• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইরান-ইসরায়েল : সামরিক শক্তিতে কে কতটা এগিয়ে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৭
ইরান ও ইসরায়েল

ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যকার চলমান সংঘাত গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে চলেছে। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ফলে দখলদারদের বিরুদ্ধে হামলার চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। এরইমধ্যে শুক্রবার ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি সামরিক স্থাপনার রকেট হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। ইসরায়েল বলছে, ইরানের মদতে এই হামলা হয়েছে। তারা ইরানকে কড়া জবাব দেওয়ারও হুঁশিয়ারি করেছে।

সবমিলিয়ে ইসরায় ও ইরানের এক উত্তেজনারকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। তেমনি ইসরায়েলও এক্ষেত্রে আরও বেশি শক্তিশালী।

ইসরায়েলের সামরিক শক্তি
‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্স’ এর গত বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক রয়েছে। যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান। এ ছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান ইউনিট, সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোমে ১০টি ব্যাটারি থাকে। যার এক একটি ব্যাটারি দিয়ে অন্তত ৬০ কিলোমিটার অঞ্চল রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য বস্তু আটকে দিতে সক্ষম।

ইরানের সামরিক শক্তি
বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। ইরানের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না।

এ ছাড়া ইরানের রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। পাশপাশি ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। এসব স্পিডবোড এবং সাবমেরিন ব্যবহার করে তারা জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। এমনকি বিশালাকৃতির জাহাজ জব্দ করতে পারে। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস

মন্তব্য করুন

daraz
  • আন্তর্জাতিক এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
লেবানন থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা
ফিলিস্তিনের পক্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, গ্রেপ্তার ৯০০
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করল সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
গাজায় বর্বরতা, বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ
X
Fresh