• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

হুমায়ুন ফরীদিকে নিয়ে আক্ষেপ করে যা বললেন তার বোন পিনু

বিনোদন ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

  ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫২
সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

মৃত্যুর মতো স্নিগ্ধ, এত গভীর সুন্দর আর কিছু নেই। মৃত্যু অনিবার্য, তুমি যখন জন্মেছো তখন তোমাকে মরতেই হবে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো, গ্রহণ করো, বরণ করে নাও। তাহলেই দেখবে জীবন অনেক সুন্দর। এমনটাই বলেছিলেন আমাদের কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। ২০১২ সালে ১৩ ফেব্রুয়ারি অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে। তার মৃত্যুর ১২ বছর পূর্ণ হলো মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)।

ফরীদিকে হারানোর এক যুগ স্মরণ করা হচ্ছে নানা আয়োজনের মাধ্যমে, অথচ বেঁচে থাকতে তার মেধার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি। দুঃখ প্রকাশ করে এমনটিই জানালেন হুমায়ুন ফরীদির বড় বোন পিনু ফরীদি।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন শিশুচিত্তের। পরিবারের সঙ্গে হইচই ও আড্ডা দিতে খুবই পছন্দ করতেন। একটি সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে উঠেছেন তিনি। ছোটবেলায় হুমায়ুন আমার বাবার কবিতা পাঠ শুনে মুগ্ধ হতেন। তখন থেকেই অভিনয় তাকে টানতো।

তিনি আরও বলেন, একজন হুমায়ুন ফরীদির মতো শিল্পীর জন্ম বারবার হয় না। একজন প্রকৃত অভিনেতা হিসেবে পুরো জীবন কাটিয়েছেন। অভিনয়কেই যেন তার ভেতরে ধারণ করে গেছেন।

কানকাটা রমজান থেকে নব্বই দশকের একের পর এক ব্যবসা সফল বাণিজ্যিক সিনেমা উপহার দিয়ে গেছেন হুমায়ুন ফরীদি। খলনায়কের চরিত্রও পর্দার মূল আকর্ষণ হিসেবে স্পষ্ট ছাপ রেখে গেছেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২৯ মে গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের চুয়ারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ুন ফরীদি। তার বাবার নাম এ টি এম নূরুল ইসলাম ও মা বেগম ফরিদা ইসলাম। চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

১৯৬৫ সালে পিতার চাকরির সুবাদে মাদারীপুরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু হুমায়ুন ফরীদির। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ফরীদি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে জড়িয়ে পড়েন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে।

১৯৭৬ সালে নাট্যজন সেলিম আল দীনের উদ্যোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় নাট্যোৎসব। আর হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন এর অন্যতম প্রধান সংগঠক। এই উৎসবে ফরীদির নিজের রচনায় এবং নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘আত্মস্থ ও হিরন্ময়ীদের বৃত্তান্ত’ নামে একটি নাটক। ওই সময় নাটকটি সেরা হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

হুমায়ুন ফরীদির অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘ভণ্ড’, ‘ঘাতক’, ‘ব্যাচেলর’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘অধিকার চাই’, ‘সন্ত্রাস’, ‘দহন’, ‘লড়াকু’, ‘দিনমজুর’, ‘বীর পুরুষ’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘আজকের হিটলার’, ‘দুর্জয়’, ‘শাসন’-সহ অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে।

এ ছাড়া অভিনেতার উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো— ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নিখোঁজ সংবাদ’, ‘হঠাৎ একদিন’, ‘পাথর সময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘সমূদ্রে গাংচিল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘মোহনা’, ‘নীল নকশাল সন্ধানে’, ‘দূরবীন দিয়ে দেখুন’, ‘ভাঙ্গনের শব্দ শুনি’।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অকালে ঝরে যাওয়া বলিউডের নক্ষত্র ইরফান খান
এবার জুয়া কাণ্ডে গ্রেপ্তার অভিনেতা
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ অভিনেতা গুরুচরণ সিং
X
Fresh