• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিশ্বে সামরিক ব্যয়ের রেকর্ড, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
বিশ্বজুড়ে গত বছর সামরিক ব্যয় ৬.৮ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বের সব ভৌগোলিক অঞ্চলে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সুইডেনের স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। খবর ডয়চে ভেলে।  সিপ্রির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৭ শতাংশ খরচ করে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর দেশটি ৯১৬ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। এরপরে এ তালিকায় রয়েছে চীনের নাম। চীনরে সামরিক ব্যয় ২৯৬ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ১২ শতাংশ। রাশিয়ার সামরিক বয় ১০৯ বিলিয়ন ডলার। যা বিশ্বের মোট ব্যয়ের ৪.৫ শতাংশ। এরপরে রয়েছে ভারত (৮৩.৬ বিলিয়ন ডলার, ৩.৪ শতাংশ) এবং সৌদি আরব (৭৫.৮ বিলিয়ন ডলার, ৩.১ শতাংশ)। এছাড়া একই সময়ে যুক্তরাজ্য ব্যয় করেছে ৭৪.৯ বিলিয়ন, জার্মানি ৬৬.৮ বিলিয়ন, ইউক্রেন ৬৪.৮ বিলিয়ন, ফ্রান্স ৬১.৩ বিলিয়ন, জাপান ৫০.২ বিলিয়ন, ইসরায়েল ২৭.৫ বিলিয়ন ও পাকিস্তান ৮.৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া, ওশেনিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাসহ সব অঞ্চলেই সামরিক ব্যয় বেড়েছে। শতাংশের হিসেবে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি সামরিক ব্যয় বেড়েছে ডিআর কঙ্গোতে (১০৫ শতাংশ)। বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়ছে দেশটির সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। সিপ্রির গবেষক চিয়াও লিয়াং বলেন, মেক্সিকো ও এল সালভেদরে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গ্যাং সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়তে সামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ইকুয়েডর ও ব্রাজিলেও একই ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে বলেও জানান এই গবেষেক। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ : ২০২৩ সালে সামরিক খাতে ৬৪.৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে ইউক্রেন। যা আগের বছরের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেশি। তবে দেশটি ২০২৩ সালে  সামরিক সহায়তা পেয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। ফলে সবমিলিয়ে ইউক্রেন গত বছর সামরিক খাতে খরচ করেছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ১০৯ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে রাশিয়া। তবে জিডিপির হিসেবে দেখা যায়, জিডিপির ৩৭ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ইউক্রেন। সেই তুলনায় রাশিয়ার ব্যয় হয়েছে ৫.৯ শতাংশ। ফলে ‘যুদ্ধটা রাশিয়ার চেয়ে ইউক্রেনের ওপর বেশি বোঝা হয়ে উঠেছে, বলে মন্তব্য করেন লিয়াং। চীন-তাইওয়ান সংকট : দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনার কারণে ২০২৩ সালে সামরিক ব্যয় বেড়েছে চীনে। চীন তার খরচ আগের বছরের তুলনায় ৬ শতাংশ বাড়িয়ে ২৯৬ বিলিয়ন ডলার করেছে। এশিয়া ও ওশেনিয়া এলাকার মোট সামরিক ব্যয়ের অর্ধেক করেছে চীন। সিপ্রির গবেষক লিয়াং বলেন, পিপলস লিবারেশন আর্মিকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করতে সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে চীন। এছাড়া চীন সামরিক ব্যয় বাড়ানোয় জাপান, তাইওয়ান ও ভারতও সামরিক বাজেট বাড়িয়েছে বলে মনে করেন এই গবেষক। সামরিক বাজেট ১১ শতাংশ বাড়িয়েছে জাপান (৫০.২ বিলিয়ন ডলার) ও তাইওয়ান (১৬.৬ বিলিয়ন ডলার)। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নিকলাস শ্যোরনিগ বলেন, আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যখন সামরিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাচ্ছে এবং নিরাপত্তা ইস্যুটি সামরিক কাঠামোর ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে। সেই অর্থে সংখ্যাগুলো ওই মানসিকতার প্রতিফলন মাত্র। ইউক্রেন যুদ্ধ, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলে ইরানের হামলা, ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব একটি নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। যেখানে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি সেকেলে বা আর কার্যকর হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে হামলা চালানোর চেয়ে প্রতিরক্ষার বিষয়টি বেশি ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮

বিশ্বে প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা
বর্তমানে প্রযুক্তির বদৌলতে মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। এআই ব্যবহার করে এখন সব কাজেই সহযোগিতা পাওয়া যায়। রান্নার রেসিপি থেকে শুরু করে নিউজ প্রেজেন্টিং, স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যায়। এবার আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি মডেলদের নিয়ে এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড এআই ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস (ডব্লিউএআইসি)। মূলত বিশ্বজুড়ে এআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতেই এই আয়োজন।   আয়োজন সংস্থা জানায়, তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হবে-সৌন্দর্য, প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে যেমন এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাক ইত্যাদি দেখা হবে। জানা গেছে, যে মডেল জিতবেন তাকে মিস এআই শিরোপা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় মোট ২০ হাজার ডলার পুরস্কার রাখা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ টাকা।  গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে মিস এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার এন্ট্রি। যারা এই ধরনের এআইভিত্তিক মডেল বানিয়ে থাকেন তারাও এতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তাদেরকে অংশগ্রহণ করতে হোলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি থাকতে হবে এবং বয়স হতে হবে ১৮ বছরের বেশি। ইতোমধ্যে ডব্লিউএআইসির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে শুরু হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতার আবেদন প্রক্রিয়া।  সুন্দরী প্রতিযোগিতার পাশাপাশি এআইভিত্তিক ফ্যাশন সামগ্রী এবং পুরুষ মডেলের ওপরও জোর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংস্থা।  আপাতত পুরোপুরি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা তৈরি নারী এআই মডেলের উপরই  হতে চলেছে মিস এআই কনটেস্ট। তবে কোন টুলের সাহায্যে এই মডেল বানানো হয়েছে সেটা নিয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।   বর্তমানে এআই অবতার বানানোর জন্য কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে— ওপেনএআইয়ের ডাল-ই, মিডজার্নি এবং কোপাইলট। মূলত এখানেই সবথেকে বেশি এআই অবতার বানিয়ে থাকে ব্যবহারকারীরা। হাজার হাজার প্রম্পট জমা পড়ে টুলগুলোতে। এবার সেই প্রম্পট থেকে তৈরি সেরা এআই মডেলকেই বেছে নেওয়া হবে বিশ্বের প্রথম মিস  এআই।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৬

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই শীর্ষ পাঁচের মধ্যে থাকছে ঢাকার নাম। আজও বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটে বায়ুমানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ১৯৩ স্কোর। বায়ুর মান বিচারে এ মাত্রাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ ছাড়া স্কোর ১৯৬ নিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৯৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং। ১৭৫ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ১৬৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে পাকিস্তানের লাহোর। তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। ঢাকায় বায়ুদূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করে আসছেন বিশেষজ্ঞরা। ভয়াবহ এই দূষণের ফলে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর। নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণ ধারাবাহিকভাবেই উদ্বেগজনক। বায়ুদূষণের অনেক উৎসের মধ্যে ইদানিং নির্মাণযজ্ঞও উঠে এসেছে। ভবন বা অবকাঠামো নির্মাণে আদর্শ মান মানা হয় না। সরকারি ও বেসরকারি সব উন্নয়নকাজ উন্মুক্তভাবেই করা হচ্ছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২

বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় মুম্বাই
বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুম্বাই। এ তালিকায় শীর্ষে রইয়েছে নিউইয়র্ক, যেখানে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ১১৯ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লন্ডন। এই শহরে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৯৭ জন। বিলিয়নেয়ারের সংখ্যার দিক দিয়ে চীনের রাজধানী বেইজিংকে ছাপিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে ভারতের বাণিজ্যিক শহর মুম্বাই। গবেষণা সংস্থা হুরুন ‘গ্লোবাল রিচ লিস্ট ২০২৪’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। হুরুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুম্বাইয়ে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৯২ জন। আর বেইজিংয়ে ৯১ জন। এক বছরে মুম্বাইয়ে বিলিয়নেয়ার যুক্ত হয়েছে ২৬ জন। বেইজিংয়ে বিলিয়নেয়ার কমেছে ১৮ জন। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া হুরুনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে, মোট ৩ হাজার ২৭৯ জন বিলিয়নেয়ারের তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। ৮১৪ জন বিলিয়নেয়ার নিয়ে বৈশ্বিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন। একই সময়ে দেশটিতে ১৫৫ জন বিলিয়নেয়ার তালিকা থেকে ছিটকে পড়েছেন। অন্যদিকে ভারতে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১০০ জন বিলিয়নেয়ার। হুরুনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ছিল। দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। বিলিয়নেয়ারের সংখ্যায় ভারতে এ ঊর্ধ্বগতি দেশটির অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আস্থার প্রতিফলন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে মুম্বাইকে। বিলিয়নেয়ার বসবাস করে এমন ১০ শীর্ষ শহরের তালিকায় যুক্ত হয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বরাবরের মতো শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথমে রয়েছেন ইলোন মাস্ক। দশম স্থানে রয়েছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। ১৫তম স্থানে উঠেছেন গৌতম আদানি। বিলিয়নেয়ার সমৃদ্ধ ১০টি শহরের মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক, লন্ডন, মুম্বাই, বেইজিং, সাংহাই, শেনজেন, হংকং, মস্কো, নয়াদিল্লি ও সান ফ্রান্সিসকো।
২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩১

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ
বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে প্রতিদিন ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হয়েছে। বেশির ভাগ খাবার অপচয় হয়েছে বাসাবাড়িতে। বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে। জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন। বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষাবিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশনস এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি। প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্য প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি।  সূত্র : সিএনএন
২৮ মার্চ ২০২৪, ২০:০২

বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত শহর কলকাতা, দ্বিতীয় ঢাকা
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দিনদিন বেড়েই চলছে বায়ুদূষণ। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরের বাতাসের অবস্থা আরও ভয়াবহ। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৪১ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকার হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৬৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা শহর। আর ২৪০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের আরেক শহর মুম্বাই, ২০৮ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে দেশটির রাজধানী দিল্লি এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯৮। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:০১

বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
ক্রমেই যেন বাড়ছে রাজধানীর বায়ুদূষণ। অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মেগাসিটি ঢাকার বায়ুদূষণও। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের ১০০ শহরের মধ্যে আজ ঢাকার অবস্থান সবার শীর্ষে।  রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এদিন সকাল পৌনে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ২৫৭ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা খুব অস্বাস্থ্যকার হিসেবে বিবেচিত। এ ছাড়া ২১৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা শহর। ২১৭ স্কোর নিয়ে দেশটির রাজধানী দিল্লি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা চীনের উহান শহরের স্কোর ১৯৬ এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৯২। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০

‘২০৫০ সালে বিশ্বে ক্যানসার রোগী বাড়বে ৭৭ শতাংশ’
বিশ্বজুড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ১৮৫টি দেশের ৩৬ ধরনের রোগ বিশ্লেষণ করে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার। এমন খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন। সিএনএন জানিয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ কোটি, সেই হিসাবে পরবর্তী ২৮ বছরে এই সংখ্যা ৭৭ শতাংশ বেড়ে যাবে। গবেষকরা বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ২০২২ সালে বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারের প্রভাব ছিল বেশি। ২০২২ সালে ২৫ লাখ ফুসফুসের ক্যানসার শনাক্ত হয়। যা ছিল মোট শনাক্তের ১২ দশকি ৪ শতাংশ। এরপরই রয়েছে কোলোরেক্টাল, প্রোস্টেট পাকস্থলীর ক্যানসার ও নারীদের স্তন ক্যানসার। বিশ্বে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তদেরই মৃত্যুর হার বেশি। ২০২২ সালে ক্যান্সারে মারা যাওয়াদের ১ দশমিক ৮ শতাংশের মৃত্যু হয় এই ক্যানসারে, যা মোট মৃত্যুর প্রায় ১৯ শতাংশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যানসার গবেষণা এজেন্সি আরও বলছে, উন্নত দেশগুলোতে আক্রান্তদের সংখ্যা দেখা যায় বেশি। যেমন— মানব উন্নয়ন সূচকে (এইচডিআই) এগিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নত। আগামীতে সেখানে ১২ নারীর মধ্যে একজনের ক্যানসার শনাক্ত হবে। আর মারা যাবেন ৭১ জনের মধ্যে একজন। অপরদিকে মানব উন্নয়ন সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান তেমন উন্নত নয়। সেখানে ২৭ জনে একজন নারীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়বে। পাশাপাশি প্রতি ৪৮ জনে একজনের মৃত্যুর হবে। মূলত দেরিতে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সুযোগের অভাবে এসব দেশে শনাক্তের হার কম, কিন্তু মৃত্যুর হার বেশি। গবেষকরা বলছেন, ক্যানসারে আক্রান্তদের চিকিৎসায় রেডিয়েশন বা রেডিও থেরাপি ও স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্টের মত সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও উন্নত দেশ আর অনুন্নত দেশের বৈষম্য রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অসংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক বেন্তে মিক্কেলসেন বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্যানসারে আক্রান্তদের প্রতি বৈষম্য ও আর্থিক সুরক্ষার অভাবের ওপর আলো ফেলেছে এই গবেষণা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দেশগুলো ক্যানসারের প্রাথমিক সেবা ও চিকিৎসা দিতে অক্ষম। আগামী বছরগুলোতে ক্যান্সার বাড়ার কারণ সম্পর্কে গবেষকরা নতুন সমীক্ষায় দেখিয়েছেন, স্থূলতা, তামাক ও অ্যালকোহল ব্যবহার এবং বায়ু দূষণের মতো পরিবেশগত কারণসহ বিভিন্ন কারণে ক্যান্সার আক্রান্ত বাড়বে। গত জানুয়ারিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি। সেখানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। কিন্তু ক্যানসারের নির্দিষ্ট ধরনগুলোতে আক্রান্ত বাড়ছে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানিয়েছে, কমবয়সীরা এখন বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছে। ৫৫ বছরের কম বয়সী প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্যানসার আক্রান্তের হার ১৯৯৫ সালে ছিল ১১ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২০ শতাংশ। গবেষেণায় দেখা গেছে, ১৯৯১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে দেশটিতে ক্যানসারে মৃত্যু কমেছে ৩৩ শতাংশ। তামাকের কম ব্যবহার, শুরুতেই শনাক্ত হওয়া এবং চিকিৎসায় দ্রুত উন্নতির ফলে মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে।
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৪

বিশ্বে ৩২০ জন সংবাদিক কারাবন্দি, শীর্ষে এশিয়ার দেশ
পেশাগত কাজের জন্য ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের ৩২০ জন সাংবাদিককে কারারুদ্ধ রয়েছেন। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। মাসব্যাপী যুদ্ধের মধ্যে ১৭ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়ে প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কারাগার হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।  শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিপিজের বার্ষিক ‘জেল শুমারি’ অনুসারে ১৯৯২ সালে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের তথ্য নথিভুক্ত শুরু করার পর সর্বোচ্চ সংখ্যক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে আটক করে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে ইসরায়েল। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ৮০ জনেরও বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। তবে গাজার দাবি, এ সংখ্যা শতাধিক। সংগঠনটির রেকর্ডে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ ৩৬০ জনের বেশি সাংবাদিক কারাবন্দি হয়েছিলেন। ২০২৩ সালে চীন ৪৪, মিয়ানমার ৪৩ এবং বেলারুশ ২৮ জন সাংবাদিককে জেলে পাঠিয়ে তালিকায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দেশ। এর পরেই ২২ জনকে জেলে পাঠিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া, ১৯ জনকে কারাবন্দি করে পঞ্চম স্থানে ভিয়েতনাম এবং ১৭ জনকে বন্দি করে সপ্তম স্থানে আছে ইরান। সিপিজে বলছে, বর্তমান বিশ্বে সাংবাদিকরা নিয়মিত রাজনৈতিক নেতাদের নিন্দার মুখোমুখি হচ্ছেন। গ্রেপ্তার বেশিরভাগ সাংবাদিক তাদের সমালোচনামূলক কভারেজের কারণে প্রতিশোধ হিসেবে ‘মিথ্যা সংবাদ এবং সন্ত্রাসবাদের মতো রাষ্ট্রবিরোধী’ অভিযোগের মুখোমুখি দাঁড় হয়েছেন। এছাড়া তালিকার ৬০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, ভারতের ২০২৪ সালের এপ্রিলের নির্বাচন সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে বড় পরীক্ষার মুখে ফেলতে পারে। সিপিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জোডি গিন্সবার্গ বলেন, গবেষণায় বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদের বিস্তৃতি উঠে এসেছে। সরকারগুলো সমালোচনামূলক প্রতিবেদন বন্ধ করতে এবং জনসাধারণের জবাবদিহিতা রোধ করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, আমরা একটি সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছেছি। সাংবাদিকরা যাতে স্বাধীনভাবে রিপোর্ট করতে পারে আমাদের তা নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো আইনের বেড়াজালে সাংবাদিকদের এভাবেই কণ্ঠরোধ করা হবে। এবছর অর্ধেক পৃথিবীতে নির্বাচন, সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:০৩

বায়ু দূষণের সূচকে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
আজ ছুটির দিনের সকালে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। শুক্রবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার বায়ু মানের সূচক (একিউআই) ছিল ২০৮, যেটাকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একই সময়ে পাকিস্তানের করাচি ও ভারতের কলকাতা যথাক্রমে ২০৯ ও ১৯৯ একিউআই সূচক নিয়ে তালিকার প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর সবচেয়ে নির্মল বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা। এ শহরের স্কোর ১১। এর পরে রয়েছে ব্রাজিলের সাও পাওলো ও অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। এ দুই শহরের স্কোর যথাক্রমে ১২ ও ১৩।  একিউআই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এরমধ্যে হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এ ছাড়া একিউআই সূচক ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। একিউআই সূচক ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:২৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়