• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নারীদের ত্রিশ পরবর্তী পুষ্টি ভাবনা 
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারী সাধারণত নিজের জন্য ভাবার সময় পান না। পরিবারের সবার যত্ন নিলেও নিজের প্রতি যত্নটা আর নেওয়া হয় না তাদের। আর এ অযন্তের জন্য নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা শুরু হয়ে যায় ত্রিশের পর থেকে। যেমন হাড়ক্ষয়, বলিরেখা পড়ে যাওয়া, শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, হরমোনের সমস্যাসহ আরও বিভিন্ন ধরনের জটিলতা। তাই এ সময় খাদ্যগ্রহণে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে জীবনযাপন পদ্ধতিতেও। এ সময়ে কোন খাবারগুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে জেনে নিন। আয়রন: অনেক নারীই এই বয়সে বেশ ক্লান্ত বোধ করেন। এর অনেক কারণও আছে। তবে এমনটা হলে সবার আগে খাবারের দিকে খেয়াল করবেন। আপনি যদি ভীষণ ক্লান্তি বোধ করেন, তবে খাবারের তালিকায় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যোগ করতে হবে। বয়স ত্রিশ পার হলে নারীদের প্রচুর আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়াম: হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা কম-বেশি শুনে থাকবেন। তবে কেবল শক্তিশালী হাড়ের জন্যই নয়, ক্যালসিয়াম প্রয়োজন হয় আমাদের শরীরের সামগ্রিক শক্তির জন্য, পেশীর শিথিলতার জন্য এবং স্নায়ুর কার্যকারিতার জন্যও। তাই নারীকে ত্রিশের পরে প্রচুর ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ভিটামিন ডি: নারীর হরমোনের ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হলো ভিটামিন ডি। সেইসঙ্গে এটি মন ভালো রাখতে সাহায্যও করে। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরে পৌঁছলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এ কারণে নারীকে ত্রিশের পরে বেশি করে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে রোদ থেকেও এই ভিটামিন গ্রহণ করতে হবে। ফোলেট: নারীর সুস্থতার জন্য ফোলেট যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এটি তাকে সুস্থতার পথে একধাপ এগিয়ে নেয়। বিশেষ করে যারা নতুন মা হয়েছেন তাদের জন্য ফোলেট এমন একটি ভিটামিন যা অবশ্যই খাবারের তালিকায় রাখতে হবে। তাই ত্রিশ পার হলে নারীকে এদিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে। ওমেগা ৩: সুস্থতার জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে এটি হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই একজন নারী যখন বয়স ত্রিশ বছর পার করবেন তখন অবশ্যই ওমেগা ৩ জাতীয় খাবার রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৫

রোজায় পুষ্টি এবং শক্তি পাবেন যেসব খাবারে 
রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানির চাহিদা বেশি থাকে। আবার অনেকক্ষণ খাবার না খাওয়ার কারণে শরীরে শক্তিরও ঘাটতি হয়। যার কারণে রোজা রেখে আমরা অনেক খাবারই খাই; কিন্তু বিশেষ কিছু খাবারের দিকে সবার খেয়াল রাখা উচিত। খাদ্যতালিকায় কিছু সুপারফুড যুক্ত করা হলে শরীর একই সঙ্গে পুষ্টি এবং শক্তি পাবে। এসব খাবার শরীরের জন্য বেশ উপকারী।  এ ধরনের কিছু খাবার হলো- প্রতিদিন দু-তিন লিটার পানি : দেহের একটি আবশ্যিক উপাদান পানি। শরীরের পুরো ওজনের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ হচ্ছে পানি। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে প্রায় ৪০ কেজি পানি থাকে। খাবার হজম ও শোষণে সাহায্য করা ছাড়াও দেহ থেকে বর্জ্য পদার্থ যেমন-ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া মূত্র ও ঘামের সঙ্গে নিষ্কাশন করে। এভাবে পানি দেহকে সুস্থ রাখে। রোজার সময় প্রতিদিন দু-তিন লিটার পানি পান করা উচিত। পানি গ্রহণের পরিমাণের সঙ্গে পানি ত্যাগের পরিমাণের (যেমন-মূত্র, মল, ঘাম) দিকে খেয়াল রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ-খাবার পানির পরিমাণ ২০০০ মিলি হলে মূত্রের মাধ্যমে পানি ব্যয় হবে ২০০০ মিলি, এর বেশি ব্যতিক্রম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। প্রতিদিন ইফতারে রাখুন ফলমূল : ইফতারে ফলের পরিমাণ বাড়ানো উচিত। ফল বলতে বিদেশিই হতে হবে বা দামি ফল হতে হবে তা নয়-দেশীয়, সস্তা মৌসুমি ফল প্রতিদিন ইফতারে রাখা যেতে পারে। আপেল-আঙুরের পরিবর্তে ইফতারে স্থান পেতে পারে আমড়া, পেয়ারা, গাব, জাম্বুরা, পাকা পেঁপে, আনারস, তরমুজ ইত্যাদি।
১৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪১

পুষ্টি নিরাপত্তা রক্ষায় হাবিপ্রবিতে তিসি নিয়ে গবেষণা 
উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন তিসির জাত উদ্ভাবন করতে দেশ বিদেশ থেকে সংগৃহীত ২০ টি জিনোটাইপ নিয়ে গবেষণা করছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার। একসময় বাংলাদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে এই রবি শস্যটি প্রচুর চাষ হলেও বর্তমানে অনেক কমে গেছে। সাধারণত ফলন তুলনামূলক কম হওয়ায় এবং রবি মৌসুমের অন্যান্য শস্যের প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকার কারণে কৃষকরা তিসি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তিসি তেল ও আঁশ উৎপাদনকারী একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। তিসিগাছ লম্বায় প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। এর বেগুনি নীল ফুল ভোরবেলায় ফোটে এবং বিকেলে ঝরে যায়। এর কাণ্ডের বাকল বা ছাল থেকে আঁশ তৈরি করা হয়। বিদেশে সুন্দর লিনেনজাতীয় বস্ত্র তৈরিতে তিসির আঁশ ব্যবহৃত হয়। ওষুধি গুণসম্পন্ন তিসির বীজ থেকে উৎপন্ন হয় ভেষজ তেল যাতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী সব গুণাগুণ। এ ছাড়াও এই তেল বার্নিশ ও চিত্রকলার তৈলচিত্রের উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ছাপাখানার কলিতেও রয়েছে এর ব্যবহার। প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার তার গবেষণা নিয়ে বলেন, আমাদের দেশে ভোজ্য তেলের সংকট দূর করার জন্য তিসির ওপর গবেষণা করছি। তিসি আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশে চাষ হয়ে আসছে। বর্তমানে নানা কারণে এটির চাষ এখন কমে প্রান্তিক হয়ে গেছে। কিন্তু এটি আমাদের দেশের পরিবেশের সঙ্গে উপযোগী একটি শস্য। আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা, ভারত ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে তিসির প্রায় ২০ টি জিনোটাইপ সংগ্রহ করে সিলেকশন পদ্ধতিতে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৩ বছর পর্যবেক্ষণ করে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন জাত উদ্ভাবন করার চেষ্টা করছি। এতে করে কৃষক তিসি চাষে আগ্রহী হবে এবং এর ঔষুধি গুণের জন্য ভোজ্য তেলে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিসির উৎপাদন ও উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবনের গবেষণা কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার ও বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক। এসময় কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান কৃষিবিদ ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার বলেন, আমরা আশা করছি হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা তিসির একটি উচ্চ ফলনশীল জাত পাবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অপ্রচলিত ফসল নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে এই শস্যগুলো ধরে রাখতে পারবো। এই গবেষণা আমাদের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। তিসি গবেষণা মাঠ পর্যবেক্ষণ করে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. গোলাম ফারুক বলেন, গবেষণা মাঠের তিসি গাছগুলোর অনেক সুন্দর বৃদ্ধি হয়েছে এবং কোনো রোগবালাই নেই। হাবিপ্রবি এধরনের গবেষণার মাধ্যমে এসব শস্যকে ধরে রাখছে। এর দীর্ঘ মেয়াদী পূর্ন গবেষণার মধ্যমে দেশবাসীর উপকারিতা সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাবে এবং এই তৈল জাতীয় শস্যের গ্রহণ যোগ্যতা বাড়বে। তিসি গবেষণার প্রসংশা করে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. কামরুজ্জামান বলেন, যেহেতু তিসির মেডিসিনাল ভ্যালু অনেক বেশি এর ওপর গবেষণা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। বর্তমানে আমাদের সেন্ট্রাল ল্যাব রয়েছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে আশা করি এসব ব্যবহার করে তিসি নিয়ে আরো উচ্চতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং এর অর্থায়নে ২০২২ সাল থেকে উচ্চ ফলনশীল তিসির জাত নিয়ে গবেষণা করছেন প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার ও তার শিক্ষার্থীরা।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩৩

বাফনার কমিটি গঠন
খাদ্য ও পুষ্টি সেক্টরে কর্মরতদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বাংলাদেশ ফুড এন্ড নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশসনের (বাফনা) ২০২৪ - ২০২৫ সালের দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি সেক্টরের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান করে নিয়েছেন দেশের একঝাঁক উদ্যোগী খাদ্য ও পুষ্টিবিদ। বরাবরের মতো খাদ্য ও পুষ্টি সংশ্লিষ্ট দেশের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষ ও পরিশ্রমী ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে গঠিত বাফনার কেন্দ্রীয় কমিটিতে সর্বোসম্মতিক্রমে সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন গুয়েবারা বেকারি ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড (কুপারস্) এর কোয়ালিটি ম্যানেজার মেহেদি হাসান হাওলাদার (নাদিম) এবং দ্বিতীয় বারের মত সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হন পেপসিকো ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র কিউএ এক্সিকিউটিভ বিপুল বিশ্বাস (আপন)।      কমিটিতে স্থান পেয়েছেন- কামরুল হাসান ভূঁইয়া, জি.এম. রেজা সুমন, চিন্ময় সরকার, মাহমুদা রহমান মনি, মাহফুজা আফরোজ সাথী, সুজিত রঞ্জন সরকার, হেলাল উদ্দিন, প্রবাল কুমার মন্ডল, সরকার বন্ধন কুমার দীপ, ইমরান তুহিন, অর্পিতা সাবিত্রী চৌধুরী, প্রিয়ন্ত সাহা, আল আমিন ইসলাম লিমন, সুদীপ্ত দেবনাথ, সোহেল রানা, তামান্না আক্তার, আয়েশা আক্তার স্বর্না, মুনিয়া মৌরিন মুমু, সাজ্জাদ হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম বুলবুল, চৌধুরী সানাত আনজুম রীম, সুরাইয়া আক্তার, আরাফাত রহমান, তানভীর আহম্মদ প্রমুখ।   
১১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়