• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিসিএসের প্রিলিতে এবার বসছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থী
৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থী। দেশের ৮ বিভাগীয় শহরের ২১৫ কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০০ নম্বরের এ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পিএসসির বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, ৪৬তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে শূন্যপদের সংখ্যা ৩ হাজার ১৪০টি। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন, সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এ ছাড়া সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এই ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জন নেওয়া হবে। প্রশাসনে ২৭৪, পররাষ্ট্রে ১০, পুলিশে ৮০, আনসারে ১৪, মৎস্যে ২৬ ও গণপূর্তে ৬৫ জন নেওয়া হবে। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের আগেই কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে আসন গ্রহণ করতে হবে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ সময় উত্তরপত্র বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া সকাল ১০টায় বিতরণ করা হবে প্রশ্নপত্র। দুপুর ১২টার আগে কোনো পরীক্ষার্থী কেন্দ্র থেকে বের হতে পারবেন না। প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মুঠোফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না। পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে। পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন। এদিকে, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (এমসিকিউ) ঢাকার ৯৬টি কেন্দ্রে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ভেতরের ও বাইরের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকার ৯৬টি পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিটির জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের কন্ট্রোল রুমে অতিরিক্ত আরও ১০ জন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও এতে জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ঢাকার কেন্দ্রগুলোর জন্য নিয়োগ করা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আগামী ২৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় পিএসসি ভবনে অনুষ্ঠিত ব্রিফিং সেমিনারে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। পাশাপাশি পরীক্ষার দিন অর্থাৎ, ২৬ এপ্রিল সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ে রিপোর্ট করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
৮ ঘণ্টা আগে

ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর
মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় কাউসার হোসেন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কাউসার হোসেন সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের জান্না গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। মানিকগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল কাউসার। নিহত কাউসারের সহপাঠীরা জানান, এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবগুলো পরীক্ষা সম্পন্ন করে কাউসার। আজকে তাদের কৃষি বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা ছিল। সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য স্কুলে আসছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের জাগীর এলাকায় আসার পর ট্রাকচাপায় মারা যায় কাউসার। গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক পলাতক। এ ঘটনায় যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৩:২১

টাঙ্গাইলে নকলের দায়ে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করায় টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ৮ দাখিল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলাকালে গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাসের নজরে আসে বিষয়টি।  এরপরে তিনি ওই ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের আদেশ দেন। বহিষ্কৃত ওই শিক্ষার্থী উপজেলার শহর গোপীনপুর ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী।  সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাস মুঠোফোনে জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে অসদুপায় অবলম্বন করার সময় সন্দেহ হলে শিক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি করে নকল পাওয়ার অপরাধে তাদের বহিষ্কার করা হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, পরীক্ষা চলার সময় পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী দায়িত্ব অবহেলা করলে আর তার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে বাকি পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
০৫ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫১

ঘোড়াঘাটে ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, ৬ শিক্ষককে অব্যাহতি
চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৩ পরিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন ছাত্রী এবং একজন ছাত্র। এ ছাড়াও পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬ জন কক্ষ পরিদর্শককে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) দুপুর ১২টায় উপজেলার রাণীগঞ্জ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পৃথক তিনটি কক্ষের তিনজন পরিক্ষার্থীর কাছে থেকে প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিল থাকা উত্তরপত্রের ফটোকপি জব্দ করে পরীক্ষা কেন্দ্রটির ট্যাগ অফিসার উপজেলা রিসোর্স ইন্সট্রাক্টর শহিদুল ইসলাম। পরে তিনি কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে ওই কেন্দ্রে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। পরে এই কর্মকর্তাদের কাছে ওই তিন পরিক্ষার্থী জানান, তাদের গৃহশিক্ষকের কাছে থেকে তারা এই উত্তরপত্রগুলো পেয়েছেন। এই ঘটনায় ওই ৩ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং কেন্দ্রটির পৃথক এই তিনটি কক্ষের দায়িত্বে থাকা ৬ জন কক্ষ পরিদর্শকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত এই ৩ পরীক্ষার্থীকে আগামী বছর নতুন করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে এবং অব্যাহতি পাওয়া ৬ কক্ষ পরিদর্শক এই বছরে পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের দায়িত্বপালন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ইউএনও রফিকুল ইসলাম। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা এই ৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২ জন কুলানন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১ জন রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই বছর এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাদের রোল নাম্বার ২৬২৬৬৪, ২৬২৭০৫, ২৬২৮০৬। ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান বলেন, অসদুপায় অবলম্বন করা তিন পরিক্ষার্থী কিন্ডার গার্ডেন (কেজি) স্কুলের শিক্ষকের কাছে থেকে উত্তরপত্রের ফটোকপি পেয়েছে বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। ওই শিক্ষকদের বিষয়ে আমরা অনুসন্ধান করছি। তাদেরকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে।    
০৩ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪

নওগাঁয় প্রক্সিকাণ্ড, ৫৯ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
নওগাঁর সাপাহারে সরফতুল্লাহ মাদরাসা কেন্দ্রে ৫৯ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে বদলি (প্রক্সি) পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রসচিবের সহযোগিতায় ৫৯ জনকে পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ হোসেন হোসেন। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সরফতুল্লাহ মাদরাসা কেন্দ্রে আরবি সাহিত্য পরীক্ষা চলাকালে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসব ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটকের নির্দেশ দেন এবং বহিষ্কার করেন। জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন। পরে কেন্দ্রসচিবের সহযোগিতায় ৫৯ জনকে আটক করেন তিনি। তার মধ্যে ৪৪ জন মেয়ে শিক্ষার্থী। ওই কেন্দ্রে ১০টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৭৫৭ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছেন। আজ ছিল তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষা। অন্যের হয়ে ২ বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার পর তৃতীয় বিষয়ের পরীক্ষার দিন ভুয়া পরীক্ষার্থীরা ধরা পড়েছেন।   জানতে চাইলে সাপাহারের ইউএনও মাসুদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আজ সকাল ১০টায় দাখিল পরীক্ষার আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর পর গোপন সূত্রে আমাদের কাছে খবর আসে, সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভুয়া পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও কেন্দ্রসচিবকে সঙ্গে নিয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী পাওয়া গেছে। ইউএনও মাসুদ হোসেন আরও বলেন, বহিষ্কার হওয়া পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধিত প্রকৃত পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল। এদের কেউ দশম শ্রেণি, আবার কেউ দাখিল পাশ করে একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে দেওয়া স্বাক্ষর ও ছবি যাচাই করে ভুয়া পরীক্ষার্থী শনাক্ত করা হয়েছে। এ অনিয়মের সঙ্গে কেন্দ্রসচিব, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে। এ দিকে গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। তিনি জানান, নিয়মিত অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে আসায় ভুয়া পরীক্ষার্থীদের আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে। সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ৫৯ জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। এদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ছবিসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই শেষে প্রকৃত ভুয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৭

পা দিয়ে লিখে দৃষ্টান্ত গড়তে চায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সিয়াম
জন্ম নিয়েছেন দুই হাত ছাড়া। পরিবারেরও নেই লেখাপড়া করানোর সামর্থ্য। তবে হাত না থাকলেও তার রয়েছে আকাশ ছোঁয়ার ইচ্ছাশক্তি। সব সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে পা দিয়ে লিখে অংশ নিয়েছেন এবারের এসএসসি পরীক্ষায়। বলছি জামালপুরের সরিষাবাড়ির চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক শাখা থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী সিয়াম মিয়ার কথা। জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের উদনাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করে সিয়াম। সে জিন্নাহ মিয়া ও জোসনা বেগমের ছোট ছেলে। লেখাপড়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে ২০১৪ সালে উদনাপাড়া ব্র্যাক স্কুলে ভর্তি করে। দিনমজুর বাবার পক্ষে তিন সন্তানের লেখাপড়ার খরচ বহন করা সম্ভব হয়নি। ফলে চতুর্থ শ্রেণিতে থাকতে একবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। এক বছর পড়াশোনা বন্ধ থাকে তার। তবু থেমে যায়নি সিয়াম, আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সিয়াম। এক শিক্ষকের প্রচেষ্টায় ২০১৮ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সিয়াম। এরপর চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০০৬ সালে জন্ম নেওয়া সিয়াম মিয়া পিএসসি পরীক্ষাতেও পা দিয়ে লিখে পেয়েছিল জিপিএ ৪.৮৩।  সিয়ামের ভাষ্য, সবাই বলতো আমি কখনো পড়াশোনা করতে পারবো না। এখনো অনেকে এ কথা বলেন। আমি লেখাপড়া করে সবাইকে দেখাতে চাই, আমি ও লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত হতে পারি। মা জোছনা বেগম বলেন, অনেক কষ্টে সিয়াম স্কুলে যায়। মাঝে মাঝে তার ঘাড়ে ও পায়ে ব্যথা হয়। তবুও হাল ছাড়ে না। তবে ওর সহপাঠীরা ব্যাগ ‍ওঠানো-নামানোসহ নানান বিষয়ে সহযোগিতা করে। আমার স্বামী দু’বার স্ট্রোক করেছে। কোন কাজ করতে পারে না। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সিয়ামের পড়াশোনা করাচ্ছি। সিয়ামের বাবাও নিজের অপরাগতা এবং সিয়ামের ইচ্ছাশক্তির বিষয়ে জানান। চাপারকোনা মহেশ চন্দ্র স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিয়াম পা দিয়ে লিখলেও তা খুব সুন্দর। যা দেখে সবাই বিস্মিত হন। তার পরিবারের অবস্থা ভালো না। বিদ্যালয় থেকে তার বেতন পোশাক ও এসএসসির ফরম ফিলআপ ফি মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান মনি বলেন, আমারের আওতাধীন একটি সেন্টারে সিয়াম নামের এক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। সে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিচ্ছে। কেন্দ্র থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তাকে ৩০ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হচ্ছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০২

পাথরঘাটায় ৫ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার, ২ শিক্ষককে অব্যাহতি
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে ৫ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) পরীক্ষা শুরুর পর পাথরঘাটা কে এম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৫জন পরীর্ক্ষাথীকে বহষ্কিার করেন পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীরা হলো, কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জাহিদুল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, রেজবুল মাহমুদ এবং বারি আজাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জান্নাতি ও মোসাম্মাৎ শামসুন্নাহার। অব্যাহতি পাওয়া ওই দুই শিক্ষক হলেন- মো. বেল্লাল হোসেন ও রিপন সমাদ্দার। তারা দুজনেই পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনেই পাথরঘাটা কে এম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হল থেকে ভোকেশনাল শাখার ৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং একই হলে দায়িত্বরত দুই শিক্ষককে তাদের দায়িত্বে অবহেলার করার কারণে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই ৫ পরীক্ষার্থী এই বছরের কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং শিক্ষক মো. বেল্লাল হেসেন ও রিপন সমদ্দারকে পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪০

এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না ফেরদৌসের
ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রাকের ধাক্কায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়কের বিনাউটি ইউনিয়নের চাপিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ফেরদৌস মিয়া (১৬) পৌর শহরের চড়নাল গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে। তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা শাখা থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে কসবা-আখাউড়া আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ফেরদৌস মোটরসাইকেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে চাপিয়া এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এ সময় দ্রুতগামী ট্রাকটি চলে যায়। স্থানীয়রা আহত ফেরদৌসকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তাই মরদেহ তারা বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৪

প্রেম মেনে না নেওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রেমের জেরে পরিবারের ওপর অভিমান করে ইমন (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।  শনিবার (২০ জানুয়ারি) সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের বানিয়ারচালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আরও পড়ুন: ওমানে বাংলাদেশি তরুণের আত্মহত্যা নিহত ইমন ময়মনসিংহ জেলার গরিপুর থানার সর্ব পশ্চিমপাড়া গ্রামের মালেকের ছেলে। তার নিজ এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। ইমনের বাবা গাজীপুর সদর উপজেলার মেম্বারবাড়ি বাজারে ভাতের হোটেলের ব্যবসা করে স্থানীয় হান্নানের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, ছাত্রলীগ কর্মী নিহত নিহতের বাবা মালেক বলেন, আমার ছেলে গ্রামের বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত। সে সময় একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। দুজনের বয়স কম থাকায় বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই নির্বাচনের দুদিন পরে বাড়ি থেকে এখানে নিয়ে আসি। যাতে তার মন-মানসিকতার পরিবর্তন হয়। আজ দুপুরে হোটেল থেকে রাগ করে বাসায় গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ইমনের নানি দেখতে পেয়ে তার বাবার কাছে গিয়ে ঘটনা বলেন। পরে ইমনের নানি ও তার বাব এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখেন ইমন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়