• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লালন ব্যান্ডে ভাঙন, সুমি-তিতির দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
এক-দুদিন নয়, দীর্ঘ ১৭ বছরের পথচলার ইতি টেনে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে গেছে। সেজন্যই এই সিদ্ধান্ত।  তার ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে সামনে এসেছে আরেকটি বিষয়। ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে তিনি যে  বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন, তার ভবিষ্যৎ কী?  এ ব্যাপারে তিতির বলেছেন, ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। আর ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে, তা কেবল সময়ই বলে দেবে।  তিনি আরও বলেন, কেউ মুক্তি চাইলে তাকে মুক্তি দিতে হয়। সুমি হয়তো আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। আর সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমি সরে এসেছি। তবে আমি কাউকে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। বিগত কয়েক বছর ধরে তিতি ও সুমির এই সমস্যাগুলো চলছিল। তবে তা বিরাট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। বিশেষ করে তিতির হাতে ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। যার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেনি লালন ব্যান্ড। এতে করে আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির। দিন যতই গড়াতে থাকে, ততই সুমির দর্শনে পরিবর্তন দেখতে পান তিতি। যা তাকে ডুবিয়েছে চরম হতাশায়। কারণ, তিতির ইচ্ছা ছিল ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে কখনো অর্থ বড় হয়ে উঠবে না। বিশ্বাস ছিল সুমিকেও কখনো তারকাখ্যাতি ও অহমিকা স্পর্শ করবে না। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ— সবই ঘিরে ধরেছে সুমিকে। বিষয়টি নিয়ে তিতি বলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের সঙ্গে লোভ ব্যাপারটা যায় না। যেহেতু আমরা তার জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই অনেক কিছুই আমাদের ভেবেচিন্তে করতে হয়। জিবে যদি আমাদের লোভ জন্মায়, তবে কেন আমরা তার গান করছি? তিনি আরও বলেন, কণ্ঠশিল্পী সুমির কাছে প্রায় সবসময়ই গাড়ি-বাড়ির অফার আসতো। কিন্তু মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে না পারায় বিষয়গুলো তার মধ্যে কাজ করছিল।  শেষ কয়েক বছর তিতির দেখতে পান সুমির মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করেছে। এ নিয়ে তাকে একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টাও করেন তিনি। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টো দেখতে পান তিতিকে এড়িয়ে চলছেন সুমি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে ওই অর্থে তার যোগাযোগ নেই। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা এক ফোনকলে তিতিকে জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে আপাতত তার ওখানেই থাকবে। আর সংগীত নিয়ে সে আপাতত কিছু ভাবছে না।  সুমি ও তিতির বিয়ে হয় ২০১০ সালে। তবে বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাজানি হয়নি। এখন এই অবস্থায় এসে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে বা কেমন রয়েছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিতি বলেন, আমার জানা নেই। তবে এতটুকু বলে রাখি, ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ের মতো সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সুমির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম। তাই যা বলার, তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।   সঙ্গে তিনি এ-ও বলেন, আমি কোনোভাবেই চাই না আমার ও সুমির এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি হোক। দরকার হলে নতুন কোনো ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গিয়ে তিতি আলাদা একটি হোটেলে ছিলেন। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষ করে গাড়িতে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বাগবিতণ্ডা হয় তিতির। তখন সুমি তাকে বিভিন্ন বিষয়ে দোষারোপের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে তোলেন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও। পরে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। ঢাকায় আসেন ভাড়া করা বাইকে। এরপর ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে শো থাকলেও সুমি তা একক সিদ্ধান্তে বাতিল করেন। মূলত তখনই তিতি নেন ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত।
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

যে কারণে লালন ব্যান্ড ছাড়লেন ড্রামার তিতি
এক-দুদিন নয়, পথচলা দীর্ঘ ১৭ বছরের। এবার সেই সম্পর্কের ইতি টেনে ‘লালন’ ব্যান্ড ছাড়লেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। কারণ হিসেবে গণমাধ্যমকে জানালেন নানা কথা।  জানা যায়, সবশেষ গত ৯ মার্চ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) কনসার্টে লালন ব্যান্ডের সঙ্গে ড্রাম বাজান তিতি। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে  দেখা যায় ‘লেফট জব’ স্ট্যাটাস। হঠাৎ কেন দল ছাড়লেন তিনি, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে ভক্ত থেকে সাংবাদিক—সবার মনেই। বিষয়টি নিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যম কথা বলে ড্রামার তিতির সঙ্গে। তখন তিনি বলেন, লালন ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা রয়েছে। আর সে কারণেই কণ্ঠশিল্পী সুমি যতটা পরিচিতি পেয়েছেন, তার তুলনায় বাকি সদস্যরা রয়ে গেছেন অনেকটাই আড়ালে। কনসার্ট আয়োজকদেরও দেখেছি, ব্যান্ড থেকে সুমিকেই বেশি গুরুত্ব দিতে। বেশির ভাগ কনসার্টে তাকেই একা আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু সেগুলোতে তিনি অংশ নেন না। এতে করে দিনের পর দিন আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সুমি। আমি এমনটা চাই না। চাই, সুমি নিজেকে মেলে ধরুক। আরও এগিয়ে যাক।  তিনি আরও বলেন, সুমি কিন্তু অনেকের মতো ব্যান্ডকে ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠানও গড়তে পারেননি। তিনি আসলে যত বড় শিল্পী, সে তুলনায় আজও তার আর্থিক সফলতা আসেনি। আর এটা শুধু ব্যান্ডের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসার কারণেই।  তিতি বলেন, দেশ কিংবা বিদেশ—অনুষ্ঠান যেখানেই হোক সবাই শুধু সুমিকেই খোঁজেন, ব্যান্ডকে নয়। অবশ্য এর পেছনে কারণও রয়েছে। ব্যান্ডদলের সবাইকে নিলে অনেক খরচ। সুমি এখানেও নিজের অবস্থানে অটুট। একা কোথাও যান না। বিষয়টি নিজে থেকে অনুধাবন করেছি। চাই না, ব্যান্ডের জন্য তার সফলতা আটকে থাকুক। এ কারণেই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত।  তবে এসবের বাইরে কণ্ঠশিল্পী সুমিকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগও আছে তিতির। তিনি বলেন, সুমি অনেক সময় স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতেন। আর তার সেই সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করতো পুরো দলের প্র্যাকটিস ও কনসার্ট। এমনটা হওয়া উচিত নয়। কারণ, কিছু সময় মানুষকে তার প্রিয় জিনিস ছেড়ে আসতে হয়। আমি ব্যান্ড ও সুমিকে সর্বোচ্চ জায়গায় নিয়ে গেছি। খারাপ সময়ে মোটেই ফেলে যাইনি। প্রসঙ্গত, তিতি ২০০৭ সালে লালন ব্যান্ডে যোগ দেন। এর আগে তিনি ফেইথ, আর্ক, স্বাধীনতা ও কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে কাজ করেছেন।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে লালন ভক্তকুলের সাধুসঙ্গ
ফকির লালন সাঁইজির স্মরণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুসঙ্গ।  চাঁপাইয়ের লালন ভক্তদের আয়োজনে শহরের বিশ্বরোড এলাকায় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল থেকে রাত অবধি বসেছিলো এ সাধুসঙ্গ। এতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় থাকা লালনের ভক্তরা মিলিত হয়েছিলেন।   সাধু সাদিকুল সাঁইজির সভাপতিত্বে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে ফকির লালন সাঁইজির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কালচারাল অফিসার ফারুকুর রহমান, আবৃত্তিকার ড. ইমদাদুল হক, কবি আনিফ রুবেদসহ অন্যরা। লালন ভক্ত কাউসার রিপনসহ অন্যান্য বাউল ভক্তরা আলোচনার মাঝে শোনান লালনের গান।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫

লালন স্মরণোৎসব আজ, থাকছে না মেলা
রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবার লালন স্মরণোৎসব শুধুমাত্র একদিনের আলোচনা সভা ও লালন ফকিরের রীতি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। প্রতিবছর উৎসব তিন দিনব্যাপী চললেও এবার হবে এই এক দিন। বাউল মেলা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান বাদ দেওয়া হয়েছে।  রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল ৩টায় ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীর অডিটোরিয়ামে লালন ফকিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে এ আলোচনা সভা হবে। প্রায় দু’শ বছর আগে বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই তার জীবদ্দশায় প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপূর্নিমা তীথিতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ করতেন। খাটি করে গড়ে তুলতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় শিষ্যদের জ্ঞান দিয়ে মহাগুরু লালন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার দেহত্যাগের পরও এ উৎসব চলে আসছে।  জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহেতেশাম রেজা বলেন, এবার দৌলপূর্নিমা তীথি রমজান মাসে পড়ায় রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় লালন স্মরণোৎসব শুধুমাত্র আলোচনা সভাতেই শেষ করা হচ্ছে। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এছাড়াও বিশিষ্ট লালন গবেষকরা আলোচনায় অংশ নেবেন।  অন্যদিকে লালন অনুসারী ভক্তরা তাদের সাইঁজীর রীতি অনুযায়ী অডিটোরিয়ামের নিচে সাধু সঙ্গ করবেন। ইতিমধ্যেই নিজেদেরকে খাটি করতে কিছু লালন অনুসারী, ভক্তরা আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বলছেন, লালন ফকির মানুষের পক্ষে, শান্তির পক্ষে। তাই তারাও শান্তির পক্ষে। স্বল্প পরিসরে তারা লালনের বাণী প্রচার করছেন। আগামী উৎসবে এসে সাইজির ভবের হাটে মানবতার মুক্তির উৎসব করবেন বলে প্রত্যাশা তাদের।  
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়