• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলা, নিহত ৮ 
সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে ভয়াবহ এক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের একজন কমান্ডারসহ অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এ হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।  দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি এ গোলাবর্ষণের খবরটি নিশ্চিত করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানাও।  দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে ইসরায়েলের এ হামলায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে, হামলার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ইসরায়েল। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যুলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন। গত সপ্তাহে সিরিয়ার আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত বছর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরুর পর এটিই সিরিয়ায় ইসরায়েলের চালানো সবচেয়ে বড় হামলা।    
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০

ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালালো যুক্তরাষ্ট্র
জর্ডানে সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার জবাবে সিরিয়া-ইরাকের বিভিন্ন স্থাপনায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মিলিশিয়াদের অবকাঠামোতে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে রোববার (২৮ জানুয়ারি) জর্ডানের সিরিয়া সীমান্ত এলাকায় মার্কিন সেনা ঘাটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ৩ মার্কিন সেনা নিহত ও অন্তত ৪১ সেনা আহত হন।  এই হামলার জন্য ইরান সমর্থিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ কারণে বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সিরিয়া-ইরাকে থাকা ইরানি ও তাদের বিভিন্ন স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পরিকল্পনার অনুমোদন দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছিল, টানা কয়েক দিন এ হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে কখন কোথায় এ হামলা হবে সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা। পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে মার্কিন বিমান হামলা করার কথা জানিয়েছিল তারা। এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়া ও ইরাকে থাকা ইরানের এলিট বাহিনী কুদস ফোর্সসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ৮৫টি স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন জানান, তার নির্দেশে মার্কিন বাহিনী ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। যা মার্কিন বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্য ব্যবহার করা হতো। আমাদের প্রতিক্রিয়া আজ শুরু হলো, এটি চলমান থাকবে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না। তবে যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের জানা দরকার, কেউ যদি একজন আমেরিকানের ক্ষতি করেন তবে আমরা তার জবাব দেবো।  গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাটিগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর হামলার শিকার হচ্ছে। এবার এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়