• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি / ১১ নাবিক জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ ১
নোয়াখালীর হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ১১ নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জাহাজের মাস্টার এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া নাবিকদের উদ্ধৃতি দিয়ে কোস্টগার্ড জানায়, প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে জাহাজটির তলা ফেটে ডুবে যায়। প্রথমে লাইফ জ্যাকেট পরে মাস্টার সবার আগে নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে স্রোতের টানে মাস্টার অনেক দূরে চলে যাওয়ায় তাকে আর পাওয়া যায়নি। অন্য ১১ নাবিকরা সবাই জাহাজের ওপরের অংশ ধরে রেখে ভাসতে থাকে। এদিকে জাহাজের সঙ্গে ভাসতে থাকা ১১ নাবিককে একটি মাছধরার ট্রলার উদ্ধার করে চট্রগ্রাম যাওয়ার পথে অন্য একটি জাহাজে তুলে দেয়।  এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। ৯৯৯ থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলেদের সঙ্গে কথা বলে উদ্ধার হওয়া নাবিকদের বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে ঘাটে ফিরে আসে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।  এদিকে নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এসেছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়া নাবিকদের স্বজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখন নিরাপদে রয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি নৌ পুলিশের ওই কর্মকর্তা।  জীবিত উদ্ধার হওয়া জাহাজের ইঞ্জিন চালক মো. আলী হোসেনের ভাই মো. ওহিদুল ইসলাম বলেন, একটি মাছধরার ট্রলার আমার ভাইসহ ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করে একটি জাহাজে উঠিয়ে দিয়েছে। ১১ জনের সবাই এখন নিরাপদ আছেন। তবে নিখোঁজ জাহাজের মাস্টারের বিষয়ে তার ভাই কিছু বলতে পারেননি। পানিতে পড়ে মোবাইল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অন্য একজনের মোবাইল থেকে সে বাড়িতে কথা বলে এসব তথ্য দিয়েছে। জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে মালমাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক ছিলেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৩

বঙ্গোপসাগরে কার্গো জাহাজডুবি, সাগরে ভাসছে ১২ নাবিক
নোয়াখালী হাতিয়ার পূর্ব পাশে বঙ্গোপসাগরে এমভি মৌমনি নামে একটি কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে হাতিয়ার ইসলাম চরের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাহাজের ১২ নাবিক সবাই নদীতে ভাসছে বলে জানা যায়। এদিকে দুর্ঘটনার পরপরই নাবিকরা জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিয়ে সহযোগিতা চায়। পরে ৯৯৯-থেকে হাতিয়া নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে সহযোগিতার জন্য বলা হয়। এদিকে দুপুর ২টার দিকে হাতিয়া কোস্টগার্ড ও নলচিরা নৌ-পুলিশের দুটি টিম উদ্ধার করার জন্য হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে রওনা হয়।  নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মেহেদী জামান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সাগর মোহনায়। আমরা একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে যাচ্ছি। নদী খুবই উত্তাল রয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে আমাদের সময় লাগবে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাবিকরা সবাই ডুবে যাওয়া জাহাজের ওপরের অংশ ধরে ভাসছে। এদিকে নৌ-পুলিশের পরপরই হাতিয়া কোস্টগার্ডের একটি টিম ঘাটের একটি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওয়ানা হয়েছে। কোস্টগার্ড জানায়, ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে তাদের ১-২ ঘণ্টা সময় লাগবে। এ ব্যাপারে জাহাজের মালিক পক্ষের একজন মোহাম্মদ ওহায়েদুল ইসলাম মোবাইলে জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ডুবে যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। জাহাজে থাকা লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা বলা গেলেও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখন যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।  তিনি আরও জানান, জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে মালামাল নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। জাহাজে ১২ জন নাবিক রয়েছে।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৪৫

যেভাবে দেশে ফিরবেন ২৩ নাবিক
সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে সম্প্রতি মুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তাদের মধ্যে দুজন বিমানযোগে বাংলাদেশে ফেরার ইচ্ছা পোষণ করলেও পরে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। এর ফলে ২৩ নাবিকই এমভি আব্দুল্লাহর সঙ্গে দেশে ফিরবেন। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, জাহাজ থেকে কয়লা খালাস চলছে। সংশ্লিষ্টরা এসে কয়লা যাচাই-বাছাই করে দেখেছেন। সব ঠিকঠাক আছে। আর জাহাজের দুই নাবিক আগে বিমানযোগে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেও তারা এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। এখন ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। বর্তমানে নাবিকরা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভিড়েছে। ফলে সোমালিয়ার উপকূল থেকে মুক্ত হওয়ার ৯ দিনের মাথায় তীরের দেখা পান জাহাজটির ২৩ নাবিক। গত ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে ৩১ দিনের জিম্মিদশার পর ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ মুক্ত হয়। এরপরই জাহাজটি এক হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এই পথ পাড়ি দিয়ে নয় দিনের মাথায় জাহাজটি আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দর জেটিতে ভিড়ে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। এরপর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুঁকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:১৬

জাহাজেই ফিরছেন এমভি আবদুল্লাহর সব নাবিক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের অপহরণের শিকার বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের সবাই জাহাজে করেই দেশে ফিরছেন। গত ১৩ এপ্রিল জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দুজন নাবিক বিমানে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও দুবাইয়ের আল-হামরিয়া নৌ-বন্দরে নোঙর করার পর সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম জানিয়েছেন, ২৩ নাবিকের মধ্যে দুইজনের বিমানে দেশে আসার কথা থাকলেও এখন সবাই জাহাজে করে বাংলাদেশ আসছেন।  জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে সোমবার রাত ১০টায়। মোজাম্বিক থেকে আনা ৫০০ টন কয়লা খালাস শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। কয়লাগুলো খালাস হতে আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত দিন সময় লাগতে পারে। এরপর নতুন করে কার্গো ভর্তি করার পর দেশে ফেরার প্রস্তুতি নেওয়া হবে। এর আগে, রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল। কিন্তু বন্দরে জায়গা না থাকায় জাহাজটির বন্দরে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়। সোমবার রাতে জাহাজ বন্দরে ভেড়ার পর নাবিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফর ও জাহাজ কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা। কেএসআরএম গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে নাবিকরা চাইলেও বন্দরের বাইরে আসতে পারবেন না। কারণ, আরব আমিরাতে প্রবেশের জন্য এখনও তাদের ভিসা হয়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের ভিসার জন্য আবেদন করা হবে। এদিকে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেশটির আজমান প্রদেশে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহরিয়ার জাহান। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক। মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।  
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৬

এমভি আবদুল্লাহ / মুক্ত দুই নাবিক ফিরবেন বিমানে, বাকিরা জাহাজে  
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে ৩২ দিনের জিম্মি জীবন কাটানো শেষে মুক্ত ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে নিয়ে দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানকার আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন তারা। তবে সহসাই জলদস্যুদের ডেরা থেকে ফেরা নাবিকদের কাছে পাচ্ছেন না উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে পুরো রমজান মাস ও ঈদ কাটানো স্বজনরা।  কারণ, কেবল দুজন নাবিক দেশে ফিরছেন বিমানযোগে। বাকি ২১ জন নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহতেই। অবশ্য নাবিকদের নিজ নিজ ইচ্ছাতেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাহাজের মালিকপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (১৭ এপ্রিল) এ বিষয়ে কেএসআরমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহেরুল করিম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ আগামী ২২ এপ্রিল সকালে আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে দুজন নেমে গিয়ে বিমানযোগে দেশে ফিরবেন। বাকিরা জাহাজে করেই দেশে ফিরবেন।  প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ আল হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল এসআর শিপিংয়ের জাহাজটির। কিন্তু পথিমধ্যে ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। ২৩ নাবিককে জিম্মি করে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যায় তারা। এরপর পুরো রমজান মাস ও ঈদ জিম্মি অবস্থাতেই কাটে নাবিকদের। চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ঘিরে থাকে তাদের স্বজনদের। অবশেষে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। জাহাজটির মালিকপক্ষের দাবি, ২৩ নাবিক ও জাহাজটিকে মুক্ত করতে দস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝিয়ে দিয়েছেন তারা। ওইদিন বিকেলে একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুঁড়ে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে ব্যাগ তিনটি কুড়িয়ে নেন দস্যুরা।    দস্যুমুক্ত হয়ে শনিবার রাতেই সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর নিরাপদ জলসীমায় আনা পর্যন্ত জাহাজটিকে নিরাপত্তা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। একইসঙ্গে কাঁটাতারের নিরাপত্তা বেষ্টনী লাগানো হয় জাহাজের চারদিকে। প্রস্তুত করে রাখা হয় জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল। এর আগে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই মালিকপক্ষের আরেক জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্নভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০২

৩১ দিন পর মুক্ত জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক 
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পেলেন বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।  তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।  মিজানুল ইসলাম আরও জানান, মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিককে বিমানে চট্টগ্রামে নেওয়া হবে। চট্টগ্রামে পৌঁছানের পর কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে। আর উদ্ধার হওয়া জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ যাবে দুবাইয়ে। সেখানে ওই জাহাজে যোগ দেবেন নতুন নাবিকরা।  এর আগে ডলারভর্তি ৩টি ব্যাগ পাওয়ার পর শনিবার বিকেল ৪টায় ‘এমভি আবদুল্লাহ’ ত্যাগ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। তবে মুক্তিপণ হিসেবে জলদস্যুদেরকে কতো ডলার দেওয়া হয়েছে কিংবা তারা চেয়েছিল কতো, তার কিছুই এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে জানানো হয়নি জাহাজটির মালিকপক্ষ থেকে।  উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এর আগে, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়। 
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৭

ঈদের প্রস্তুতি অনেক আগেই নিয়েছিলেন জিম্মি ২৩ নাবিক
জাহাজের ডকে একসঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা। এসময় তারা নতুন পোষাকে ছিলেন। খাবারেও ছিল ঈদ আয়োজন। বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় নামাজ আদায়ের পর একসঙ্গে ছবিও তুলেছেন তারা। এক জিম্মি নাবিকের পরিবার জানিয়েছে, নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন এবং পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর তারা পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আনাম চৌধুরী বলেন, সব নাবিক জাহাজের ওপর ডেকে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। ঈদের নতুন পোশাক অর্থাৎ পায়জামা-পাঞ্জাবি ও টুপি পরেছেন তারা। নামাজ পড়ার পর জাহাজের ওপর একসঙ্গে ছবি তুলেছেন। এ রকম একটি ছবি আমার কাছে পাঠিয়েছেন। ছবিতে ২২ নাবিককে দেখা যাচ্ছে। আরেকজন ছবি তুলেছেন। তারা ২৩ জনই সুস্থ এবং ভালো আছেন। জানা গেছে, জিম্মি জাহাজটি এখন সোমালীয় জলসীমায় অবস্থান করছে। বুধবার সোমালিয়াসহ ওই অঞ্চলটিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এদিন নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে আসার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এক নাবিকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী বুধবার বিকাল ৫টার দিকে ফোন করেছিলেন। সকালে জাহাজের নাবিকরা দস্যুদের কাছে নামাজের সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে দস্যুরা ঈদের নামাজ পড়তে দেয়। তারা জাহাজের ডেকে নামাজ আদায় করেন এবং এ সময় ভারী অস্ত্রসহ জলদস্যুরা পাহারা দেয়। তবে তাদের দলীয় ছবি এবং কয়েকজন নাবিকের ভিক্টর প্রদর্শন দেখে নেটিজেনরা নেতিবাচক মন্তব্য করতে থাকে। এ বিষয়ে এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহাজটি আরব আমিরাতের আল হামরাহে যাচ্ছিল। ফিরতে দীর্ঘ সময় লাগবে ভেবে নাবিকরা ঈদের জামা-কাপড় জাহাজে উঠার সময় সঙ্গে নিয়ে গেছেন। কারণ সমুদ্রপথে নাবিকদের কোনও না কোনও দেশে ঈদ করতে হতো। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, তারা গত ২৭ মার্চ থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকতে দিচ্ছে, পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। সবশেষ বুধবার ঈদের দিন জাহাজের ডকে তাদের একসঙ্গে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ভালো খাবারের ব্যবস্থাও করে সৌমালি দস্যুরা। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ফিরিয়ে আনতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনায় অগ্রগতি আছে। আশা করছি যেকোনও দিন নাবিকরা বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরবেন।  এদিকে বুধবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগিরই তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে হাইজ্যাক করে সোমালীয় দস্যুরা। এরপর জলদস্যুরা জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো যোগাযোগ করে ২০ মার্চ। এর আগে ১৬ মার্চ রাত ৮টায় ওই জাহাজের এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের আলাপ হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জলদস্যুরা এখন নিয়মিত পরিবার ও মালিকপক্ষের সঙ্গে জিম্মি নাবিকদের আলাপ করতে দিচ্ছে। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ এমভি জাহান মণি ২৬ নাবিকসহ সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেবার প্রায় চার মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই এমভি জাহান মণির জিম্মি নাবিকদের মধ্যে ছিলেন মোহাম্মদ ইদ্রিসও। তিনি বলেন, তাদের ক্ষেত্রে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার পর হেলিকপ্টার থেকে দুটি পানিরোধী কার্টনে মুক্তিপণের অর্থ সাগরে ফেলা হয়েছিল। দস্যুরা নৌযান নিয়ে গিয়ে প্যাকেট দুটি জাহাজে তুলে আনে। দাবিকৃত অর্থ বুঝে পেয়ে পরদিনই ভোরে জাহাজটি থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজ আবার চলতে শুরু করে দেশের পথে।
১১ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৬

দস্যুদের নতুন কৌশলের কথা জানালেন নাবিক
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি বাংলাদেশি নাবিকদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। মুক্তির বিষয়টি সুনির্দিষ্ট না হলেও নাবিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে পরিবার ও মালিকপক্ষের। একইসঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে দস্যুদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে। আর এই যোগাযোগ বা ভাষা জটিলতা সমাধানে নতুন কৌশল অবলম্বন করেছে দস্যুরা।  জাহাজে জিম্মি ওয়েলার মোহাম্মদ শামসুদ্দিন তার পরিবারের কাছে ফোন করে সেই কৌশলের কথা জানিয়েছেন। শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম বলেন, রোববার রাতে আমার শ্যালক ফোন করে জানিয়েছে তারা সুস্থ আছেন। তবে, কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। এদিকে, এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে। এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:২১

১৫ দিনেও মুক্তি মেলেনি জিম্মি নাবিকদের
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভাব হয়নি। গত ১২ মার্চ জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর বিভিন্নভাবে চেষ্টা ও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে সমাধান আসেনি। যদিও জাহাজের মালিকপক্ষ বলছে, ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এমভি আবদুল্লাহর মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে বিভিন্নভাবে জোর চেষ্টা চলছে।  এদিকে, জিম্মি শামসুদ্দিনের ভগ্নিপতি বদরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছে বলে আমার শ্যালক জানিয়েছেন। তবে গত কিছুদিন ধরে জাহাজে এক ইংরেজি জানা লোক যুক্ত হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তার মাধ্যমে দস্যুরা জাহাজ মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এর আগে, গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে জাহাজটি। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’ জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। পরে ওই জাহাজের ২৫ নাবিক ও প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করে দস্যুরা। পরে নানাভাবে দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতা করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ তাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়।  
২৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩৪

৮ দিনেও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি
কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিকের মুক্তির বিষয়ে এখনও দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। গত ১৬ মার্চের পর নাবিকরাও আর যোগাযোগ করেনি। এ অবস্থায় নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে। জিম্মি হওয়া জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম’র মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে এক নাবিকের সঙ্গে আমাদের সবশেষ মোবাইলে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন সব নাবিক সুস্থ আছেন। তবে তাদের যে খাবার মজুত আছে তা দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। কেননা, নাবিকদের সঙ্গে খাবার খাচ্ছে দস্যুরাও। তিনি বলেন, নাবিকদের সুস্থভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে মধ্যস্থতার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তবে এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে, জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এরইমধ্যে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সোমালিয়ার পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে, জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, জাহাজটিতে উদ্ধার অভিযানের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। জাহাজ উদ্ধারের চেয়ে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনেই এখন প্রধান লক্ষ্য। তার ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। এর আগে, গত ১৪ মার্চ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনী। তবে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি সরকার ও মালিকপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের দিকে সব থেকে বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। দশ বছর চুপচাপ থাকার পর গত নভেম্বর থেকে ফের সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। তাদের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে শত শত মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নিয়েছে দস্যুরা।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:২৩
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়