• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সীমান্ত এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত ও রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের সবগুলো সীমান্ত এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। একটা দেশের সীমান্ত এতো অরক্ষিত, অথচ তা ডামি সরকার জনগণকে জানতে দিচ্ছে না।  শনিবার (৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, বান্দরবানের কুকি চিনের হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর যে বক্তব্য গণমাধ্যমে এসেছে তা উদ্বেগজনক। কুকি চিনের আস্তানা র‌্যাব ও সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে, তারা পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, কিন্তু এসবের কোনো ভিত্তি নেই। দেশের মানুষ বুঝে গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে দেশ নিরাপদ না, সীমান্ত নিরাপদ না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে বলেছেন, তিনি আগে থেকেই জানেন কুকি চিনের বিষয়ে। তাহলে আজকের পরিস্থিতির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে।   বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার কুকি চিনকে ব্যবহার করে নিজেদের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বোভৌমত্ব হুমকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কুকি চিনের হামলা ও বারবার গুলির ঘটনা স্পষ্ট প্রমাণিত যে, গোয়েন্দাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বান্দরবানে হামলার ঘটনা সরকারের তাবেদারি পররাষ্ট্রনীতির কুফল ছাড়া কিছুই নয়। এটাকে সাধারণ বা হালকাভাবে নিলে ভবিষ্যতে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। রিজভী বলেন, কুকি চিনের তৎপরতা বন্ধ করতে হলে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। না হলে প্রকৃত ঘটনা কখনই জানা যাবে না।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪২

‘বুয়েটকে জঙ্গি কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলেই অ্যাকশন’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে। রোববার (৩১ মার্চ) আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বুয়েটের ঘটনাও তদন্ত চলছে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে ক্যাম্পাসকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সেক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে। স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের পাঠক ঘোষক হতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ৫৩ বছর পরও বিতর্ক চলছে কে স্বাধীনতা এনেছে! নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭০ এর নির্বাচনের ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই হিসেবেও তারই তো ঘোষণা করার কথা। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইয়ুব খান যেমন কথা বলতো তেমনি বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে বলছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। এমপি মন্ত্রীদের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আওয়ামী লীগ কর্মীরা চায়ের দোকানে বসে দলের নেতাদের গীবত করে। সব খবরই পাওয়া যায়।  নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কাউকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪৯

‘মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে’
অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়া এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, আইনের শাসনহীন এ দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ডামি নির্বাচনের পর এই সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্য। নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্বিষহ সংকট। বিএনপির এই নেতা বলেন, ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করতেই ডামি সরকার নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলসহ দল এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ২২ নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাকে ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
২২ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২

‘দেশটা এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে’
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশ এখন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে। অব্যাহত গতিতে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে বিরোধী নেতাকর্মীদের পর্যুদস্ত ও নাজেহাল করা হচ্ছে। এ ধরনের অপকর্ম সাধনের একমাত্র উদ্দেশ্যই হচ্ছে, দেশের বিরোধীদলগুলো যেন দখলদার সরকারের স্বৈরাচারী আচরণের সমালোচনা করতে সক্ষম না হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো যেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। রাজিব আহসান এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো দখলদার আওয়ামী সরকারের নিরবচ্ছিন্ন অপকর্মেরই অংশ। তিনি বলেন, আদালত কতৃর্ক তাদের জামিন বাতিল ও কারান্তরীণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৪২

আওয়ামী লীগ ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে : রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকার ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে জোরপূর্বক ক্ষমতায় বসে থাকতে সহযোগিতাকারী ভারতীয় পণ্য বর্জন হোক মানুষের প্রতিবাদের হাতিয়ার। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, গত কয়েক দিন ধরে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বিনাভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কথা জোর গলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন। তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে- বাংলাদেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের ও হাছান মাহমুদের বক্তব্য প্রমাণ করে জাতিসংঘ সনদের ২ (৪) ধারা সরাসরি লঙ্ঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সবকিছুর উপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। রিজভী আরও বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দেখা গেছে তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এ বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তাই বিএনপিসহ ৬৩টি দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে।
২০ মার্চ ২০২৪, ১৫:২০

‘ওর যত্ন নিলে দেশের একটি বড় সম্পদে পরিণত হবে’
বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিনারের অভাবটা ছিল শুরু থেকেই। তবে সেই অভাব পূরণ করতে রিশাদ হোসেনকে নিয়ে কাজ করছে বিসিবি। লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছিলেন তিনি। তাই রিশাদকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন টাইগার অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।  রোববার (১৭ মার্চ) ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসেন মিরাজ। এ সময় রিশাদকে নিয়ে মিরাজ বলেন, বাংলাদেশ দল তো অনেক দিন ধরেই একটা লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার খুঁজছিল। যে জিনিসটা রিশাদের মধ্যে আছে।  ‘আমি মনে করি, ওর এখনও অনেক দেওয়ার বাকি আছে, শেখার বাকি আছে। ওর মাত্র ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে। যত ম্যাচ খেলবে ওর ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে, অভিজ্ঞতা হবে।’  তিনি বলেন, একজন লেগ স্পিনারের জন্য অত সহজ না কাজটা, অনেক কঠিন। আমাদের দেশে এবং বাইরে যখন খেলা হয় খেলায় অনেক কন্ট্রোল থাকতে হয়। যে জিনিসটা ওর ভিতরে আসছে আমি দেখেছি অনেক উন্নতি হয়েছে। সে যত ম্যাচ খেলবে তত শিখতে পারব। আমরা যদি ওর যত্ন নিতে হবে, তাহলে আমাদের দেশের জন্য একটা বিরাট সম্পদ হবে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দেশের হয়ে ছক্কার রেকর্ডও গড়েছেন রিশাদ। তাই রিশাদের ব্যাটিং নিয়েও আশাবাদী মিরাজ বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই। একটা বোলার যখন ব্যাটিং করতে পারে তখন কিন্তু দলের অনেক সুবিধা হয়। দল কিন্তু ভালো একটা পজিশনে যায়। রিশাদ ব্যাটিং করতে পারে এটা আমাদের দলের জন্য একটা সুবিধা।  ‘আমরা যদি ওকে যত্ন নিতে পারি ওকে যদি ঠিকঠাক ব্যবহার করতে পারি ও ব্যাটিংটাও ভালো করবে। টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু ও ভালো একটা ইনিংস খেলেছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ও বড় শট খেলতে পারে। ওর সেই সামর্থ্য আছে।’  তিনি আরও বলেন, আমরা ওইভাবে চিন্তা করছি। আমিও ওর সাথে কথা বলেছি, টিম ম্যানেজমেন্টও কথা বলেছে। ওকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে ব্যাটিংয়ের, নেটে। সে যদি নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে পারে ও লম্বা সময় সার্ভিস দিতে পারবে এটা আমি মনে করি।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:০৫

সোনার বাংলা পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে : মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকের সোনার বাংলা যে ডামি সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে এটা আমরা মেনে নিতে পারছি না। ডামি সোনার বাংলা কথাটি আমাদের নয়, যারা সরকার চালাচ্ছেন, তারাই এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। ডামি সোনার বাংলা হলো, আসল সোনার বদলে নকল সোনা। খুব সাধারণ বাংলায় বললে, সোনার বাংলা আজ পিতলের বাংলায় পরিণত হয়েছে। রোববার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত ২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যদি তারা মনে করে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, বুলেটের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে জনগণের টুটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা ভুল স্বপ্ন দেখছে। সেই স্বপ্ন তাদের ভেঙে যাবে। মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর আমরা পেরোতে চলেছি। এখনো মাঝে মাঝে সোনার বাংলার কথা শুনি। পতাকা থেকে সোনার বাংলা কথাটি এসেছে সেটা আমরা জানি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রশ্ন করে বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এদেশের মানুষ আজ বুভুক্ষ। যে বাংলাদেশের জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কী জবাব দেবো? যে সোনার বাংলার কথা আওয়ামী লীগ সরকার বলে, তারা কী করে? এই বাংলাদেশের জন্য কী লাখ লাখ মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল? ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, সরকার বলে তারা নাকি স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। স্বাধীনতার চেতনা কি গণতন্ত্র ছিল না? আওয়ামী লীগকে সেই প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। মুখে গণতন্ত্র, সোনার বাংলার কথা বলে, কার্যক্ষেত্রে এর উল্টোটা করে। আওয়ামী লীগ যদি মনে করে ক্ষমতার জোরে সবকিছু অস্বীকার করে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সেটা হতে দেবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে। কিন্তু তারা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারিয়েছে, মানুষ কর্তৃক প্রত্যাখিত হয়েছে। সরকারকে এই সত্য স্বীকার করতেই হবে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহসভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির সঞ্চালণায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ।
০৩ মার্চ ২০২৪, ২০:২৭

পুলিশ আধুনিক ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলারক্ষা, জনগণের জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধান এবং অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে বঙ্গবন্ধু যে বাহিনীর পুনর্গঠন ও উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন তা হলো বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা পুলিশের বাজেট বৃদ্ধি, ঝুঁকিভাতা চালু, রেশন প্রাপ্তির হার দ্বিগুণ এবং প্রয়োজনীয় যানবাহনের ব্যবস্থা করি। ১৯৯৮ সালে আমরাই প্রথম পুলিশসুপার পদে একজন নারী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেই। শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, পুলিশ স্টাফ কলেজ প্রতিষ্ঠা, পুলিশের জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ বহুমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করি। আমাদের এ সকল সময়োচিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে পুলিশ বাহিনী আজ একটি আধুনিক, যুগোপযোগী, দক্ষ, গতিশীল ও জনবান্ধব বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে আমরা ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। পদমর্যাদা বৃদ্ধি, নতুন পদ সৃষ্টি এবং বিভিন্ন স্তরে বিপুল সংখ্যক পদোন্নতি প্রদানসহ গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), শিল্প পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, এন্টি টেরোরিজম, কাউন্টার টেরোরিজম, নৌপুলিশ, এমআরটি পুলিশ ও এসপিবিএনসহ অনেকগুলো নতুন বিশেষায়িত পুলিশ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছি। সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পার্বত্য জেলাগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় কয়েকটি ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হয়েছে। আমরা পুলিশ স্টাফ কলেজকে আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করেছি। আমরা থানা, ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্র, ব্যারাক, আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ দিয়েছি। দশ তলা ভবন করে রাজারবাগে পুলিশ হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। পুলিশ বাহিনীর জন্য ডিএনএ ল্যাব, ফরেনসিক ল্যাব, অটোমেটেড ফিঙ্গার প্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এফআইএস) ও আধুনিক রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপন করেছি। আকাশপথে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পুলিশের এয়ার উইং গঠন করা হয়েছে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, সকল সময়ে জনগণের সেবা করাই প্রতিটি পুলিশ সদস্যের পবিত্র দায়িত্ব। আমার প্রত্যাশা, মানবীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা, ত্যাগ, বীরত্ব ও দেশপ্রেমের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। রূপকল্প-২০৪১ এর সেই স্মার্ট বাংলাদেশে পুলিশকেও হতে হবে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং স্মার্ট। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, পুলিশ বাহিনী সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রেখে নতুন দিনের নতুন চ্যালেঞ্জ সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে এবং পুলিশের গৌরব সমুন্নত রাখতে সদা সচেষ্ট থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীর রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের সদস্যগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পুলিশ বাহিনীর প্রায় ১৪ হাজার বাঙালি পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ত্যাগ করে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এদের মধ্যে ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি পুলিশ সদস্য শহিদ হন। দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ হয়েছে পুলিশ। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সেই কালরাতে পুলিশের এএসআই সিদ্দিকুর রহমান ঘাতকদের বাধা দিতে গিয়ে বিনা দ্বিধায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। দেশবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির আগুনসন্ত্রাস মোকাবিলা ও জঙ্গিবাদ দমনসহ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন অনেক অকুতোভয় পুলিশ সদস্য। সরকারপ্রধান বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যগণ বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এ সময় পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য সময়ে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন শেষ হাসিনা। সূত্র : বাসস  
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:০৬

শবেবরাত যেভাবে বাংলাদেশে উৎসবে পরিণত হলো
পবিত্র শবেবরাত আজ। হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিনগত রাত মুসলমানরা শবেবরাত হিসেবে পালন করে থাকেন। এ রাতটি লাইলাতুল বরাত হিসেবেও পরিচিত। বহুকাল ধরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বেশ ঘটা কর শবেবরাত পালন করছে। যদিও শবেবরাতকে কেন্দ্র কের যেসব আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয় সেগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় নানা বিতর্ক দেখা যায়।  ইসলামের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা ব্যক্তিদের মতে মুসলিমদের মধ্যে শবেবরাত পালনের প্রথা ইসলাম ধর্মের উৎপত্তির সময় থেকেই শুরু হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে নফল নামাজ পড়তেন ও কবরস্থান জিয়ারত করতেন, তা অনেক হাদিসেই বর্ণিত রয়েছে।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, রোজার মাস শুরুর প্রস্তুতি হিসেবে বিশ্বনবী এই আচার পালন করতেন এবং তার অনুসারীদেরও পালন করতে বলতেন। তার মতে, বিশ্বনবীর সময়কাল এবং তার পরবর্তী সময়ে আরব থেকে ইসলাম প্রচারে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে যারা সফর করেছেন, তাদের মাধ্যমেই বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার মানুষের মধ্যে শবেবরাত পালনের আনুষ্ঠানিকতার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। আর এই আনুষ্ঠানিকতাকে উৎসব হিসেবে বিবেচনা করা হতো বলে ধীরে ধীরে এই দিনে ভালো খাবার তৈরি ও খাবার বিতরণের মাধ্যমে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার প্রথা তৈরি হয়েছে। উপমহাদেশে যেভাবে ছড়িয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে শবেবরাত পালনের চল কবে থেকে শুরু হল সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো দালিলিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। এই অঞ্চলে শবেবরাত পালন সংক্রান্ত সবচেয়ে পুরনো নথি পাওয়া যায় খাজা শামসুদ্দিন মিরার লেখায়। চীনের উইঘর অঞ্চলের কাসগারে জন্ম নেওয়া খাজা শামসুদ্দিন ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশের মুরতাজাবাদে আসেন এবং সেখানেই থেকে যান। ইরানের ইয়াজদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্বের অধ্যাপক মোহসেন সাইদি মাদানি তার ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত গবেষণা ধর্মী বই ‘ইমপ্যাক্ট অব হিন্দু কালচার অন মুসলিমস’ বইয়েও উল্লেখ করেছেন যে দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ভারতীয় উপমহাদেশে শবেবরাতে হালুয়া-রুটি তৈরি ও বিতরণের প্রমাণ পাওয়া যায়। খাজা শামসুদ্দিনের লেখার বরাত দিয়ে মোহসেন সাইদ মাদানি তার বইয়ে লিখেছেন ‘দিল্লির সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলকের আমলে শবেবরাত যে জৌলুসপূর্ণভাবে আয়োজিত হত, তার প্রথম দলিল পাওয়া যায় শামসুদ্দিন মিরার লেখায়।’ পরবর্তীতে অষ্টাদশ-উনবিংশ শতকে শাহ ইসমাইল শহিদ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ আর মৌলভি সৈয়দ আহমেদ দেহলভীর লেখায় শবেবরাত পালনের বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায় বলে উঠে এসেছে মাদানির লেখায়। সে সময় হালুয়া-রুটি বিতরণের পাশাপাশি আতশবাজি পুড়ানো ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করা হত বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। পূর্বোক্ত লেখকদের বরাত দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে শবেবরাতের আলোকসজ্জা ও আতশবাজি পুড়ানোর বিষয়টি হিন্দুদের দ্বীপাবলি উৎসব থেকে নেওয়া হতে পারে। তবে ইসলামিক ইতিহাসের অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম মনে করেন, উপমহাদেশে শবেবরাত পালনের চল অষ্টম শতক থেকেই শুরু হয়েছে, যখন থেকে ইসলাম প্রচারে মধ্য এশিয়া ও আরব থেকে উপমহাদেশে মুসলিম ধর্ম প্রচারকরা এসেছেন। তিনি আরও বলেন, ত্রয়োদশ শতকে কুতুবুদ্দিন আইবেক, বখতিয়ার খিলজী দিল্লিতে সালতানাত প্রতিষ্ঠা করার পর উপমহাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলাম ছড়িয়ে পরে। কিন্তু ৭১২ সালে মোহাম্মদ বিন কাসেম মুলতান আর সিন্ধ জয় করেন। সেটি ছিল উপমহাদেশে ইসলাম ছড়িয়ে যাওয়ার শুরু। এছাড়া আরব, চীনা বণিকরা সাগরপথে বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে এসেছেন। তাদের মাধ্যমেও উপমহাদেশে ইসলাম ছড়িয়েছে এবং ইসলামিক রীতি-রেওয়াজও মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছে। আতশবাজি ও হালুয়া-রুটির প্রচলন বাংলাদেশের বিশেষ করে ঢাকার মানুষ শবেবরাত বলতে বুঝতো এমন একটি দিনকে, যেদিন সবার ঘরে ঘরে হালুয়া তৈরি করা হবে ও তা বিতরণ করা হবে আত্মীয়-স্বজন ও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে। মসজিদে মসজিদে সারারাত জিকির করা বা নামাজ পড়ায় ব্যস্ত থাকবে পুরুষরা। আর সন্ধ্যার পর পোড়ানো হবে আতশবাজি। শবেবরাতে এই আতশবাজি পোড়ানো ও আলোকসজ্জা করার রীতি কয়েকশ বছরের পুরনো। ভারতীয় ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিদ্যাধর মহাজন তার বই ‘হিস্টরি অব মিডিইভাল ইন্ডিয়া’য় লিখেছেন যে দিল্লির সুলতানদের আমলে এবং মোঘল আমলে শবেবরাতের রাতে বাদশাহদের প্রাসাদ ও মসজিদ আলো দিয়ে সাজানো হত। মোঘল আমলে শবেবরাত পালনের এই চিত্র উঠে এসেছে পার্বতী শর্মার ‘জাহাঙ্গির: অ্যান ইনটিমেট পোর্ট্রেট অব এ গ্রেট মোঘল’ বইয়েও। যেখানে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলে (১৬০৫-১৬২৭) শবেবরাত উদযাপনের সময় হালুয়া মিষ্টি জাতীয় খাবার বিতরণ ও আলোকসজ্জা করা হত বলে লিখেছেন তিনি। ১৮৮০ সালে প্রকাশিত বৃটিশ পাদ্রী এডওয়ার্ড সেলের লেখা বই ‘ফেইথস ইন ইসলামে’ উঠে আসে যে সেসময় আতশবাজির পেছনে বিপুল পরিমাণ খরচ করা হত। এডওয়ার্ড সেল ১৮৬৫ সাল থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষের মাদ্রাজে পাদ্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে, হালুয়া তৈরি করে আত্মীয় ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে বিতরণ করার সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অধ্যাপক মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি বলছিলেন, আমরা জানি যে বিশ্বনবী মিষ্টি খুব পছন্দ করতেন। তার পছন্দের জিনিসকে উম্মতরা পছন্দ করবেন, সেটাও তাকে পছন্দ করার একটা ধরন। ফলে মিষ্টি হিসেবেই হালুয়া বানানোর প্রচলন শুরু। কারণ হালুয়া বানানোর উপকরণ এই অঞ্চলে রয়েছে। আর আনন্দের ভাগ অন্যদের দেওয়ার জন্য বিতরণের রেওয়াজ তৈরি হয়েছে। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুভূতি আর সামাজিকতা রক্ষা – দুটো বিষয়ই জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশে যেভাবে প্রচলন হলো বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে শবেবরাত পালনের সবচেয়ে পুরনো প্রমাণ পাওয়া যায় উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে, প্রায় ১৫০ বছর আগে। সে সময় ঢাকার নবাবরা ঘটা করে শবেবরাত পালন করতেন বলে বলছিলেন ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুন, যিনি বাংলাদেশের উৎসবের ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছেন ও বই লিখেছেন। তিনি বলেন, সে সময়ে হিন্দুদের আধিপত্য থাকার কারণে সেটিকে মোকাবেলা জন্য ঢাকার নবাবরা শবেবরাতের জন্য অনেক বড় আয়োজন করতো। এতে ঢাকার নবাবদের মুসলমান পরিচয় এবং আধিপত্য - এ দুটো বিষয় একসঙ্গে তুলে ধরার প্রয়াস দেখা যেত। অধ্যাপক মামুন বলেন, নবাবরা যেহেতু মুসলিম ছিলেন এবং ঢাকাকে তারা নিয়ন্ত্রণ করতেন, সেজন্য উৎসবগুলোকে তারা গুরুত্ব দিতেন। এর মাধ্যমে নবাবদের আধিপত্য, মুসলমানদের আধিপত্য এবং ধর্ম পালন এই তিনটি বিষয় একসাথে প্রকাশ হতো। ১৯০০ শতকের শেষের দিকে ঢাকায় শবেবরাত পালন মুসলিম পরিচয় প্রকাশের বিষয় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। এমনটাই বলছেন অধ্যাপক মামুন। সেই ধারাবাহিকতায় শবেবরাত একটি বড় ধরনের উৎসবে পরিণত হয়েছে। তবে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মতে আরও আগে থেকেই বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে শবেবরাত পালন হয়ে আসছে। তিনি বলেন, আরব আর চীনা বণিকরা যখন সাগরপথে ব্যবসা করতে আসতো, তখন চট্টগ্রাম অঞ্চলে তাদের জাহাজ ভিড়তো। সেসময় তাদের অনেকেই এখানে থেকে যেতেন। তাদের মাধ্যমে ইসলামিক রীতি-রেওয়াজের সঙ্গে সেখানকার মানুষের পরিচয় হয়েছিল। তার মতে, ঢাকার নবাবরা জাঁকজমকের সঙ্গে শবেবরাত পালন করলেও তারও কয়েকশ বছর আগে থেকেই বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডের মানুষ এই রেওয়াজের সঙ্গে পরিচিত ছিল। সূত্র : বিবিসি বাংলা  
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫১

টেক্সটাইল ও পোশাকের বৈশ্বিক শিল্প পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে পাট ও জীবিকা নির্বাহের উপর নির্ভরশীলতা থেকে টেক্সটাইল ও পোশাকের বৈশ্বিক শিল্প পাওয়ার হাউসে পরিণত করেছে, দারিদ্র্যের হার অর্ধেক করেছে এবং মোট দেশজ উৎপাদনকে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি করেছে। এছাড়া বাজারমুখী নীতি, বেসরকারিকরণ, বাণিজ্য উদারীকরণ এবং কৌশলগত বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ও শিল্প প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি ছিল। বাংলাদেশের লক্ষ্য যেহেতু তার অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করা এবং ভ্যালু চেইনে আরোহণ করা, তাই আফ্রিকা পোশাক শিল্পের পরবর্তী সীমানা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা একই ধরনের প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন থেকে উপকৃত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ব্লগে এমন কথাগুলো লিখেছেন ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) ম্যানুফ্যাকচারিং ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড সাপ্লায়ার ফাইন্যান্স- এর গ্লোবাল ম্যানেজার ফেমি আকিনরেবিয়ো।  তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নয় মাসের যুদ্ধে তারা সবেমাত্র পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এটি একটি অত্যন্ত দরিদ্র, ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল যা মূলত পাট উৎপাদন এবং জীবিকা নির্বাহের উপর নির্ভরশীল কিন্তু তার জনগণকে খাদ্য জোগানে অক্ষম। ১৯৭৪ সালে এটি ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ে দেশ। ওই সময় দেশটির পশ্চিমাঞ্চল সফররত বিশ্বব্যাংকের একজন অর্থনীতিবিদ একে ‘পরমাণু হামলার পরের সকালের মতো’ বর্ণনা করেছিলেন। তারপরে, এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যে, বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য একটি সরকারী প্রচারণা ফলপ্রসূ হয়েছিল এবং বাংলাদেশ এমন একটি পথে যাত্রা শুরু করেছিল যা দেশটিকে কৃষি অর্থনীতি থেকে শিল্প পাওয়ার হাউসে রূপান্তরিত করবে। টেক্সটাইল এবং পোশাক উৎপাদন এমন একটি অলৌকিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রত্যাবর্তন হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে যা আজ উন্নয়নশীল দেশগুলো অনুকরণ করার চেষ্টা করে। শিল্পের বেসরকারিকরণ এবং বাণিজ্য উদারীকরণসহ বাজারমুখী নীতিতে বাংলাদেশের পরিবর্তনের ফলে পোশাক রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে।  রেডি-টু-ওয়্যার পোশাক বৃদ্ধির ‘ইঞ্জিন’ হয়ে ওঠে এবং সুতির টি-শার্ট, প্যান্ট, পুলওভার এবং ডেনিম তার প্রিয় স্পট হয়ে ওঠে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম দেশে উন্নীত করেছে, দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে এবং লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করেছে। কোভিড-১৯ মহামারীর আগের দশকে অর্থনীতি বার্ষিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং মাথাপিছু মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছিল, যা প্রতিবেশী ভারতকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ ধরনের ট্র্যাক রেকর্ড আজ আফ্রিকার উদীয়মান অর্থনীতির ঈর্ষার কারণ। শিল্পায়নের জন্য কোনও ‘এক-আকারের-ফিট-অল’ রেসিপি নেই। তবে বৃহত্তর, স্বল্প ব্যয়বহুল কর্মীবাহিনী, পর্যাপ্ত পুনর্নবীকরণযোগ্য সম্পদ এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তিযুক্ত দেশগুলোতে পরবর্তী প্রজন্মের টেক্সটাইল এবং পোশাক শক্তি গড়ে তুলতে যা লাগে তার বেশিরভাগই রয়েছে। আর বাংলাদেশের বিপরীতে আফ্রিকায় দেশীয় তুলার বাড়তি সুবিধা রয়েছে।  ২০২২ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের রফতানি করা সুতির টি-শার্টের ২০ শতাংশ উৎপাদন করেছে, যার মূল্য ৯ বিলিয়ন ডলার, যদিও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেল লাগানো তুলার ২ শতাংশেরও কম উৎপাদিত হয়েছে। এটি সম্ভবত একটি সুখকর বিশ্বাস যে, আফ্রিকার পোশাক শিল্প সম্প্রসারণে আগ্রহ একক খাতের নির্ভরতা থেকে বৈচিত্র্যময় হওয়ার বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে মিলে যায়। চূড়ান্তভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। যদিও বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮৪ শতাংশই আসে শুধু পোশাক থেকে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ভাবে সফল শিল্পায়ন নীতির জন্য ধন্যবাদ প্রাপ্য, যার মধ্যে রয়েছে, রফতানি অঞ্চলগুলোতে যন্ত্রপাতি আমদানির শুল্কমুক্ত অনুমতি দেওয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা। এই কৌশল, যার জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত, একটি অত্যাধুনিক পোশাক খাত তৈরি করেছিল যা ৩ হাজার ৫০০ টিরও বেশি কারখানায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করে এবং ১৬৭টি দেশে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। পোশাক কাটা, সেলাই ও একত্রিত করা কঠিন এবং ক্লান্তিকর ও সস্তা শ্রমের উপর নির্ভর করে রফতানি-নেতৃত্বাধীন বৃদ্ধির মডেলগুলো চিরকাল স্থায়ী হয় না। অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের সাফল্যের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এবং এর পরিকল্পনার পরবর্তী ধাপে রয়েছে। পোশাক শিল্পে মূলত নারী শ্রমশক্তির আধিপত্য রয়েছে, যারা কারখানার ফ্লোর থেকে অনেক দূরে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি থেকে উপকৃত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে আমি সেটা প্রত্যক্ষ করেছি। ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএফসি) মধ্যে একটি সহযোগিতায় বেটার ওয়ার্ক এবং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড রিটার্নসের মতো কর্মসূচি কারখানায় কাজের পরিবেশ উন্নত করেছে, লিঙ্গ বৈচিত্র্যকে উন্নত করেছে এবং নারীদের জন্য ব্যবস্থাপনার সুযোগ তৈরি করেছে। এই অভিন্ন সমৃদ্ধির সামাজিক প্রভাব সুদূরপ্রসারী। বাংলাদেশের তিন-চতুর্থাংশ নারী শিক্ষিত, তারা তাদের আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের তুলনায় শিক্ষা গ্রহণ, উচ্চ বেতনের চাকরি এবং স্বাস্থ্যবান সন্তান ধারণের সম্ভাবনা বেশি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামান্য সহায়তায় উন্নয়নের সামাজিক ও টেকসই সুফল পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর পরবর্তী ক্লাস্টারে স্থানান্তরিত হবে। এটি এমন একটি উন্নয়নের ধারা যা আমরা আগেও দেখেছি। বাংলাদেশের সৃষ্টির গল্প শুরু হয়েছিল অনেকটা সেভাবেই। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশী কোম্পানি দেশ গার্মেন্টস লিমিটেড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু একটি যৌথ উৎপাদন চুক্তি স্বাক্ষর করে। কোরিয়ান কোম্পানিগুলো টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পকে ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। তারা স্বীকার করেন যে, বাংলাদেশের সস্তা শ্রমশক্তি তাদের সাশ্রয়ী মূল্যের পোশাক ব্র্যান্ডের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিধি বাড়াতে সহায়তা করতে পারে। ব্যবস্থাটি ছিল একটি দ্বিপাক্ষিক সফল প্রক্রিয়া। বাংলাদেশের জিডিপি ১৯৮০ সালের ১৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং এটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেক্সটাইল এবং পোশাক রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম। এখন, আইএফসি পরবর্তী বড় শিল্প রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করছে। এই বিবর্তন দক্ষিণ দিকে আফ্রিকার দিকে তাকায়, যেখানে টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শিল্পায়নের জন্য পরিস্থিতি পরিপক্ক। আফ্রিকান গ্রোথ অ্যান্ড অপরচুনিটি অ্যাক্টের মতো কর্মসূচি ইতোমধ্যে কেনিয়া, মিশর, ঘানা, ইথিওপিয়া, মাদাগাস্কার এবং অন্যান্য দেশে মার্কিন বাজার ও ব্যবসায় শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার প্রদান করেছে এবং টমি হিলফিগার, ইউনিক্লো, চিলড্রেনস প্লেস, কেলভিন ক্লেইন এবং ওয়ালমার্টের সরবরাহ চেইনের অংশ হয়ে উঠেছে। মরক্কোতে, যা ইউরোপ থেকে মাত্র একটি সংক্ষিপ্ত হাব, সংস্থাগুলো ইউরোপীয় বাজারে সরবরাহ করার জন্য জারার মতো ব্র্যান্ডের জন্য উৎপাদন করছে। এই ঐতিহাসিক সাপ্লাই চেইন রূপান্তরকে সমর্থন করার জন্য, আইএফসি ২০২৩ সালের জুনে একটি রোড শো স্পন্সর করেছিল যা আফ্রিকান নির্মাতাদের বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কায় আন্তঃআঞ্চলিক উৎপাদন অংশীদারিত্বের সুযোগগুলো সন্ধান করতে নিয়ে এসেছিল। এরই মধ্যে কিছু চুক্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আফ্রিকা আরও অনেক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত যা টেকসই, স্থিতিস্থাপক এবং লাভজনক অর্থনৈতিক বিকাশকে চালিত করতে পারে এবং সম্ভবত গ্লোবাল সাউথে টাইগার অর্থনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।   
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়