• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে মা-ছেলে আহত
রাঙ্গামাটির লংগদুতে পাওনা টাকা চাইতে গেলে মা ও ছেলেকে পাওনাদার ছুরিকাঘাতে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) লংগদু উপজেলার ২নং কালাপাকুজ্যা ইউপির ১নং ওয়ার্ডের রশিদপুর এলাকায় লিটনের দোকানে সামনে ঘটে। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অপরাধী শাহিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আহত জহির (২২) শাহিন নামে এক যুবকের কাছে ৩৩৫০ টাকা পায়। পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির পরে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শাহিন, জহিরের পেটে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ছেলেকে বাঁচাতে মা এগিয়ে আসলে মায়ের মাথায় ছুরিকাঘাত করে শাহিন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে লংগদু সদর হাসপাতলে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তীতে জহিরের অবস্থার অবনতি হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা অপরাধী শাহিনকে আটকে রেখে পুলিশকে সোপর্দ করে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:৫৮

প্রেমের টানে ভারতীয় মা-ছেলে বাংলাদেশে, অতঃপর...
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের এক মেয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেম হয় ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা প্রাণ কৃষ্ণ দাসের। এরপর সেই মেয়েকে বিয়ে করতে মাকে সঙ্গে নিয়ে বিনা পাসপোর্টে বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে আসে ওই যুবক। বিয়ে শেষে ফেরার সময় বাঁধে বিপত্তি। ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের যাদবপুর সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে তারা। তারপর ঠাঁই হয় ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ দিন সাজা হয় তাদের। এরপর কারাগারে ছিল চার মাস ২১ দিন।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে কারাভোগ শেষে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিভাবে হস্তান্তর করা হয় মা-ছেলেকে। প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতের দক্ষিণ-চব্বিশ পরগনা জেলার ফুলতলি থানার মথুরানগর কলোনি লস্করপাড়া প্লটের বাসিন্দা প্রাণকৃষ্ণ দাস পেশায় একজন মৎসজীবী। প্রাণকৃষ্ণ দাস বলেন, দালালদের মাধ্যমে বিনা পাসপোর্টে কেউ যেন আমাদের মতো ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণ না করে। আমরা যে ভুল করেছি যার জন্য প্রায় ৫ মাস জীবন থেকে ঝরে গেল।  এ সময় প্রাণ কৃষ্ণ দাসের মা কাজলী দাস বলেন, দালাল চক্রের মাধামে ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোরের পুটখালি সীমান্ত দিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে মা-ছেলে। এরপর চট্টগ্রাম জেলার সন্দীপে গিয়ে ছেলের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করায়। বউকে বাংলাদেশে রেখে বিয়ের ১৫ দিন পর ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে গত ৭ অক্টোবর দালালের মাধ্যমে দেশে ফেরার সময় বিজিবির টহল দলের কাছে আটক হয়। এরপর সাজা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন মোহন, হাবিলদার সাফার উদ্দিন, ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, দর্শনা থানার এসআই টিপু সুলতান, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, এএসআই মোমিন প্রমুখ। ভারতের গেঁদে বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এসি বিতাশি, এসআই পি মুখার্জি, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত মন্ডল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই শামসুর রহমান, ডিআইবি সাধন মন্ডল, গেদে ল্যান্ড পোর্ট সোসাইটির সভাপতি দীনু বন্ধু মহলদার প্রমুখ।
২১ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫০

টাঙ্গাইলে বাসচাপায় মা-ছেলে নিহত
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ঝাওয়াইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ঝাওয়াইল ইউনিয়নের মৃত কামরুজ্জামান তোতার স্ত্রী চায়না বেগম (৪৮) ও ছেলে শাকিব মিয়া (১৯)।  গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, সকালে শাকিব তার মাকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গোপালপুর উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। এসময় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হন। এ সময় বাসটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যায়।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৮

ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত, লাফিয়ে বাঁচলেন বাবা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে উপজেলার বাধবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কুমারখালীর পাইকপাড়া এলাকার সেনা সদস্য রহমত আলীর স্ত্রী সালমা খাতুন (৩০) ও তার ১১ বছর বয়সী ছেলে স্বরণ হোসেন। দুর্ঘটনায় ওই সেনা সদস্য গুরুতর আহত হন। জানা গেছে, সেনা সদস্য রহমত আলী তার স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কুষ্টিয়া শহরে যাচ্ছিলেন। পথে একটি দ্রুতগামী ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হয়। তবে মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণে বেচে যান রহমত হোসেন। এ বিষয়ে কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, মা-ছেলের মৃত্যুতে হাসপাতালে পরিবারটির আত্মীয়-স্বজনদের শোকের মাতম চলছে।
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:২৮

সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা-ছেলে গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর সেনবাগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা নুশরাত জাহান, ছেলে মো. রাজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রেপ্তার নুশরাত জাহান ও মো. রাজিবুর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।  এরআগে বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকার নিজ বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নুশরাত জাহান পার্শ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বদরপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের স্ত্রী ও তার ছেলে মো. রাজিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার রাতে বেঙ্গল গ্রুপের নোয়াখালীর চৌমুহনীর মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।  মামলায় বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসন থেকে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে গত ৩ জানুয়ারি বেলা ১০টার সময় সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের দিলদার মার্কেট এলাকায় বাদী আনোয়ার হোসেনের কাছে আসামি নুশরাত জাহান ও মো. রাজিবুর রহমান সাক্ষাতে কথা বলেন। সেসময় তারা বলেন, তাদের এলাকায় প্রার্থী মোরশেদ আলম যদি জয়ী ও সুষ্ঠু ভোট পেতে চায় তাহলে তাদের ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। যদি ৫ জানুয়ারির মধ্যে দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে মোরশেদ আলমকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার, মানহানিকর তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়া হবে। এভাবে হুমকি প্রদান করেন তারা। বিষয়টি বাদী প্রার্থী মোরশেদ আলমকে অবগত করেন। প্রার্থী মোরশেদ আলম তাদেরকে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামিরা মানহানিকর অপপ্রচার চালানো শুরু করে। ৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় ১নং আসামি নুশরাত জাহান তার পরিচয়ে নিজস্ব কণ্ঠে একটি অডিও রেকর্ড করে প্রার্থী মোরশেদ আলম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর মিথ্যা প্রচারণা চালান। ২নং আসামি রাজিবুর রহমান তার ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে বিভিন্ন সময়ে মানহানিকর ও আপত্তিকর উসকানিমূলক কমেন্টস করেন।  বাদীর অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, এতে স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতির উপক্রম হয়। আসামিদ্বয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে হেয় করার লক্ষ্যে আপত্তিকর উসকানিমূলক মানহানিকর আক্রমণাত্মক মিথ্যা তথ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এ জন্য নোয়াখালীর চৌমুহনী মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের প্রশাসন ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সেনবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মা নুশরাত জাহান ও তার ছেলে মো. রাজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। 
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়