• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ সমঝোতা ও চুক্তি সই
থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে পাঁচটি কূটনৈতিক দলিলে স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট বা অভিপ্রায়পত্র রয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব দলিলে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করা হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্রবন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে রাজা ও রানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা কুশল বিনিময় এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এদিন সকালে জাতিসংঘের এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেন। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল সফরকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আলোচনার আগ্রহপত্রসহ বেশ কয়েকটি সহযোগিতার নথিতে স্বাক্ষর করবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতিসংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। পাশাপাশি শক্তি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আরও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে পারে দুই দেশ।
১১ ঘণ্টা আগে

ডিএনসিসির সঙ্গে চীনের আনহুই প্রদেশের সমঝোতা স্মারক সই
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং চীনের আনহুই প্রদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান ডিএনসিসি নগরভবনের সম্মেলন কক্ষে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই চুক্তি সই হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সমঝোতা স্মারকে সই করেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এবং আনহুই প্রদেশের ফরেন অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়াং জায়োলিন। মেয়র আতিক বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। আজকের এই চুক্তির ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস করি। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। এই চুক্তির ফলে দুই শহর একে অপরকে অর্থনৈতিক ও কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন বিষয়ে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা করবে। দুই সিটির উত্তম কার্যক্রমগুলো শেয়ার করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে আনহুই প্রদেশ। অন্যদিকে ডিএনসিসির উত্তম কার্যক্রমগুলোও শেয়ার করতে পারবে। মেয়র বলেন, চীনা দূতাবাসের সঙ্গে ডিএনসিসি দীর্ঘদিন ধরে যৌথভাবে কাজ করছে। গত বছর চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় বনানী কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী নারীদের মাঝে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। গত রমজান মাসেও চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় মিরপুর ভাসানটেক বস্তিতে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ডিএনসিসির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্পটিও বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। আজকের এই নতুন চুক্তিতে ডিএনসিসির সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৩

কাতার-বাংলাদেশ ১০ চুক্তি-সমঝোতা সই 
দ্বৈতকর পরিহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। চুক্তিগুলো হলো—উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকিসংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দুদেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠনসংক্রান্ত চুক্তি। আর সমঝোতা স্মারকগুলো হলো—কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক। চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে দেশটির বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন। আর সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সব কটিতে কাতারের পক্ষে সই করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি। বাংলাদেশের পক্ষে সেগুলোতে সই করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠক হয় তাদের। দুপুরে চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। আর গত দুই দশকের মধ্যে এটি কাতারের কোনো আমিরের প্রথম বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০০৫ সালে কাতারের তৎকালীন আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হচ্ছে পাঁচ চুক্তি
পাঁচ দিনের সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা আছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সফরে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক ও একটি সম্মতিপত্র সই হবে। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর আগে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর থাইল্যান্ডে। ১৯৭২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত  বাণিজ্যসংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।  জানা গেছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় এই সফরে ব্যাংককে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের আগে ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। ২৫ এপ্রিল বক্তৃতা দেবেন ইউএনএসকাপের অধিবেশনে। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাঁচ দিনের এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১০

শেখ হাসিনা-ওয়াংচুক বৈঠক, ৩ সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক সই এবং পুরোনো একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (২৫ মার্চ) শেখ হাসিনা ও ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের মধ্যে বৈঠক শেষে এই সই ও চুক্তি হয়। দুই দেশের পক্ষে বইতে সই করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।  সমঝোতাগুলো হলো ভুটানের রাজধানীতে থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, কুড়িগ্রামে ভুটানের বিনিয়োগে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি।  এ ছাড়া নবায়ন হয়েছে সাংস্কৃতিক সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি চুক্তি। এর আগে, এদিন সকালে ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন ভুটানের রাজা। পরে দুপুরে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছান ভুটানের রাজা। এ সময় টাইগারগেটে রাষ্ট্রীয় অতিথিকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। পরে দুই শীর্ষ নেতা একান্ত বৈঠকে বসেন। 
২৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৫৫

উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে সই লাগবে না ভোটারের, বাড়ল জামানত
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী মে মাসে হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধিমালায় কিছু সংশোধন এনেছে। একই সঙ্গে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে সংস্থাটি। আগামী উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এর বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।  সংশোধিত বিধি অনুযায়ী, প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এতদিন তা ছিল প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পস্ট করা হয়েছে। আগামী মে মাসে ৪ ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়