• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সারিয়াকান্দিতে এমপি পুত্র সজল চেয়ারম্যান নির্বাচিত 
সারিয়াকান্দিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী 
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী। তারা হলেন ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম এবং আশিক আহম্মেদ।  শনিবার (৪ মে) সকালে সারিয়াকান্দি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তারা এ ঘোষণা দেন।  এ সময় তারা দু’জনই এমপির পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজলের পক্ষে সমর্থন জানান। ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপে সারিয়াকান্দিতে ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে দু’জন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন।  তারা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আশিক আহম্মেদ। ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সালাম মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে ছিলেন। অপরদিকে আশিক আহম্মেদ হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছিলেন।  সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের সকল কর্মী সমর্থকদের এ আসনের সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র সাখাওয়াত হোসেন সজলের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন এবং তার প্রতীক আনারস মার্কাকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।  সারিয়াকান্দি সদর উপজেলায় এখন ৩ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন সাখাওয়াত হোসেন সজল (আনারস), বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম মন্টু (কাপ পিরিচ) এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান আলী (ঘোড়া)।
বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
ঘানি টেনে তেল বের করা সেই দুদু মিয়া পেলেন গরু সহায়তা
সারিয়াকান্দিতে নিখোঁজ স্কুল শিক্ষার্থীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
লাল মরিচ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সারিয়াকান্দির কৃষক
সারিয়াকান্দিতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, হুমকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প 
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং ব্যবসা। দুর্গম চরাঞ্চলের অবৈধ বালুর পয়েন্ট থেকে হচ্ছে দৈনিক অর্ধশত ট্রাক বালু বিক্রি। অবৈধ ট্রাক্টরের বিশাল চাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শাহজালাল বাজারের প্রধান সড়ক। এ দিকে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে দক্ষিণ টেংরাকুড়ার দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্প। বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চল শাহজালাল বাজারের পাশে আবারো নতুন করে বালুর পয়েন্ট চালু হয়েছে। এখানে বেশ কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে চলছে অবৈধভাবে মোটা বালু উত্তোলন।  গত একমাস ধরেই এখানে চলছে বালুর রমরমা এ ব্যবসা। গত বছর এ পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকজনকে জেলহাজতেও প্রেরণ করেছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক। এরপর গত একমাস যাবৎ এখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ব্যবসা আবারও চালু হয়েছে পুরোদমে।  অবৈধ যানবাহন বড় চাকার ট্রাক্টর দিয়ে বালুভর্তি গাড়ি দিয়ে প্রতিদিন এখান থেকে বালু বিক্রি হয় জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়। 
শীতে কাঁপছে যমুনা তীরবর্তী লোকজন
গত কয়েকদিনের শৈত্যপ্রবাহে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দির দুর্গম চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষরা। যমুনা নদী সংলগ্ন হওয়ায় এসব এলাকায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। বিভিন্ন সময়ে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার বেশকিছু এলাকাবাসী তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন নিস্ব। পেটের ভাত জোগাড় করতে তাদের প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়। তাই তারা কিনতে পারেন না ভালো কোনো শীতের গরম কাপড়। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ নদীগর্ভে। আর ৫টি ইউনিয়নের আংশিক নদীগর্ভে। তাই এ উপজেলার বিশাল আয়তনের জনগোষ্ঠী চরবাসী। চরবাসী এসব এলাকার লোকজন বারবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে কেউ কেউ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। কয়েক দিনের তীব্র শীতে এসব মানুষরা এখন শীতে কাঁপছে।  সজিরন বেওয়া (৭০)। জীবনে ৯ বার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ভিটেমাটি এবং কৃষিজমি হারিয়ে এখন বাস করছেন অন্যের জমিতে। কাজলা ইউনিয়নের চর ঘাগুয়া চরে তার বসবাসের অযোগ্য বাড়ি। গত কয়েকবছর আগেই তার স্বামী মারা গেছেন। ৪ ছেলের মধ্যে ১ ছেলেও মারা গেছেন চিকিৎসার অভাবে। ৩ ছেলে অন্যের জমিতে দিন মজুরের কাজ করেন। অনেক কষ্টে এলাকার লোকদের সহযোগিতায় ২ মেয়েকে তিনি বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের অভাবের সংসারে তার ভাত হয়নি। সারাদিন অন্যের জমির মরিচ তুলে দিয়ে যা আয় হতো, তা দিয়ে কিনতেন ডাল-চার। বয়সের ভারে আর মরিচ তুলতে পারেন না। এখন বিভিন্ন মানুষের কাছে দশ-পাঁচ টাকা হাত পেতে পেটের ভাত জোগাড় করেন। কয়েক দিনের প্রচণ্ড শীতে তিনি কষ্ট করছেন। শরীরে কোনো গরম কাপড় নাই। গ্রামের চেয়ারম্যান মেম্বারদের কাছে বেশ কয়েকবার গরম কাপড় প্রার্থনা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। এদিকে গত কয়েক দিন ধরেই এ উপজেলায় গভীর রাত থেকে শুরু কওে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে। কুয়াশার জন্য রাতে ৩০ ফিট দূরের কোনো কিছু চোখে দেখা যায়না। সন্ধ্যা ৭টা হতে কুয়াশা শুরু হয়ে পরদিন দুপুর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কুয়াশার জন্য উপজেলার বিভিন্ন সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে সকাল ১০টা পর্যন্ত। রাতে প্রচণ্ড কুয়াশার জন্য গাছের পাতা হতে টপটপ করে বৃষ্টির মতো পানি পরছে।  কৃষকরা হালকা শীতের কাপড় পরেই ছুটছে খেতের দিকে, এনজিওকর্মীরা রেইনকোট পরে মোটরবাইকে বেরিয়ে পড়েছে কিস্তি আদায়ের কাজে, গরুর মালিকরা দুধ দোহন করে নিয়ে ছুটছে বাজারের দিকে। দিনমজুর এবং শ্রমিকরা বেড়িয়ে পরেছে তাদের নিজ নিজ কাজে। তবে তাদের শরীরে গরম কাপড়ের অভাব ব্যাপকভাবে লক্ষণীয়। অটোভ্যান শ্রমিকরা শীতের বাতাসকে উপেক্ষা করেই ছুটছেন পেটের দায়ে। বয়স্ক মানুষরা প্রচণ্ড শীতে ঘরবন্দি হয়েছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, সরকারি যে কম্বলগুলো পাওয়া গিয়েছিল তা বাড়ি বাড়ি গিয়ে গরিব-দুঃখী মানুষ খুঁজে বের করে তাদের দেওয়া হয়েছে। চরবাসীদেরও এ সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম্বল অপ্রতুল হওয়ার জন্য হয়তো কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন। যারা বাদ পড়েছেন, তাদের জন্যও দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে।  
অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় কারাদণ্ড
বগুড়া সারিয়াকান্দির বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নবীর হোসেন (৩৮) নামের একজনকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। নবীর বগুড়া শিবগঞ্জ থানার আটমূল মালগাড়ী গ্রামের গফুর মণ্ডলের ছেলে।  মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ রায় প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ কুমার বসাক। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার নারচী ইউনিয়নের চর গোদাগাড়ী গ্রামের বাঙালি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতেন নবীর হোসেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বাঙালি নদী থেকে অবৈধ উপায়ে বালু তোলার অপরাধে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ বিষয়ে সবুজ কুমার বসাক বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে মঙ্গলবার রাতেই বগুড়া জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এ উপজেলার অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।
প্রেমিকের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার প্রেমিকা
সারিয়াকান্দিতে স্মৃতি আক্তার (১৯) নামে এক তরুণী প্রেমিকের বাড়িতে নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে এ বিষয়ে ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে সারিয়াকান্দি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, স্মৃতির নানার বাড়ি সারিয়াকান্দির হরিণা গ্রামে। নানার বাড়ি যাতায়াত করতে করতে ৪ বছর আগে ওই গ্রামের বাহাদুর রহমানের ছেলে সাফিউর রহমান সাফির (২৫) সঙ্গে স্মৃতির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শুক্রবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাফি স্মৃতিকে তাদের বাড়িতে ডেকে নেয়। সেদিন দুপুরে স্মৃতি সাফির বাড়িতে এলে সাফির মা এবং তার আত্মীয় স্বজন স্মৃতিকে মারপিট করে এবং তার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। এরপর তারা স্মৃতির নিকট থেকে তার হাতব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। যার ভেতরে নগদ টাকা এবং মোবাইল ছিল। মারপিটের পর স্মৃতিকে সাফির নানার বাড়িতে রেখে আসা হয়। এ বিষয়ে স্মৃতি বলেন, সাফির সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। বিষয়টি নিয়ে সাফির বাসায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনেও পাওয়া যায়নি। সারিয়াকান্দি থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
বগুড়ায় সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও শীতবস্ত্র বিতরণ 
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে গরীব অসহায় শীতার্তদের মধ্যে কম্বল এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।  বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার সারিয়াকান্দি পাবলিক লাইব্রেরি এন্ড ক্লাব মাঠে এ কর্মসূচি পালিত হয়। পৌর এলাকার বিধবা রমিছা বেগম (৭৫) বাস করেন একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরে। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি শীতে কষ্ট করছেন। শীত নিবারণের জন্য কোনও গরম কাপড় তার ঘরে নেই। সেনাবাহিনীর কম্বল পেয়ে তিনি খুব খুশি। রমিছা বেগম বলেন, কয়দিন থেকে শীতে খুব কষ্ট করছি। কেউ কোন খোঁজ খবর নেয়নি। আজ কম্বল পেয়ে তিনি খুবই খুশি। কথা হয় বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে আসা নারচী গ্রামের আবেদিন জয়নাল টুকুর (৭০) সাথে। তিনি জানান, গত কয়েক বছর ধরে তিনি ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা চিকিৎসা সেবা দেবে একথা জেনে তিনি এসেছেন চিকিৎসা নিতে। বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ঔষধ পেয়ে তিনি খুবই খুশি। সদর দপ্তর ১১ পদাতিক ডিভিশন কর্তৃক এ উপজেলার মোট ৪০০টি শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও, মেডিকেল ক্যাম্পেইন এ ৫০০ জন গরীব রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়।  শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধন করেন, বিএ-৭১৭৮ লে. কর্নেল এস এম সুদীপ্ত শাহীন, পিপিএম (বার), পিএসসি, অধিনায়ক, অগ্রগামী ঊনষাট। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারিয়াকান্দি পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি ও বগুড়া সেনানিবাসের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা।