• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পী সমিতির নির্বাচন / ডিএ তায়েবের জন্য যেভাবে ভোট চাইছেন মেয়ে টুনটুনি
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক (২০২৪-২৬) নির্বাচন চলছে বিএফডিসি প্রাঙ্গণে। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে মিশা-ডিপজল পরিষদে সহসভাপতি পদে লড়ছেন ডিএ তায়েব। তার জন্য ভোট চাইছেন মেয়ে টুনটুনি। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিল্পী সমিতির সামনের রাস্তায় শিল্পীদের কাছে ফুল দিয়ে বাবার জন্য ভোট চাইছেন ডিএ তায়েবের মেয়ে টুনটুুনি। এ সময় বাবার জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী জানতে চাইলে তিনি বলেন, শতভাগ আশাবাদী। আশাকরি, আমার বাবা বিপুল ভোটে জয়ী হবে। ২০২৪-২৬ মেয়াদের এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটিতে আছেন মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল। অন্যটিতে সোনালি দিনের নায়ক মাহমুদ কলি ও চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে স্থান পেতে এবারের নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে মোট ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৩

বিয়ের জন্য যেমন মেয়ে পছন্দ জায়েদ খানের
জায়েদ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বহুল চর্চিত এক নাম। এবারের ঈদে মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত ‘সোনার চর’ সিনেমাটি। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮টায় সিনেমাসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি মুখোমুখি হয়েছিলেন একটি গণমাধ্যমের অনুষ্ঠানে। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয় বিয়ে নিয়ে। কেমন পাত্রী চান, বিয়ের জন্য- উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে জায়েদ বলেন, আমি যে ধরনের পরিবার থেকে আসছি সে অনুযায়ী ঘরোয়া মেয়ে চাই। এছাড়া আমি একটা কথা সব সময় বলি, আগে দর্শনধারী তারপর গুণবিচারি। মানে দেখতে তাকে অবশ্যই সুন্দরী হতে হবে। যেন রাস্তা থেকে হেঁটে গেলে সবাই চেয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, অবশ্যই তাকে সৎ হতে হবে। তার প্রতিটি কাজকর্মে স্বচ্ছতার পরিচয় দিতে হবে। এগুলো হলেই চলবে। টাকা-পয়সাওয়ালা পরিবারের মেয়ে হতে হবে- এটি আমার কাছে মোটেই বিবেচ্য বিষয় নয়। ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘সোনার চর’ সিনেমায় জায়েদ খান ছাড়াও ওমর সানী, মৌসুমী, স্নিগ্ধা, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৪

ঈদের দাওয়াত দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বাবার, হাসপাতালে মেয়ে
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ইদের দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় বাবা নিহত ও শিশু মেয়ে আহত হয়েছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪২) কাপাসিয়া উপজেলার টোক নয়ন গ্রামের নজিবুল্লাহর ছেলে। গুরুতর আহত নিহতের শিশু মেয়ের (০৪) নাম পাওয়া যায়নি।  স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালক অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে গেছে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজের কাছে অটোরিকশা পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নিহত ও তার শিশু মেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা শিশুকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে।  তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের রয়েছে। স্থানীয় আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ এখলাস মিয়া বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। জানায় ।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭

মোবাইল ভেঙে ফেললেন বাবা, ফাঁস নিল মেয়ে
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলায় মেয়ের মোবাইল ভেঙে দেন বাবা। এতে রাগে-অভিমানে আম গাছে ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বর্ষা আক্তার (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের লোকনাথপুর এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে একই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. রঞ্জু মিয়ার মেয়ে ও ধনবাড়ি উপজেলার মুশুদ্দি রেজিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতিবেশী সুরুজ মিয়ার ছেলের সঙ্গে বর্ষার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতো বর্ষা। পরিবারের সদস্যরা তাকে   ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন বাবা-মা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে মোবাইলে বর্ষা ওই ছেলের সঙ্গে কথা বলছিল, এটি তার বাবা দেখে ফেলে তাকে বকাবকি করেন। শনিবার সকালে মেয়েকে মারধরের পাশাপাশি মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন রঞ্জু মিয়া। এতে রাগে-অভিমানে বাড়ির পাশের আমগাছের গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। সরিষাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে বাড়ির পাশে আম গাছের সঙ্গে ঝুলে বর্ষা আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫২

আচরণে মুসলমানের ছাপ থাকায় অঞ্জুকে অনেকে এড়িয়ে চলত : চিরঞ্জিত
বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ।  ‘বেদের মেয়ে জোসনা’  সিনেমা দিয়ে কোটি ভক্তের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। এরপর দুই বাংলা মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎ সবকিছু ছেড়ে অন্তরালে চলে অঞ্জু। পর্দায় কেন তাকে আর নিয়মিত দেখা যায়নি, সম্প্রতি সে বিষয়েই মুখ খুলেছেন ওপার বাংলা জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিত। জানিয়েছেন, অঞ্জু ঘোষের আচার–আচরণে বাংলাদেশি মুসলমানের ছাপ থাকায় টলিউডে অনেকেই তার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না!  সম্প্রতি কলকাতার গণমাধ্যমে  প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, আমি যখন অঞ্জুর সঙ্গে কাজ করেছি তখনো ওর ভীষণ ডিমান্ড ছিল। কিন্তু এখানে অনেকেই মনে করতেন, তিনি ঠিক আর চার–পাঁচটা হিন্দুর মতো নন। তার কথাবার্তা, হাঁটাচলা সবখানেই বাংলাদেশি মুসলমানের ছাপ ছিল। সেই জন্যই তিনি একজন বড় মাপের অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই তার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না। কুণ্ঠা বোধ করতেন। ক্যারিয়ারে একাধিক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেওয়ার পরেও আড়ালে চলে যান অভিনেত্রী। কেন তিনি সিনেমা থেকে সরলেন? চিরঞ্জিতকে এই প্রশ্ন করা হলে অভিমান নিয়ে অভিনেতার পাল্টা প্রশ্ন, তিনি সরে আসায় কি খুব কিছু আসে যায় দুই বাংলার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির? ভারতীয় ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনেমা থেকে দূরে সরে যাওয়ার পেছনে চাপা অভিমান নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে অঞ্জু ঘোষ বলেছিলেন, জাতি–জাতি করে একটা হিড়িক উঠেছিল–ও হিন্দু, ও মুসলমান! আমি এর মধ্যে পড়তে চাইনি। ক্যারিয়ারে ৩৫০ ছবিতে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে ২০০টি ছবি ছিল বাংলাদেশের। হিন্দুর বাড়ির মেয়ে হয়েও সেই ২০০টা ছবিতেই কালেমা পড়ে অভিনয় করেছি। সেজেছি মুসলমানের বেটি। কিন্তু বাংলাদেশ আমাকে বলল, হিন্দুর বেটি। অন্যদিকে এখানে যখন এলাম আমার গোটা প্রেজেন্টেশন দেখে ভারত বলল, আমি মুসলমানের বেটি। ফলে হলো কী, আমি ওপারে সংখ্যালঘু, এপারেও সংখ্যালঘুই থেকে গেলাম।  প্রসঙ্গত,  ১৯৮৭ সালে প্রধান নারী চরিত্রে সর্বাধিক ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ। মন্দার বাজারে যেগুলো ছিল ব্যবসা সফল। ১৯৮৯ সালে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে হিট সিনেমা ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ উপহার দেন তিনি। ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবিতে কাজ করার আগে ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’ ছবিতে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ। সেই ছবিটি ছিল বাংলাদেশে তৎকালীন সবচেয়ে সফল ছবি।  ১৯৯৬ সালে হঠাৎই বাংলাদেশ ছেড়ে কলকাতায় চলে যান অঞ্জু ঘোষ। কাজ করতে শুরু করেন সেখানকার সিনেমায়। কিন্তু কেন তিনি বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন, সে উত্তর আজও মেলেনি। দীর্ঘ ২২ বছর পর সবশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির উদ্যোগে এফডিসিতে এসেছিলেন অঞ্জু ঘোষ। কিছুদিন থাকার পর কলকাতায় ফিরে যান।  ২০১৯ সালের জুনে বিজেপিতে যোগ দেন অঞ্জু ঘোষ। তখন তার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পরে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অঞ্জু ঘোষ জন্মসূত্রে ভারতীয়।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৫

সাবেক সচিবের মেয়ে চুরি করেন ৮০০ মোবাইল  
অবসরপ্রাপ্ত এক যুগ্ম সচিবের মেয়ে জুবাইদা সুলতানা (৪৪) পরিবারের পরিচয় ব্যবহার না করে রাজধানীর অভিজাত পাড়ার বিভিন্ন হোটেল, ক্লাবে ভুয়া পরিচয়ে সেমিনার এবং নানা প্রোগ্রামে রেজিস্ট্রেশন ও অংশগ্রহণ করতেন। এর নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য চুরি। অভিজাত পাড়ায় অভিজাত চোরের খ্যাতি পাওয়া এই নারী গত ১২ বছরে প্রায় আট শতাধিক মোবাইল ফোন চুরি করেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, গত ৩ মার্চ ঢাকা ক্লাবে গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজীবিষয়ক এক সিমিনারে অংশগ্রহণ করে জুবাইদা চুরি করেন ডা. ফারহানা হকের মোবাইল, ব্যাগ ও গহনা। ডা. ফারহানা হক গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজী বিভাগের চিকিৎসক। চুরির জিনিসপত্র বিক্রি করে দিলেও তার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটি নিজের মোবাইলে হস্তান্তর করে নেন জুবাইদা। সেই থেকে ডা. ফারহানা সেজে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে যাচ্ছিলেন বিভিন্ন রোগীদের এবং হাতিয়ে নিচ্ছিলেন মোটা অংকের টাকা। এ বিষয়ে গত ১২ মার্চ রমনা মডেল থানায় একটি মামলা হয়। মামলা হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে ছায়াতদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তদন্তের একপর্যায়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) জুবাইদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নারীদের ১৬টি হ্যান্ডব্যাগ, চারটি মোবাইল, পাঁচটি বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, অলংকার, বিভিন্ন সুপারশপের কার্ড, চারটি পেনড্রাইভ জব্দ করা হয়। ডিবি জানায়, জুবাইদা সুলতানা ১২ বছর ধরে রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাব ও হোটেলে চুরি করে আসছিলেন। এ পর্যন্ত প্রায় সাত থেকে আটশ মোবাইল, ল্যাপটপ ও দামি ভ্যানিটি ব্যাগ চুরি করেন অভিজাত এলাকা থেকে। হারুন অর রশীদ বলেন, জুবাইদা অভিজাত চোর। তার টার্গেট চাকরিজীবী নারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নারী শিক্ষার্থীরা। তিনি ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, রেডিসন এবং সোনারগাঁওয়ের মতো অভিজাত হোটেলে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে চুরি করতেন। চোরাই জিনিস ব্যবহার করে অভিলাষী জীবন যাপন করতেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার জুবাইদা বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে পেশাজীবী সংগঠনের সভা-সিম্পোজিয়াম, সেমিনারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করে অংশগ্রহণ করতেন। সারাদিন গুরুগম্ভীর আলোচনার ফাঁকে চুরি করে সটকে পরতেন এই নারী। ডিবিপ্রধান বলেন, ১২ বছর ধরে জুবাইদা চুরি করে আসছিলেন। নিজেকে রাখতেন পরিমিতভাবে গুছিয়ে। রেজিস্ট্রেশন করে অংশ নিতেন বড় বড় সভা-সেমিনার ও ওয়ার্কশপে। এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে সুকৌশলে চুরি করতেন দামি জিনিসপত্র। তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, উত্তরা ক্লাবসহ বিভিন্ন পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্টুরেন্টে। জুবাইদা সুলতানা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এসব তথ্য। তিনি আরও বলেন, জুবাইদার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব। তার বোন গ্রামীণফোনের একজন বড় কর্মকর্তা। তার এসব খারাপ অভ্যাসের জন্য তাকে পরিবার থেকে বিতারিত করা হয়েছে। জুবাইদা বিয়ে করেছেন দুটি। তার বর্তমান স্বামীর চতুর্থ স্ত্রী তিনি। তার স্বামী বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। স্বামী সৌদিতে থাকলেও জুবাইদার চুরি করা জিনিসপত্র বিক্রি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৩

ছেলে আরিয়ানের পরিচালনায় শাহরুখ ও মেয়ে সুহানা
বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। কাজ, দুই ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখেই কাটছে তার জীবন। কন্যা সুহানা খানও নাম লিখিয়েছেন সিনেমায়। তবে এখনও জুটি বাঁধা হয়নি বাবা-মেয়ের। এবার সে গল্প রচিত হলো। বাবার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সুহানা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। তবে কোনো সিনেমায় নয় বিজ্ঞাপনে পর্দা ভাগ করেছেন বাবা-মেয়ে।   বিজ্ঞাপনটি পরিচালনা করেছেন শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান। ওই জায়গা থেকে ফ্যামিলি প্যাকেজ বলা যেতে পারে। আরিয়ানের পোশাক ব্র্যান্ড ডি’ইয়াভোলের প্রচারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে বিজ্ঞাপনটি। এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছের বিজ্ঞাপনটির টিজার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে সেটি শেয়ার করে কিং খান লিখেছেন, এই কোলাবরেশনের বিষয়টি যে প্রয়োজন ছিল, তা হয়ত আপনার জানাই ছিল না। প্রতিটি ভালো গল্পই সিকুয়েলের দাবি রাখে। এক্স-২ আসছে ১৭ মার্চ। টিজারে দেখা গেছে, আঙ্গুলে তিনটি আংটি পরা কিং খানের। যার ওপর ডি'ইয়াভোলের তিনটি অক্ষর লেখা। কোনোকিছুর ওপর ঘুষি মারতে দেখা যায় তকে। হাত রক্তে লাল হয়ে যায়। গালেও লাগে রক্তের ছিটে। এরপর সেই হাত দিয়ে একটা পরিত্যক্ত ট্রেনের বগির জানালার কাচে 'এক্স' চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করেন। পরের দৃশ্যে এক মেয়েকে হেঁটে ঢুকতে দেখা যায়। মেঝে থেকে একটি যাদুকরী লাঠি তুলে নেয় সে। লাঠি থেকে বেরিয়ে আসা নীল রঙের আভা, আর তখনই তার মুখট সামনে আসে। বোঝা যায় তিনি সুহানা খান। সুহানা ট্রেনের জানালার পাশের অংশটি সেই জাদুকরী লাঠি দিয়ে ডিজনি লোগোর আকারে নীল রঙ দিয়ে এঁকে দেন। একে অপরের মুখোমুখি হয় বাবা ও মেয়ে,  চোখে চোখ পরতেই সুহানা ও শাহরুখের মুখে ফুটে ওঠে মৃদু হাসি। শোনা যাচ্ছে ‘পাঠান’ ছবির দ্বিতীয় কিস্তি ‘পাঠান ২’ নিয়ে আসছেন শাহরুখ। সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এ ছবি হবে যশরাজ ব্যানারে তৈরি স্পাই ইউনিভার্সের অষ্টম ছবি। দীপিকা পাড়ুকোন তো থাকছেনই, দেখা যেতে পারে আলিয়া ভাটকেও।   
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:১৪

ভাবনাকে কাজের মেয়ে বলে কটাক্ষ!
ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেত্রী আশনা হাবীব ভাবনা। তিন বছর আগে সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন তিনি। সেই সময়ে ভাবনা ও তার মাকে কটাক্ষ করে এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী বলেছিলেন তাদের দেখতে অনেকটাই কাজের মেয়ের মতো। সম্প্রতি সহকর্মীর সেই কটাক্ষ নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অভিনেত্রী।  এ ব্যাপারে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে ভাবনা বলেন, শোবিজ অঙ্গনের কাছের একজন মানুষ আমাকে নিয়ে এমন কথা বলবে, সেটি কখনো কল্পনাই করিনি আমি। তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে সরাসরি অপমান বা ছোট করা। তবে তার ওই অপমান, ছোট করার চেষ্টাগুলোই শক্তি জুগিয়েছে আমায়। এমন অনেকেই আছে যারা সহ্য করতে পারে না যে কেনো একের পর এক নায়িকা হচ্ছি। কিন্তু যতই ছোট করা হোক না কেন আমায়, আমি কখনোই পেছনে ফিরে তাকাইনি। নিজের যোগ্যতার মাধ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চিন্তা করেছি সবসময়।  ‘ভয়ংকর সুন্দর’ সিনেমার এ নায়িকা জানান, তাকে ও তার মায়ের সম্পর্কে ওই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ভাবনা কী করে নায়িকা হয়? ওর চেহারা তো ওর মায়ের মতো। আর ওর মা তো দেখতে আমাদের বাসার কাজের মেয়ে রহিমার মতো। ভাবনা বলেন, আমাকে নিয়ে কেউ একটা মন্তব্য করতেই পারে। কিন্ত আমার মাকে টেনে এনে কেন অপমান করা। আমি চাইলে সেদিন তাকে ওই কথার জবাব দিতে পারতাম; দেইনি। আমার মা-বাবা সেই শিক্ষা দেননি আমাকে। কাউকে ছোট করে কখনো বড় হওয়া যায় না। আমাদের সহকর্মীদের মধ্যেই অনেকে আছেন, যারা অন্যদের টেনে নিচে নামাতে চান। তবে ভাবনা সেই অভিনেত্রীর নাম জানাননি। নাম প্রকাশ করে তাকে ছোট করতে চাননি। ওই অভিনেত্রী একজন শিক্ষিত সংস্কৃতিমনা সহকর্মী। তাকে কখনোই ছোট করতে চান না ভাবনা। ভাবনা বলেন, এখনও কিন্তু আমরা কথা বলি, কখনো আবার আড্ডা দেই। তার নাম প্রকাশ করে ছোট করার কী প্রয়োজন। সে তার নিজের মতো থাক। আমাকে ও মাকে যারা ছোট করেছিলেন, আমি তাদের অন্যভাবে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমাকে যেদিন অপমান করা হয়, ওই দিনই মাথায় আসে ‘কাজের মেয়ে’ নামে একটি বই লিখব আমি। যে মেয়েটি অনেক কাজের ও পরিশ্রমী। সেই বইটি এবার প্রকাশ হয়েছে বইমেলায়। আর শেষ দিন মনে হলো পেছনের ঘটনা সবাইকে জানানো দরকার। 
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৬:৪৭

বেইলি রোডে আগুন / পুড়ে মারা গেলেন অতিরিক্ত ডিআইজির বুয়েটপড়ুয়া মেয়ে
বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মারা গেছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি নাসিরুল ইসলাম নাসিরের বড় মেয়ে লামিশা ইসলাম। দুই মেয়ের মধ্যে লামিশা বড়। ২০১৮ সালে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান স্ত্রী। দুই কন্যাসন্তানের কথা চিন্তা করে পুলিশের এই কর্মকর্তা আর বিয়েও করেননি। লামিশা স্কুল-কলেজ পেরিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ বুয়েটে। মেধাবী এ শিক্ষার্থীর জীবন হঠাৎ থমকে গেল বেইলি রোডের আগুনে। মেয়ের মৃত্যুর খবরে বাবা পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড ক্যারিয়ার প্ল্যানিং-১) নাসিরুল ইসলাম হয়ে পড়েছেন বাকরুদ্ধ। তার সহকর্মীরাও শোকে বিহ্বল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন সহকর্মীদের অনেকেই। জানা গেছে, ২০১৮ সালে নাসিরুল ইসলামের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দুই কন্যাসন্তানের দিকে তাকিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। সন্তানদের নিয়ে থাকতেন রমনার পুলিশ কমপ্লেক্সে। কন্যাদের মানুষের মতো মানুষ করতে মায়ের ভূমিকা পালন করতেন বাবা। স্বপ্ন ছিল কন্যারা বাবাকে ছাড়িয়ে যাবেন পৌঁছাবে অনন্য উচ্চতায়। বড় মেয়ে সেই পথেই হাঁটছিলেন। বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগে ভর্তিও হয়েছিলেন। কিন্তু আগুন মুহূর্তেই কেড়ে নিলো লামিশার প্রাণ। শোকে বিহ্বল বাবার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তার একাধিক সহকর্মী জানান, লামিশা বাসার পাশেই ওই ভবনের কোনো একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন। আগুন লাগার পর তিনি দৌড়ে ছাদের দিকে যাওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠতে পারেননি। নিশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গিয়ে শ্বাসনালী পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আমাদের একজন সহকর্মীর মেয়ে মারা গেছেন। সেই মেয়েটিই নিহত লামিশা ইসলাম। স্বজনরা জানান, লামিশার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে। বুয়েটের বন্ধু নাহিয়ান আমিনের সঙ্গে ওই ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। আগুনে দুজনই মারা গেছেন।
০১ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫২

বাবার মরদেহ ঘরে রেখে পরীক্ষা দিলেন মেয়ে
বাবার মরদেহ ঘরে রেখে অশ্রুসিক্ত নয়নে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার মেয়ে মেমেসিং মারমা।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি নুরুল হুদা কাদেরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। জানা যায়, মেমেসিং মারমা ওয়াগ্গা ইউনিয়নের কুকিমারা পাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তার বাবা উপাচিং মারমা (৪৭) গতকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুকিমারা পাড়ায় নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।  দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনি রোগে ভুগছিলেন বলে জানান কুকিমারা এলাকার কারবারি (পাড়াপ্রধান) চিংসুই মং মারমা।  চিংসুই মং মারমা আরও জানান, মেমেসিং মারমার বাবার একটি কিডনি অনেক আগে থেকেই নষ্ট ছিল। তিনি এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে কৃষি কাজ করে সংসার চালাতান। তার মেয়ে বাবার মরদেহ রেখে আজ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। বিকেলে ধর্মীয় কার্যাদি শেষে তাকে কুকিমারা শ্মশানে দাহ করা হবে।  ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবিমল তনচংগ্যা জানান, মেমেসিং মারমা ২০২৪ সালের চলমান এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসা শিক্ষা বিভাগ থেকে ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় হতে অংশ নিচ্ছেন। 
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়