• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে গুলি করেছে এক বন্দুকধারী। ঘটনাস্থল থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে বুধবার (১৫ মে) মধ্যাঞ্চলের হ্যান্ডলোভাতে একটি সরকারি বৈঠক শেষে বের হয়ে আসার পর সেখানে উপস্থিত জনতার মধ্য থেকে বন্দুকধারী ফিকোকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়েন। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর। ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়লো বিদেশি জাহাজ
২ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা
রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন
সান্ত্বনার জয়ে রাজস্থানের আক্ষেপ বাড়ালো পাঞ্জাব
১৮তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন
তনির প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যে আরেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ
খাদ্য মূল্যস্ফীতির চক্রে নিম্ন আয়ের মানুষ
বিশ্বকাপ দলকে যে বার্তা মাশরাফীর
একাদশে ভর্তি আবেদন শুরুর তারিখ জানা গেল
প্রতি রাতে মনে হতো এটাই জীবনের শেষ রাত: প্রধান প্রকৌশলী
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
খাদ্য মূল্যস্ফীতির চক্রে নিম্ন আয়ের মানুষ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জাপানের ভাইস মিনিস্টারের বৈঠক
সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ২০১ কর্মকর্তা
সিনিয়র স্কেলে তথা সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০১ কর্মকর্তা। বুধবার (১৫ মে) এ পদোন্নতির বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অধীন সিনিয়র স্কেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সিনিয়র স্কেলে পদোন্নতি দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের বরাবর ই–মেইলে যোগদান করবেন। একইসঙ্গে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা বর্তমান কর্মস্থলে কর্মরত থাকবেন। পদোন্নতির ফলে তারা জাতীয় বেতন গ্রেড-২০১৫ এর ষষ্ঠ গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। এ গ্রেডের মূল বেতন ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে বাড়তে বাড়তে ৬৭ হাজার ১০ টাকা পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ আছে।
লু’র সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
লু’র সঙ্গে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: লু
বিশ্বাস পুনর্নির্মাণের জন্য আমি বাংলাদেশ সফর করছি: লু
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা, সতর্ক করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা, সতর্ক করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
ঈদুল আজহার আগেই বেতন-বোনাস পাচ্ছেন শ্রমিকরা
ঈদুল আজহার আগেই বেতন-বোনাস পাচ্ছেন শ্রমিকরা
অর্থমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
অর্থমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত
‘ডাইনিগুলা তোরা জাহান্নামে যা’
সৃজিতের নতুন সিনেমায় তারার মেলা
নতুন সিনেমার খবর দিলেন কলকাতার গুণী নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। নাম ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’। এতে দেখা যাবে এক ডজন তারকাকে। মঙ্গলবার (১৪ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি এ তথ্য জানান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কে কে থাকছেন এই সিনেমায়? জানা গেছে, অর্জুন চক্রবর্তী, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনন্যা চট্টোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিক, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্র, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সুহত্র মুখোপাধ্যায় এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তারকাদের উপস্থিতি থাকছে এই সিনেমায়। প্রসঙ্গত,‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ সিনেমাটি সৃজিত তার ‘বাইশে শ্রাবণ’ সিনেমার গানের জনপ্রিয় লাইনের নামেই নামকরণ করেছেন। এটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ। 
সৃজিতের নতুন সিনেমায় তারার মেলা
নিপুণকে নিয়ে জায়েদ খানের বিস্ফোরক মন্তব্য
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। এতে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যেই কমিটি বাতিল চেয়ে বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। বিষয়টি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বুধবার (১৫ মে) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়ে তিনি বলেন, একজন মানুষ লোভে পড়ে বেহায়া হয়ে, যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তখন বলেছিলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ ওনার এত দিন পরে মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। জায়েদ খান আরও বলেন, এমন নিচুমনা শিল্পীকে সবার এড়িয়ে চলা উচিত। এক মুখে কত কথা বলেন। উনি শিল্পী নামের কলঙ্ক। আইন বা রিটের বিষয়ে তো আমি কিছু বলতে পারব না, তবে নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে এখন আবার তার উল্টো কথা।  প্রসঙ্গত, দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নিপুণ। সেবার তার আপত্তি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নিপুণকে নিয়ে জায়েদ খানের বিস্ফোরক মন্তব্য
মিশা-ডিপজলের বিরুদ্ধে রিট, যা বললেন নিপুণ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৯ এপ্রিল। এতে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যেই কমিটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। রিটে তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে। নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট করেন। জানা গেছে, নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে দেশের একটি গণমাধ্যম যোগাযোগ করে নিপুণের সঙ্গে। এ সময় তিনি বলেন, হ্যাঁ এই রিট আমি করেছি। অর্থাৎ আমার পক্ষ থেকেই করা হয়েছে। এখানে এই মুহূর্তে ভোর ৫ টা বাজে। আমি নিউইয়র্ক থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের উদ্দেশ্যে ফ্লাই করবো। বিস্তারিত পরে জানাব।
মিশা-ডিপজলের বিরুদ্ধে রিট, যা বললেন নিপুণ
হাসপাতালে রাখি সাওয়ান্ত 
গুরুতর অসুস্থ হয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। হৃদরোগজনিত সমস্যার কারণেই তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইতোমধ্যে তার কিছু ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেসব ছবিতে দেখা গেছে, হাসপাতালের বিছানায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন রাখি। তার এক আঙুলে অক্সিমিটার এবং অন্য হাতে স্যালাইনের নল লাগানো। ব্লাড প্রেসারও মনিটর করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাও যোগাযোগ করে রাখির সঙ্গে।  এ সময় তিনি বলেন, আমার হার্টে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমি এখন কথা বলার অবস্থায় নেই। আমাকে আগামী ৫-৬ দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, তা জানাননি বলিউডের এই ‘ড্রামা কুইন’। সাফ জবাব, আমি এখন কোন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি, তা বলতে পারব না। দয়া করে আমাকে কিছুটা সময় দিন। পরে রাখির ভাই রাকেশ সাওয়ান্ত বলেন, রাখি ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারে ভুগছেন। এটি সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছিল। সে ক্রিটিকেয়ার এবং বালাজি হাসপাতালের ভেন্টিলেটর সাপোর্টে ছিল। গত ১৪ মে তার শরীরের কিছু অর্গান এবং হার্ট ফেইলিওর হয়। আশা করছি, রাখি খুব দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাখির প্রাক্তন স্বামীর দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ওই সময় তিনি ছিলেন দুবাই। সেখান থেকে কয়েক দিন আগেই তিনি ভারতে ফিরেছেন। এর মধ্যেই হয়ে পড়লেন অসুস্থ। 
হাসপাতালে রাখি সাওয়ান্ত 
রংপুরে তুলা গবেষণা কেন্দ্রে আগুন
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম বাজারে উঠতে আরও ১৫ দিন লাগতে পারে
কুড়িগ্রামে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
পায়রা বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়লো বিদেশি জাহাজ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মিত দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা সমুদ্র বন্দরে প্রথমবারের মতো ভিড়েছে বিদেশি জাহাজ।  বুধবার (১৫ মে) দুপুরে বন্দরের নবনির্মিত প্রথম জেটিতে লাইমস্টোন (ছোট পাথর) নিয়ে পানামার পতাকাবাহী ‘জেন’ নামের জাহাজ নোঙর করেছে।  দুবাইয়ের ফৌজিয়া বন্দর থেকে ৫০ হাজার ৫০০ টন লাইমস্টোন নিয়ে বাংলাদেশে আসে জাহাজটি। ইনার ও আউটার অ্যাঙ্করে লাইটারেজে করে বন্দরের জেটিতে ২৪ হাজার টন লাইমস্টোন নিয়ে নোঙর করে। ২০০ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটি পায়রা বন্দরের জেটিতে নোঙর করায় বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেটিতে কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা একে অপরকে মিষ্টিমুখ করে দিনটি স্মরণীয় করে রাখেন।  পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, আজ পরীক্ষামূলকভাবে একটি জাহাজ বন্দরের জেটিতে অবস্থান নিয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর সফরে আসবেন এবং বন্দরের জেটিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা উদ্বোধন করবেন।  উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেলে দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর হিসেবে পায়রার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। আর ২০১৬ সালের আগস্টে বন্দরের বহিনোঙরে অপারেশন কার্যক্রম শুরু হয়। 
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক
ইটালিতে ১০৯ মাফিয়া সদস্য গ্রেপ্তার
মুম্বাইয়ে ঝড়ে ভেঙে পড়ল বিলবোর্ড, নিহত বেড়ে ১৬
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত  
দুবাইয়ে বিশ্বের ধনকুবেরদের পাহাড়সম সম্পদের নথি ফাঁস, কার কত  
ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন
ইসরায়েলের সেনা ঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতাকে গণহত্যা বলতে নারাজ আমেরিকা 
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতাকে গণহত্যা বলতে নারাজ আমেরিকা 
গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু: জাতিসংঘ
বিশ্বকাপ দলকে যে বার্তা মাশরাফীর
রাজস্থানকে অল্পতেই আটকালো পাঞ্জাব
সান্ত্বনার জয়ে রাজস্থানের আক্ষেপ বাড়ালো পাঞ্জাব
আইপিএলের চলতি আসরে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দ্বিতীয় দল হিসেবে রাজস্থান রয়্যালসেরও প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে। তবে দলটির সেরা দুইয়ে থাকা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। পাঞ্জাবকে হারাতে পারলে সেই চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারতো রাজস্থান। তবে আক্ষেপ বাড়িয়ে নিজেদের ১৩তম ম্যাচে পাঞ্জাবের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থাকলেও হাদরাবাদের দুটি ম্যাচ বাকি থাকায় চিন্তা মুক্ত হতে পারলো না তারা। বুধবার (১৫ মে) গুয়াহাটির বারসাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ তুলে রাজস্থান। দলের হয়ে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন রিয়ান পরাগ। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৫ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাঞ্জাব। ইনিংসের প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন প্রভসিমরান সিং। বোল্টের বলে চাহালের মুঠোবন্দি হওয়ার আগে ১ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। এরপর দলীয় ৫০ পেরোনোর আগেই একে একে সাজঘরে ফেরেন জনি বেয়ারস্টো (১৪), রুশো (২২) এবং শশাঙ্ক সিং (৪)। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের আক্ষেপ বাড়াতে শুরুর করেন দলপতি স্যাম কারান। তাকে যোগ সঙ্গ দেন জিতেশ শর্মা।  দলীয় ১১১ রানের মাথায় জিতেশ ফিরলেও বাকি কাজটা সারেন বিশ্বকাপজয়ী কারান। শেষ পর্যন্ত ৩ ছক্কা ও ৫ চারে তার ৪১ বলে ৬৩ রানের মারকাটারি ইনিংসে ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার। ৪ বলে ৪ রান করে যশস্বী জয়সওয়াল আউট হলে, ২৩ বলে ১৮ রান করে তাকে সঙ্গ দেন টম কোহলার-ক্যাডমোর। এদিন পাঞ্জাবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের বিপরীতে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাঞ্জুও। ১৫ বলে ১৮ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। এরপর অশ্বিনকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন রিয়ান পরাগ। তাদের ব্যাটে এগোতে থাকে রাজস্থান। শেষ দিকে অশ্বিন ১৯ বলে ২৮ রান করে ক্যাচ আউট হলেও রিয়ান পরাগের ৩৪ বলের ৪৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেন স্যাম কারান, হর্ষাল প্যাটেল এবং রাহুল চাহার। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নেন নাথান এলিস ও আরশদীপ সিং।
সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দিতে চান শান্ত
সাকিব-মাহমুদউল্লাহকে ‘উপহার’ দিতে চান শান্ত
টস জিতে ব্যাটিংয়ে রাজস্থান
টস জিতে ব্যাটিংয়ে রাজস্থান
সাইফউদ্দিনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন পাপন
সাইফউদ্দিনের বাদ পড়া নিয়ে যা বললেন পাপন
অবশেষে মুখ খুললেন সাইফউদ্দিন
অবশেষে মুখ খুললেন সাইফউদ্দিন
সাইফউদ্দিনকে নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা হাথুরু-শান্তর
সাইফউদ্দিনকে নিয়ে নতুন ব্যাখ্যা হাথুরু-শান্তর
দুর্ঘটনা কমাতে ফ্রান্সে প্রচারণা- ‘নারীর মতো গাড়ি চালান’
ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সমাজে প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী পুরুষেরা নারীদের চেয়ে নিরাপদ চালক৷ কিন্তু ফরাসি সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে ভিন্ন চিত্র৷ ফ্রান্সে গাড়ি চালানোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে একটি প্রচারণা চালানো হচ্ছে৷  ভিকতিম এ সিতোয়ে অ্যাসোসিয়েশন পুরুষদের একজন নারীর মতো গাড়ি চালানোর অনুরোধ করেছে৷ ভিকতিম এ সিতোয়ে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিতদের সহায়তা প্রদান করার পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও করে থাকে৷ ফ্রান্সে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী? ফরাসি সড়ক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সালে সংঘটিত ৮৪% ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় চালকের আসনে ছিলেন পুরুষ৷ বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে ৯৩% দুর্ঘটনার জন্য পুরুষদের মদ্যপানকে দায়ী করা হয়৷ পুরুষদের নিরাপদ চালক ভাবার যে সেক্সিস্ট ধারণা, সেটিকেও ভিক্টিম অ্যান্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাখ্যান করছে৷ তাদের মতে, নারীদের গাড়ি চালানোর কৌশল অবলম্বন করলে তা মানুষকে অন্তত বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে৷ একজন নারীর মতো গাড়ি চালান! স্লোগানে প্রচারণাটি অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাশাপাশি শহরের পাতাল রেলস্টেশন ও ডিজিটাল বোর্ডেও দেখা যাচ্ছে৷
গরম পানি দিয়ে দ্রুত বরফ জমানোর টিপস
গরম পানি দিয়ে দ্রুত বরফ জমানোর টিপস
কলাপাতার ফেসপ্যাকে ত্বক-চুলের যত্ন
কলাপাতার ফেসপ্যাকে ত্বক-চুলের যত্ন
যে সুপারফুডে সুস্থ থাকবে হার্ট, কমবে থাইরয়েড সমস্যা
যে সুপারফুডে সুস্থ থাকবে হার্ট, কমবে থাইরয়েড সমস্যা
  • ১১ মে ২০২৪, ১৫:৫০
    চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?

    চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিকে কি সমর্থন করেন?

    • হ্যাঁ
      ৯৩.৮৪%
    • না
      ৫.৬৬%
    • মন্তব্য নেই
      ০.৫০%
    মোট ভোটদাতাঃ ৮,৮১২ জন
    মোট ভোটারঃ ৮,৮১২
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
৫৮১ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ মামলায় পোটনসহ ৫ জন কারাগারে 
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে না রাখার রায় স্থগিত
মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে না রাখার রায় স্থগিত
দেড় যুগ আগে গৃহকর্মীকে হত্যা: দম্পতির যাবজ্জীবন
দেড় যুগ আগে গৃহকর্মীকে হত্যা: দম্পতির যাবজ্জীবন
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল
হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন বিএনপি নেতা আলাল
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৪ মে) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত (অস্থায়ী) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ চলে। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় এদিন তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া হাজিরা দেন। এদিন জব্দ তালিকার সাক্ষী আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেন তাকে। তবে আব্দুল বাকীর জেরা শেষ হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৭ সালে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ছাড়া মামলার বাকি আসামিরা হলেন- দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। এর মধ্যে এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দুদকের অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে সরকারে থাকাকালে খালেদা জিয়াসহ বেশ কয়েকজন ক্ষমতার অপব্যবহার করে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোকে অবৈধভাবে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের সুবিধা পাইয়ে দেন। অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা লোকসানের অভিযোগ আনা হয়।   
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন
কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়, আপিল করবে সরকার
মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৪ মে) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করবে। এর আগে সোমবার (১৩ মে) মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।  সেইসঙ্গে বর্তমানে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে রায়ে। তবে বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। হাইকোর্টে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু। এর আগে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন– চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল বিচারাধীন রয়েছে। গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।  
কনডেম সেলে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা নিয়ে রায়, আপিল করবে সরকার
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) সেই মামলায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিচারক জুলফিকার হায়াত জবির সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে। এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে। যেসব শর্তে প্রবেশন পেলেন তিথি : আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান। শর্তসমূহ হলো :  ১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন। ২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন। ৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে। ৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন। ৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না। ৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। ৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে। আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন। মূলত প্রবেশন একটি সামাজিক সংশোধনী কার্যক্রম। কোনো অপরাধী যেন ভবিষ্যতে নতুন করে অপরাধকর্মে লিপ্ত না হন এবং আইন মনে চলা ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন, প্রবেশনের মাধ্যমে আদালত দণ্ডিত ব্যক্তিকে সেই সুযোগ দেন। তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে। তিথির আইনজীবী বাবুলুর রহমান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিথি সরকার নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আদালতের কাছে সুযোগ চান। এর আগে তিনি ২১ মাস জেল খেটেছেন। সব কিছু বিবেচনা করে আদালত তাকে সংশোধনের জন্য এক বছরের প্রবেশন দেন। এই এক বছরে যদি তিনি আচরণগত পরিবর্তনসহ শর্তসমূহ মেনে চলেন তাহলে তাকে আর সাজা খাটতে হবে না। আর শর্ত ভঙ্গ হলে পূর্ণ সাজা ভোগ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ মামুন সিকদার জানান, প্রবেশনের সময় শেষ হওয়ার পর প্রবেশন কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে তিথি সরকার পুরো পাঁচ বছর সাজা খাটবেন নাকি মুক্তি পাবেন। রিপোর্ট ভালো হলে সাজা না খাটলেও চলতে পারে। আবার রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে সাজা খাটতে হবে।
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির
সাগর-রুনি হত্যা মামলা বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার বড় উদাহরণ: হাইকোর্ট
চাঞ্চল্যকর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার বড় উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা সংক্রান্ত রিটের রায়ে দুই বিচারপতি নিজেদের পর্যবেক্ষণে এ মন্তব্য করেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। এই রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় বিগত ১২ বছর ধরে তদন্ত হচ্ছে। এখনও তদন্তই শেষ হচ্ছে না, বিচার তো আরও পরের স্টেজ। আমাদের দেশে ট্রায়াল স্টেজ শেষ হতেই ৫ থেকে ১০ বছর সময় লেগে যায়। এ ধরনের বিলম্ব যেখানে হয় সেখানে মৃত্যুদণ্ডের আসামিকে নির্জন সেলে ১৫ থেকে ২০ বছর যদি বন্দি রাখা হয় তাহলে তাকে ডাবল শাস্তি দেওয়া হয়। মূল রিট মামলার রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু। আইনজীবী শিশির মনির বলেন, রায়ে আদালত বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দির বিষয়ে তথ্য চাইলে (সাংবাদিক, গবেষক) আইন অনুসারে তা কারাকর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির বিষয়ে সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকেও আইন অনুসারে তথ্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক রিপোর্টেও এসব আসামির তথ্য সন্নিবেশিত করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, আমাদের দেশে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির জামিনের দরখাস্ত শুনানি করা হয় না। বাকি আসামিদের জামিনের দরখাস্ত সহসাই শুনানি হয় এবং তারা জামিন লাভ করেন। কিন্তু মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হলে তার জামিনের আবেদন আর শুনানি হয় না। আদালত বলেছেন, অন্যান্য আসামিদের মতো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের আবেদনও যেন শুনানি করা হয়। আইনজীবীরা বলেছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়।    
সাগর-রুনি হত্যা মামলা বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার বড় উদাহরণ: হাইকোর্ট

নামাজের ওয়াক্ত শুরু

তারিখ : ১৬ মে, ২০২৪
অনলাইন সংস্করণ
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
আ. লীগের কারণে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত দেশের মানুষ: ফখরুল
আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের মানুষ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ১৬ মে ‘ফারাক্কা দিবস’ আমাদের জাতীয় আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ থেকে ৪৮ বছর আগে অবিসাংবাদিত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে সারাদেশ থেকে লাখো জনতা ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে ঐতিহাসিক লংমার্চে অংশ নেয়। ভারতে গঙ্গা নদীর ফারাক্কা পয়েন্টে বাঁধ নির্মাণ করে অভিন্ন নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার শুরু করা হয়। যার ফলে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল আজ প্রায় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। ওই এলাকায় পানি সংকটসহ নানাবিধ প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।  তিনি বলেন, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত মানকে বিবেচনা না করে এবং প্রাকৃতিক ও মানবিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের মতামতকে অগ্রাহ্য করে ভারতকে কয়েক দিনের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। কিন্তু সেই বাঁধ অব্যাহতভাবে আজ পর্যন্ত চালু আছে। এই বাঁধ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। তৎকালীন আওয়ামী সরকারের কারণে এ দেশের জনগণ পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত। ফারাক্কা দিবসের তাৎপর্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব এরপর বলেন, আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে ৫৪টি অভিন্ন নদীতে একের পর এক বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে নদীর ধারাকে বাধাগ্রস্ত করে ভারত একতরফা নিজেদের অনুকূলে যেভাবে পানি প্রত্যাহার করছে, তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ সংকটের মুখে। বাংলাদেশ নিষ্ফলা উষর ভূমি হয়ে ওঠার আলামত ইতোমধ্যেই ফুটে উঠেছে। সুতরাং ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে রাজশাহী থেকে ফারাক্কা অভিমুখে যে ঐতিহাসিক লং মার্চ এগিয়ে গিয়েছিল, তা যেকোনো অধিকার আদায়ে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। বাণীতে ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সংগঠনের সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন বিএনপি মহাসচিব।  
সাংবাদিক প্রবেশে কড়াকড়ি, যা জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (১৫ মে) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র সাঈদা খানম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংবাদকর্মীদের প্রবেশ ও তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশিত হচ্ছে।  বিষয়টি স্পষ্টীকরণের নিমিত্তে এ মর্মে সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রদানযোগ্য সকল তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনের জন্য নিম্নবর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে-   ১) বাংলাদেশ ব্যাংক সম্পর্কিত গণমাধ্যমে প্রদানযোগ্য তথ্য প্রদান, তার ব্যাখ্যা ও সম্পূরক তথ্যাদি প্রদানের জন্য নির্বাহী পরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা মুখপাত্র হিসেবে এবং পরিচালক পর্যায়ের দুইজন কর্মকর্তা সহকারী মুখপাত্র হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। যে কোনো সংবাদকর্মী অফিস চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনে প্রবেশ করে উল্লেখিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগপূর্বক তথ্য সংগ্রহ ও বক্তব্য গ্রহণ করতে পারেন। ২) কোনো বিশেষ প্রয়োজনে কোনো নির্দিষ্ট কর্মকর্তার নিকট থেকে প্রবেশ পাশ গ্রহণপূর্বক উক্ত কর্মকর্তার নিকট সংবাদকর্মীরা প্রয়োজনীয় তথ্যাদির ব্যাখ্যা গ্রহণ করতে পারেন। ৩) বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ে সময়ে প্রেস কনফারেন্স, প্রেস রিলিজ ও অন্যান্য মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করছে। ৪) এ ছাড়াও অবাধ তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংক তার নিকট সংরক্ষিত সকল অর্থনৈতিক তথ্য ও উপাত্ত ইহার ওয়েবসাইটে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করে আসছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে দেশের জনসাধারণের কাছে সব প্রদানযোগ্য তথ্য দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর। সে আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বর্ণিত পদ্ধতিতে তথ্য সরবরাহ ও তার ব্যাখ্যা প্রদান করছে। জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে সাংবাদিকরা ব্যাংকের নির্দিষ্ট অনুমতিপত্র (প্রবেশ পাস) নিয়েই কেবল মুখপাত্রের কাছে যেতে পারবেন। আর কোনো কর্মকর্তা যদি সাংবাদিকদের পাস দেন, সে ক্ষেত্রে তারা শুধু সেই কর্মকর্তার কাছে যেতে পারবেন। তবে আগের মতো তারা অবাধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিভাগে প্রবেশ করতে পারবেন না। গত বুধবার (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তির ছাড় বিষয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিবি। সংবাদ সম্মেলনে উপ‌স্থিত হ‌য়ে প্রোগ্রাম‌টি বয়কট করেন শতা‌ধিক সংবাদকর্মী।  সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এজন্য তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সপ্তাহে এক দিন করে বসবে। তবে তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করে বয়কটের ডাক দেন সাংবাদিকরা। তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এরপরই কনফারেন্স রুম ছেড়ে বাইরে অবস্থান করেন সম্মেলনে আগত সাংবাদিকরা।
লাজফার্মায় চাকরির সুযোগ, প্রতিবছর বাড়বে বেতন
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে চাকরি, নেবে একাধিক
আকিজ গ্রুপে নিয়োগ, আবেদন ৪৫ বছরেও  
ওজোপাডিকোতে চাকরির সুযোগ, আছে সার্বক্ষণিক গাড়ি
একাদশে ভর্তি আবেদন শুরুর তারিখ জানা গেল
নীতিমালা প্রকাশ, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করবেন যেভাবে
শঙ্কা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৩ জনের মৃত্যু
১৮তম নিবন্ধনের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন
ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যা: সেই ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি
তথ্য চুরি করে এনআইডি বিক্রি করতেন ইসির কর্মচারী
আদালতে মিল্টন, কারাগারে আটক রাখার আবেদন
মিল্টনের রিমান্ড শেষ, পাঠানো হবে আদালতে
সাইবার হামলা কমলেও তথ্য পুনরুদ্ধারে ব্যয় বেড়েছে
ইউটিউবে ভিউ মিলিয়নপ্রতি আয় যত
বিশ্ব মা দিবসে গুগলের বিশেষ ডুডল
পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগে বিপর্যয়ের শঙ্কা
X
Fresh