• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঈদের আগেও অনাহারে বহু ফিলিস্তিনি
গত ছয় মাস ধরে চলা ইসরায়েলের বিমান এবং স্থল হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির বাসিন্দারা যেন দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। মুসলিমদের সংযমের মাস রমজানের শেষ দিকে এসে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। যদিও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য। তাই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনও গাজার বহু মানুষ অনাহারে থাকবে। বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। বুধবার গাজায় ঈদুল ফিতরের উৎসব পালিত হওয়ার কথা। কিন্তু ছিটমহলটির ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উৎসবের কোনো আমেজ নেই। তারা অন্য দেশগুলোর পাঠানো ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। পরিচয় পত্র হাতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জাতিসংঘের বিতরণ কেন্দ্রগুলো থেকে দেওয়া ত্রাণ বাক্স গ্রহণ করছে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা জানান, ত্রাণ সরবরাহ আগের চেয়ে বাড়লেও এখনও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এ বিষয়ে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় শহর দাইর আল-বালাহ এক শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ফায়েজ আব্দেল হাদি বলেন, ‌‘পর্যাপ্ত খাবার নেই। দুই মাস ধরে আমি কোনো ত্রাণ বাক্স পাইনি। সোমবার আমরা একটি বাক্স পেয়েছিলাম। কিন্তু তা আমার ও আমার সন্তানদের এবং আমাদের সঙ্গে থাকা ১৮ জন মানুষের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। একজন যদি প্রতিদিন একটি করে বাক্সও পায় তাহলেও তা পর্যাপ্ত হবে না।’ বিতরণ করা ত্রাণে খাবার থাকলেও সাবান ও ডিটারজেন্টের মতো প্রাথমিক স্বাস্থ্য পণ্য নেই বলেও জানান তিনি। উম্মে মোহাম্মদ হামাদ নামের এক বাসিন্দা জানান, উত্তর গাজার নিজ বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি জাতিসংঘের এই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। দুই মাস ধরে সেখানে আছেন তিনি। তারা এতদিন কোনো ত্রাণ বাক্স পাননি, কোনো সাহায্য পাননি।
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৯

কেএনএফ আতঙ্কে উৎসব মাটি, থানচি ছাড়ছে বহু মানুষ
দেশের তিন পার্বত্য জেলায় আতঙ্কের আরেক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি ব্রাঞ্চে নজিরবিহীন ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটি। এরপর বৃহস্পতিবার থানচি বাজারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলি চলে তাদের। একইদিন গভীর রাতে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয় বান্দরবানের আলীকদমে; পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে।   এমন পরিস্থিতি ঈদ ও বৈসাবির আনন্দ মাটি হয়ে গেছে থানচিবাসীর। কেএনএফের হামলার ভয়ে এলাকা ছাড়ছেন বহু মানুষ। গতকাল শুক্রবার (৫ এপ্রিল) একদিনেই থানচি বাজার এলাকা থেকে বান্দরবান সদরে চলে গেছে দেড় শতাধিক পরিবার। যারা এখনও আছেন, তাদেরও দিন কাটছে চরম আতঙ্কে। কেউ থাকতে চাইছেন না থানচি বাজার এলাকায়।  বাসিন্দারা বলছেন, সামনেই ঈদ ও পাহাড়িদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব বৈসাবি। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতা তাদের সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। উৎসবের আনন্দ হারিয়ে থানচি, রুমা ও আলীকদমের বাসিন্দাদের মনে এখন ভর করেছে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ছোট-বড় ২৪০টি দোকানের মধ্যে সব মিলিয়ে মোটে ১৫টি দোকান খোলা। তালা ঝুলছে অন্য সব দোকানে।  ক্রেতাশূন্য পুরো বাজার; এমনকি পাহাড়ি মানুষের উপস্থিতিও চোখে পড়েনি। চারদিকে যেন চাপা এক আতঙ্ক বিরাজ করছিল। বাজার এলাকার মোড়ে মোড়ে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা। ভাই ভাই মুদি দোকানের মালিক মো. সাইদুল বলেন, ‘আগে দিনে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করতাম। আর গত তিন দিনে ব্যবসা হয়েছে মাত্র ৫০০ টাকার। শুক্রবার মাত্র ৬০ টাকা আয় হয়েছে। বাজারে এখন ভয়ে কেউ আসছে না।’ থানচি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কেএনএফের অস্ত্রের মহড়া, ব্যাংক ডাকাতি, থানায় আক্রমণ আর গোলাগুলির ঘটনায় বাজার ও আশপাশের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। রাত নামলেই ভয় বেড়ে যাচ্ছে। দিনে পুলিশ ও বিজিবির কড়া পাহারা থাকায় রাতের অন্ধকারে ভয়ানক হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসীরা। জীবন বাঁচাতে পাহাড়ি-বাঙালি সাবাই এখন থানচি ছাড়তে চাইছে।’ এদিকে বান্দরবানের রুমা থানার এক থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে কেএনএফের অন্তত চারটি আস্তানা রয়েছে বলে জানা গেছে। আস্তানাগুলোর অবস্থান বেথেলপাড়া, কেসপাইপাড়া, ইডেনপাড়া ও মুয়ালপিপাড়ায়। তার মধ্যে কেএনএফের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বমের বাড়ি ইডেনপাড়ায়। এই চার পাড়াতেই বম জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। রুমা থেকে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকেও রুমা বাজারের পাশে অবস্থিত বেথেলপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। একইভাবে থানচি থানার এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত তংকংপাড়া। সেখান থেকেই কেএনএফ সন্ত্রাসীরা দুটি চাঁদের গাড়ি করে গিয়ে সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি করে। আবার ওই গাড়িতেই তারা তংকংপাড়ায় ফিরে যায়। তংকংপাড়া ছাড়াও পাশের বোডিংপাড়া, কাইন্দংপাড়া, শেরকরপাড়ায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা কয়েকটি অংশে বিভক্ত হয়ে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।  নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্র বলছে, রুমা ও থানচিতে ডাকাতি এবং অস্ত্র লুট করার পর গভীর জঙ্গলে না গিয়ে তাদের ঘাঁটি বমপাড়ায় অবস্থান নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অতীতে আরেক সশস্ত্র সংগঠন জেএসএসকে দেখা গেছে, পুলিশ-সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোর পর গভীর জঙ্গলে চলে যেত তারা। কিন্তু তা না করে নিজেদের ঘাঁটিতেই অবস্থান নিচ্ছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সূত্রমতে, ড্রোনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাতে দেখা গেছে, এখনও থানচি থানার এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যেই আত্মগোপন করে আছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। সংগঠিতভাবেই অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে তারা। কেএনএফের এ ধরনের তৎপরতার কারণে যেকোনো সময় আবার কোথাও তারা হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  পুলিশ অবশ্য বলছে, কেএনএফকে দমনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানচি থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘থানচিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে অতিরিক্ত আরও ১০০ পুলিশ সদস্য থানা পুলিশের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের জবাব দিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরদার করা হয়েছে।’ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, ‘রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি ও আলীকদমে সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর অভিযানও জোরেশোরে চলছে। ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র ও গুলি লুটের ঘটনায় ৬টি মামলা হয়েছে। থানায় আক্রমণের ঘটনায় পৃথক মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৪

বিটিসিএল ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি, বহু ওয়েবসাইট বন্ধ!
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলে এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীরা প্রবেশ করতে পারছে না। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪০ মিনিট থেকে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। তবে ডট বাংলা ডোমেইন সার্ভিস যথারীতি চালু আছে।  এ বিষয়ে বিটিসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, বিটিসিএল-এর ডটবিডি ডোমেইন সার্ভিস বুধবার সকাল ৮টা ৪০মিনিট থেকে কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ আছে। তবে ডট বাংলা ডোমেইন সার্ভিস যথারীতি চালু আছে। ত্রুটি নিরসনের জন্য কারিগরি টিম কাজ করছে। আশা করা যায় সার্ভিসটি খুব দ্রুতই চালু করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ডিজিএম (ডোমেইন) আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘হঠাৎ করেই পরিষেবায় বিভ্রাট দেখা দিয়েছে আমরা জলদি বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করছি। প্রস্তুত হলেই পুনরায় সচল হবে সব ওয়েবসাইট।’ দুঃখ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, কী কারণে এমন হলো এখনও আমরা খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে এখন আমরা সমস্যা খোঁজার থেকে বিকল্পভাবে সচল করছি। কেন না, এখন পর্যন্ত আমাদের সব কিছু সচল দেখছি। কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি। মূল সমস্যা খুঁজে পাওয়া সময়সাপেক্ষ। তবু আমরা খুব দ্রুতই সমাধান করে গ্রাহক সেবা দিতে পারব। ডোমেইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশের ভার্চুয়াল জাতীয় পরিচয়ের রুট ডোমেইন নেটওয়ার্ক সিস্টেমে (ডিএনএস) ত্রুটি দেখা দিয়েছে। ফলে ডট গভ ডট বিডি, ডট কম ডট বিডি এবং ডট বাংলা এই তিন ডোমেইনে থাকা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটগুলো অনলাইনে ‘আন অ্যাভেইলেবেল’ দেখাচ্ছে। তবে সকাল থেকে পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪২

রাশিয়ায় কনসার্টে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪০, বহু আহত
রাশিয়ার একটি কনসার্ট সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে দেশটির রাজধানী মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হল কনসার্ট সেন্টারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা টাস এ খবর জানিয়েছে। রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা কনসার্ট চলাকালীন মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের কনসার্ট হলের ভেতরে তিনজন সশস্ত্র ব্যক্তি গুলি চালায়। তারা কনসার্ট হলে ঢুকে একটি গ্রেনেড বা বোমা নিক্ষেপ করেন, যা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘটনার পর শতাধিক মানুষকে কনসার্ট হল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করে মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, ‘ক্রোকাস সিটি সেন্টারে ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। নিহতদের স্বজনদের প্রতি আমার সমবেদনা। এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সকলকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’  
২৩ মার্চ ২০২৪, ০২:১৪

উপকূলে বিপন্ন বহু প্রজাতির বন্যপ্রাণী, রক্ষায় নেই উদ্যোগ
খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট প্রকট হওয়ায় বিপন্ন হচ্ছে উপকূলের বহু প্রজাতির বন্যপ্রাণী। একটা সময় অহরহ বন্যপ্রাণীর দেখা মিললেও এখন সেই সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন বসন্তে সুমধুর কণ্ঠে কোকিলের কুহুতান ধ্বনি শোনা যায় খুবই কম। পচা আর মরা কোনো প্রাণীদের খেতে শকুন আসে না। এমনকি শীত মৌসুমে আগের মতো অতিথি পাখিরাও আসছে না। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা যথেষ্ট অভাব রয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর সর্বত্র সঠিক প্রয়োগ, সকলের অংশগ্রহণ ও মানুষের সচেতনতাই পারে বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে এমনটাই বলছেন পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনের দায়িত্বশীলরা। তাদের মতে নিষ্ঠুরভাবে বন উজাড়, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং পাখি শিকারীদের ফাঁদে উপকূল থেকে বন্যপ্রাণীদের আশংকাজনকভাবে বিলুপ্তি ঘটেছে। তথ্যমতে, ২০১৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮ তম সাধারণ অধিবেশনে বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালের প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয় বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদগুলির প্রতি গণসচেতনা বৃদ্ধি করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য নিয়ে। প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের গবেষণামতে বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩১টি। তবে এ সংস্থাটির দাবি বাংলাদেশে ১৬ শতাধিক প্রজাতির প্রাণী রয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৯০টি একেবারে শেষ হওয়ার পথে। মৌসুমি ফল রক্ষায় মানুষ আজ কারেন্ট জাল বিছিয়ে রাখে আর তাতে জড়িয়ে প্রাণ হারায় নিরীহ পাখিরা। কিছু মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষ আছে, যাদের হাজাররকম খাবার বাদ দিয়ে নজর পড়ে বন্যপ্রাণীর দিকে। আর তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য ঘৃণিত ও আইন-বহির্ভূত পেশা বেছে নিয়েছে কিছুসংখ্যক শিকারি। কিছু মানুষের আবার আছে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ সংগ্রহ করে শো-পিস হিসেবে প্রদর্শন করার অভ্যাস। স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন অ্যানিম্যাল লাভার অব পটুয়াখালী ডাটা কালেক্টর বায়জিদ মুন্সী বলেন, আমাদের উপকূলে একটা সময় বিপুল পরিমাণ বন্যপ্রাণী বসবাস করতো। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পেয়েছে। বন্যপ্রাণী বিলুপ্তর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষের অসচেতনতা। তারা বন্যপ্রাণীর গুরুত্ব সম্পর্কে জানে না। বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কারের কারণে শিয়ালের মাংসসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী হত্যা করে মাংস খাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির পাখি শিকার বন্ধ হচ্ছে না। ফলে এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কৃষকদের অতিমাত্রায় কীটনাশক ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। পরিবেশ ও প্রাণী নিয়ে কাজ করা সিনিয়র সংবাদকর্মী মেজবাহ উদ্দিন মান্নু বলেন, বন উজাড়ের পাশাপাশি গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে বেশি বয়সের গাছ না থাকা এবং খাদ্যের অভাবে অস্তিত্ব সংকটে এ সব বন্যপ্রাণী। সচেতনতা তৈরি করে এ সব প্রাণীদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে সবার। পটুয়াখালী উপকূলীয় বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রতিবছরই কমছে বন্যপ্রাণী। তবে আমরা সচেতন হলে কমে আসবে বিলুপ্তির পরিমাণ। পটুয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (উপবন সংরক্ষক) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আধুনিক নগরায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশংকাজনক হারে বন্যপ্রাণীদের উপস্থিতি কমছে। বন হচ্ছে বন্যপ্রাণীদের আবাসস্থল। আমরা সবসময় বন উজাড় বন্ধ করার চেষ্টা করছি।  
০৩ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৪

আগুন লাগার ‘গুজবে’ ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ে বহু হতাহত 
ভারতের ঝাড়খণ্ডের কালাজারিয়া রেলস্টেশনে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এই স্টেশনটিতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে বহু মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির । এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভগলপুর থেকে বেঙ্গালুরুগামী অঙ্গা এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ‘গুজবে’ রেললাইনে লাফিয়ে পড়েন যাত্রীরা। তখন আরেকটি ট্রেন তাদের ওপর দিয়ে চলে যায়। কতজন মানুষ আহত বা নিহত হয়েছেন নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে  এনডিটিভি  জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এই যাত্রীরা ট্রেনে আগুন লাগার ‘গুজবে জীবন বাঁচাতে রেললাইনে নেমে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই আরেকটি ট্রেন তাদের চাপা দেয়। এতে অনেকে কাটা পড়েন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে জামতারায় আনতে মেডিকেল টিম, চারটি অ্যাম্বুলেন্স এবং তিনটি বাস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন আধিকারিক । স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত একটি গুজবকে কেন্দ্র করে। ডাউন অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লাগার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে। আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ইমারজেন্সি চেন টেনে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন যাত্রীরা। সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা ঝাঁঝা-আসানসোল লোকাল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েছেন শতাধিক যাত্রী। দুর্ঘটনার পর জামতাড়ার এসডিএম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আমরা দুটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করার জন্য আমরা রেলকে অনুরোধ জানিয়েছি। দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের পর জানা যাবে। জামতাড়ার বিধায়ক ইরফান আনসারি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। যারা গুজবের পেছনে রয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করা হবে। এই ঘটনার বিষয়টি বিধানসভায় তুলব। যারা মারা গেছেন তাদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এদিকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, অঙ্গ এক্সপ্রেসে আগুন লেগেছিল বলে একটি গুজব ছড়ায়। ট্রেনের ভিতরে কেউ চেন টানেন। জামতাড়ার কাছে অঙ্গ এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে যায়। সেই সময় উল্টো দিকের লাইন ধরে একটি লোকাল ট্রেন আসছিল। সেই ট্রেনে দুই ব্যক্তি কাটা পড়েন।
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৮

বুরকিনা ফাসোতে নামাজের সময় মসজিদে হামলা, বহু নিহত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে একটি মসজিদে বন্দুকধারীদের হামলায় কয়েক ডজন মুসল্লি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে, সোমবার দেশটির একটি ক্যাথলিক গির্জায় বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গির্জায় হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের দিনেই দেশটির নাতিয়াবোয়ানি শহরের একটি মসজিদে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। ভোরে নামাজের সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি গুলি করলে বহু মুসিল্লির মৃত্যু হয়। নিহতদের অধিকাংশই পুরুষ। এদিকে স্থানীয় মিডিয়াগুলো বলছে, হামলাকারীরা মোটরবাইকে করে এবং মেশিনগান নিয়ে মসজিদটিতে হামলা চালায়। উল্লেখ্য, বুরকিনা ফাসোর এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা বর্তমানে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। দেশটির কর্তৃপক্ষ আল-কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এসব গোষ্ঠী সাহেল অঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করে রেখেছে।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৪১

ওয়ারীতে বহুতল ভবনে আগুন, ৯৯৯-এ কলে বহু লোক উদ্ধার 
রাজধানীর ওয়ারীর ২৯ নম্বর র‍্যাংকিন স্ট্রীটের একটি বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯৯৯- এর কলে ৭০-৮০ জনের বেশি মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় বহুতল ভবনে আগুনের খবর জানিয়ে একজন কলার ৯৯৯-এ কল করে জরুরি সহায়তা চান।’ এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৯৯৯-এর সদরদফতর থেকে সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ঘটনাটি জানানো হয়। খবর পেয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবনের চার তলার বাইরের দিক থেকে কাঁচ ভেঙে হাইড্রলিক ল্যাডারের সাহায্যে ৮০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে নীচে নামিয়ে আনে।’ তিনি বলেন, দশ তলা ভবনের চার তলায় আগুনের ঘটনা ঘটে। ভবনের আগুন সম্পূর্ণরূপে নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:০৪

জাহাজের ধাক্কায় ভেঙে গেল সেতু, বাসসহ বহু মানুষ নদীতে
চীনের গুয়াংজুতে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় মাঝ বরাবর ভেঙে গেছে একটি সেতু। এতে ওই মূহুর্তে সেতু পারাপাররত বাসসহ পাঁচটি যানবাহন নদীতে পড়ে তলিয়ে গেছে।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে গুয়াংজু প্রদেশের নানশা জেলায় পার্ল নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সঙ্গে আহত হয়েছেন জাহাজের একজন ক্রু। এছাড়া এ ঘটনায় এখনও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের।  চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিসিটিভির এক ফুটেজে দেখা গেছে, সেতুর একটি অংশ ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে। সেতুর নিচে আটকে আছে দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজটি। তবে, জাহাজে কোনও মালামাল ছিলো না বলেই মনে হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই সেতুর আশেপাশের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আটক করা হয়েছে জাহাজের ক্যাপ্টেনকে। আশেপাশের এলাকায় পানি সরবরাহ ও ইন্টারনেটের মতো পরিষেবাও আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পার্ল নদীর মোহনায় অবস্থিত গুয়াংজু হলো চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম বাণিজ্যিক বন্দর নগরী। আর ঘটনাস্থল নানশা জেলা দক্ষিণ চীনের অন্যতম দ্রুততম বর্ধনশীল বন্দর। ২০০৪ সালে চালু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই এ বন্দরে কার্গো জাহাজ চলাচল বেড়ে চলেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেতুটিতে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় বেশ কিছুদিন আগেই এটা সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তিনবার স্থগিত হয়ে যায় সংস্কারের উদ্যোগ। এছাড়া, ২০২১ সালে নৌযানের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়িয়ে সেতুর কাঠামোগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল।   
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৪

মিয়ানমারে আরাকান আর্মি-সেনাবাহিনী ব্যাপক সংঘর্ষ, বহু হতাহত
মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে আরাকান প্রদেশের বুচিডংয়ে এই সংঘর্ষ চলছে। জানা গেছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা ফুমালি গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে সেখানে সেনাবাহিনীর ঘাঁটি থেকে আর্টিলারি গানসহ ভারী অস্ত্রের গোলা বর্ষণ করে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ছাড়া হামলার পর থেকে সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যের রামব্রী টাউনশিপে চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমার বিমান বাহিনীর বোমারু বিমান বার বার শহরে উড়ে আসছে এবং শত্রুর সম্ভাব্য অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। শুক্রবার বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মাত্র দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে পাঁচবার বোমারু বিমান শহরটি প্রদক্ষিণ করে। দূরে শহর থেকে ধোঁয়া উঠতে লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে হামলায় আহতদের বুচিডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন বলেও জানা গেছে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ৪১ জন রোহিঙ্গাকে মংডু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাদের কাছে নেই। এরই মধ্যে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়