• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৯

'বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে যৌন নিপীড়নে'
যৌন নিপীড়নের কারণে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে বলে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে শনিবার (১৬ মার্চ) বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।  বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায়ের আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকা সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের প্ররোচনায় আত্মহত্যা করেছেন। জানা যায়, দুই থেকে দেড় বছর আগে অবন্তিকার বিরুদ্ধে তার সহপাঠীরা ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে অবন্তিকা থানায় জিডি করেছিলেন। তারা বলেন, দেশের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠী ও প্রক্টর কর্তৃক ছাত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনাদানের এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণসহ আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার এমন ঘটনা শিক্ষার্থীদের একদিকে যেমন উদ্বিগ্ন করে তুলছে, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করছে। পাশাপাশি নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এরপর এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, জড়িতদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সেইসঙ্গে যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তকরণ বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনার আলোকে অভিযোগ কমিটি গঠন ও কমিটিকে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। এ ছাড়া ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
১৬ মার্চ ২০২৪, ২০:৪৯

‘চটি গল্পকে উৎসাহিত করলে বইমেলার উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে’
লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, বই প্রকাশের নামে আমরা পর্নোগ্রাফিকেও উৎসাহিত করতে পারি না। রাষ্ট্রবিরোধী বই প্রকাশিত হলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে চটি গল্পের মতো সাহিত্যকে উৎসাহিত করলে বই মেলার মূল উদ্দেশ্য তো ব্যাহত হবেই, সেই সঙ্গে এটাকে আপনি আইন দিয়ে বন্ধ করতে পারবেন না। লেখক, পাঠক, প্রকাশক ও মেলার আয়োজকদের দায়িত্ব নিয়ে এটি বন্ধ করতে হবে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ‘বইমেলা শিল্প-সাহিত্যের মিলনমেলা’ নিয়ে এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। শাহরিয়ার কবির বলেন, মেলার উদ্দেশ্য ও সৌন্দর্যহানি হয় এমন কোনো প্রকাশনা এবং লেখককে কোনোভাবেই উৎসাহিত করা ঠিক নয়। কারণ, একটি খারাপ বিষয় পুরো ভালো আয়োজনকে নষ্ট করে দিতে পারে। যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বইমেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ব্যাহত না হয় সেই বিষয়ে আয়োজদের অবশ্যই নজরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বইমেলা একটি ব্যতিক্রমী মেলা। এই মেলায় মানুষ পরিবারসহ আসে। এমন কোন কিছু করা ঠিক হবে না, যা পাঠক-ক্রেতা-দর্শনার্থীদের বিরক্তর কারণ হয়। অন্যের অসুবিধা যেন না হয়, তা খেয়াল রাখাও মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমি একবার লেখক হুমায়ূন আহমেদকেও এ বিষয়টি বলেছিলাম। তিনি আরও বলেন, বইমেলাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক আলোচিত ঘটনাগুলো কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। পুলিশিং নয়, বাংলা একাডেমির নজরদারি বাড়ানো দরকার। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এই লেখক ও প্রাবন্ধিক বলেন, বই আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রধান বাহন। অনেকেই বই লিখছেন। এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখতে হবে। এটিকে ধরে রাখতে হবে। তবে এমন কোনো কিছু করা উচিত নয়, যার জন্য বইমেলার স্পিরিট নষ্ট হয় এবং সরকার হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পায়।  পহেলা বৈশাখের উৎসবকে উল্লেখ করে এ লেখক বলেন, পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে নারীর প্রতি এমন কিছু অশালীন ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এখন আর সন্ধ্যার পর কোনো আয়োজন রাখতে দেয় না পুলিশ। 
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৪

হাবিপ্রবিতে ফসল চুরিতে ব্যাহত হচ্ছে গবেষণা
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) গবেষণা মাঠের ফসল চুরি হয়ে যাওয়ায় গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। চুরি প্রতিরোধে কোনো কার্যকর উপায় না পাওয়ায় গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।  কে বা কারা প্রতিনিয়ত গবেষণা মাঠের ফসল চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা। তারের বেড়া ও নেট দিয়ে গবেষণা মাঠ ঘিরে রেখেও আটকানো যাচ্ছে ফসল চুরি। কৃষি অনুষদের বায়োক্যামেস্ট্রি এবং মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও গবেষক ড. মো আজিজুল হক অভিযোগ করে বলেন, ভালো গবেষণার ফল আসার পর ধরে রাখতে পারলাম না যেইটা সত্যিই দুখঃজনক। চারপাশে নেট দিয়ে ঘিরে রাখার পরও জমির পাশে নোটিশ দিয়ে রেখেছিলাম যাতে কেউ গবেষণার টমেটো সংগ্রহ না করে। এসব তোয়াক্কা না করেই গতকালই এক মণের অধিক টমেটো চুরি হয়ে গেছে। আমার পরিকল্পনা ছিল এই টমেটো থেকে বীজ সংগ্রহ করে গবেষণায় সামনের দিকে অগ্রসর হব । কিন্তু জৈব নিরাপত্তা না পাওয়ায় এই গবেষণার উদ্দেশ্যে পূরণ করতে পারলাম না। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার মাঠ থেকে টমেটো, ক্যাপসিকাম ও পেঁয়াজ চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। প্রতিবছরই এইরকম গবেষণার ফসল নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় । আরেক গবেষক ফসল শরীরতত্ত্ব ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, যে সমস্ত ব্যক্তি গবেষণার স্যাম্পল তুলে নিয়ে গিয়ে গবেষণাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এটা থেকে যেনো সরে আসে। সবার প্রতি একটাই আহ্বান থাকবে যে গবেষণার স্যাম্পল যাতে নষ্ট না করে এবং এই ন্যক্কারজনক কাজ থেকে যেনো বিরত থাকে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ফসল চুরির ব্যাপারে আমি এখনও কোনো অভিযোগ পায়নি। উল্লেখ্য, মাস্টার্স ও পিএইচডিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় ব্যয় করে শ্রম দিয়ে গবেষণা মাঠে গবেষণার ফসল উৎপাদন করেও চুরি হয়ে যাওয়ার কারণে গবেষণার ফলাফল তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটছে, যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তারা।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়