• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
স্বামীর মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বামীর মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে স্ত্রী পাপিয়া বেগম নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্বামী আনিসুর রহমান।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে কালিহাতী বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপিয়ার মৃত্যু হয়।  একই হাসপাতালে আহতাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আনিসুর। তিনি ঘাটাইলের উপজেলার সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা। তাদের গ্রামের বাড়ি পাঞ্জেনা গ্রামে। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।  আহত সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, সকালে স্ত্রী পাপিয়াকে নিয়ে কালিহাতী বাসা থেকে গ্রামের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলার পাঞ্জেনা যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছলে স্ত্রীর ওড়না চাকার সঙ্গে আটকে গেলে দুজনেই সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় পাপিয়ার মৃত্যু হয়।  ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল খান জানান, ঘটনাটি আমরা শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে এ ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৮

অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে রাবেয়া বেগম (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্ধ ময়দানের পার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত রাবেয়া বেগম তেলিপাড়া গ্রামের মো. সবুজ ইসলামের স্ত্রী। জানা যায়, মীরগঞ্জ বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ বেরুবন্ধ ময়দানের পার এলাকায় পৌঁছালে অসাবধানতাবশত চাকায় ওড়না জড়িয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় রাবেয়া। পরে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানার ওসি মো. মোক্তারুল আলম। তিনি বলেন, মরদেহ নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩

ঘরের দরজার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে নারীর আত্মহত্যা
নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকায় সুমনা ইসলাম নামে এক নারী ঘরের দরজার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।  বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া এলাকার মৃত আবু তালেবের বাড়ি থেকে ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  নিহত সুমনা ইসলাম পলাশ উপজেলার চরনগরদীর মাঝেরচর এলাকার আফসার উদ্দিনের স্ত্রী এবং মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়ার চঙ্গবান্দা এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ে। সুমনা ইসলাম পৌর শহরের পলি ক্লিনিক নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সেবিকার কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর বাসা ছেড়ে কাউরিয়াপাড়া এলাকার আবু তালেবের বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমনা ইসলাম। এখানে স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। বুধবার রাতে তার স্বামী আসেন তার সঙ্গে দেখা করতে। রাতে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। পড়ে রাতে স্বামী চলে যাওয়ার পর ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন সুমনা। সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলে ঘরের দরজা না খোলায় বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে সুমনার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের মা রাহিমা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে তার স্বামী টাকার জন্য অনেক মারধর করতো। আমাদের এলাকার অনেকের কাছ থেকে লাভে টাকা এনে দিয়েছে তাকে ব্যবসা করার জন্য। তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার বাড়ি ছেড়ে এই এলাকায় এসে ভাড়া বাসায় থেকে চাকরি করে সংসার চালাতো আমার মেয়ে। এখানে এসেও ওর স্বামী অত্যাচার নির্যাতন করতো। তার জন্যই আমার মেয়ের এই অবস্থা। আমি এর বিচার চাই।   নিহতের বোন কণিকা ইসলাম বলেন, আমার বোনের ওপর তার স্বামী অনেক অত্যাচার নির্যাতন করতো। সেই জন্যই আমার বোন আত্মহত্যা করেছে আমি এর বিচার চাই।  নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:২৪

স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, মা ও সৎমা আটক
ফেনীর পরশুরামে হাতে-পায়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুর বাবার ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎমাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ফেনী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহদাৎ হোসেন, সংশ্লিষ্ট থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালী উল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিও সংস্থার গাড়িচালক নুরুন নবী ১৩ বছর আগে একই এলাকার কোলাপাড়ার আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) ও লামিয়া আক্তার (৮)। পারিবারিক কলহের কারণে নবীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন আয়েশা। পরে অন্য একজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। এদিকে এক ছেলের মা রেহেনা আক্তারকে বিয়ে করে চার বছর ধরে সংসার করছেন নবী। ভোলার লালমোহনে তার সঙ্গেই থাকে আগের ঘরের দুই মেয়ে। প্রথম সংসারের দুই মেয়ে, নতুন স্ত্রী রেহেনার সাত বছরের ছেলে এবং রেহেনা-নবী দম্পতির ঘরের মেয়ে নাবিলাকে নিয়ে তাদের সংসার। নবীর অভিযোগ, আগের স্ত্রী আয়েশা দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। গত সোমবার আয়েশা তার খালাতো ভাই জাবেদের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে পরশুরামে এসে নবীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার আয়েশার দুই মেয়ে ফাতেমা ও লামিয়াকে বাসায় রেখে নিজের দুই সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান রেহেনা। দুপুরে মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে লামিয়াকে হত্যা করে। এ সময় লামিয়ার হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল। বড় বোন ফাতেমা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালীকে জানায়, দুজন লোক লাল মোটরসাইকেলে এসে গেট খুলে লামিয়াকে জাপটে ধরে। তারা চলে গেলে লামিয়ার দেহ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়