• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যে প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত
প্রথমবারের মতো যৌথ সামরিক মহড়া করবে বাংলাদেশ ও চীন। আগামী মে মাসে এ মহড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া ও পিপলস ডেইলি এ খবর প্রকাশ করেছে। চীনা জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চীন ও বাংলাদেশের সম্মতির ভিত্তিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে আগামী মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে যাবে। চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনিয়র কর্নেল উ কিয়ান বলেন, চীনা ও বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর মধ্যে ঐকমত্য অনুসারে, পিএলএ সেনাবাহিনী মে মাসের প্রথমার্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘গোল্ডেন ফ্রেন্ডশিপ-২০২৪’ নামক যৌথ সামরিক মহড়ার জন্য বাংলাদেশে একটি দল পাঠাবে। তিনি বলেন, যৌথ মহড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে আদর্শ হিসেবে নেবে এবং অপহরণরোধী, সন্ত্রাসীদের আস্তানা নির্মূলকে গুরুত্ব দেবে।  কর্নেল উ কিয়ান বলেন, চীনা এবং বাংলাদেশি সামরিক বাহিনী প্রথমবারের মতো যৌথ প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য এমন মহড়া আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করবে এবং বিনিময় ও সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে। এ খবরের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেছেন, ওই মহড়ার দিকে ভারত নজর রাখবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে।   তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে। সেই সব বিষয়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে থাকি।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩৯

বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বজুড়ে গত বছর সামরিক ব্যয় ৬.৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব ভৌগোলিক অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর ডয়চে ভেলে।  সিপ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ খরচ করে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর দেশটি ৯১৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এরপরে এ তালিকায় রয়েছে চীনের নাম। চীনরে সামরিক ব্যয় ২৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ১২ শতাংশ। রাশিয়ার সামরিক বয় ১০৯ বিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ। এরপরে রয়েছে ভারত (৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার, ৩.৪ শতাংশ) এবং সৌদি আরব (৭৫.৮ বিলিয়ন ডলার, ৩.১ শতাংশ)। এছাড়া একই সময়ে যুক্তরাজ্য ব্যয় করেছে ৭৪.৯ বিলিয়ন, জার্মানি ৬৬.৮ বিলিয়ন, ইউক্রেন ৬৪.৮ বিলিয়ন, ফ্রান্স ৬১.৩ বিলিয়ন, জাপান ৫০.২ বিলিয়ন, ইসরায়েল ২৭.৫ বিলিয়ন ও পাকিস্তান ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, ওশেনিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ সব অঞ্চলেই সামরিক ব্যয় বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সামরিক ব্যয় বেড়েছে ডিআর কঙ্গোতে (১০৫ শতাংশ)। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়ছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সিপ্রির গবেষক চিয়াও লিয়াং বলেন, মেক্সিকো ও এল সালভেদরে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গ্যাং সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইকুয়েডর ও ব্রাজিলেও একই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে বলেও জানান এই গবেষেক। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ : ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ৬৪.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ইউক্রেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। তবে দেশটি ২০২৩ সালে  সামরিক সহায়তা পেয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে সবমিলিয়ে ইউক্রেন গত বছর সামরিক খাতে খরচ করেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ১০৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে রাশিয়া। তবে জিডিপির হিসেবে দেখা যায়, জিডিপির ৩৭ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ইউক্রেন। সেই তুলনায় রাশিয়ার ব্যয় হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। ফলে ‘যুদ্ধটা রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনের ওপর বেশি বোঝা হয়ে উঠেছে, বলে মন্তব্য করেন লিয়াং। চীন-তাইওয়ান সংকট : দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার কারণে ২০২৩ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে চীনে। চীন তার খরচ আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২৯৬ বিলিয়ন ডলার করেছে। এশিয়া ও ওশেনিয়া এলাকার মোট সামরিক ব্যয়ের অর্ধেক করেছে চীন। সিপ্রির গবেষক লিয়াং বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে চীন। এছাড়া চীন সামরিক ব্যয় বাড়ানোয় জাপান, তাইওয়ান ও ভারতও সামরিক বাজেট বাড়িয়েছে বলে মনে করেন এই গবেষক। সামরিক বাজেট ১১ শতাংশ বাড়িয়েছে জাপান (৫০.২ বিলিয়ন ডলার) ও তাইওয়ান (১৬.৬ বিলিয়ন ডলার)। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নিকলাস শ্যোরনিগ বলেন, আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যখন সামরিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং নিরাপত্তা ইস্যুটি সামরিক কাঠামোর ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। সেই অর্থে সংখ্যাগুলো ওই মানসিকতার প্রতিফলন মাত্র। ইউক্রেন যুদ্ধ, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলা, ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। যেখানে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সেকেলে বা আর কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে হামলা চালানোর চেয়ে প্রতিরক্ষার বিষয়টি বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮

ইসরায়েল–ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে বিল পাস
ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে।  স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোটাভুটির পর এসব বিলে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি। বিপক্ষে ১১২ ভোট পড়েছে। ইউক্রেনের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের জন্য পাস হওয়া বিলটিতে দেশটিকে ২৬ দশমিক ৪ ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সহায়তা প্রস্তাব নিয়ে চাপের মধ্য ছিলেন। এখন প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাসের ঘটনায় বাইডেনের বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকদের অনেকে। বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। শিগগিরই তা সিনেটে তোলা হবে। সেখানে বিল দুটি পাস করার জন্য সিনেটরদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন। এর পরই বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে। তখন ইসরায়েল ও ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে বাইডেন প্রশাসনের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না। এদিকে শনিবার (২০ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে পাস হওয়া বিদেশী সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে আরও রয়েছে-তাইওয়ানসহ এশিয়া-প্যাসিফিকের মিত্রদের জন্য "কমিউনিস্ট চীনের বিরুদ্ধে" অর্থায়নে ৮  দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। সূত্র : বিবিসি
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮

ইরানের হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ক্ষতিগ্রস্ত
ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে  দুই শতাধিক মিসাইল ও ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান। এতে ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরানের হামলার বিষয়ে দেওয়া আপডেটে এ কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর আল জাজিরা। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, ইরানি হামলায় তাদের সামরিক ঘাঁটির ‘সামান্য ক্ষতি’ হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইরান ইসরায়েলে দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং তাদের ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় আটকে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কিছুসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে পড়েছে, ফলে একটি সামরিক ঘাঁটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে, তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধুমাত্র একটি ছোট মেয়ে আহত হয়েছে এবং আশা করি সে ভালো হয়ে যাবে। এদিকে পরে নতুন করে দেয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর বেশিরভাগকেই ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করার আগে এই অঞ্চলের কৌশলগত মিত্রদের সাথে তার ‘অ্যারো’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে আটকে দিয়েছে। অ্যারো অ্যারিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম হলো অতি উচ্চতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করার একটি পদ্ধতি। সম্প্রতি ইসরায়েল হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলায় এটি ব্যবহার করে। এদিকে ইসরায়েলে হামলায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিছিল করেছে শত শত ইরানি নাগরিক। দেশটির বিভিন্ন স্থানে এই মিছিল হয়েছে। তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে ইসরায়েলে চালানো হামলা উদযাপন করতে অনেকেই জড়ো হন। বহু মানুষকে ইরানের পতাকা হাতে দেখা যায়।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৮

ইরান-ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে কতটা এগিয়ে
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এরইমধ্যে শুক্রবার  ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বলছে, ইরানের মদতে এই হামলা হয়েছে। তারা ইরানকে কড়া জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি করেছে। সবমিলিয়ে ইসরায় ও ইরানের এক উত্তেজনারকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। তেমনি ইসরায়েলও এক্ষেত্রে আরও বেশি শক্তিশালী। ইসরায়েলের সামরিক শক্তি ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্স’ এর গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক রয়েছে। যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান। এ ছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান ইউনিট, সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোমে ১০টি ব্যাটারি থাকে। যার এক একটি ব্যাটারি দিয়ে অন্তত ৬০ কিলোমিটার অঞ্চল রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য বস্তু আটকে দিতে সক্ষম। ইরানের সামরিক শক্তি বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। ইরানের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না। এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশপাশি ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। এসব স্পিডবোড এবং সাবমেরিন ব্যবহার করে তারা জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এমনকি বিশালাকৃতির জাহাজ জব্দ করতে পারে। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৫

ইসরায়েলের একাধিক সামরিক স্থাপনায় রকেট হামলা
ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। শনিবার (১৩ এপ্রিল) প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ দাবি করে, শুক্রবার ইসরায়েলি মালিকিয়াহ সাইটে আর্টিলারি শেল ও রকেট হামালা চালানো হয়েছে। এতে ইসরায়েলের বেশ কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ইসরায়েলের আল-মারজ সাইটেও হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি। রকেট দিয়ে এই হামলা করা হয়। হিজবুল্লাহ আরও দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে ২৪০টি ভারী রকেট নিক্ষেপ করেছে। যেগুলোর একেকটির ওজন ১০০ থেকে ৫০০ কেজি। রকেট হামলায় ইসরায়েলের দখলকতৃ বিরানিত অঞ্চলের আল-জলিল ডিভিশনের হেডকোয়ার্টার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রেস টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা অধিকৃত কাফারচৌবা গ্রামের রুওয়াইসাত আল-আলম ও আল-সামাকা সাইটে আর্টিলারি শেল নিক্ষেপ করেছে। তারা বেশ কয়েকটি রকেট দিয়ে কারান্তিনা হিল ফাঁড়িতে আঘাত হানে। একইসঙ্গে রামোত নাফতালি মোশাভে ইসরায়েলি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এদিকে সিরিয়ার দামেস্কে কনস্যুলেটে হামলার প্রতিশোধ নিতে ইরান যেকোনো সময় ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারে। এ অবস্থায় নিজ নাগরিকদের ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে রয়েছে ভারত, ফ্রান্স, রাশিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যও।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৭

সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে জাপান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
হোয়াইট হাউসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা হুমকি মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হতে পারে এ সাক্ষাতে৷ মঙ্গলবার রাতে হোয়াইট হাউসে জাপানের সরকারপ্রধানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট৷ এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা৷ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন এবং উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে পাওয়া হুমকি মোকাবিলায় জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করবেন দেশ দুটির দুই শীর্ষ নেতা৷ ধারণা করা হচ্ছে, ১৯৬০ সালের পর সামরিক খাতে এবারই ওয়াশিংটন ও টোকিওর মধ্যে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যাবে৷ হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান জানিয়েছেন, এই দুই নেতা আমাদের সামরিক বাহিনীর সমন্বয় ও একীকরণের বিষয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর ঘোষণা দেবেন বলে আশা করছি৷ কিশিদার সফরে যা থাকছে স্ত্রী ইউকোকে নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসেছেন কিশিদা৷ তাই হোয়াইট হাউসে তাদের স্বাগত জানানোর সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে দেখা গেছে ফার্স্ট লেডি জিলকেও৷ বুধবার রাষ্ট্রীয় নৈশভোজের আগে জিল বাইডেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশগুলো এমন একটি বিশ্বের অংশীদার যেখানে আমরা ধ্বংসের বদলে সৃষ্টি, রক্তপাতের পরিবর্তে শান্তি এবং স্বৈরাচারের বদলে গণতন্ত্রকে বেছে নিই৷ বুধবার দেশ দুটির মধ্যে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে৷ এরপর বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী৷ বৈঠক শেষে রোজ গার্ডেনে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আসবেন দুই নেতা৷ বৃহস্পতিবার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফিলিপাইনসের মধ্যে একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন জো বাইডেন৷ সেখানে উপস্থিত থাকবেন ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের পর দ্বিতীয় জাপানি নেতা হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেবেন কিশিদা৷ এরপর তিনি যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে বিশেষ নৈশভোজে৷ গত বছরের আগস্টে সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন কিশিদা৷ সেবার সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল৷ গত মাসে জাপানের নিপ্পন স্টিলের কাছে ইউএস স্টিল বিক্রির বিরোধিতা করেছিলেন বাইডেন৷ এ ঘটনায় কিশিদার সঙ্গে তার সম্পর্কের কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল৷ যা এখন সম্পূর্ণ বদলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

জিম্মি জাহাজে সামরিক অভিযান চায় না মালিকপক্ষ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি আবদুল্লাহ’ নামের জাহাজটিতে কোনো ধরনের সামরিক অভিযান চায় না মালিকপক্ষ। সোমবার (২৫ মার্চ) জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের (কেএসআরএম) মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ চলছে। তারা ভালো আছেন। নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করে আনা আমাদের লক্ষ্য। এ বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।  মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি জাহাজে সোমালি পুলিশ কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেভাল ফোর্সসহ যেসব সামরিক অভিযানের কথা সামনে আসছে, এগুলো আমরা জানি না। তবে আমাদের বার্তা স্পষ্ট হলো, আমরা কোনো ধরনের সামরিক অভিযানের পক্ষে নই। সামরিক অভিযান চালিয়ে আমরা আমাদের নাবিকদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চাই না। সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক মাধ্যমে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। দস্যুদের কাছে জিম্মি হয় ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে জাহাজটিকে সবশেষ সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূলের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছে। জাহাজসহ নাবিকদের উদ্ধারে নানানভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ও জাহাজটির মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৩

রমজানে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে পারে ইসরায়েল
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইসরায়েল পবিত্র রমজান মাসে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে পারে। যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি বন্দিবিনিময়ও হতে পারে। বাইডেন আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী সোমবারের মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে পারে। আগামী ১০ মার্চ থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আমেরিকার ব্রডকাস্টার এনবিসি-কে বাইডেন বলেছেন, রমজান আসছে। ইসরায়েল এই সময় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে পারে। সেই সময় পণবন্দিদের মুক্ত করার কাজও চলবে। যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যে যে আলোচনা চলছে, তাতে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আছে। সেই সঙ্গে হামাস ও ইসরায়েল দুই পক্ষই কিছু বন্দিকে মুক্তি দেবে। হামাসকে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ-সহ কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, হামাসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের মধ্যে আছে, ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। হামাস যদি একজন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েল ১০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গাজায় ক্ষতিগ্রস্ত হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করে দেয়া হবে। দরকার হলে আবার নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রতিদিন সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে পাঁচশটি ট্রাক ঢুকবে। কাতারের বক্তব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি কাতার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেছেন, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তি দেয়া নিয়ে কোনো মতৈক্য হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, মতৈক্যের জন্য কাতার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্যারিসে একটা খসড়া চুক্তি তৈরি হয়েছে। ইসরায়েল ও হামাস যাতে এই চুক্তি মেনে নেয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কবে যুদ্ধবিরতি হবে, তা নিয়ে কোনোরকম জল্পনা করতে কাতার রাজি নয়। তবে কাতার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আশাবাদী। দুর্ভিক্ষের মুখে গাজা ভূখণ্ডের চারভাগের মধ্যে একভাগ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে আছেন। দুই বছরের নিচে ছয়জন বাচ্চার মধ্যে একজন সেখানে ভয়ংকর অপুষ্টিতে ভুগছে। বস্তুত এই ভূখণ্ডের ২৩ লাখ মানুষ উপযুক্ত পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। যদি যুদ্ধবিরতি হয়, তাহলে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম দ্রুত সেখানে গিয়ে মানুষের হাতে খাবার তুলে দেয়ার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে উত্তর গাজায় দুর্ভিক্ষ অনিবার্য বলে জাতিসংঘের মত।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৩ বিদেশি সামরিক কর্মকর্তার শ্রদ্ধা
বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসে কর্মরত ১১টি দেশের ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।  প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল হামিদুল হকের নেতৃত্বে রোববার (৪ জানুয়ারি) সকালে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা সাভার সেনানিবাস (৯ম পদাতিক ডিভিশন) পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তারা সাভারস্থ বাইপাইল এলাকায় অবস্থিত 4A ইয়ার্ণ ডায়িং লিমিটেড নামক একটি পরিবেশবান্ধব গার্মেন্টস শিল্প কারখানাও পরিদর্শন করেন।  বিদেশি সামরিক কূটনীতিকগণ এ সময় ফ্যাক্টরির উন্নততর ব্যবস্থাপনা, আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতির ব্যবহার, শ্রমিকদের মজুরি ও তাদের কল্যাণে গৃহীত বিবিধ পদক্ষেপ, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় উৎকর্ষতা, মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক, বিদেশে পণ্য রপ্তানিসহ টেকসই উৎপাদন নীতির প্রশংসা করেন। পরবর্তীতে পরিদর্শন শেষে তারা ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। ১৩ জন সামরিক কর্মকর্তা হলেন- অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধি লে.কর্নেল জন ডেম্পসি, চায়নার প্রতিনিধি সিনিয়র কর্নেল ডু জিংসেন, ভারতের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার মানমিত সিং সাবারওয়াল, ইন্দোনেশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল আজওয়ান আবদি, মিয়ানমারের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার সো ন্যুয়েত, নেপালের প্রতিনিধি ব্রিগেডিয়ার রোশান শামসের রানা, প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধি কর্নেল মাহমুদ সারাওনাহ, রাশিয়ার প্রতিনিধি কর্নেল সারগেই ভিক্টরোভিচ নেয়দেনভ্ ও লে.কর্নেল আলেক্সি ইয়্যুরিভিচ তেরেকভ, তুর্কির প্রতিনিধি কর্নেল এরদাল শাহীন, যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধি লে. কর্নেল জন ক্র্যাফোর্ড ম্যাকলিলান স্কর্ট, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি লে.কর্নেল মাইকেল এরিক দ্যিমেশেই ও মেজর ইয়ান লিওনার্দ।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়