• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাহাড়ি সাত উপজেলায় নিজেদের শাসন চায় কেএনএফ!
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় ত্রাসের আরেক নাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গত বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ-বিজিবির ওপর হামলা করে বসে তারা। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।  এরই মধ্যে দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ত্রাস হয়ে ওঠা গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রতিরক্ষা বাহিনী; শনিবার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রুমা সফরে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সেখানে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ধারণা হচ্ছে যে কেএনএফের সন্ত্রাসীদের মূল উদ্দেশ্য ছিল অর্থ সংগ্রহ করা। তাদের দমনে যা যা করা দরকার তার সবই করবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এবার কেএনএফই নিজেদের সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণ স্পষ্ট করেছে, যা থেকে বোঝা যাচ্ছে যে অর্থ নয়, বরং পার্বত্য অঞ্চল দখলই মূল উদ্দেশ্য তাদের। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে পাহাড়ের শান্তির জন্য হুমকি হয়ে ওঠা সংগঠনটি। রাত ১২টার কাছাকাছি সময়ে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সামনে এসেছে এমনই দাবি সংবলিত একটি পোস্ট। দেশের বিজ্ঞ মহল, বিশ্লেষক ও সাংবাদিকগণের জ্ঞাতার্থে এবং টকশোর আলোচনায় বিশেষ সুবিধার্থে পোস্টটি করা হয়েছে দাবি করে তাতে বলা হয়, আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়টি উপজেলা নিয়ে নিজেদের পৃথক রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে এলেও এখন সাতটি উপজেলা নিয়ে ‘স্বশাসিত পরিষদ’ চায় কেএনএফ, যার নাম হবে ‘কুকি-চিন টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ (কেটিসি)।  ছয় দফা দাবি সংবলিত পোস্টটিতে বলা হয়, দাবিকৃত অঞ্চলে শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর সেখানকার ভূমি ও পর্যটন বিষয়ক সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ডের সর্বময় ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে কেটিসিকে দিতে হবে সরকারের। এছাড়া দাবি অনুযায়ী, কেটিসি’র অঞ্চলে পুলিশ বাহিনীর নিয়োগ প্রদানসহ সব ক্ষমতা কেএনএফেরই থাকবে।  কেএনএফের অতীতের সব হামলা ও অন্যান্য আইন লঙ্ঘনকারী কর্মকাণ্ডকে আন্দোলন দাবি করে আরেকটি দফায় এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।  পরবর্তী দফায় দাবি করা হয়েছে, যেন বিভিন্ন সময়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল তথা ভারতের মিজোরামে পালিয়ে যাওয়া বম জনগোষ্ঠী এবং মিয়ানমারের পালেতুয়া এলাকায় পালিয়ে যাওয়া খুমি ও ম্রো জনগোষ্ঠীর লোকজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসনের সুযোগ ও সুব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আর পোস্টের সবশেষ দফায় নিজেদের সশস্ত্র বাহিনী গঠনের সুযোগ দাবি করা হয়েছে কেএনএফের পক্ষ থেকে, যার নাম হবে কুকি-চিন আর্মড ব্যাটেলিয়ন (কেএবি)।  ফেসবুক পোস্টটি থেকে জানা যায়, বান্দরবানে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ সশস্ত্র সংগঠনটির সঙ্গে দুই দফায় মুখোমুখি সংলাপ হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির। ঈদের পর এপ্রিলের মাঝামাঝি আরেক দফায় উভয়পক্ষের সংলাপে বসার কথা থাকলেও হঠাৎ গত মঙ্গলবার বান্দরবানের রুমায় ও বুধবার থানচিতে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। তিন ব্যাংকে লুটপাট চালানোর পর অপহরণ করে নিয়ে যায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ম্যানেজারকে। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র‍্যাবের মধ্যস্থতায় রুমা বাজারে নেজাম উদ্দিন নামে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেও ওইদিনই রাতে দুই দফায় থানচি ও আলীকদমে সংগঠনটির পৃথক দুটি গ্রুপ চড়াও হয় পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের ওপর। এ পর্যন্ত কেএনএফের আকস্মিক এ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির পেছনে তাদের অর্থাভাবের বিষয়টিকেই মূল কারণ হিসেবে ধারণা করা হলেও নিজেদের ফেসবুক পেইজ থেকে শেষ পর্যন্ত ভিন্ন ইঙ্গিত দিলো পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীটি।   
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আ.লীগ : আইনমন্ত্রী 
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে আওয়ামী লীগ।  শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় খরমপুর মাজার শরিফ কর্তৃক আয়োজিত ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। এ সময় আইনমন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে মন্তব্য করেছেন তার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলতে চাই বাংলাদেশ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ রক্ষা করবেন এবং সেটিই বহু দলীয় গণতন্ত্র।  এ সময় ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিন্টু খাদেম প্রমুখ।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪০

আ.লীগ ছদ্মবেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় : মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের মতো আওয়ামী লীগ বাকশাল তৈরি করতে চায়। এবার তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বাকশালী শাসনব্যবস্থা কায়েম করছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও শহরের সাধারণ পাঠাগার চত্বরে সদর উপজেলা বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।  মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অসংখ্য মানুষকে হত্যা ও গুম করেছে। প্রায় ৬০ লাখ নিরপরাধ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কারাগারে এক দিনে নিয়ে গেছে ৩০ হাজার মানুষকে। এভাবে তারা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করে দেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা সেটি ধ্বংস করে দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন দমিয়ে রাখতে পারিনি, আজকের সমাবেশে হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে সেটি তার প্রমাণ। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। যাদের কোনো ম্যান্ডেট নাই, তাদের যদি ক্ষমতায় আরও থাকতে দেওয়া হয় তাহলে ভয়াবহ পরিণতি হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। সে জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলে সেই সংগ্রামকে আরও বেশি জোরদার করতে হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসার জন্য আমরা আন্দোলন করছি না, আমরা আন্দোলন করছি ভোটের অধিকার, অন্নের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার এবং কথা বলার অধিকারের জন্য। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি ১৭০০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছেন নিজের নামে। এরপরও নামে–বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার মালিক। আওয়ামী লীগ এভাবে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করছে। সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ প্রমুখ। এর আগে তিনি বিভিন্ন মামলায় কারামুক্ত দলীয় নেতাকর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩১

কোথাও আমরা আইনের শাসন পাচ্ছি না : ড. ইউনূস
আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা কোথাও পাচ্ছি না বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমার ও দেশের মানুষের ওপর বালা-মুসিবত এসেছে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই। একটা বালা-মুসিবত পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে। সেই মুসিবত থেকেও আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কিছুটা নির্দেশনা দিতে পারছি যে, এই পথে গেলে আমরা মুক্তিটা পাব। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। দেশের বালা-মুসিবত কী জানতে চাইলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা তো রোজ লিখছেন সেটা কী, আমাকে বলতে বলছেন কেন? বালা-মুসিবত হচ্ছে মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে থাকতে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না। আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস, সেটা আমরা পাচ্ছি না কোথাও। রোজ আপনারা লিখছেন সেগুলো, আমরা আপনাদের কাছ থেকে তো শিখছি, বুঝে নিচ্ছি। আপনি কোথায় দেখছেন আইনের শাসন নেই—জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি কাগজের বস্তাটা আপনার হাতে তুলে দেই। এটা আপনি পাতা উল্টে উল্টে লিস্ট করেন, আমি বলে দেবো। অসুবিধা নেই তো। এগুলো আপনারা দেখবেন।’ আপনি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, আপনারা যেভাবে দেখছেন, আমিও সেভাবে দেখছি। দেশের একজন নাগরিক হিসেবে দেখছি, আপনিও দেশের নাগরিক হিসেবে দেখেন। আমরা তো দেশের অংশীদার। আমরা সবাই মিলেই তো এ দেশ। আদালত আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিলেন। আপনি ন্যায়বিচার পাচ্ছেন কি না? জানতে চাইলে জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এখনো তো বিচার শুরু হয়নি। তিনি বলেন, আমার মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয়, সারা পৃথিবী যেখানে আমাদের থেকে শিখতে চায়, আমাদের সেটাতে গৌরব বোধ করার কথা। সেটা না করে আমরা এমন কাজ করছি যে, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কারণ ছিল না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না, সারা দুনিয়া থেকে লোকজন উৎসাহ নিয়ে আসছে। সেই সুযোগটা আমরা দেবো না কেন? বাধাপ্রাপ্ত কেন হচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে ড. ইউনূস বলেন, সেটা আপনারা বিচার করেন। আমরা কী ব্যাখ্যা দেবো বলেন? ড. ইউনূস বলেন, আমার অনুরোধ, এই রমজান মাসে আমরা সবাই মিলে নিজেদের দিকে তাকাই। আমরা নিজ নিজ ভূমিকা পালন করতে পারছি কি না? আমরা যেটা করতে চাচ্ছিলাম, সেটা করতে পারছি কি না? না করতে পারলে কীভাবে আমরা প্রতিবাদ জানাব। কীভাবে আমাদের কথাগুলো আমরা শোনাতে পারব, সেই শোনাবার পথ আমরা বের করি। পথ আমাদের বের করতেই হবে। এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৫২

গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একইসঙ্গে প্রত্যেক নাগরিকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন জরুরি বলে মনে করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য করে সই করেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে তিনি লিখেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট কালরাতে খুনিদের বুলেটের আঘাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্রসহ সব শহীদকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি আরও লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাস, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এরপর লিখেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনিময়ে কার্যকর অবদান রাখতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা - ইনশাআল্লাহ।  
২৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২৩

শাসন করায় শিক্ষককে হাসপাতালে পাঠাল ছাত্র-অভিভাবক
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বিনয় কৃষ্ণ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে শাসন করায় ওই শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বেধরক মারপিটের শিকার হয়েছেন বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারীরাও।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর প্রধানশিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ শিক্ষক, যারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সর্বশেষ রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা গেছে, এদিন সকালে মাত্র একটি খাতা হাতে বিদ্যালয়ে আসে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার। কিন্তু সে এ্যাসেম্বলীতে অংশ না নিয়ে পাশেই আড্ডা দিচ্ছিল বিধায় প্রধানশিক্ষক তাকে বকাঝকা করে। এতে ওই শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়। পরে বিকেলে বিদ্যালয় ছুটি হলে পরিকল্পিতভাবে ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবার ও অভিভাবকরা শতাধিক নারী-পুরুষ দলবদ্ধভাবে বিদ্যালয় অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে বেধরক মারপিট শুরু করে।  এ সময় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিক্ষুব্ধরা তাদেরকেও বেধরক মারপিট করে। এতে প্রধান শিক্ষকসহ ১০-১২ জন শিক্ষক-কর্মচারী আহত হন। পরে খবর পেয়ে কোটালীপাড়া থানার পুলিশ গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।  স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষার্থী প্রীতাশ হালদার অনেকটা বখাটে প্রকৃতির। তার চলফেরা ও কাজকর্মের মধ্যে চরম উগ্রতা রয়েছে। এর আগেও ওই শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে বিদ্যালয়ে অস্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে উগ্র ব্যবহার করেছে।  কোটালীপাড়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জসিম উদ্দীন শেখ জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ও বিদ্যালয়ের ল্যাব অপারেটর সুদীপ অধিকারীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী আহতদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  তিনি আরও জানান, দুজনেরই মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ আলম জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দোষীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে, এ ব্যাপারে এখনো কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।  
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৫

শাসন করায় যেভাবে প্রতিশোধ নিলো ভাতিজা
নড়াইলে মাদকাসক্ত ভাতিজাকে শাসন করায় কুপিয়ে চাচার পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফাহিম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে মেহেদী মুন্সী নামের ওই চাচাকে। এমন অভিযোগই করছেন স্বজনরা। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে লোহাগড়া উপজেলার চাপুলিয়া গ্রামে হামলার শিকার হন মেহেদী মুন্সী। তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মেহেদী চাপুলিয়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।  ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা জানান, কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামের মেহেদী মুন্সীর বড় ভাই মাহাবুব মুন্সীর ছেলে ফাহিম মাদক সেবনসহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। ফাহিমের বখাটেপনায় অতিষ্ঠ হয়ে শুক্রবার রাতে মেহেদী ভাতিজা ফাহিমকে শাসন করতে গিয়ে লাঠি দিয়ে শরীরে আঘাত করেন তার চাচা মেহেদী মুন্সী। এরই জেরে ফাহিম শনিবার সকালে তার কয়েক সহযোগী সন্ত্রাসী নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেহেদীর ওপর হামলা চালায়। এতে তার বাম পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ এলোপাতাড়ি আঘাতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়।  স্বজনরা আরও জানান, জখম করে মেহেদী মুন্সীকে রক্তাক্ত অবস্থায় রেখেই ভাতিজা ফাহিম পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা গিয়ে মেহেদীকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন রায়।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৩

মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে শাসন করায় কিশোরীর আত্মহত্যা
নোয়াখালীর চাটখিলে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত নিপা আক্তার (১৫) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের মো. রিপনের মেয়ে। তিনি স্থানীয় ফয়জুর নেছা মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।    বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এর আগে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের নাহারখিল গ্রামের পুরাতন দেওয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।   পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত নিপা তার এক ভাইসহ নানার বাড়িতে থাকত। তার মা চট্টগ্রামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গত কিছু দিন ধরে নিপা মুঠোফোন ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কলহ দেখা দেয়। একপর্যায়ে মুঠোফোন ব্যবহার নিয়ে তাকে নানার পরিবারের সদস্যরা শাসন করে। এতে অভিমান করে নানার বাড়ির মানিক নামের এক আত্মীয়ের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন নিপা। স্বজনরা পুলিশে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থলে এসে নিপার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।   চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।      
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়