• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
টেকনাফ সীমান্তে ফের মর্টারশেলের বিকট শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে আবারও কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। রোববার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার পর থেকে থেমে থেমে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের নাফ নদীর সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। স্থানীয়রা জানান, সবশেষ তারা গত ১৮ মার্চ মর্টারশেলের শব্দ শুনেছিলেন। কয়েক দিন গোলাগুলির শব্দ বন্ধ থাকার পর রোববার রাত থেকে হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালী, নয়া বাজার, মিনা বাজার, কানজর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিল সীমান্তের মিয়ানমারের ভারী গোলার বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হোয়াইক্যং সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, রোববার রাত থেকে নাফ নদের ওপার থেকে ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে। এর ফলে সীমান্ত এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলম বলেন, সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজ শব্দ অনেক বেশি।  মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কয়েকমাস ধরে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষের কারণে কেউ যেন বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানার পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
২৫ মার্চ ২০২৪, ১১:০১

ফের তমব্রু সীমান্তে গুলির শব্দ, আতঙ্কে স্থানীয়রা
তমব্রু সীমান্তে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে তমব্রু রাইট ক্যাম্প এলাকা থেকে গোলাগুলির এ শব্দ শোনা যাচ্ছে।  স্থানীয়রা বলছেন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধীনে তমব্রু বিজিবি ক্যাম্প এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৪-এর বিপরীত তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। গুলির শব্দে ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু এলাকাসহ সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের মধ্য ভয়ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।  এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়নের এক বাসিন্দা বলেন, ভয়ে বাইরে কম বের হচ্ছেন। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ বাইরে যাচ্ছেন না।  গুলির ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  উল্লেখ্য, শনিবার সকালেও তমব্রু লেফট ক্যাম্প থেকে আরাকান আর্মির ছোড়া ৪ রাউন্ড মাঝারি অস্ত্রের গুলির শব্দ শোনা গেছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২১

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে আবার গোলাগুলি, আতঙ্কে স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। রোববার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢেকুবনিয়া ও রাইট ক্যাম্প এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান সংঘাত চলছে। বিভিন্ন সময় সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুমের লোকালয়ে বিস্ফোরিত হয়ে বাংলাদেশিসহ একাধিক নিহত ও আহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি মর্টারশেল ও গোলা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল স্থানীয়দের। পরে কয়েকদিন গোলাগুলি বন্ধ থাকায় স্বস্তি ফিরেছিল সীমান্তবাসীর মনে। তবে রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ফের গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে ঘুমধুমের তমব্রু এলাকা। ফলে স্থানীয়দের মনে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সকালে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৫৮

তুমব্রু সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ফিরছেন স্থানীয়রা
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির আতঙ্কে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা ফিরেছেন নিজ নিজ গ্রামে। এদিকে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের জে‌রে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপু‌রে ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম ও চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা। নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন তারা। এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথ‌মে বান্দরবান সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা এখানে কোনো সমস্যা দেখ‌তে পাইনি। আমার মনে হচ্ছে যে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এরআগে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে থেমে থেমে গোলাগুলি ও ভারী গোলাবর্ষণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। তবে রোববার রাতে কোনো ধরনের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সাথে বিদ্রোহী আরকান আর্মির তুমুল সংঘর্ষে সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলার, ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তুমব্রু পশ্চিমকূলে মিয়ানমার অভ্যন্তরে গোলাগুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে সীমান্ত লাগুয়া গ্রাম। গোলাগুলির শব্দে অনেকটা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন সীমান্তে বসবাসকারীরা। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাড়ি এলাকার শত শত পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় গ্রহণ করেন ২৮টি পরিবারের ১৪০ জন সদস্য। পরিস্থিতির অবনতির প্রেক্ষিতে গত ২৯ জানুয়ারি সীমান্তের কাছাকাছি ১টি মাধ্যমিক ও ৫টি প্রাথমিকসহ ৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। অপরদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে জানান, পরিস্থিতি ভালোর পথে তাই কয়েকদিনের মধ্যেই বন্ধ স্কুলে পাঠদান শুরু হবে।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫৪

কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আহত ৩ শতাধিক, আতঙ্কে স্থানীয়রা
লক্ষ্মীপুরে হঠাৎ করেই কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩ শতাধিক নারী-পুরুষ-শিশু আহত হয়েছে। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শহরবাসী। প্রতিদিনই সদর হাসপাতালে ভিড় করছেন কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে-আঁচড়ে আহত নানা বয়সী মানুষ। আক্রান্তদের ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।  সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের শাকচর গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ পাটওয়ারী ছেলে মোহাম্মদ পাটওয়ারীকে হাসপাতালে এনেছেন কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন দিতে। মোহাম্মদের হাতে পাগলা কুকুর কামড় দিয়েছে বলে জানান তিনি। অপরদিকে চররুহিতা ইউনিয়নের চররুহিতা গ্রামের বতু মাঝি বাড়ির ৩৫ বছর বয়সী হোসনেয়ারা বেগমের গালে কামড় দেয় কুকুর। বিড়ালের কামড়ে আহত লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকার সাব্বির আহমেদ হাসপাতাল ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন। এভাবেই প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভিড় করছের কুকুর ও বিড়ালের কামড়ে আহত নারী পুরুষ ও শিশুরা। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আব্দুর রব জানান, প্রতিদিন প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের ভ্যাকসিন নিতে আসছেন হাসপাতালে। এভাবে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩ শতাধিক আহতরা এসে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। রোগীদের হাত-পিঠ ও গালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুকুর বিড়ালের কামড়ের দাগ রয়েছে।  সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানান, কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের রোগীর চাপ বেড়ে গেছে, সকাল থেকে শতাধিক রোগী এসেছে। তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। পাগলা কুকুরের কামড় থেকে রক্ষা পেতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়