• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত দিনাজপুর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫.৭ 
টানা শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দিনাজপুর।  সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দিনাজপুরে সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।  এটি আজ সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় এ অঞ্চলে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ।  এ দিকে গতকাল রোববার মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তাপমাত্রার হিসেবে দিনাজপুরে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। কিন্তু তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করলেও সোমবার সকাল থেকে দেখা মিলেছে সূর্যের। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, আজ সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৮ ভাগ। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সূর্যের দেখা মিললেও বাতাস বইছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২২

টানা শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রামের জনজীবন বিপর্যস্ত
কুড়িগ্রামে কয়েক দিনের টানা শীতের প্রভাবে মানুষের দুর্ভোগ কমছে না। মাঘের এ হাড় কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে জেলাবাসী। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং পরে তা আরও কমে সকাল ৯টায় দাঁড়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে জেলায় আজও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। কিন্তু দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললে মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যায়। তবে রোদের উত্তাপ তেমন না থাকায় ঠান্ডা রয়েই গেছে। এদিকে বৃহস্পতিবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ।  অন্যদিকে, প্রচণ্ড ঠান্ডায় বিঘিন্ত হচ্ছে চলতি বোরো মৌসুমের আবাদের প্রস্তুতি। কৃষকরা বোরো বীজতলা নিয়ে শংকিত রয়েছেন। জেলার ৯ উপজেলার অনেক এলাকায় দীর্ঘ ৬ দিন যাবত ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহসহ ঠান্ডার কারণে বীজতলায় হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। এ ছাড়াও আলু খেতের গাছের গোঁড়ায় লেট ব্লাইট রোগের আক্রমণ হওয়ায় গোড়া পচন ধরে গিয়ে চিন্তায় ফেলেছে কৃষকদের।  সদরের কাঁঠালাবাড়ি এলাকার আলু চাষি আব্দুর রহিম জানান, শীতের ঘন কুয়াশা ও হিমের কারণে আলুর গোড়া পচনে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে এ রোগ থেকে খেত রক্ষা করা যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছি। এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রকোপে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া অনেক মানুষ প্রচণ্ড কুয়াশা ও শীতকে উপেক্ষা করে জমিতে কাজে যাচ্ছেন। টানা শৈত্যপ্রবাহে ঘরে কয়েক দিন ধরে থাকায় ও কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছে এসব মানুষ। উপায়ন্তর না দেখে তারা জমিতে কাজ করতে যাচ্ছেন। শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম বলে অভিযোগ শীতার্ত মানুষের। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যে সরকারিভাবে ৬৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। শিশুদের জন্য আলাদা শীতের কাপড়সহ শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারিভাবেও অনেকেই শীতবস্ত্র বিতরণ করছেন। সম্প্রতি ৪টি সংসদীয় আসনে নির্বাচিত এমপিদের বরাদ্দ একহাজার করে ৪ হাজার কম্বল এসেছে। তা তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক ৯ উপজেলায় বণ্টন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৮

কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্থবির
কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় দিনের মতো জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।  সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ বছরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ফলে গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে গিয়ে শীতের দাপট এখন জেলায় চরমে পৌঁছেছে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনজীবন। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। আরও পড়ুন : জয়পুরহাটে শীতের তীব্রতায় কাঁপছে মানুষ     এ দিকে তীব্র ঠান্ডায় জুবুথুবু অবস্থা বিরাজ করায় ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সোমবারও ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা প্রশাসন। এ নিয়ে জেলায় শৈত্যপ্রবাহে বিদ্যালয়গুলো ৩ দিন ছুটিতে পড়ল। তবে অভিভাবকরা এ ব্যাপারে স্বস্তি প্রকাশ করেন এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অভিভাবক নাসরিন জাহান জানান, সামনে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু শীত শেষ হওয়া পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত না হলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলে একটু দেরিতে ১১টায় স্কুল চালু করা যায় কি না সে ব্যাপারে শিক্ষা প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।   এদিকে অতিরিক্ত ঠান্ডায় জেলার সর্বত্রই কাহিল অবস্থা বিরাজ করছে। উত্তরের এ জনপদে সন্ধ্যার পরপরই অতিরিক্ত ঠান্ডার দাপটে জনশূন্য হয়ে পড়ে রাস্তাঘাট। প্রয়োজন ছাড়া কেউই ঘরের বাইরে থাকেন না বলে গত দুদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। রাতভর ঘন কুয়াশা পড়েছে, সকাল পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। রাস্তাঘাট দেখা যায়না এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে শীতের হিমেল হাওয়া। ফলে তীব্র ঠান্ডার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পাচ্ছেন না। আরও পড়ুন : ঈশ্বরদীতে ৯.২ তাপমাত্রা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ      ঠান্ডার প্রভাব না কমায় শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। কাজে যেতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে অনেক শ্রমিকের। এ ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া নিয়ে রোগী ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু ও বৃদ্ধ। জেলা প্রশাসন থেকে সরকারিভাবে ৬৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হলেও এখনও উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেকের হাতে তা পৌঁছায়নি। শীতার্ত মানুষের দাবি আরও শীতবস্ত্র প্রয়োজন এ জেলায়।
২২ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:৩০

তীব্র শৈত্যপ্রবাহে স্থবির লালমনিরহাটের জনজীবন
শৈত্যপ্রবাহে স্থবির হয়ে পড়েছে লালমনিরহাটের জনজীবন। শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ-শিশুরা। শীতে বেশি কষ্ট পাচ্ছে তিস্তা ও ধরলা নদী চর এলাকায় বসবাসরত মানুষ। ৩ দিন সূর্যের দেখা মিলেনি এ জেলায়। সন্ধ্যা নামার আগেই অন্ধকার নেমে আসে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হাড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। এ দিকে হাসপাতালগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। এই শীতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে শিশু-বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ শীতে নিউমোনিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কিছুটা স্থবির জনজীবন। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের জন্য কম্বল বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়