• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আজ দুপুর হবে সাময়িক রাত, লাইভ দেখবেন যেভাবে
বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। সোমবার (৮ এপ্রিল) সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। এ সূর্যগ্রহণ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশের মানুষও এ ঘটনা লাইভে উপভোগ করতে পারবেন।  রোববার (৭ এপ্রিল) মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাইরের মানুষও লাইভ দেখতে পারবেন এ বিরল দৃশ্য। সূর্যগ্রহণের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাসা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী সোমবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এ ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে এই দৃশ্য। এ ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে। এর আগে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছিল, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছিল, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৩৬

সোমবার দিনেই নামবে সাময়িক রাত
আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। এদিন  সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে সাময়িক রাত। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সঙ্গে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না বিরল এ সূর্যগ্রহণ। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ দেখতে পারবেন এটি। বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার বরাত দিয়ে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের জানিয়েছে, উত্তর আমেরিকায় সবশেষ ১৯৭০ সালে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। আবার ২০৪৪ সালে পুনরায় দেখা মিলবে এ গ্রহণের। চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ, একই সঙ্গে এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন। পৃথিবী থেকে একবার দেখা যাবে এটি, তবে মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার। সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, খুবই বিরল এ পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। সূর্যগ্রহণ দেখতে পরতে হবে বিশেষ চশমার প্রয়োজন হবে। সূর্যগ্রহণের দিকে খালি চোখে তাকালে সিংহভাগ চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদ প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে সময় বেশিও লাগতে পারে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৮

তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত সাময়িক পরীক্ষা হবে না 
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য জানান তিনি। এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত উপস্থিত ছিলেন। ফরিদ আহাম্মদ বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িকের মতো কোনো পরীক্ষা হবে না। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন চলবে। মূল্যায়নের পদ্ধতি ভিন্ন হবে, যেহেতু ধারাবাহিক মূল্যায়ন। মূল্যায়ন হবে, কিন্তু আগের মতো গতানুগতিক না। ধারাবাহিক মূল্যায়ন থাকবে। গত বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। প্রথম বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হয়। আর গত জানুয়ারি শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষে ওই তিন শ্রেণি ছাড়াও নতুন করে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চালু হয়েছে এই শিক্ষাক্রম। পর্যায়ক্রমে ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে (উচ্চমাধ্যমিক) বাস্তবায়িত হবে নতুন শিক্ষাক্রম। নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বছরে তিনটি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হতো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬১৭ জন। শিক্ষক আছেন ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩৪

জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা / অভিযুক্ত শিক্ষককে অব্যাহতি, সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
শিক্ষক ও সহপাঠীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে অব্যাহতি ও শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অবন্তিকার আত্মহত্যার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস। উপাচার্যের নির্দেশে ডাকা হয় জরুরি বৈঠক। সেখানেই গৃহীত হয় এসব সিদ্ধান্ত।  বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রক্টরিয়াল বডি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আইন অনুষদের ডিন ড. মাসুম বিল্লাহকে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম মাসুম বিল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, আমরা খুবই মর্মাহত। আমাদের পুরো আইন বিভাগ মর্মাহত। মেয়েটি খুব ভালো ছিল, সত্যিকার অর্থেই মেধাবী ছিল। কিছু বলার ভাষা নেই। আমি মাত্র জানলাম আমাকে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সত্যিকারের ঘটনা বের করে আনার জন্য, যেন দোষীরা শাস্তি পায়। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করছেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি বলেছেন, এর সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। মেয়েটার সঙ্গে দেড় বছর আগে আমাদের কথা হয়েছে ছেলেটার বিষয় নিয়ে। আমি চাই এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। আর যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে অবন্তিকার সঙ্গে কোনও প্রকার যোগাযোগ করিনি। এমনকি ফেসবুক, মেসেঞ্জার বা কোনও জায়গাতেই কানেক্টেড না আমি। আমাকে দোষী প্রমাণের জন্য এভিডেন্স লাগবে। এভিডেন্স ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। 
১৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:১০

ফ্রিল্যান্সারের টাকা সরানোর ঘটনায় ডিবির ৭ সদস্য সাময়িক বরখাস্ত
চট্টগ্রামে ফ্রিল্যান্সারকে তুলে নিয়ে মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার মোবাইল ফোন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ৭ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।   মঙ্গলবার (১২ মার্চ) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের পর বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ)  এ তথ্য নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামানিক। তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ৭ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।   সাময়িক বরখাস্ত ডিবি সদস্যরা হলেন নগর ডিবির পরিদর্শক রুহুল আমিন, উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া, শাহপরান, মইনুল হোসেন, কনস্টেবল জাহিদুর রহমান ও আবদুর রহমান। এর আগে গত ১২ মার্চ দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়, ১ মার্চ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পর সিএমপির অফিস আদেশমূলে ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন পর্যালোচনান্তে ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রুহুল আমিনকে ব্যাখ্যা তলব করা হোক এবং এসআই (নিরস্ত্র) মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. বাবুল মিয়া, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহ পরাণ জান্নাত, এএসআই (নিরস্ত্র) মইনুল হোসেন, কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতঃ বিভাগীয় মামলা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকার বারাকা এন্টারপ্রাইজ নামের কুলিং কর্নারে চা পান করার সময় আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ডিবি পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল। আবু বকর সিদ্দিকের অভিযোগ, তার হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইলের লক খুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই রাতে তাকে মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। এ সময় তার মোবাইল থেকে দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্টের ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) স্থানান্তর করা হয়েছে। আবু বকরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গত ৫ মার্চ ৭ পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবু বকরের স্ত্রী হুসনুম মামুরাত লুবাবা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ০৬:২৮

যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষক স্থায়ী, আরেকজন সাময়িক বরখাস্ত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনায় দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িত মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন সাহাকে স্থায়ী বরখাস্ত এবং প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৪তম সিন্ডিকেট সভা শেষে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সম্প্রতি মানবসম্পদ ও ব্যাবস্থাপনা বিভাগে যৌন হয়রানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গতকাল ১৩ মার্চ এই দুই শিক্ষককে অনির্দিষ্টকালের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের এই আদেশে নাখোশ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের গতি বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসসিক ভবনসহ সকল বিভাগে এবং ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে আন্দোলনকারিরা এই দুই শিক্ষককে স্থায়ী বহিস্কার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল আটকে দেয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি (উপাচার্য) প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।         এই অবস্থায় মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ১৪ মার্চ সকালে ৮৪তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে যৌন হয়রানির ঘটনায় এই সিদ্ধাস্ত নেওয়া হয়। এ সময় আন্দোলনকারিরা ঘোষিত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়ে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেয়। এ সময় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, ভিসি প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ন কবীরসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীকে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষায় জরিমানা আদায়, নম্বর কম দেওয়া ও থিসিস পেপার আটকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজন শাহ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে গত ৪ মার্চ আন্দোলন শুরু করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করে ওই বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।   এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ট্রেজারার ড. আতাউর রহমানকে প্রধান করে ৫ মার্চ ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি গঠনের একদিন পর ৬ মার্চ আন্দোলনকারিরা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ সময় তারা ওই বিভাগের শিক্ষকদের নেমপ্লেটসহ ভাঙচুর করে বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে দাবি মেনে তদন্ত কমিটি পুর্নগঠন করে বিভাগীয় প্রধান রেজুয়ান আহমেদ শুভ্রকেও তদন্তের আওতায় নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।    
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:১২

চাল চুরির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
দিনাজপুরের হিলির হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবুসুফিয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।  বুধবার (৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায়। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানে স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আমি বুধবার বিকেলে পেয়েছি। সেখানে উল্লেখ আছে যে, হাকিমপুর উপজেলার ৩ নং আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সরকারি দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও ভিডব্লিউবি’র ১ হাজার ৮০০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের সুপারিশ মোতাবেক স্থানীয় সরকার বিভাগ ৫ মার্চ ১৮৮নং প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। দিনাজপুর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগে আবু সুফিয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে চূড়ান্তভাবে কেন আবু সুফিয়ানকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে না, জেলা প্রশাসক দিনাজপুরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রদানের অনুমতি চেয়েছেন। আমরা চাই যে অপরাধ করবে তার যেন সঠিক বিচার করা হয়। জনগণের সঙ্গে যে প্রতারণা করবে তাকে বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা খুব দ্রুতই প্রতিবেদন পাঠাব।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৫

শিক্ষার্থীকে গুলি : সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক রায়হান
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘ডা. মো. রায়হান শরীফ (২১৩৮৯২), প্রভাষক (কমিউনিটি মেডিসিন), শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’ এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ। এ কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। সেসকল মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাকে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩১

পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িক স্থগিতের সিদ্ধান্ত
স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে পানছড়ি বাজার বয়কট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ। গত ১১ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার অনিলপাড়ায় ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিট খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বাজার বয়কট কর্মসূচি ঘোষণা করে। আর সে থেকেই লোকসানের মুখে পড়েছিলো বাজারের ব্যবসায়ীরা। এতে দুর্ভোগে পড়েন ভোক্তারাও। তবে এবার প্রশাসনের অনুরোধে বাজার বয়কট সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ। স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এবং সাধারণ পাহাড়ি-বাঙালি জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে উক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় ইউপিডিএফ পানছড়ি ইউনিটের সংগঠক অপু ত্রিপুরা। সোমবার প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত বাজার বয়কট কর্মসূচি স্থগিত থাকবে।  উক্ত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে বা দাবি পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত না হলে বাজার বয়কট পুনরায় চলবে বলেও জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সংগঠনটি।
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫০

ভালুকায় ৩ শ্রমিক-কর্মকর্তার মৃত্যু : ২ কারখানা সাময়িক বন্ধ
ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া এসকিউ গ্রুপের বিরিকিনা এবং সেলসিয়াস কারখানায় শ্রমিক কর্মকর্তাসহ তিনজনের মৃত্যু এবং অর্ধশত শ্রমিক অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির দুটি কারখানা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আরিফুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে এসকিউ গ্রুপের সেলসিয়াস কারখানা ও প্রতিষ্ঠানটির বিরিকিনা কারখানার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও জানান তারা। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আরিফুজ্জামান আরও জানান, এ ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, কিছুদিন ধরে কারখানার ষষ্ঠ তলার শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও এগজস্ট ফ্যান বন্ধ রাখা এবং কারখানার পাশেই ইটিপি স্থাপন করার ফলে সেখান থেকে নির্গত ক্ষতিকারক গ্যাস (মিথেন, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইড, অ্যামোনিয়াম ভেতরে প্রবেশ করে। বায়ু প্রবাহে ত্রুটি থাকার কারণে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় অক্সিজেন স্বল্পতায় শ্বাসরোধ হয়ে শ্রমিক কর্মকর্তাসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। সেই সঙ্গে অসুস্থ শ্রমিক কর্মকর্তাদের দায়সারা চিকিৎসা এবং সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টিও প্রতীয়মান হয়েছে।     এই অবস্থায় তদন্ত প্রতিবেদনে এই প্রতিষ্ঠানটিকে ছয় দফা সুপারিশ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।   এর মধ্যে কারখানার সব কর্মকক্ষে কার্যকর বায়ু প্রবাহে স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, কারখানার দেয়াল থেকে ইনলেট ফ্যান ও এসি অপসারণ করে যথাযথ স্থানে স্থাপন, পর্যাপ্ত ডাস্ট কারেক্টর ও এগজস্ট ফ্যান স্থাপন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ, সব দুর্ঘটনা যথা সময়ে সরকারি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা এবং বছরে দুইবার শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসকিউ কারখানায় দুই দফায় প্রায় অর্ধশত শ্রমিক অসুস্থ হন। পরে শ্রমিক-কর্মকর্তাসহ তিনজন মৃত্যুবরণ করলে ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় কারখানা এবং প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে। এদিকে এসকিউ প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপার দেওয়ার চেষ্টা করা এবং সাংবাদিকদের তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও এসকিউ কর্তৃপক্ষের কারো নাম্বার পাওয়া যায়নি এবং বক্তব্যও জানা যায়নি।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়