• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শাবনূরকে চিনতে না পেরে আটকে দিল পুলিশ
ঢাকাই সিনেমার নন্দিত নায়িকা শাবনূর। দুই যুগের বর্ণিল ক্যারিয়ার তার। অভিনয় করেছেন প্রায় আড়াই শতাধিক চলচ্চিত্রে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে বড় পর্দায় অনুপস্থিত তিনি। সম্প্রতি একটি সিনেমা করার জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন এই নায়িকা। এদিকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)  উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। প্রবীণ-তরুণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পদচারণে মুখর এফডিসি প্রাঙ্গণ। এর মধ্যেই দেশে ফিরেছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। এদিন চিত্রনায়িকা শাবনূরকে দেখে চিনতে পারেননি রাজধানীর বিএফডিসির সামনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা। শুক্রবার দুপুরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোট দিতে এলে এফডিসির মূল ফটকের সামনে তার গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।  এসময় সংশ্লিষ্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, ‌আপনি কী ভোটার? তা শুনে শাবনূর বলেন, আমি শাবনূর, আমি শাবনূর। তখন ফটকের সামনে ভিড় করা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের বলতে শোনা যায়, উনি নায়িকা শাবনূর। ওনাকে ছেড়ে দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে হঠাৎ লাইভে এসে ভক্ত-অনুরাগীদের চমকে দিয়েছেন নায়িকা। লাইভটি তিনি করেছেন শাবনূরের প্রাণের এফডিসি থেকেই। গাড়িতে বসা অবস্থাতেই শাবনূর বলেছেন, হ্যালো বন্ধুরা, আজকে আমি এসেছি, জানো তো, আমাদের সমিতিতে। আমাদের মিলনমেলা। ভীষণ ভালো লাগছে সবাইকে দেখে। এ সময় শাবনূরের মেকআপম্যানের এফডিসিতে প্রবেশ নিয়ে তৈরি হয় জটিলতা। অনুমতি ছাড়া মেকআপম্যানদের প্রবেশ নিষেধ। পাশাপাশি শাবনূরের গাড়িও ঘিরে ধরেন উৎসুক জনতা। অভিনেত্রী বলেন, এখানে এত পুলিশ কেন? এফডিসিতে প্রবেশ করতেই নায়ক রুবেলকে জড়িয়ে ধরেন শাবনূর। রুবেল বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম একজন স্টার আমার এ আদরের ছোট বোনটি। এর পর চিত্রনায়ক রিয়াজের সঙ্গে দেখা হতেই অভিনেতা বলে ওঠেন, তুমি কখন এলে? অনেক দিন পর দেখা হলো রুবেল ভাইয়ের নায়িকার সঙ্গে। শাবনূর বলেন, তোমার কী? রিয়াজ বলেন, আজকে সবাই আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দিলাম।’ শাবনূরও বলে ওঠেন, ‘আমাদের জুটি অমর হয়ে থাকবে। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩০

ঈদে মেয়ে ও জামাইকে কাপড় দিতে না পেরে আত্মহত্যা
ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদে মেয়ে জামাইকে কাপড় ও সেমাই কিনে দিতে না পারায় জাহানারা বেগম (৬৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভোরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছাগলডাঙ্গী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত জাহানারা বেগম ওই গ্রামের মো. বজির উদ্দিনের স্ত্রী। জানা গেছে, অভাবের কারণে ঈদুল ফিতরে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে নতুন কাপড় কিনে দিতে পারেননি জাহানারা। এ নিয়ে সোমবার রাতে স্বামী বজির উদ্দীনের সঙ্গে তার সঙ্গে ঝগড়া হয়। এরপর গভীর রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। জাহানারার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংসারে অভাবের কারণে ঈদে জামাই, মেয়ে ও নাতিদের নতুন কাপড় দিতে পারেননি মা। এ জন্য একাধিকবার আফসোস করেছেন তিনি। গত রোববার মেয়েকে বলেই ফেলেছিলেন, এমন জীবন রাখবো না। আজ তাই করলেন। বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবীর বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ছাগলডাঙ্গী গ্রাম থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় জাহানারা বেগমের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪২

অত্যাচার সইতে না পেরে ছেলেকে পুলিশে দিলেন বাবা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা। আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে।  রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নাদিম নামের ওই ছেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম। এর আগে শনিবার রাতের দিকে আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক নাদিম মোগড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বাউতলা এলাকার মো. রেনু মিয়ার ছেলে। বৃদ্ধ বাবা রেনু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ছেলের অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পুরো রমজান মাস স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িতে থাকতে পারি নাই। এ সময় অন্যের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাত্রিযাপন করতে হয়েছে। এমনকি কয়েকবার আমাকে আমার ছেলে হত্যার চেষ্টাও করছে। এলাকায় কয়েকদিন পরপর ঝামেলা সৃষ্টি করে বেড়ায় সে। মাদকাসক্ত এই ছেলের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে।’ এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম বলেন, নাদিম গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ছিলেন। আদালতের নির্দেশে আমরা তাকে আটক করি। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৮

ওষুধ কিনতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা
রাজধানীর মগবাজারের মধুবাগে একটি বাসায় জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক অসুস্থ রিকশাচালক ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত আটটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই রিকশাচালকের ভাতিজা মো. মোতালেব বলেন, চাচা প্রায় তিন বছর ধরে অসুস্থ। অভাব অনটনে থাকায় ওষুধ কিনতে না পেরে নিজের ওপর জিদ করে ধারালো ছুরি পেটে ঢুকিয়ে দেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে, অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ইসলামপুরে বলেও জানান তিনি।
২৭ মার্চ ২০২৪, ০১:১৪

চুরির অপবাদ সইতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যা
লালমনিরহাটের মোটরসাইকেল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে নুর আলম (২৮) নামে এক যুবক বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভাণ্ডার ইউনিয়নের কাঞ্চনশ্বর দুল্লার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুর আলম ওই এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দুইটার দিকে সেলুনের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুল্লারবাজারে একটি মোটরসাইকেল দেখতে পায়। সেখানে কাউকে না পেয়ে মোটরসাইকেলটি তার বাড়ির সামনে এনে রাখেন। পরদিন রোববার সকালে গাড়ির মালিক একই এলাকার আসাদুল খোঁজ পেয়ে তার কাছে এসে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি চায়। এরপর তাকে কৌশলে দুল্লারবাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে চুরির অপবাদ সইতে না পেরে অভিমানে ওই যুবক বাজার থেকে বিষ নিয়ে বাড়িতে এসে সবার অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করে। নিহত নুর আলমের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মোটরসাইকেল রাতে বাজারে পেয়ে বাড়ির সামনে এনে রেখেছিল। সে মোটরসাইকেল চালাতেও পারেনা। আজ সকালে ডেকে নিয়ে চুরির অপবাদে মারধর করা হয়। সেই অপমানে আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবীর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ শুনে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৮

বিচ্ছেদ সইতে না পেরে স্ত্রী-কন্যা-শাশুড়িকে হত্যার চেষ্টা
নোয়াখালীর সেনবাগে ঘরে ঢুকে স্ত্রী, কন্যা ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছে সাবেক স্বামী। এতে গুরুতর আহত দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত আমির হোসেন (৫০) পালিয়ে যায়। সে জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।  আহতরা হলেন- অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলী মালের বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৬০) তার মেয়ে ফাতেমা বেমগ (৩৮) ও নাতনি রাবেয়া আক্তার (১৮)।   ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনর সঙ্গে সেনবাগের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। কয়েক বছর পর তাদের সংসারে কলহ দেখ দেয়। তিন বছর আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করে। শুক্রবার ভোররাতের দিকে ফাতেমাও তার মা নামাজ পড়লে উঠলে আমির দুটি দা নিয়ে আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।  সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।  তাদের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।    সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।        
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৫৬

দাদার মৃত্যু সইতে না পেরে ফাঁস দিলো তরুণী
রাজধানীর লালবাগে দাদার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে উম্মে হাবিবা সুমা (১৫) নামে এক তরুণী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সে হাজারীবাগ গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, হাবিবা বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের হাসানপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। সে পরিবারের সঙ্গে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ ডুরি আঙ্গুল লেন বড় মসজিদের পেছনে ভাড়া থাকতো। হাবিবার চাচা মো. রুমন জানান, আমার বাবা আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিলেন। তিনি ১৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত সপ্তাহে বাবাকে বাসায় নেওয়া হয়। হাবিবাকে খুবই ভালোবাসতেন তার দাদা। এজন্য হাবিবাও তার দাদাকে অনেক যত্ন করতো। সে নিজেই সময় মতো দাদাকে ওষুধ সেবন করাতো, খাবার খাইয়ে দিত, গোসল করিয়ে দিত। সবসময় দাদার আশপাশে থাকতো। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে আমার বাবা বাসাতেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হাবিবা দাদার লাশের পাশে বসে কোরআন তিলাওয়াত করে। ঘণ্টা খানেক পর সে সেখান থেকে তার রুমে চলে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন তার রুমে ঢুকতে গেলে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। তখন তাকে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া মেলে না। এতেই সন্দেহ হয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে হাবিবা। দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে হাবিবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাবিবার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি নেওয়ার জন্য লালবাগ থানায় যোগাযোগ করছে।  
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৭

খালাতো বোনকে বিয়ে না করতে পেরে পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
রাজবাড়ীতে খালাতো বোনকে বিয়ে না করতে পেরে অভিমানে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈম খান (২০) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউপির চাঁদপুরে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত নাঈম খান ওই এলাকার মান্নান খানের ছেলে। জানা গেছে, নাঈমের সঙ্গে তার খালাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং ছেলের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলে মেয়ের অভিভাবকরা ওই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এ নিয়ে নাঈমের মা চায়না বেগমের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সে তার নিজ রুমে গিয়ে কাপড় দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস নেয়। পরবর্তীতে নাঈমের মা রুমে গেলে ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নাঈমের বাবা মান্নান খান বলেন, নাঈম শিশু থাকতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং সে সময় থেকেই তিনি ছেলেকে মানুষ করেছেন। ৭ম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় মোটরসাইকেলের লোভ দেখিয়ে ওর মা চায়না নাঈমকে নিয়ে যায়। এরপর দুবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা করে নাঈম। তারপর অনেকে রাগারাগি করে মোটরসাইকেল বিক্রি করিয়েছি এবং ছেলেকে নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ছেলে শত বাধা দেওয়ার পরেও সে তার মায়ের কাছে চলে যায়। তবে নাঈম তার কাছে না থাকলেও যখন যা চেয়েছে, তখনই তা দিয়েছেন বলে জানান নাঈমের বাবা।  তিনি আরও বলেন, গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এক বিষয়ে ফেল করেছে। মূলত সম্পত্তির লোভে নাঈমকে ষড়যন্ত্র করে মেরেছে চায়না ও তার দ্বিতীয় বিয়ে করা স্বামী। নাঈম না থাকলে ওদের সব হয়ে যাবে এই লোভে। চায়না ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন বলে জানান তিনি। রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপার ভাইজার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আবুল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সে আত্মহত্যা করেছে। ফাঁস নেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। ময়নতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪৬

বিয়ে করতে না পেরে বান্ধবীর গোপন ভিডিও ফাঁস
বিয়ে করতে না পেরে বান্ধবীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবকের ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিজান আলী তুহিন (২৬) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চাতরা গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার পর রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা বেগম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডি‌জিটাল নিরাপত্তা আইনে ২০২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলার বাদী ও আসামির বাড়ি একই জেলার পাশাপাশি গ্রামে। আর তারা দুজনই রাজশাহী নিউ গভর্মেন্ট ডিগ্রি কলেজে একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও বন্ধু ছিল। কলেজে পড়াশোনা করার সময় তাদের মধ্যে একপর্যায়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। ওই সময় তুহিন মোবাইল ফোনে ভুক্তভোগী নারীর কিছু স্থির ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরে তুহিন তার বান্ধবীকে বিয়ের জন্য চাপ দেন এবং তাকে বিয়ে না করলে এসব ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। কিন্তু ওই তরুণী তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি। এরপর ওই তরুণীর পরিবার তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। আর বিয়ের পর থেকে অভিযুক্ত যুবক বাদীর সম্পর্কে তার স্বামী এবং শাশুড়ির মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আপত্তিকর এসএমএস, ছবি এবং ভিডিও পাঠাতে শুরু করে। একপর্যায়ে ফেসবুকে ‘শেষের কবিতা’ নামে একটি প্রোফাইল খুলে সেখানে ওইসব আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করে তুহিন। এ ঘটনায় তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী। আদালত সূত্রে জানা যায়, রায়ে তুহিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২৫ (২) ধারায় তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আইনের ২৬ (২) ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ২৯ (২) ধারায় এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড।  পৃথক ধারায় দেওয়া এই সাজাগুলো একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৫৭

ঘন কুয়াশায় শাহজালালে নামতে না পেরে ৪ ফ্লাইট চট্টগ্রামে
কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাজধানী ঢাকার আকাশ। বুধবার ভোর থেকেই তীব্র কুয়াশায় ছেয়ে গেছে পুরো শহর। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দিনগত মধ্যরাত থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্পষ্টভাবে রানওয়ে না দেখতে পেরে ৪টি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি বিমানবন্দরে। পরে ফ্লাইটগুলো চট্টগ্রামের হযরত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলে যায়।  মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। আজ সকাল ৮টা পর্যন্তও দেখা মেলেনি সূর্যের। যানবাহনগুলোকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।  শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুবাই, সালাম এয়ারের মাস্কাট এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কুয়ালালামপুর, দাম্মাম থেকে আসা ফ্লাইটগুলো ঢাকায় অবতরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা চট্টগ্রাম চলে যায়। সর্বশেষ সকাল ১০টা পর্যন্ত তারা ঢাকায় ফিরতে পারেনি। ঘন কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রায় ১৫টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ঢাকায় উড্ডয়ন ও অবতরণ করতে পারেনি।
২৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়