• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আল-কাহতানির দাবি সত্যি হলো, বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় যাচ্ছে সৌদি
সৌদি আরব প্রথমবারের মতো বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে- সৌদি ফ্যাশন মডেল রুমি আল-কাহতানি নিজের ইন্সটাগ্রামে এই দাবি করার পর বিষয়টি অস্বীকার করা হয়।কিন্তু এক মাস পর প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে সেই অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হলো। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সমন্বয়ক মারিয়া হোসে উন্ডা এ সপ্তাহে বার্তা সংস্থা এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তারা সৌদি আরবের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই করতে কঠোর যাচাই–বাছাই প্রক্রিয়া অনসুরণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই এ প্রতিযোগিতার জন্য সৌদি আরবের জাতীয় পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতার আসরের আগে সৌদি আরবের একজন প্রতিযোগী প্রস্তুত করা ‘সম্ভব’। গত মার্চের শেষের দিকে এবিষয়ে সৌদি মডেল রুমি আল–কাহতানির ইন্সটাগ্রাম পোস্ট ব্যাপক সাড়া ফেলে। ওই পোস্টে তিনি বলেন, আসন্ন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন।  ওই পোস্টে রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী আল–কাহতানির ছবি ছিল। ছবিতে তিনি কালিমা শাহাদাৎ লেখা সবজ সৌদি পতাকা মেলে ধরেছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে এই পোস্ট নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।  এর এক সপ্তাহের মধ্যেই কাহতানির পোস্টের প্রসঙ্গে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ জানায়, তার এ দাবি ‘মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। উপসাগরীয় রাজ্যে কোনো বাছাই প্রক্রিয়া চালানো হয়নি বলে জানায় তারা।  মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের প্রার্থীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে তা হবে রাজতন্ত্রের অতি–রক্ষণশীল ভাবমূর্তি শিথিল করার প্রচেষ্টায় বড় পদক্ষেপ। দেশটির কার্যত শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান পর্যটক ও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছেন।  বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে নারীদের গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ এবং সবসময় আবায়া পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। 
৮ ঘণ্টা আগে

‘হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দিনে লক্ষাধিক মুরগি’
চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোক করে সারাদেশে লাখ-লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিনে যার মূল্য দাড়ায় ২০ কোটি টাকা। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সংকটে পড়তে পারে দেশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পোলট্রি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।   পোলট্রি খামারিরা এখন উভয় সংকটে রয়েছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরগির বাচ্চার সংকটে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চা খামারিদের দ্বিগুণ দামে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল ব্রয়লার মুরগি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম ও মুরগি সরবরাহকারীরা ও তেজগাঁও-ভিত্তিক ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।   এ থেকে উত্তরণের পথ দেখানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সরকারের প্রতি পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে। সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে হবে। এতে করে বাজারে সংকট সৃষ্টি হবে না। 
১৯ ঘণ্টা আগে

তাপদাহে সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে কেন
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহ্য গরমের হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন। এরই মধ্যে যশোর, গাজীপুর, শরিয়তপুর, বগুরাসহ আরও কয়েকটি জেলার পাকা সড়কের পিচ বা বিটুমিন গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে যশোর জেলার পিচ গলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। কারণ কয়েক দফায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এই জেলায়। ‘প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে’ গলে যাচ্ছে জেলার বিভিন্ন সড়কের বিটুমিন। তবে পুরো সড়কের বিটুমিন গলছে না। কিছু কিছু স্থানে গলছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কেন গলে যাচ্ছে সড়কের পিচ বা বিটুমিন? মূলত প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণেই সড়কের কিছু কিছু অংশের বিটুমিন গলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণের সঙ্গে জড়িত একাধিক ঠিকাদার বলেন, উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহারে ঘাটতির কারণে সড়কের কোনো কোনো অংশ গলে যাচ্ছে। আবার ওসব অংশে যথেষ্ট পরিমাণ উন্নত বিটুমিন ব্যবহার না করার কারণে এমনটি হচ্ছে।    মহাসড়কের কিছু অংশের বিটুমিন কেন গলে যাচ্ছে জানতে চাইলে সড়ক নির্মাণে জড়িত এক ঠিকাদার বলেন, ‘আগে আমরা পদ্মা, যমুনাসহ বিভিন্ন অয়েল কোম্পানি থেকে বিটুমিন সংগ্রহ করতাম। এছাড়া একসময় ইরান থেকে বিটুমিন আমদানি করা হতো। এখন অবশ্য বন্ধ। ফলে দেশীয় সাধারণ গ্রেডের অর্থাৎ তরল বিটুমিন ব্যবহার করতে হয়। সঙ্গত কারণেই উচ্চ তাপমাত্রা সহনীয় বিটুমিন ব্যবহার করা হয় না। লোকাল মার্কেট থেকে কিছু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনতে হয়। তারা যে ধরনের বিটুমিন সরবরাহ করে, সেগুলো দিয়ে মানসম্মত সড়ক তৈরি সম্ভব নয়। এই কারণে বিটুমিন বেশি তাপ পড়লে গলে যায়।’ এদিকে দেশে দুই ধরনের বিটুমিন বাজারজাত হয় বলে জানিয়েছেন সড়ক নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। তারা বলছেন, একটি ৬০-৭০ গ্রেডের, যা অধিকতর গাঢ়। এই শ্রেণির বিটুমিন সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হলে তা উন্নত ও টেকসই হয়। আর ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন কিছুটা তরল। তরল বিটুমিন দিয়ে পিচ ঢালাই হলে সড়ক টেকসই হয় না। ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন গুণগত মানে তরল বা পাতলা হওয়ার কারণে গ্রীষ্মকালে সড়কগুলো গলে ঢিবির মতো উঁচু-নিচু বা ঢেউয়ের আকৃতি ধারণ করে। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত।  যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে সহনীয় সড়কে ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। পরে আরও বেশি তাপমাত্রা সহনশীল সড়কে ৬০-৭০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু সড়ক বেশ কয়েক বছর আগের তৈরি। সেখানে মূলত ৮০-১০০ গ্রেডের বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। সে কারণে এগুলো গলে যেতে পারে। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহবুব হায়দার খান বলেন, ‘সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে মূলত তাপমাত্রার কারণেই। গত কয়েকদিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড তাপমাত্রা বিরাজমান। এই তাপমাত্রায় কোথাও কোথাও পিচ বা বিটুমিন গলে যাচ্ছে।   
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৫

তাপদাহে গলে গেছে সড়কের পিচ, আটকে যাচ্ছে জুতা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অতিরিক্ত তাপদাহে গলে তরলে পরিণত হয়েছে সড়কের পিচ। এতে আতঙ্কে রয়েছে চালক ও পথচারীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কালিয়াকৈর-ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, আজ কালিয়াকৈর তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগের দিন রোববার উপজেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে বা গ্রামগঞ্জের লোকজনের উপস্থিতি কম হলেও শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে জিরিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কিছু সময় পর পর হাতে মুখে পানি দিয়ে নিজেকে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন। রিকশাচালক আক্তার হোসেন বলেন, সকাল ৮টায় রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি। রোদের দাপটে লোকজন বাইরে কম বের হচ্ছে। তাই আয় রোজগার কমেছে। প্রতিদিন রিকশা মালিককে দুইশো টাকা, নিজের দুপুরের খাবার, চা-নাশতার খরচ মিলিয়ে আগে ৩৫০ টাকা আয় করতে হবে। এরপর সংসার খরচের জন্য যা হয়। কিন্তু এ গরমে সে আয়ও করতে পারছি না। রমজান নামের এক ফেরিওয়ালা বলেন, গরমে লোকজন বাইরে কম, তাই বেচাবিক্রি বেশি একটা হচ্ছে না। রাস্তায় ঘুরতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিকে গরমের কারণে উপজেলাজুড়ে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। লাগাতার তাপপ্রবাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফর রহমান। তিনি জানান, এই গরমে ডায়রিয়া, বমি, পেটে ব্যথার রোগী বেশি ভর্তি হচ্ছে। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। তবে ডায়রিয়ার কারণে ১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। তাপদাহ না কমলে হয়তো এর সংখ্যা আরও বেড়ে যেতে পারে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৮

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধিতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০

বাংলাদেশ সব দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। এই স্বপ্নটি আমাদের দেখিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখাননি, আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর এখন বঙ্গবন্ধুরকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ে তুলেছি। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, উন্নয়নসহ সকল দিকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।  বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের আয়োজনে মনোমুগ্ধকর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, এতকিছুর পরেও কিছুটা ভয় আমাদের আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে পক্ষটি বিরোধিতা করেছে, যারা চেয়েছে, আমরা কখনও স্বাধীন না হই, যারা রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ করেছিল, নজরুলকে খণ্ডিত করেছিল, আমাদের সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করেছিল তারা এখনও বসে নেই। তারা তাদের চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তারা আমাদের ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে সংস্কৃতিচর্চাকে বাধাগ্রস্ত করছে। দীপু মনি বলেন, এর থেকে উত্তরণে সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ প্রয়োজন। সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনে এই জাগরণ প্রয়োজন। ধর্মের খণ্ডিত অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি জাতিকে সংস্কৃতিচর্চা থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে সে জাতি কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। আমরা বাঙালি এটিই আমাদের পরিচয়। আমাদের এই পরিচয়কে খণ্ডিত করার অপচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে হবে। সংস্কৃতি আর রাজনীতি যখনই হাতে হাত মিলিয়ে রাজপথে হেঁটেছে, তখনই আমাদের অধিকার আদায় হয়েছে।  আনন্দধ্বনি সঙ্গীত শিক্ষায়তনের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টুর পরিচালনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, যুব লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. জাফর ইকবাল মুন্না, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক গোপাল চন্দ্র সাহা, লেখক ও চিত্রশিল্পী মাইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ চাঁদপুর শাখার সভাপতি লায়ন মাহমুদ হাসান খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আনন্দধ্বনির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৩

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনিবন্ধিত অনলাইন!
দেশে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগ থেকেই। তবে যেসব অনলাইন নিবন্ধনভুক্ত নয় তাদের বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ বিষয়ে এখন থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে অনিবন্ধিত ও অবৈধ অনলাইনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনারা (সাংবাদিক) বলছেন নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সরকার নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করে না, বরং আপনারাই বলছেন কিছুটা দরকার ডিসিপ্লিনের (শৃঙ্খলা) জন্য। স্বাধীনতা এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যেটা লিমিটলেস (সীমাহীন)। যে কারণে কিছুটা ডিসিপ্লিনের অভাবও হয়ে গেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ওনাব) কার্যনির্বাহী সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাইরেও অনেকে অনলাইন সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন। এখানে গণমাধ্যম এতোটাই মুক্ত, উন্মুক্ত এবং স্বাধীন যে, নিবন্ধন ছাড়াও চলতে পারে এবং নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের কথা পেশাগত সাংবাদিকরাই বলছেন, এটা করা দরকার। কিন্তু আমরা এগুলো করি না। যেটা প্রমাণ করে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সংবাদমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। এটা মুক্ত না, উন্মুক্ত।  তিনি বলেন, একটা ডিসিপ্লিন আনা দরকার। যেহেতু নিবন্ধনের একটা প্রক্রিয়া আছে, সেটাকে কার্যকর করা দরকার। যারা নিবন্ধিত, তাদের কিছুটা প্রণোদনা ও সহায়তা দেওয়ার দরকার আছে, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাকে প্রমোট (এগিয়ে) করার জন্য। তিনি বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলোর মাধ্যমে অনেক চটকদার, অসত্য, মানহানিকর ও ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন হয়। এটা একটা ভালো দিক— সাংবাদিক মহলই চাচ্ছেন একটি শৃঙ্খল ডিসিপ্লিনযুক্ত সাংবাদিকতার বিকাশ। এখানে পূর্ণাঙ্গভাবে আপনাদের সাথে একমত। মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, তবে একইসাথে আমি মনে করি, নিয়ন্ত্রণ কিংবা নজরদারির প্রশ্ন আসে না। আমরা এগুলোর পক্ষে না, আমরা করতে চাই না। আমরা এগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমরা মুক্ত গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। আমাদের এখন ৪২৬টি নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল আছে। এরমধ্যে ২১৩টির মূলধারার গণমাধ্যমে আছে—ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। আর ২১৩টি কেবল অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আরও কিছু প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।  তিনি জানান, নতুন কেউ অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিয়ে আসতে চাইলে তাদের নিজেদের প্রমাণ করার সময় দেওয়া দরকার। আর যারা অনিবন্ধিত, আমি মনে করি, অবৈধভাবে কোনো কিছু সঠিক না, তারা সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে না। সেগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবো। আর এটা আপনাদের (সাংবাদিক) দাবি। আমি কিন্তু বলছি না। কাজেই আমি সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আপনাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। ‌‌তিনি আরও বলেন, আমি চাই না, সরকারের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি ঘোষণা দিলাম যে, অনিবন্ধিত অনলাইন বন্ধ করে দেবো, কালকে হেডলাইন করে পরের দিন আলাপ হবে, সরকার তো গণমাধ্যমের গলা টিপে ধরছে। সেটা আমি চাই না। সাংবাদিকরাই এমনটা বলছেন।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৪

হেপাটাইটিসে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে : ডব্লিউএইচও     
বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ। ডব্লিউএইচওএর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ। কার্যকর এবং সস্তা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে। তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে। হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’ হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে। তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরও বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে। ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’ 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

শুরু হতে যাচ্ছে সেলিব্রিটি ফুটবল টুর্নামেন্ট
বেশ কয়েকবছর ধরেই তারকাদের নিয়ে জাঁকজমকভাবে আয়োজিত হয় ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ’। গেল বছরও আয়োজিত হয়েছিল সিসিএল। তবে তারকাদের মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে ঝামেলা তৈরি হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায়। ‘সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগ’ আয়োজন করেছিল উইংস কমিউনিকেশনস। এবার এই আয়োজকরাই তারকাদের নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে সেলিব্রিটি ফুটবলস ম্যানিয়া!  বৃহস্পতিবার ( ৮  এপ্রিল) রাতে মিরপুর স্কাই লাউঞ্জে জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলন এবং লোগো উন্মোচিত হয় তারকাদের এই ফুটবল টুর্নামেন্টের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাঞ্জু জন, রাহা তানহা খান, রাফসান শাবাব, মুসাফির সাঈদ, শিবলী নোমানসহ অনেকেই। জানা গেছে, আগামী ২৯ ও ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে সেলিব্রিটি ফুটবল লিগের এই টুর্নামেন্ট।  সেলিব্রিটি ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজকরা জানায়— ছয়টি দলে ভাগ হয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণির তারকারা ফুটবল খেলবে। এখানে চারটি দল ছেলে তারকাদের ও দুটি দল নারী তারকাদের।  এ প্রসঙ্গে উইংস কমিউনিকেশনসের কর্ণধার সৈয়দ জিহাদ হোসাইন বলেন, সিসিএলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং পূর্বের সকল অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সকল ভুলভ্রান্তি শুধরে আমরা এবার তারকাদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি।  তিনি আরও বলেন, এবার অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, এফডিসি এবং আমাদের সিনিয়র শিল্পীদের সহযোগিতা নিয়েছি আমরা। তারা আমাদের ব্যাপকভাবে সাপোর্ট করছেন। আশা করছি, এবারের আয়োজন অনেক বেশি জাঁকজমকপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল হবে।   
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৯

হাতিয়ায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়, বন্ধ করলেন এসিল্যান্ড
হাতিয়ায় এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনে তিন ফসলি জমির বিক্রি হওয়া মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে আশপাশের ক্ষতিগ্রস্থ বসতি পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়ার এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের নুরউদ্দিন মার্কেট সংলগ্ন সরকারি গোপটের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, সরকারি গোপটের পাশে বসবাসকারি সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের ঘর সংলগ্ন জায়গা থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে গত দুই দিন ধরে মাটি উত্তোলন করে বিশাল আকারের গর্ত সৃষ্টি করে ফেলে। এতে বসবাসকারি লোকজনের মধ্যে বর্ষা মৌসুমে ঘর ধসে পড়ার আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বসবাসরত পরিবার গুলোর চলাচলের রাস্তা ভেঙ্গে নষ্ট করে ফেলে। এমতাবস্তায় স্থানীয় বসবাসকারি নারী পুরুষ জড়ো হয়ে তাদেরকে বাঁধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করে মাটি উত্তোলন অব্যাহত রাখে। শনিবার দুপুর ১২ টায় অব্যাহত মাটি কাটার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন হাতিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তাকে (এসিল্যান্ড) মোবাইল ফোনে জানালে এসিল্যান্ড সরেজমিনে গিয়ে তা বন্ধ করে দেন। ভবিষ্যতে যেন এখান থেকে আর মাটি কাটতে না পারে তার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এতে বসবসরত সাধারণ মানুষের স্বস্তি ফিরে আসে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় স্থানীয় আবদুল হাই মাঝির ছেলে বেলাল এখানকার প্রতি হাজার মাটি ২২০০ টাকা করে ২ লাখ মাটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার মাটি পাশের একটি ইটভাটায় বিক্রি করার চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক বেলাল গত দুই দিন থেকে এখানে মাটি কাটা শুরু করেছে। এ বিষয়ে সোনাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এটি ব্যক্তিমালিকানার জমি হলেও যেহেতু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন মাটি কাটা বন্ধ থাকবে।   হাতিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গোলাম ছারোয়ার জানান, সরকারি গোপট পাশে বসবাসকারি মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে এখানে মাটি কাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং কেউ যেন আর এখানে মাটি কাটতে না পারে এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়