• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ঘুঘুর চোখ সেলাই করে ফাঁদ পেতে পাখি শিকার
বাগেরহাটে ঘুঘুর চোখ সেলাই ও আঠা দিয়ে দৃষ্টিহীন করে পাখি শিকার করছে একটি চক্র। বুধবার (৩ এপ্রিল) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের একটি মাঠে ঘুঘু ধরার ফাঁদ পেতেছিল শিকারি চক্র। খবর পেয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা ওই ঘুঘু দুটিকে উদ্ধার করেছে। তবে পালিয়ে গেছে অসাধু শিকারিরা।  স্থানীয়রা জানান, প্রথমে চিকন সুতা দিয়ে সেলাই করা হয় ঘুঘুর চোখ। তার ওপর আঠা দিয়ে আটকানো হয়। এভাবে ঘুঘুর দৃষ্টিশক্তি পুরোপুরি কেড়ে নেওয়া হয়। দৃষ্টিহীন ঘুঘুকে বিশেষ পদ্ধতিতে বেঁধে জাল দিয়ে প্রকৃতিতে থাকা ঘুঘুসহ অন্য পাখি শিকার করেন অসাধু শিকারিরা।  শরণখোলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি শেখ নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু শিকারি ঘুঘুর দুচোখ আটকে ও দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে জালের ফাঁদ পেতেছে এমন খবর পাই। স্থানীয় কয়েকজন তরুণকে নিয়ে আমাদের সদস্য শাহিন হাওলাদার ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শিকারি চক্রটি ঘুঘু দুটিকে রেখে পালিয়ে যায়।  নাজমুল ইসলাম বলেন, মূলত গ্রামের মাঠে ওই দুটি ঘুঘুকে আটকে রাখা হয়েছিল অন্য পাখি ধরতে। সেখানে এই ঘুঘু দুটিকে দেখে ঘুঘু বা অন্য পাখি এলে জালে আটকা পড়তো। বাঁশ বা লম্বা লাঠি মাথায় বেঁধেও এভাবে পাখি দিয়ে পাখি ধরা হয়। আমরা পাখি দুটিকে উদ্ধারের পর চিকিৎসা দিয়ে অবমুক্ত করেছি। বিষয়টি বনবিভাগকেও অবগত করা হয়েছে।  সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, পাখিসহ বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্থানীয়দের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ভিটিআরটি দলসহ বন্যপ্রাণী রক্ষা স্থানীয়ভাবে কাজ করা ব্যক্তিরা এ ধরনের বিষয়ে আমাদের জানায়। আমরা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিই। এরপর থেকে এ বিষয়ে খেয়াল রাখা হবে।
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৮

প্রেমের ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে প্রতারণা
দিনাজপুরের ধর্ষণ মামলার আসামি রাহমাতুর রাফসান অর্ণব রাজধানী ঢাকায় নতুন করে প্রতারণায় মেতে উঠেছেন। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ভাবে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পরে ব্ল্যাকমেইল করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অর্ণবের প্রেমের ফাঁদে পড়ে উঠতি বয়সী অনেক তরুণী সর্বস্ব হারিয়েন। এসব ঘটনায় দিনাজপুর ও ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা, চাকরি দেওয়া ও বিদেশ লোক পাঠানোর নামে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে অর্ণবের বিরুদ্ধে। মামলার নথি ও পুলিশ সূত্র জানায়, পুলিশের ডিআইজির ছেলের ভুয়া পরিচয় দিয়ে পুলিশের ভ্যান ব্যবহার ও ডিএমপির স্টিকার লাগিয়ে, হুডার ব্যবহার করে অর্ণব কক্সবাজার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য নিয়ে এসে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পুলিশের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে হুমকিও দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন শিল্পপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে সেসব ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এসব বিষয়ে জানার জন্য তার বাবা পুলিশ কর্মকর্তা জাহিদের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। অভিযুক্ত অর্ণবের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে ফোন করলে সাংবাদিক পরিচয় শুনেই তিনি আর কথা বলতে ইচ্ছুক নয় বলে ফোন কেটে দেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দিনাজপুর শহরে লিগেসি নামের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্টের আড়ালে তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় ও ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছেন অর্ণব।
২৫ মার্চ ২০২৪, ২২:০৮

ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নিহত ‌২
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে দুজন নিহত হয়েছেন।  শনিবার (২৪ মার্চ) রাতে উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। তারা হলেন, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে কালু শেখ (২৫) ও একই গ্রামের বিশ্বেশ্বর বিশ্বাসের ছেলে সোনাতন বিশ্বাস (৬৫) উপজেলার রামদিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, রাতে কালু শেখ জমিতে পুঁতে রাখা বাঁশ তুলতে গিয়ে একই গ্রামের হারুন মোল্লার জমিতে দেওয়া ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। দীর্ঘক্ষণ বাড়িতে না আসায় তার স্ত্রী খুঁজতে গিয়ে দেখেন জমিতে তিনি মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। অন্যদিকে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নিহতের ঘটনা শুনে দেখতে যাবার পথে বাড়ির কাছেই জমিতে দেওয়া বিদ্যুতের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন একই গ্রামের সোনাতন বিশ্বাস। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৬

গোপালগঞ্জে নারীসহ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সর্বস্ব লুটে নেওয়া প্রতারক চক্রের নারীসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার বোড়াশি পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া গ্রামের ফেরদাউস মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া (২১), গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বোড়াশি পশ্চিমপাড়া এলাকায় মৃত আশরাফ শিকদারের ছেলে বিল্লাল শিকদার (২৫), একই উপজেলার বাঁশবাড়ী গ্রামের কামাল শেখের ছেলে বাধন শেখ (২৪) ও সিঙ্গারকৃল গ্রামের ইমরুল মল্লিকের মেয়ে মাবিয়া শেখ (১৮)। ওসি মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, বাগেরহাট জেলার বাসিন্দা পিকিং বর্মনের সঙ্গে প্রতারক চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারকৃত মাবিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এরপর মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে নিয়মিতভাবে কথোপকথন চলতে থাকে। বুধবার দেখা করার জন্য গোপালগঞ্জে আসার প্রস্তাব দেয় মাবিয়া। পরে পিকিং বর্মন দেখা করতে গোপালগঞ্জ আসলে তাকে জিম্মি করে কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এ প্রতারক চক্রের সদস্যরা। ওসি জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পিকিং বর্মন প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বোড়াশী পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ওসি আরও জানান, ওই ঘটনায় জড়িত বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  কেউ এমন প্রতারণার শিকার হলে পুলিশকে জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ২০:০১

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে মোবাইল ফ্ল্যাশলাইটের ফাঁদ
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সাদা রঙের সলিড লাইনের পাশে প্রায় সময় ফ্ল্যাশলাইট জ্বলে থাকা মোবাইল ফোন পড়ে থাকতে দেখা যায়। সরলতায় কিংবা লোভে পড়ে গাড়ি থামালেই পড়তে হয় ডাকাতের খপ্পরে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়কের মির্জাপুর এলাকার মা সিএনজি পাম্পের অপর পাশে সাংবাদিকদের নজরে আসে, রাস্তার পাশে ফ্ল্যাশলাইট জ্বলা অবস্থায় একটি মোবাইল ফোন পড়ে আছে। মোটরসাইকেলের গতি কমিয়ে দেখা যায় ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য রাস্তার পাশে অবস্থান করছে। দুজন বসে আছে এবং একজন দাঁড়িয়ে। সাংবাদিকরা তৎক্ষণাৎ দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন এবং মির্জাপুর থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে দেওহাটা ব্রিজের সামনে থাকা টহল পুলিশের টিমকে সঙ্গে নিয়ে ফাঁদপাতা স্থানে যান সাংবাদিকরা। পরে থানা থেকে আরও একটি পুলিশের টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে টের পেয়ে ডাকাত চক্রটি পালিয়ে যায়। আলামত হিসেবে রাস্তায় পড়ে থাকা মোবাইল ফোন পুলিশ উদ্ধার করেন। উদ্ধারের পর দেখা যায় মোবাইল ফোনের একটি ডেমু বানিয়ে রাখা হয়েছে। মোবাইল ব্যাককাভারের ভেতর প্লাস্টিকের ফোম এবং নষ্ট ফোনের ডিসপ্লের সঙ্গে রাবার দিয়ে গ্যাস ম্যাচের লাইট বেঁধে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রাত ১১টা থেকে ২টার মধ্যে পথিমধ্যে দুদিন পরপরেই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এখানে প্রায় সময় এমনভাবে মোবাইলের কাভার লাইট জ্বালিয়ে রাখে যা দেখে মনে হবে এটি সত্যিকারের মোবাইল ফোন। গাড়ি থামালেই চালানো হয় ডাকাতি। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর কুমারজানী এলাকায় ডাকাত দলের সদস্যরা রাস্তায় বস্তা ফেলে ফাঁদ পেতে বসে থাকে। ফাঁদে পা দিলে ট্রাক ড্রাইভার নাজমুলের ওপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা নাজমুলকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যান। এ ঘটনার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মির্জাপুর থানার ফোর্স দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলার দেওহাটা ব্রিজ ও ত্রিমোহন এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্য নাদিম ও সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে। ওই আসামিদের তথ্যমতে ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অপর ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে নাদিম ও সাদ্দাম ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এবং অপর ৪ ডাকাত দলের সদস্যকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়। মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম জানান, মির্জাপুরে এমন ঘটনা প্রায় সময় ঘটে আসছিল। ইতোমধ্যে ডাকাত চক্রের ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যারা রয়েছে তারা মাদকাসক্তের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আরও কয়েকজন এই চক্রের সদস্য রয়েছে যারা বিভিন্ন যায়গায় এমন ফাঁদ তৈরি করছে। মির্জাপুর থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৫

সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণসহ ৬ বস্তা ফাঁদ উদ্ধার
সুন্দরবন থেকে শিকার করা হরিণসহ ছয় বস্তা ফাঁদ উদ্ধার করেছে বনবিভাগের সদস্যরা। এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি বনবিভাগ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের টেকের খাল এলাকা থেকে এসব ফাঁদসহ শিকারকৃত মৃত হরিণটি উদ্ধার করা হয়। আরও পড়ুন : ডিএমপির কাছে যা জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষকদল   সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ এম কে এম ইকবাল হুসাইন চৌধুরী বলেন, কোবাদক স্টেশন কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেনের নেতৃত্বে টেকের খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মৃত হরিণসহ ছয় বস্তা ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়