঞ্জাম দেন, অনুরূপ ঘরের ভেতরও যেন তাঁর পরিবারের কেউ রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর খেদমত করতে পারেন। তাই আবু বকর (রা.) মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আত্মীয়তার সম্পর্কে রূপান্তর করেন। ২. সব ইতিহাসবিদ এ ব্যাপারে একমত যে, আয়েশা (রা.) ছিলেন তৎকালীন আরবের অন্যতম মেধাবী নারী। তাই মহানবী (সা.) তাঁকে বিবাহ করার মাধ্যমে ইসলামের বিধি-বিধান, বিশেষ করে নারীদের একান্ত বিষয়াদি উম্মতকে শিক্ষা দিতে চেয়েছেন। ৩. মহানবী (সা.) তাঁকে বিয়ে করেছেন ওহির নির্দেশ অনুসরণ করে। ওহির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৫)। ৪. শুধু আরবের সংস্কৃতি নয়, গোটা বিশ্বে সেই সময়ে ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ—সবার মধ্যে অল্প বয়সী নারীকে বিবাহ করার ব্যাপক প্রচলন ছিল।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়