• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খুলনায় ২ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৃত্য উৎসব
‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে’ স্লোগানকে সামনে রেখে খুলনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আন্তর্জাতিক অরুণোদয় নৃত্য উৎসব-২০২৪’। নৃত্য সংগঠন অরুণোদয়’র একক আয়োজনে আগামী ৩ ও ৪ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এতে ফ্রান্স, লন্ডন, ভারতসহ দেশের মোট ৭২জন শিল্পী অংশ নেবে।  আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠেয় এই আয়োজনে শিল্পীরা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের লোক নৃত্য ও শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করবেন। এ সময় তাদের নৃত্য গুরুরাও উপস্থিত থাকবেন।  পরে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন দলের নৃত্য গুরু ও শিল্পীদেরকে বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে নৃত্য সংগঠন অরুণোদয়’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুরভী ক্রুশ বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য মহৎ। বিভিন্ন দেশের লোক নৃত্য ও শাস্ত্রীয় নৃত্যকে সবার সামনে তুলে ধরা। পাশাপাশি নিজের দেশের সমৃদ্ধ নৃত্যকেও বহির্বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করা। আশাকরি, সবাই এই উৎসবে শামিল হবেন।  উৎসবের সময়সূচি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামী ৩ ও ৪ মে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। 
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৭

চেলসির জালে আর্সেনালের গোল উৎসব
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে দাপুটে জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রাখল আর্সেনাল।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমিরেটস স্টেডিয়ামে চেলসিকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় দ্য গানার্স বাহিনী।  ম্যাচজুড়ে একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডেক্লান রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ডের গোলে লিড পায় আর্সেনাল। এরপর আরও বেশকিছু সুযোগ এসেছিল, তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে বল জালে জড়াতে পারেননি রাইস-বুকায়ো সাকারা।  অ্যাঞ্জো ফার্নান্দেজ এবং নিকোলাস জনসনরাও সুযোগ কয়েকবার পেয়েছিলেন। তবে গোলের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দ্য গানার্স।  দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির জালে জোড়া আঘাত হানেন বেন হোয়াইট ও কাই হ্যাভার্টজ। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মিনিট পাঁচেক পরেই গোল করেন হ্যাভার্টজ। এরপর ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে হ্যাভার্টজ এবং ৭০তম মিনিটে হোয়াইট গোলে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এই জয়ে শীর্ষে ফিরলো গানাররা। ৩৪ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের এক নম্বরে আর্তেতার দল। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। এ ছাড়া দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানসিটির ৭৩ পয়েন্ট।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫

নড়াইলে চলছে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার অংক করতে গিয়ে কল্পনায় এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই এঁকেছে। কিন্তু বাস্তবে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার মতো এমন অসাধ্য কাজ কী করেছেন কখনো? নড়াইলে এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা গেলো অসম্ভব সে চ্যালেঞ্জ নিতে দুর্দান্ত শিশুদের হার না মানা প্রয়াস।  আর তা উপভোগ করতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য নিজ চোখে অবলোকনের সুযোগ হারাতে চান না কেউই। শুধু কলা গাছ বেয়ে ওঠাই নয়। এখানে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চোখ বেছে প্রতিযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাতে একটি লাঠি দিয়ে। আর সে লাঠি দিয়ে মাটিতে রাখা হাড়ি ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিযোগী। যদিও এই কাজটিও খুব একটা সহজ নয়। তবে সফল যিনি হচ্ছেন, তার সঙ্গে উল্লাসে মাতছেন দর্শকরাও। দারুণ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা গ্রামবাসী মনে করে নিয়মিত এসব আয়োজন পারে যুবকদের মাদক-নেশা থেকে দূরে রাখতে।  খেলা দেখতে আসা একজন জানান, আমার খুব ভালো লাগছে। এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে ছেলেমেয়েরা কেউই মাদকে আসক্ত হবে না। নতুন প্রজন্ম আগের দিনের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩২

‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে হবে’
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ‍জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ইসি আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে আরও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।  ইসি আলমগীর বলেন, এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে। এটি হলো টিকার মতো, আগে অনেক ভয় থাকে তবে দেওয়ার সময় টেরও পায় না। ইভিএমের ক্ষেত্রে বলা হয় যে, এই যন্ত্রের মাধ্যমে কখনও ভোট দেইনি কিন্তু এটি খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। ভোটাররা ভোট দিতে এলে দেখবে, এটি অত্যন্ত সহজ। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট বক্স ছিনতাইয়ের ভয় থাকে না এবং এক জনের ভোট অন্য জন দিতেও পারে না।       স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই উল্লেখ করে ইসি আলমগীর বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয় এটি স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। এবারের নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক ফ্লেবার নেই। নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজগুলো আমরা দিয়েছি। অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে। ইসি আলমগীর আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন সিংড়ায় যে প্রার্থী আমরা তাকে ডেকেছি। তিনি সঠিক উত্তর না দিতে পারলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নোয়াখালী এলাকায় একজন সংসদ সদস্য তার ছেলেকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছেন দেখে আমরা তাকেও সতর্ক করেছি এবং এই রকম আরও আছে তাদের প্রত্যেককেই বিরত থাকার জন্য বলেছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ সরকারি আরও অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে বৈশাখী উৎসব
নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপি বৈশাখী উৎসব। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা। এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন পাভেল রহমান। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা। ১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সাহিত্য একাডেমি সাত দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব পালন করে আসছে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে। সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। গত পহেলা বৈশাখ শুরু হয় সপ্তাহব্যাপি এ উৎসব, যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংস্কৃতিকর্মীরা এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মেলা প্রঙ্গণে নানান ধরনের ২০টি লোকজ পণ্যের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৬

জলকেলির মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় সাংগ্রাইন উৎসব শুরু
উপকূলের অলংকার খ্যাত আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম সাংগ্রাইন উৎসব শুরু হয়েছে জলকেলির মধ্য দিয়ে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।  কেরানীপাড়া সাংগ্রাইন উৎসব কমিটি জলকেলি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বাড়িতে বাড়িতে ফুল দিয়ে সাজানো, বিহারে মোমবাতি প্রজ্বলন এবং প্রার্থনা করা, নতুন পোশাক পড়ে প্রতিবেশীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা করার মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ সাংগ্রাইন উৎসবটি। রাখাইনদের তথ্য মতে, রাখাইন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষের উৎসবের নাম। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে রাখাইনরা বিভিন্ন আনন্দ ও উৎসবের মধ্যে দিয়ে বর্ষবরণ করে নেয়। এ উৎসবের প্রধান আকর্ষণ পানি খেলা। রাখাইন‌ সম্প্রদায়ের নেতা উচান চিন মাতুব্বরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, কারিতাস বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ফ্রান্সিস বেপারী প্রমূখ। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাখাইন সম্প্রদায়রা মেতে উঠে ঐতিহ্যের জলকেলি উৎসবে। অনুষ্ঠানে দেখা যায় নৌকায় রাখা পানি থেকে রাখাইন তরুণ তরুণীসহ সবাই মিলে একে অপরের গায়ে পানি ছিটিয়ে দিচ্ছে। ফুল দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। এ সময় রাখাইনদের নিজস্ব সংস্কৃতি, নাচ আর গানে মাতিয়ে রাখে পুরো অনুষ্ঠানটি। উৎসবটি দেখতে ভীড় জমিয়েছে পর্যটকসহ স্থানীয়রা। সাংগ্রাইন উৎসবটি আগামী ২০ এপ্রিল শেষ হবে। কেরানীপাড়ার তরুন রাখাইন ওয়োনাইচে বলেন, পূরানো দুঃখকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু করার প্রত্যাশায় জলকেলিতে অংশ নিয়েছি। একটি বছর অপেক্ষা করি এমন দিনের জন্য। আমরা অনেক আনন্দ করছি। মাচান বলেন, নববর্ষের শুরুতে আমরা নানান রকমের খাবার তৈরি করেছি। পূরানো দুঃখ কষ্টকে ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছুর প্রত্যাশায় জাল কেলিতে অংশ নিয়েছি। শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের পরিচালক ইন্দ্র বংশ ভান্তে বলেন, উৎসবকে ঘিরে সাজ সাজ রব রাখাইন পাড়ায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পাড়া থেকে যোগ দিয়েছে রাখাইনরা। পূরানো পাপ জলকেলির মাধ্যমে ধূয়ে মূছে নতুন বছরে ভালোভাবে শুরু করব।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৭

‘ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব শেষ হওয়ার আগে ইরানে হামলা করবে না ইসরায়েল’
ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ এপ্রিলের আগে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের হামলা চালানোর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ইসরায়েলের গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। এক মার্কিন কর্মকর্তা এবিসি নিউজকে এ তথ্য জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন, এই সময়সীমা যেকোনো সময় বদলাতে পারে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালালে হিতে-বিপরীত হতে পারে। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের পাসওভার উৎসব সোমবার সন্ধ্যা (২২ এপ্রিল) থেকে শুরু করে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে। এবিসি নিউজ ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে আরও জানায়, গত শনিবার রাতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অন্তত দুইবার পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিলেও শেষ মুহূর্তে সে পরিকল্পনা বাতিল করে। ইসরায়েলি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এ তথ্য জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানের হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন। এই আলোচনার পরই তিনি আগে থেকে প্রস্তুত করে রাখা পাল্টা হামলার পরিকল্পনা বাতিল করেন। এবিসির প্রতিবেদন মতে, পশ্চিমা কূটনীতিকদের ধারণা, ইসরায়েল অবশ্যই ইরানকে জবাব দেবে। তবে এর মাত্রা কম হবে। বুধবার এক্সিওসের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার বৈঠকে হামলা অনুমোদন পেলেও তা ‘কারিগরি কারণে’ বাস্তবায়ন করা হয়নি। বৃহস্পতিবার আবারও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:০৯

সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে নববর্ষবরণ উৎসব উদযাপিত 
পহেলা বৈশাখে এবার সাম্প্রদায়িকতা রুখে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে উদযাপিত হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। নতুন বাংলা বর্ষের প্রথম দিনের ভোরের আলো রাঙিয়ে দেয় নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ সারাদেশেই ছিল বর্ষবরণের নানা আয়োজন। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। আনন্দঘন পরিবেশে নব আনন্দে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে উদযাপিত হয় নববর্ষ। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ এ আহ্বান জানায় বাঙালি। ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ছায়ানট ভোরে রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে। ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ গান’ পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস ও ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।  সকাল সোয়া ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ঢাকা ক্লাব মোড় ঘুরে টিএসসি গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনা প্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে। উৎসবপ্রিয় বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা বর্ষবরণের প্রধান অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগানটি কবি জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘তিমির হননের গান’ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোভাযাত্রায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। শোভাযাত্রা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল পুরো এলাকা।  শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল ৯টার মধ্যেই পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।  শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে ছিল সোয়াত সদস্যরা। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও তৎপর ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানস্থল পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। এবারের শোভাযাত্রার শিল্প-কাঠামোগুলোর মধ্যে ছিল ময়ূর, হাতি, গন্ধগোকুল, টেপাপুতুল। মঙ্গলের বারতা পেঁচা। এছাড়া ছিল পাখি, মাছ, রাজা-রানির মুখোশ। দুই পাখি ও কাঠঠোকরা। শোভাযাত্রায় আরও ছিল মা ও শিশু এবং বাঘের মুখোশ।  চারুকলা থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর ঢোলের তালে তালে নাচতে শুরু করেন অংশগ্রহণকারীরা। অনেকেই রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা উপভোগ করেন। বিদেশি নাগরিকদেরও শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দেখা গেছে। তারাও সেজেছেন বাঙালি সাজে। পরে শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত শিল্পবস্তু নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে যাওয়ার পর ঢাকের তালে উচ্ছ্বাসে মাতেন শিক্ষার্থীরা। ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জয়গানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট।  প্রতিবারের মতো এবারও রমনার বটমূলে সুরের মাধুরীতে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। ভোরের আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় এ আয়োজন। এতে ছায়ানটের শিল্পীদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন অন্য শিল্পীরাও। রবীন্দ্র-নজরুলের গানের সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে লোকজ সুরও। এবার পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয় নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। তাতে ছায়ানটের আহ্বানে ভোগবাদ নয়, স্বার্থপরতা নয়, মনুষ্যত্বকে পাওয়ার অভিলাষই থাকছে। প্রায় ১৭০ জন শিল্পী অংশ নেন এবার। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ বছর প্রথমবারের মতো গেয়েছেন প্রায় ৮০ জন শিল্পী। এ অনুষ্ঠানে একক গান গেয়েছেন ১৮ জন শিল্পী। সব মিলিয়ে ৩০টি পরিবেশনা দিয়ে সাজানো হয় এবারের আয়োজন। এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট দনিয়া কলেজ প্রাঙ্গনে ‘আসুক সমৃদ্ধি আসুক সম্প্রীতি হাসুক প্রকৃতি - থাকব সুখে’ শীর্ষক বর্ষবরণ উৎসবের আয়োজন করে। এই উপলক্ষে জোটভুক্ত ২৪টি দল তাদের নিজস্ব পরিবেশনা- সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও পথনাটক নিয়ে অংশগ্রহণ করে। সকাল ৭টায় দনিয়া কলেজ প্রাঙ্গণে বৈশাখী গান পরিবেশনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সকাল ৯ টায় দনিয়া সাংস্কৃতিক জোটভুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের সাংস্কৃতি কর্মী, দনিয়া কলেজের স্কাউট, শিক্ষক, কলেজ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও সাধারণ দর্শকদের নিয়ে এক বর্ণাঢ্য বৈশাখী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাতে শিশু কিশোররা বর্ণিল সাজ ও পোষাক পরে ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’তে অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রা শেষে কথক থিয়েটার তাদের পথনাটক ‘আলেক বেপারীর কারবার’ পরিবেশন করে।  বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নে বৈশাখী র‌্যালি আয়োজন করা হয়। পহেলা বৈশাখে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে পুঁথি পাঠ, লালন সঙ্গীত, নৃত্য ও ঢাকের তালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। সকাল ১১ টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে লোক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত বর্ষবরণের আলোচনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ট্রাস্টি মফিদুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব সালাহউদ্দিন আহাম্মদ। সূত্র : বাসস  
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৭

বান্দরবানে ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব শুরু
বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শুরু হলো ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় মারমা, ম্রো, খেয়াং ও খুমিদের সর্ববৃহৎ সামাজিক এ উৎসব শুরু হয়। রাজার মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা জেলার প্রধান সড়ক উজানীপাড়া হয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।  এতে অংশ নেন বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমীসহ সরকারি কর্মকর্তারাও। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকেই নিজেদের ঐতিহ্যের পোশাকে শিশু ও তরুণ-তরুণীরা রাজার মাঠে আসতে শুরু করেন। মার্মা তরুণরা লুঙ্গিসহ নানান রঙের শার্ট, সাংগ্রাইং টি-শার্ট পরে ও তরুণীরা বার্মিজ থামি, গলায় মালা ও নানান রঙের ছাতা নিয়ে আসতে থাকেন।  এ সময় চাকমা তরুণরা ধুতি পরে, মাথায় সাদা পাগড়ি বেঁধে ও তরুণীরা পিনন, খাদি, গলায় মুদ্রার মালা পড়েন। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা ঐতিহ্যের পোশাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নিতে আসেন।  মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।  উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মারমাদের সাংগ্রাইং ও ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমা বিজুকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি উৎসব বলা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরের শেষ দুদিন (২৯ ও ৩০ চৈত্র) ও নতুন বছরের প্রথম দিন (পয়লা বৈশাখ) এই তিন দিন বৈসু, বিজু ও বিষু উদযাপন করেন। বর্মী বর্ষপঞ্জি অনুসরণে মারমা, খেয়াং, খুমিসহ পাঁচটি জাতিগোষ্ঠী বছরের শেষ দিনে (৩০ চৈত্র) অথবা বাংলা বছরের প্রথম দিনে সাংগ্রাইং উৎসব পালন করেন। খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী বম, পাংখুয়া ও লুসাই এই তিন জনগোষ্ঠী বৈসাবি উৎসব উদযাপন করেন না।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩৬

ইতিহাস গড়লো সৌদি আরবের সিনেমা
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র উৎসব ‘কান’। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব এবং বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের সাথে কানকেও সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং মর্যাদাপূর্ণ উৎসবের সম্মান দেওয়া হয়। ১৯৪৬ সাল থেকে প্রতি বছর এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সিনেমার গল্প, উপস্থাপনা, চরিত্র, পরিচালক, অভিনয়শিল্পীসহ নানা বৈচিত্র্য নিয়ে এবার হাজির হচ্ছে কান চলচ্চিত্র উৎসব। এই প্রথম এই উৎসবে জায়গা পেয়েছে সৌদি আরবের কোন সিনেমা। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ৭৭তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গেছে, গত ৭৮ বছরে প্রথমবারের মতো কান উৎসবে সৌদি আরব থেকে অফিশিয়াল শাখায় অংশ নিচ্ছে তৌসিফ আলজায়েদির পরিচালিত সিনেমা ‘নোরা’। সিনেমাটিতে নব্বইয়ের দশকের সৌদি সমাজবাস্তবতার চিত্র উঠে এসেছে। এতে ওই সময়ের শিল্প ও চিত্রকর্ম নিষিদ্ধের কথা এবং রক্ষণশীল এক সমাজের গল্প উঠে এসেছে। সিনেমাটিতে তৎকালীন সময়ের একটি মেয়ের সংগ্রাম চিত্রায়িত করা হয়েছে। আর নোরার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন মারিয়া বাহরাভি। এদিকে ৩০ বছর পরে স্বর্ণপাম পুরস্কারের জন্য লড়ার সুযোগ পেয়েছে ভারতের সিনেমা ‘অল উই ইমাজিন আস লাইট’। মুম্বাইয়ের দুই নার্সকে নিয়েই সিনেমাটির গল্প।  মূল প্রতিযোগিতা শাখা ও আঁ সার্তে রিগা বিভাগে দেশটির একটি করে সিনেমা মনোনয়ন পেয়েছে। আর সিনেমা দুটির পরিচালক দুই নারী। ভারত থেকে একসঙ্গে শুধু দুজন নারী পরিচালকের মনোনয়নের খবর আগে শোনা যায়নি। বৃহস্পতিবার এবারের কান উৎসবের মনোনয়নের তালিকা প্রকাশ করেন পরিচালক থিঁয়েরি ফ্রেমো। এদিন মূল শাখায় ২৮টি সিনেমার নাম ঘোষণা করেন তিনি। আগামী ১৫ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে উৎসব।  
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়