• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা
আগামী ৮ মে  প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।  প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬টিসহ মোট ১ হাজার ৮৯১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এরমধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় তাদের মধ্যে ৭ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১০ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান, পাবনার বেড়া উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান, নাটোরের সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরের নারী ভাইস চেয়ারম্যান, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার নারী ভাইস চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার তিনটি পদ, মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার তিনটি পদ, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার তিনটি পদ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলার তিনটি পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ মার্চ প্রথম ধাপের ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে তফসিল ঘোষণা করে ইসি। তবে পরে দুটি উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ এপ্রিল, যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ দিন ২২ এপ্রিল। অন্যদিকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৩ এপ্রিল। আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১৫

উপজেলা নির্বাচন / বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন তারা
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে সারাদেশের ১৫০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) থেকে প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা। সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর, নোয়াখালীর হাতিয়া, মুন্সীগঞ্জ ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিনজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। সোমবার (২২ এপ্রিল) তিন পদে অন্য সব প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার (২২ এপ্রিল) প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দালিখ করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় কয়েকজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোটগ্রহণ হবে না। তিনজনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। এদিকে এদিকে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিন প্রার্থীর জয়কে ‘সাজানো নাটক’ বলছেন স্থানীয় ভোটাররা। সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন প্রতিদ্বন্দ্বী ৩ প্রার্থীর হঠাৎ সরে যাওয়ায় এবং ভোটদান থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আক্ষেপ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, পাতানো নির্বাচন থেকে ঘরের তিন প্রার্থী সরে দাঁড়ানোয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে না শিবচরে। এমন পাতানো নির্বাচন থেকে প্রার্থীদের সরে আসতে হবে। এতে জনগণের সঙ্গে প্রার্থীর সম্পর্ক ও জবাবদিহিতার জায়গা নষ্ট হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তারা হলেন-স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। সোমবার (২২ এপ্রিল) আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়ে মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। ফলে তার পক্ষে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরেও যেতে হবে। তাই তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন সোমবার (২২ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী। ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন। এদিকে মুন্সীগঞ্জ সদরে মনোনয়ন দাখিলকারী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের তিন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আনিস উজ্জামান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান সোহেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হাসিনা গাজী ছাড়া আর কোনো প্রার্থী নেই। যদিও ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরও একজন করে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন কিন্তু তারা পরে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমেদ। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ছিলেন গতবারের উপজেলা চেয়ারম্যান আনিস উজ্জামান। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেও পরবর্তীতে একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অপর একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তারা নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। 
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫১

মতিঝিল আইডিয়ালের গভর্নিং বডির সদস্য নির্বাচিত মহি উদ্দিন
মহি উদ্দিন (মাহি)। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার হাইলজোর গ্রামে। পার্শ্ববর্তী হাইলজোর স্কুল ও কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ শেষ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাংলা বিভাগ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে ২০১০ সালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পড়ান বাংলা বিষয়ে। ইংরেজিতেও সমান দক্ষ তিনি। তার মেধা, দক্ষতা, আন্তরিকতা ও পরোপকারী কাজের মাধ্যমে অল্প সময়ে ছাত্র-শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন মহি উদ্দিন।   শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির ২০২৪ সেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে শিক্ষকদের ভোটে তিনি বিপুল ভোটে শিক্ষক প্রতিনিধি (স্কুল শাখা) নির্বাচিত হন। তার এই বিজয়ে স্কুল, পরিবার ও বন্ধু মহলে আনন্দের ধুম পড়েছে। সবাই তাকে মোবাইল ফোন ও মেসেঞ্জারে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিজয়ের পর রাতেই তিনি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এই বিজয় আইডিয়ালের শিক্ষক বৃন্দের।’ মহি উদ্দিন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, এই বিজয় আমি আমার শিক্ষক সহকর্মীদের উৎসর্গ করলাম, যারা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমি নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা বাস্তবায়নের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাব। এ জন্য চাই সবার আন্তরিক সহযোগিতা। মহি উদ্দিন দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন। মহি উদ্দিনের বাবা মোমতাজ উদ্দীন একজন কৃষক ও ধর্মপরায়ণ মানুষ। মা মমতাজ পারভীন গৃহিণী। চার ভাইবোনের মধ্যে মহি উদ্দিন সবার বড়।      নির্বাচনের অন্যান্যা ফলাফল দাতা সদস্য পদে কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর) পদে অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন ও মো. শাখাওয়াৎ হোসেন; সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে শিব্বির আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী, সাধারণ অভিভাবক সদস্য (প্রাথমিক স্তর) পদে মো. শাহাদাৎ ঢালী, সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে নির্বাচন করছেন ফাহমিদা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষক সদস্য (কলেজ শাখা) পদে মোহাম্মদ ফেরদাউস এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন উম্মে ফাতিমা। জানা গেছে, চূড়ান্ত বৈধ প্রার্থী তালিকায় ৩৩ জন অভিভাবক, শিক্ষক ও দাতা সদস্য প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সাধারণ অভিভাবক সদস্য (মাধ্যমিক স্তর) পদে সর্বোচ্চ ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া, দাতা সদস্য পদে দুইজন, অভিভাবক সদস্য পদে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৩ জন, প্রাথমিক স্তরে ৭ জন ও সংরক্ষিত মহিলা অভিভাবক সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ প্রার্থী। কলেজ শাখার সাধারণ শিক্ষক সদস্য পদে দুইজন, স্কুল শাখার ৫ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা শিক্ষক সদস্য হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২ জন শিক্ষক।  
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১০

উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে নির্বাচিত করেছে : মোরশেদ আলম
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম এমপি বলেছেন, উন্নয়ন করেছি বলেই সেনবাগবাসী আমাকে তৃতীয়বারের মতো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের হাজী আলী আকবর সড়ক উদ্বোধন শেষে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন মোরশেদ আলম এমপি বলেন, যে ব্যক্তি জীবনে কোন দিন শেখ হাসিনার বাড়ির গেইটে যেতে পারে সে কীভাবে নৌকা পাওয়ার প্রত্যাশা করে। এটা একটি ধোঁকাবাজী আর মিথ্যা বুলি ছাড়া কিছুই নয়। ৫ থেকে ৬ জন  বিপথগামী লোক সেনবাগবাসীকে অনেক ধোঁকা দিয়েছে কিন্তু এবার তারা সফল হতে পারেনি। তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সেনবাগের শিক্ষিত, ভদ্র, প্রকৃত আওয়ামী লীগের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে ফের নির্বাচিত করায় সকলকে ধন্যবাদ জানায়। তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সেনবাগবাসী আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি সেনবাগের এমপি হয়ে সেনবাগের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পাল্টে দিয়েছি, আওয়ামী লীগের দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলেছি, দল এখন চাঙ্গা।   পথসভায় অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ আলী হায়দারের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি  হিসেবে সেনবাগ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কবির, সেনবাগ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম জাকারিয়া আল মামুন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন কমিশনারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিতি ছিলেন।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৪

ডিইউজে দ্বিবার্ষিক নির্বাচন / যৌথভাবে সভাপতি নির্বাচিত তপু-সোহেল
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ সোমবার (১১ মার্চ)। এতে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি পদে যৌথভাবে বিজয়ী হয়েছেন সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম খান তপু। আর সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। যৌথভাবে নির্বাচিত হওয়ায় লটারি হয়েছে তপু ও সোহেলের মধ্যে। এতে নির্ধারিত হয়েছে, প্রথম এক বছর ডিইউজের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাজ্জাদ আলম খান তপু ও দ্বিতীয় বছর এই দায়িত্ব পালন করবেন সোহেল হায়দার চৌধুরী। দুই প্রার্থীর উপস্থিতিতেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাজ্জাদ আলম খান তপু দুজনই ৮১২ ভোট পেয়েছেন। তাদের সঙ্গে এ পদে আরও লড়েছিলেন আবদুল মজিদ, যিনি পেয়েছেন ১৭৭ ভোট। এছাড়া ৬৩৭ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে আক্তার হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এ জিহাদুর রহমান জিহাদ পেয়েছেন ৫৯২ ভোট। এ পদে আরও লড়েছেন উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও খায়রুল আলম। যথাক্রমে ২৬৫ ও ৩১৩ ভোট পেয়েছেন তারা দুজন। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ইউএনবির সম্পাদক ফরিদ হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৭৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নজরুল ইসলাম মিঠু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসলাম সানী পেয়েছেন ৫৮৬ ভোট। তাদের সঙ্গে এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরও ছিলেন আশরাফুল ইসলাম ও হামিদ মোহাম্মদ জসিম। ৫২৩ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম খলিল খোকন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাঁধন কুমার সরকার পেয়েছেন ৪৮৪ ভোট। তাদের সঙ্গে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মো. রেজাউর রহিম, রফিকুল ইসলাম সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর। যুগ্ম সম্পাদক পদে ৫১৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. শাহজাহান মিঞা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান পেয়েছেন ৫১২ ভোট। এ পদে প্রার্থী হিসেবে আরও দাঁড়িয়েছিলেন এস এম সাইফ আলী, জাকির হোসেন ইমন, ফজলুল হক বাবু ও ফরিদ উদ্দিন সিদ্দিকী।  সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৯৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন গোলাম মুজতবা ধ্রুব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজু হামিদ পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। এ পদে প্রার্থী হিসেবে আরও ছিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।  এছাড়া দপ্তর সম্পাদক পদে জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ পদে সোহেলী চৌধুরী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুহাম্মদ মামুন শেখ, আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে আসাদুর রহমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে সুমি খান, কল্যাণ সম্পাদক পদে শাহজাহান স্বপন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে দুলাল খান বিজয়ী হয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে বিরতিহীনভাবে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। রাত সোয়া ৯টায় ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়।  
১১ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৬

চাঁদপুরে উপনির্বাচনে মফিজুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১ নম্বর রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ উপনির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতীকে ৩ হাজার ১৬৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো. মফিজুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৭ ভোট। শনিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসার ফারুক হোসাইন। এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে একটানা ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে পুরুষের চাইতে নারী ভোটার সংখ্যা ছিল বেশি। ১১ জন প্রার্থী নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৪২৪ জন। বিগত নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হলেও এবার নির্বাচন হয় ব্যালটে। এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাদির মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।  
১০ মার্চ ২০২৪, ০৯:১৩

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মসিক কাউন্সিলর হলেন ফরহাদ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) নির্বাচনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।         তিনি বলেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলমসহ দুইজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে ফরহাদ আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসবাল হোসেনের প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা হয়। পরে ওই প্রার্থী আর আপীল আবেদন করেনি। ফলে আজ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১১ নম্বর ওয়ার্ডে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ আলম।    এ বিষয়ে ফরহাদ আলম বলেন, এনিয়ে আমি টানা তিনবার কমিশনার ও কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। বিগত দুইবার ভোটে হলেও এবার বিনাপ্রতিন্দ্বন্দ্বীতায় হয়েছি। তবে ভোট হলে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় এবার নিজেকে যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছি না। তবে এলাকাবাসীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার পাশে থাকার জন্য। আগামীতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কাজ করতে চাই।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:৪৮

মাশরাফীকে হুইপ নির্বাচিত করায় নড়াইলে মিষ্টি বিতরণ
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা দ্বাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত করায় লোহাগড়ায় আনন্দ র‌্যালি ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে লোহাগড়া জামরুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কাযার্লয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন পরে আনন্দ র‌্যালি করা হয়। এ সময় আনন্দ র‌্যালিটি লোহাগড়া উপজেলা শহরের জামরুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সৈয়দ মসিয়ূর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি ফয়জুল হক রোম, সহসভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.মতিয়ার রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মো. আশরাফুল আলম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম উজ্জ্বল, লোহাগড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোমান রায়হান প্রমুখ।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০১

যেভাবে নির্বাচিত হন বিসিবি সভাপতি
স্বাধীনতার পর থেকে অ্যাডহক ভিত্তিতেই চলতো বাংলাদেশ ক্রীড়া ফেডারেশন। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে এই নিয়মে পরিবর্তন এসেছে। সে সময়ে ক্ষমতায় এসে এই প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনে আওয়ামী লীগ সরকার। ক্রীড়াঙ্গনের ফেডারেশনগুলোতে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয় ক্ষমতাসীনরা। এরপর ১৯৯৮ সাল থেকে ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোতে নির্বাচন হয়ে আসছে। শুরুর দিকে অন্য সব ফেডারেশনের মতো ফুটবল, ক্রিকেটে ক্ষমতাসীন দল থেকে সভাপতি মনোনীত করা হতো। বাকি সব পদে নির্বাচন হতো। এরপর বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থা-ফিফার বাধ্যবাধকতার কারণে ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও (বাফুফে) নির্বাচন হয়ে আসছে। অন্যদিকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্রিকেটেও সরকার মনোনীত সভাপতি ছিল। ২০১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। পরের বছর নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। ২০১৩ সালের পর ২০১৭ এবং ২০২১ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে নির্বাচিত হয়ে এই দায়িত্বে আছেন তিনি। সরাসরি ভোটে ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়, যেখানে সব কাউন্সিলর ওই পদের বিপরীতে ভোট প্রদান করেন। তবে ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি নির্বাচনের পদ্ধতি ভিন্ন। এই পদে নির্বাচন করতে অন্য বোর্ড পরিচালকদের মতো আগে পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসতে হয়। এরপর একজন পরিচালকের প্রস্তাবনা এবং অন্য আরেকজন পরিচালকের সমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয় সভাপতি। ২০১৩, ১৭ এবং ২১ তিন মেয়াদেই এই প্রক্রিয়ায় বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পাপন। একাধিক কোনো নাম না আসায় এই পদে কোনো ভোটগ্রহণ হয়নি। বর্তমানে বিসিবির মোট পরিচালক কোটা ২৫। ক্লাব, জেলা-বিভাগ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এবং সাবেক খেলোয়াড়, সার্ভিসেস, বিশ্ববিদ্যালয় কোটা থেকে নির্বাচিত পরিচালক  তারা। প্রিমিয়ার, প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ ক্লাব থেকে কাউন্সিলরশিপ পেয়েছেন তারা। তাদের মধ্য থেকে ১২ জন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন। মূলত ক্লাব সংশ্লিষ্ট সংগঠক/পৃষ্ঠপোষক/সাবেক ক্রীড়াবিদরা এই ক্যাটাগরিতে কাউন্সিলর এবং পরবর্তীতে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিন ক্যাটাগরিতে হয় বিসিবি নির্বাচন। জেলা-বিভাগ ক্যাটাগরি : বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার মনোনীত কাউন্সিলর ক্লাব ক্যাটাগরি : ঢাকার প্রিমিয়ার, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ মনোনীত  ‘সি’ ক্যাটাগরি : জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও সব সার্ভিসেস, সব বিশ্ববিদ্যালয়, সব শিক্ষাবোর্ড, বিকেএসপি ও কোয়াব মনোনীত দেশের সাতটি বিভাগে আলাদা পরিচালক নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে দুটি করে এবং বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী ও সিলেটে একটি করে পরিচালক পদ আছে। শুধু ওই বিভাগের ভোটাররাই স্ব স্ব বিভাগের পরিচালক প্রার্থীদের ভোট দেন। অন্যদিকে প্রতিটি বিভাগে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মনোনীত কাউন্সিলররা ভোট দিয়ে তাদের অন্তর্গত পরিচালক নির্বাচন করেন। আর ক্যাটাগরি তিনে মাত্র একটি পরিচালক পদ। এই পদে সাবেক খেলোয়াড় ও সব সার্ভিসেস, সব বিশ্ববিদ্যালয়, সব শিক্ষাবোর্ড, বিকেএসপি থেকে একজন পরিচালক হতে পারেন। এই তিন ক্যাটাগরির বাইরে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) কোটার পরিচালকও আছে। তবে এই কোটায় কোনো নির্বাচন হয় না। তারা সরাসরি নির্বাচিত হন। এই কোটার সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা হলো- ক্লাব, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে যে কাউকে মনোনীত করতে পারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৩ সালে এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন পাপন। এরপর অন্য পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। তবে গত দুই নির্বাচনে ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন পাপন। আর একই প্রক্রিয়া বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। উল্লেখ্য, বিসিবির কাউন্সিলর ও পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিসিবি ছাড়া সর্বোচ্চ অন্য আরেকটি ফেডারেশনের কাউন্সিলর হওয়া যাবে। তিনটি ফেডারেশনের কাউন্সিলরশিপ থাকলে, তিনি বিসিবির কাউন্সিলর হতে পারবেন না। অন্যদিকে বিসিবির কোনো পরিচালক অন্য কোনো ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে থাকতে পারবেন না। শুধু কাউন্সিলর হতে পারবেন। একনজরে বর্তমান পরিচালক... জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ : জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থা ক্যাটাগরি : খালেদ মাহমুদ সুজন। ক্লাব ক্যাটাগরি : নাজমুল হাসান পাপন, মাহবুব আনাম, এনায়েত হোসেন সিরাজ, মঞ্জুর কাদের, মনজুরুল আলম, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, গাজী গোলাম মর্তুজা, নজীব আহমেদ, ওবেদ রশিদ নিজাম, সালাহউদ্দিন চৌধুরি, ইফতেখার রহমান মিঠু ও ফাহিম সিনহা। জেলা-বিভাগ ক্যাটাগরি : নাইমুর রহমান দুর্জয়, তানভীর আহমেদ টিটো, কাজী ইনাম, শেখ সোহেল, আকরাম খান, আ জ ম নাসির, অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, সাইফুল আলম স্বপন, আলমগীর খান আলো ও শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল।
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৫২

আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একত্রে থাকব : এ কে আজাদ
স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে আজাদ বলেছেন, আমাদের মাঝে প্রাথমিক একটা আলোচনা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবাই একত্রে থাকব। তবে কংক্রিট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের আগে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ কে আজাদ বলেন, যেহেতু আমরা অধিকাংশই এসেছি আওয়ামী লীগ থেকে সেক্ষেত্রে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর।  এসময় তিনি বলেন, তার নির্বাচনী এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। কর্মসংস্থান তৈরিতেও তিনি কাজ করতে চান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পর সবচেয়ে বেশি বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারপর রয়েছে জাতীয় পার্টি। ফলে সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা নিয়ে এখনো নানা আলোচনা চলছে। আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের শপথকক্ষে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান একাদশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এরপর বেলা ১১টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। গতকাল মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করে। সংবিধানের বিধান অনুযায়ী গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করতে হবে। শপথ গ্রহণের পরই তিনি কার্যভার গ্রহণ করেছেন বলে গণ্য হবেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি রোববার সারাদেশে একযোগে ২৯৯ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৮ আসনের ফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোর মধ্যে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৫ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা লাভ করেছে। জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬১টি আসন, এ ছাড়া অন্যান্য দল থেকে পেয়েছে ১টি আসন।
১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়