ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে বৈশাখী উৎসব
নাচ, গান, আবৃত্তি আর বিষয়ভিত্তিক আলোচনার মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে সপ্তাহব্যাপি বৈশাখী উৎসব।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উৎসবের ৬ষ্ঠ দিনের আয়োজনে আবৃত্তি পরিবেশন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৈন্দ গ্রামের বজলুর রহমান পাঠাগারের সদস্যরা। পাভেল রহমানের নির্দেশনায় আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করে নুসরাত, নওরিন, তানহা, পিয়াল, ইফরান, অর্পণ, জয়া, জুলফা।
এছাড়া সাহিত্য একাডেমির সদস্যরা নাচ ও গান পরিবেশন করেন, ছিল বিষয়ভিত্তিক আলোচনাও। বিকেলে শুরু হওয়া আয়োজন চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
আলোচনায় অংশ নেন সাবেক সচিব ড. মো. ইয়ামিন চৌধুরী, এড. আবু তাহের, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু এবং নারীনেত্রী ফজিলাতুন্নাহার। স্বাগত বক্তব্য দেন পাভেল রহমান। সবশেষে গান পরিবেশন করে নাসিরনগরের বাউল জারু মিয়া ও অমিয় ঠাকুর সঙ্গীতাঙ্গনের শিল্পীরা।
১৯৮৩ সালে সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮৭ সাল থেকে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সাহিত্য একাডেমি সাত দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসব পালন করে আসছে, যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান উৎসবে পরিণত হয়েছে।
সাহিত্য একাডেমির সভাপতি জয়দুল হোসেন বলেন, গ্রাম বাংলার লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন ধরনের লোকগান এবং লোকজ সংস্কৃতি প্রচার ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে বৈশাখী উৎসবের আন্তরিক প্রয়াসের পরিচয় মেলে। আমরা ৩৮ বছর ধরে এই উৎসব পালন করে আসছি। এই উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে।
গত পহেলা বৈশাখ শুরু হয় সপ্তাহব্যাপি এ উৎসব, যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংস্কৃতিকর্মীরা এ উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া লোকজ পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। মেলা প্রঙ্গণে নানান ধরনের ২০টি লোকজ পণ্যের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন