• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বড় বোন হারালেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর বড় বোন। শনিবার (২০ এপ্রিল) মারা গেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় বোনের মৃত্যুর খবরটি নিজেই নিশ্চিত করেছেন ফারুকী।   এদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে বড় বোনের মৃত্যুর খবরটি জানিয়ে একটি আবেগঘন পোস্ট দেন জনপ্রিয় এই নির্মাতা।  পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—  ‘তিনজন শক্তিশালী মহিলা— আমার মা, আমার বড় বোন এবং আমার স্ত্রী। যারা আমাকে অনেক প্রভাবিত করেছে। তারা আমাকে সরাসরি কিছু না বলে জীবন কী সেটা শিখিয়েছে এবং নীরবে আমাকে একজন ব্যক্তি হিসাবে রূপ দিয়েছে। ১০ বছর আগে মা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আজ চলে গেলেন আমার বড় বোন।’ পোস্টটি করার সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্যের ঝড় উঠেছে ফারুকীর কমেন্টসবক্সে। শোবিজের তারকা থেকে শুরু করে দুঃখ প্রকাশ করছেন তার ভক্তরাও। প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল চরকিতে মুক্তি পায় তার নির্মিত ওয়েবফিল্ম ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’। সিনেমার মূল দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী ও গায়িকা জেফার। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার বড় পর্দায় কাজ করলেন তিনি। মুক্তির পর বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সিনেমাটি।   
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫৫

রাজশাহীতে মারা যাওয়া ২ বোন নিপাহ আক্রান্ত ছিল না
রাজশাহীতে মারা যাওয়া দুবোন মুনতাহা মারিশা (২) ও মুফতাউল মাসিয়া (৫) নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি। মারা যাওয়া দুবোনের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ঢাকায় পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানা গেছে বলে জানান ডা. আবু হেনা। তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে তারা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছিলেন। রোববার বিকেলে সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন। তাতে উল্লেখ আছে, নিপাহ ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হয়নি। এখন কোন ভাইরাসে তাদের মৃত্যু হলো, সেটি নিশ্চিত হতে গবেষণা করা হবে। মৃত ২ শিশুর বাবার নাম মঞ্জুর হোসেন (৩৫) ও মায়ের নাম পলি খাতুন (৩০)। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। মঞ্জুর রহমান রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। পরিবার নিয়ে তিনি ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারে থাকেন। দুই মেয়ের মৃত্যুর পর তাদেরও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুই শিশুর বাবা মঞ্জুর হোসেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষক। তারা ক্যাডেট কলেজের কোয়ার্টারেই ছিলেন। ছোট মেয়ের মৃত্যুর পর গ্রামে ফিরে গিয়েছিলেন। তাদের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামে। গত বুধবার সকালে ছোট মেয়ে মারিশার জ্বর আসে। বিকেলে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মাইক্রোবাসে মারা যায়। মৃত্যুর পর মা-বাবা লক্ষ্য করেন, মারিশার গায়ে কালো ছোপ ছোপ দাগ উঠেছে। ওই দিন রাতেই তাকে দাফন করা হয়। এক দিন পর শুক্রবার বড় মেয়ে মাসিয়ার একই লক্ষণসহ জ্বর আসে। সে-ও ছোট বোনের মতো বমি করছিল আর ঘন ঘন পানি খাচ্ছিল। লক্ষণ বুঝতে পেরে মা-বাবা দেরি করেননি। রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, দুই মেয়ে বরই খেয়েছিল। তিনি বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, বরইগুলো ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল কি না। তাদের বাবা বলেছেন, ‘গৃহকর্মী গাছতলা থেকে কুড়িয়ে এনে দিয়েছিল, ধোয়া হয়নি।’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:২২

শোবিজে পা রাখলেন মেহজাবীনের বোন
শোবিজের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়াজালে আটকা পড়েছেন অগণিত ভক্ত। ভিন্ন মাত্রিক চরিত্রে অভিনয় করে জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের মণিকোঠায়। পর্দায় নিজের চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে জুড়ি নেই তার। ছোটপর্দায় ইতোমধ্যেই নিজেকে সেরা প্রমাণ করেছেন মেহজাবীন। এবার তার পথেই হাঁটলেন অভিনেত্রীর ছোটবোন মুকাদ্দাস মালাইকা চৌধুরী। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের মাধ্যমে শোবিজে পা রেখেছেন মালাইকা। ত্বকের রং ফর্সাকারী ক্রিমের বিজ্ঞাপনচিত্রটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনচিত্রটি। মালাইকার এই যাত্রায় অভিনন্দন জানিয়েছেন বড়বোন মেহজাবীন। নিজের ফেসবুকে বিজ্ঞাপনচিত্রটি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘মালাইকা চৌধুরী— তোমার ডেব্যু হলো বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়ে। অভিনন্দন রইল।’  মেহজাবীনের ভক্তদের সঙ্গে অনেক আগে থেকেই পরিচয় রয়েছে মালাইকার। কারণ, চার বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবি প্রকাশ করেছিলেন মেহজাবীন। সেটা দেখে অনেকেই ধারণা করেছিলেন বোনকে শোবিজে আনার পূর্বাভাস দিলেন মেহজাবীন। সে সময় শোনা গিয়েছিল ছোট পর্দায় নয়, বড় পর্দা দিয়েই শোবিজে পা রাখবেন মালাইকা। তবে বিজ্ঞাপনচিত্র দিয়েই মিডিয়ায় পথচলা শুরু করলেন  মেহজাবীনের বোন।   বড় পর্দা দিয়ে অভিষেক না হলেও সেটা নিয়ে কোনো আফসোস নেই মেহজাবীন ভক্তদের। প্রিয় তারকার বোনকে এরইমধ্যে বরণ করে নিয়েছেন তারা। অনেকেই আবার দাবি জানিয়েছেন দুই বোনকে একফ্রেমে দেখার। আবার কেউ লিখেছেন, মালাইকা দেখতে হুবহু মেহাজীবনের মতোই। প্রসঙ্গত, মেহজাবীনরা তিন বোন। সবার ছোট মালাইকা। তাদের আরেক বোনের নাম কায়নাত করিম চৌধুরী। মালাইকার যেমন মডেলিংয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ, তেমনি পড়াশোনায় নিজেকে মগ্ন রাখতে পছন্দ করেন কায়নাত।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫২

হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে আক্ষেপ করে যা বললেন তার বোন পিনু
মৃত্যুর মতো স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। মৃত্যু অনিবার্য, তুমি যখন জন্মেছো তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও। তাহলেই দেখবে জীবন অনেক সুন্দর। এমনটাই বলেছিলেন আমাদের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর ১২ বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। ফরীদিকে হারানোর এক যুগ স্মরণ করা হচ্ছে নানা আয়োজনের মাধ্যমে, অথচ বেঁচে থাকতে তার মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। দুঃখ প্রকাশ করে এমনটিই জানালেন হুমায়ুন ফরীদির বড় বোন পিনু ফরীদি। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন শিশুচিত্তের। পরিবারের সঙ্গে হইচই ও আড্ডা দিতে খুবই পছন্দ করতেন। একটি সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলায় হুমায়ুন আমার বাবার কবিতা পাঠ শুনে মুগ্ধ হতেন। তখন থেকেই অভিনয় তাকে টানতো। তিনি আরও বলেন, একজন হুমায়ুন ফরীদির মতো শিল্পীর জন্ম বারবার হয় না। একজন প্রকৃত অভিনেতা হিসেবে পুরো জীবন কাটিয়েছেন। অভিনয়কেই যেন তার ভেতরে ধারণ করে গেছেন।  কানকাটা রমজান থেকে নব্বই দশকের একের পর এক ব্যবসা সফল বাণিজ্যিক সিনেমা উপহার দিয়ে গেছেন হুমায়ুন ফরীদি। খলনায়কের চরিত্রও পর্দার মূল আকর্ষণ হিসেবে স্পষ্ট ছাপ রেখে গেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে। ১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’-সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে। এ ছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৩

এবার অপু বিশ্বাসকে নিয়ে মুখ খুললেন বুবলীর বোন
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় দুই নায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। দীর্ঘদিন ধরেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এই দুই তারকার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। চিত্রনায়ক শাকিব খানকে ঘিরে যেন তাদের বিরোধ বেড়েই চলেছে। সুযোগ পেলেই একে অন্যকে আক্রমণ করে কথা বলেন অপু-বুবলী। এবার অপুকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেছেন বুবলীর বড় বোন নাজনীন মিমি। চলচ্চিত্র অঙ্গনে গায়িকা হিসেবে পরিচিতি রয়েছে মিমির। সম্প্রতি অপুকে উদ্দেশ্য করে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন মিমি। যেখানে বুবলীর পক্ষ নিয়ে অপুর কঠোর সমালোচনা করেন এই গায়িকা। শুধু সমালোচনাই নয়, রীতিমতো অপুকে ‘টোকাই’, ‘মহিলা’, ‘বস্তা পচা মাল’সহ আরও নানান নামে সম্বোধন করেন বুবলীর বড় বোন। এ ছাড়াও মিমি দাবি করেন, অপু নাকি বুবলীর নাম নিয়েই ভাইরাল হচ্ছে। একই সঙ্গে তার বোন বিভিন্ন কাজে বর্তমানে ব্যস্ত থাকলেও অপু সিনেমায় কাজ না পেয়ে ফিতা কেটে বেড়ায় বলেও কটাক্ষ করেছেন।    এদিকে বুবলী-অপুর দ্বন্দ্বে মিমির জড়ানোটা ভালো চোখে দেখছেন না দুই তারকারই ভক্তরা। কেউ অপুকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আবার কেউ বা আবার কেউ বুবলীর বোনের দিকে আঙুল তুলেছেন। জানা গেছে, একসময় শাকিব-অপুর বেশ কিছু সিনেমায় প্লেব্যাক করেছেন মিমি। তার গলায় গান গেয়েছেন বুবলী নিজেও। অনেক বছর ধরেই চলচ্চিত্র অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এই গায়িকা। তবুও শাকিব-বুবলীর সম্পর্ক নিয়ে সেসময় তিনি কেন নীরবতা পালন করেছেন, মূলত সেই প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা।   যদিও বর্তমানে গানের জগতে নিয়মিত নন মিমি। পরিবার নিয়ে বাস করছেন কানাডায়। আর সেখান থেকেই হঠাৎ করে ভিডিও নিয়ে হাজির হয়ে অপুর সমালোচনা করলেন বুবলী বড় বোন।
৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪১

পদ্মায় ফেরি ডুবি : ট্রাক চালক ভাইয়ের খোঁজে বোন
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নং ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ৯টি ট্রাক নিয়ে ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মিজান মিয়া (৩০) নামে একজন ট্রাকচালক নিখোঁজ রয়েছেন বলে তার বোন রোকেয়া বেগম দাবি করেছেন।  বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল থেকেই দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় এসে তিনি তার ভাইয়ের খোঁজ করছেন। নিখোঁজ মিজান মিয়া গোয়ালন্দ উপজেলার জুরান মোল্লাপাড়ার আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে। নিখোঁজ মিজানের বোন রোকেয়া বেগম জানান, তার ভাই মিজান ট্রাকচালক। রাতে মালামাল নিয়ে সে গোয়ালন্দ থেকে রওনা হয়। ফেরি ডুবে যাওয়ার পর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে তিনি এসেছেন ভাইকে খুঁজতে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, রোকেয়া বেগম নামে একজন তার ভাইয়ের সন্ধান পাচ্ছে না বলে আমাদের জানিয়েছেন। রোকেয়া বেগমের দাবি তার ভাই মিজান রজনীগন্ধা ফেরিতে ছিল। আমরা তার ভাইয়ের সন্ধান পেতে চেষ্টা চালাচ্ছি। জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরি রজনীগন্ধা ৭টি ছোট ও দুটি বড় ট্রাক বুকিং দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণে মাঝ নদীতে নোঙর করে ফেরিটি। পরে কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলে পাটুরিয়া ঘাট সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নদীতে মালবাহী ব্লাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে ফেরিটি ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাটে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি রজনীগন্ধা-৭ ডুবে যাওয়ার খবর পান তারা। এরপর আরিচা ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি দল সেখানে গিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে আরও একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থালে আসে। এখন পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।  
১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:২৯

বড় ভাইকে হারিয়ে বিজয়ী ছোট বোন
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় ভাইকে হারিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নিজের শক্ত অবস্থানের জানান দিয়েছেন ছোট বোন। এ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সৈয়দা জাকির নূর লিপি।  তিনি পেয়েছেন ৭৭ হাজার ৩৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তার বড় ভাই সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ১৬২ ভোট। রোববার (৭ জানুয়ারি) রিটার্নিং অফিসার ও কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বেসরকারিভাবে ভোটের ফলাফলে এ বিষয়টি জানায়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। পরে ভোট গণনার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ভোটের এ ফলাফল পাওয়া যায়।   এ আসনে পুরুষ ও নারী এবং হিজড়া মিলিয়ে মোট ভোটার পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৯৭৮ জন। মোট ১৭৪ ভোটকেন্দ্রের ১০৭৩টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০

মমতাজের ৩ বোন সমর্থন দিলেন স্বতন্ত্রকে
মানিকগঞ্জ-২ আসনে নৌকা প্রার্থী ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের পাশে নেই তার তিন সৎ বোন।  শনিবার রাত ১০টার দিকে সিংগাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের পূর্বভাকুম ভেঙা মার্কেটে উঠান বৈঠকে জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ টুলুকে ফুলের মালা দিয়ে সমর্থন জানান মমতাজের তিন বোন। তারা হলেন- রেহেনা খাতুন, জাহানারা ও জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য শাহনাজ পারভীন। তারা মমতাজের প্রয়াত বাবা মধু বয়াতির প্রথম স্ত্রীর সন্তান। উঠান বৈঠকে মানিকগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী টুলু বলেন, আমি মমতাজের তিন বোনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পূর্বভাকুম গ্রামবাসীর পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি। এতে সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সায়েদুল ইসলাম, জয়মন্টপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শাহাদৎ হোসেন, মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেন, আবুল মান্নান সিকদার, মনসুর হোসেন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল করিম বক্তব্য দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান মমতাজ বেগম। তবে এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ টুলু।  পরে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
০২ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়