• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
এমপিদের বাসা ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ করল সংসদীয় কমিটি
সংসদ সদস্যদের বাসা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবনগুলোর ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে কমিটি। বুধবার (১৩ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী। বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এ বি তাজুল ইসলাম, আশেক উল্লাহ রফিক, কাজী নাবিল আহমেদ, খাদিজাতুল আনোয়ার, এস. এম. শাহজাদা, সাজ্জাদুল হাসান ও এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান। বৈঠকে ন্যাম ভবনের জমি ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ে আন্ডারপাস নির্মাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিটি। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে সাজ্জাদুল হাসানকে আহ্বায়ক করে কাজী নাবিল আহমেদ ও এস.এম শাহজাদাকে সদস্য করা হয়।  এছাড়া, রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে গাড়ির হাট না বসাতে এবং স্কুল কার্যক্রমের বাইরে কোনো অনুষ্ঠান হলে জাতীয় সংসদের নিরাপত্তা শাখার সুপারিশক্রমে করার জন্যও সুপারিশ করে কমিটি। বৈঠকে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, স্থাপত্য অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  
১৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:০০

সাবেক ১৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হলেন সংসদীয় কমিটির সভাপতি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি স্থায়ী কমিটির সব কটি গঠন করা হয়েছে। সংসদের যাত্রা শুরুর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটি গঠন করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন সাবেক ১৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। যারা সরকারের গত মেয়াদে মন্ত্রিসভায় থাকলেও এবার  বাদ পড়েছেন। টানা চার মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ সরকার। গত মেয়াদে মন্ত্রিসভায় থাকলেও চলতি মেয়াদে বাদ পড়েন মোট ৩০ জন। এর মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন মন্ত্রী, ১৩ জন প্রতিমন্ত্রী ও ২ জন উপমন্ত্রী। তবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া এসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির সভাপতির পদ পেলেন। মঙ্গলবার পর্যন্ত সংসদের ৩৮টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বাকি ১২টি সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয়। তবে গঠন করা এসব কমিটির মধ্যে ৫টিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সদ্য সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা। সরকারের গত মেয়াদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ছিলেন এ কে আব্দুল মোমেন। এবার মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি। ভূমি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হলেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী। গত মেয়াদে সরকারের মন্ত্রিসভায়একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। সরকারের গত মন্ত্রিসভায় বীর বাহাদুর উশৈসিং ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। চলতি মেয়াদে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি। গত মন্ত্রিসভায় ইমরান আহমদ ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। কিন্তু চলতি মেয়াদে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি। এছাড়া সরকারের গত মেয়াদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন শরীফ আহমেদ। চলতি মেয়াদে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি।  এছাড়াও আ হ ম মুস্তফা কামালকে অর্থ, এম এ মান্নানকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে ওই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। গত মেয়াদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে করা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। বুধবার গঠন করা কমিটিগুলোর মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন কাজী কেরামত আলী। গত সংসদে এই কমিটির সভাপতি ছিলেন জাসদের হাসানুল হক ইনু। এবার তিনি নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ। গত সংসদেও তিনি এই কমিটির সভাপতি ছিলেন। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ। গত সংসদে এই কমিটির সভাপতি ছিলেন এ কে এম রহমতুল্লাহ। তিনি এবার নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। গত সংসদে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন। কার্যপ্রণালি বিধি–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। পাশাপাশি বিশেষ অধিকার–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন তিনি। বেসরকারি সদস্যদের বিল এবং বেসরকারি সদস্যদের সিদ্ধান্ত–সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে কামরুল ইসলামকে। গত সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি । অন্যদিকে, সোমবার টিপু মুনশিকে বাণিজ্য, আব্দুর রাজ্জাককে কৃষি, শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং জাহিদ আহসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে তারা চারজন ওই চার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। আর রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয় ওই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় গত ৩০ জানুয়ারি। বুধবার পর্যন্ত মোট কার্যদিবস ছিল পাঁচটি। দ্বিতীয় কার্যদিবসে শুরু হয় সংসদীয় কমিটি গঠনের কাজ।  প্রসঙ্গত, গত একাদশ সংসদে প্রথম ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সব কটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:১৬

আরও ১০ সংসদীয় কমিটি, তিনটিতে সভাপতি মন্ত্রিত্ব হারানো ৩ এমপি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আরও ১০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৫০টি কমিটির মধ্যে এ নিয়ে ৩৮টি কমিটি গঠিত হলো। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গঠিত ১০ কমিটির মধ্যে তিনটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন মন্ত্রিত্ব হারানো ৩ এমপি। তিন সভাপতি হলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। গত একাদশ সংসদে এই কমিটির সভাপতি ছিলেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তাকে এবার অর্থমন্ত্রী করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন এম এ মান্নান। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। এবার পরিকল্পনা মন্ত্রী করা হয়েছে আব্দুস সালামকে। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের জাহিদ মালেক ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এবার তিনি মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে তার পক্ষে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এই কমিটিগুলো গঠনের প্রস্তাব সংসদে তোলেন। এরপরে কণ্ঠভোটে প্রস্তাবগুলো পাস হয়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৫

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে সাকিব-মাশরাফি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এই কমিটিসহ মোট ১৬টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা গত সংসদেও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। অন্যদিকে সাকিব আল হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হয়েছেন জাহিদ আহসান রাসেল। আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। কমিটিতে সদস্য হিসেবে আরও আছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নাজমুল হাসান, শফিকুল ইসলাম, মাইনুল হোসেন খান, আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সোলায়মান সেলিম ও মহিউদ্দীন মহারাজ। সংসদ নেতা শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে তার পক্ষে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর–ই–আলম চৌধুরী এই কমিটিসহ ১৬টি স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন সোমবার। পরে কণ্ঠভোটে এই প্রস্তাব পাস হয়।  
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়