• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হঠাৎ নেহার চোখে জল, কারণ কী
প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় বিশ্ব মা দিবস। সে হিসেবে এ বছর দিনটি পালন করা হবে ১২ মে। এ উপলক্ষে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি টিভি চ্যানেলগুলোর রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। তারই অংশ হিসেবে এদিন ভারতের সনি টিভিতে প্রচারিত হবে সুপারস্টার সিঙ্গার-৩ শো এর বিশেষ পর্ব।  এ পর্বে ছোট্ট আবির্ভাবকে ‘তারে জমিন পর’ সিনেমার বিখ্যাত গান ‘মা’ গাইতে দেখা যাবে । গানটি সে খুব আবেগ দিয়ে গেয়েছে। যা দেখে শুটিংয়ে রীতিমত কেঁদে ফেলেছেন বিচারক নেহা কক্কর। বাদ যাননি সঞ্চালক থেকে শুরু করে উপস্থিত অন্যরাও। View this post on Instagram A post shared by Sony Entertainment Television (@sonytvofficial)   গানটি গাওয়ার পর ছোট্ট আবির্ভাব তার মায়ের উদ্দেশ্যে বলে, মা জলদি তুমি এখানে চলে এসো। আমি তোমায় মিস করি। এরপরই তার মা মঞ্চে এসে তাকে জড়িয়ে ধরে। পর্বটি রোববার সম্প্রচারিত হবে।
৫ ঘণ্টা আগে

আজ বিশ্ব গাধা দিবস
আজ ৮ মে বিশ্ব গাধা দিবস। ‘গাধা’ শব্দটি হরহামেশাই ব্যবহার হয় মানুষের ক্ষেত্রে। একটু ভুল করলে বা না বুঝলে মানুষ সাধারণত তাকে গাধার সঙ্গে তুলনা করে। আবার কেউ বেশি পরিশ্রম করলে তাদের কাজকে অনেকেই গাধার খাটুনির সঙ্গে তুলনা করে। এক কথায়, বোঝা টানা এ প্রাণীটিকে বোকাসোকা হিসেবেই মনে করে মানুষ। এ থেকেই বোঝা যায় গাধা কতটা পরিশ্রম করে। এ ছাড়া গাধা ওষুধশিল্পের গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল উৎপাদকও। মূলত প্রাণীটির প্রতি সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরির উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা করা হয়। গাধা দিবস উপলক্ষে ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন বিং ডট কম বিশেষ ডুডল প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রাণিবিজ্ঞানী আর্ক রাজিক ২০১৮ সালে বিশ্ব গাধা দিবসের প্রচলন করেছিলেন। তিনি মূলত মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এ জন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন। গাধার দুটি প্রজাতি। উভয়ই আফ্রিকান বন্য গাধার উপপ্রজাতি এবং এগুলো হলো- সোমালি বন্য গাধা ও নুবিয়ান বন্য গাধা। ইতিহাস বলছে, ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে মানব সেবার কাজ করছে গাধা। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গাধা রয়েছে চীনে। দেশটিতে গাধার চামড়ার নিচে থাকা এক ধরনের বিশেষ আঠা থেকে ওষুধ তৈরি করা হয়। এ ওষুধ অ্যাজমা থেকে ইনসোমনিয়ার মতো নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ওষুধশিল্পে গাঁধার ব্যবহারের ফলে দেশটিতে ক্রমেই কমছে প্রাণীটির সংখ্যা।
০৮ মে ২০২৪, ১৮:২৩

বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস পালিত
বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। যুদ্ধহীন মানবিক পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় বিশ্বব্যাপী রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি ও মানবসেবামূলক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয় ‘বাঁচিয়ে রাখি মানবতা’। ১৮২৮ সালের ৮ মে রেড ক্রসের প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনান্ট সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। মহান এই ব্যক্তিকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করতে প্রতিবছর তাঁর জন্মদিনটিকে বিশ্ব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে উদযাপন করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় বিশ্বের ১৯১টি দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে পালিত হয় দিবসটি।   বুধবার সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তরে জাতীয় পতাকা ও রেড ক্রিসেন্ট পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। দিবস উপলক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “প্রতিটি দুর্যোগে আমাদের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা আর্তমানবতার সেবায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যা সোসাইটিকে আরো গতিশীল করছে। মানবতাকে বাঁচিয়ে রাখতে জীন হেনরি ডুনান্টের প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।” এসময় সোসাইটির সম্মানিত ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান চৌধুরী হেলাল, বোর্ড সদস্য মুন্সী কামরুজ্জামান কাজল, এ্যাড. সোহানা তাহমিনা, রাজিয়া সুলতানা লুনা, মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, উপ-মহাসচিব সুলতান আহমেদ, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ সোসাইটির সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, যুব স্বেচ্ছাসেবকরা, আইএফআরসি, আইসিআরসি এবং পার্টনার ন্যাশনাল সোসাইটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ এই দিবস উপলক্ষে  শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সোসাইটির জাতীয় সদর দপ্তর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়। সোসাইটির যুব স্বেচ্ছাসেবক ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এতে অংশ নেয়। দিবস উপলক্ষ্যে সোসাইটির রক্তকেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ফুল ও খাবার বিতরণ করা হয় রাজধানীর হলি ফ্যমিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালের রোগীদের মাঝে। জাতীয় সদর দপ্তরের পাশাপাশি সারাদেশে রেড ক্রিসেন্টের ৬৮টি ইউনিট তাদের নিজ নিজ আয়োজনে উদযাপন করেছে দিবসটি।  উল্লেখ্য, ১৯৭৩ সালের ৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি আদেশ (পিও-২৬) জারি করেন। এই আদেশের বলে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটি স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর, ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তেহরানে রেড ক্রসের ২২তম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটি আন্তর্জাতিকভাবে পূর্ণ স্বীকৃতি লাভ করে। ১৯৮৮ সালে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।   
০৮ মে ২০২৪, ১৫:৩৮

মে দিবসের কর্মসূচিতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
মে দিবসের কর্মসূচিতে গিয়ে তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে সাজু মিয়া (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ মে) দুপুর দেড়টার দিকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোটবোনের পাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। তিনি বাসচালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করতেন। গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোম্যাক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য ছিলেন। বেতকাপা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় মে দিবস উপলক্ষে সংগঠন আয়োজিত র‌্যালিতে অংশ নেয় সাজু। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ টাউন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বের হয়ে পরিষদের গেটের সামনে এসে তিনি হিট স্ট্রোক করেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
০২ মে ২০২৪, ০৮:৫০

মহান মে দিবসে মেহনতি মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১ মে) ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার গৌরবোজ্জ্বল ত্যাগের ঐতিহাসিক দিন ‘মহান মে দিবস’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মেহনতি মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। বাণীতে ১৮৮৬ সালের পহেলা মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আত্মাহুতি দেওয়া বীর শ্রমিকদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি ১৯৭২ সালে জাতীয় শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন এবং প্রথম মহান মে দিবসকে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের স্বীকৃতি দেন। জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করেন।   শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭২ সালে মহান মে দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে তিনি শ্রমিকদের মজুরির হার বৃদ্ধি এবং যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের এডহক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেন। জাতির পিতার উদ্যোগে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালের ২২ জুন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এরপর বলেন, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে নিরাপদ কর্মপরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রম আইন যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করে ‘বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। এ তহবিল থেকে যে কোনো শ্রমিক কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাজনিত কারণে স্থায়ীভাবে অক্ষম হলে অথবা মৃত্যুবরণ করলে, জরুরি চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ ও দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসার জন্য এবং শ্রমিকদের সন্তানের উচ্চ শিক্ষার জন্যও আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।   তিনি বলেন, আমরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের সার্বিক কল্যাণে আর্থিক সহায়তা দিতে একটি কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করেছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি। এ শিল্পের কর্মহীন এবং দুস্থ শ্রমিকদের সর্বোচ্চ তিন মাসের নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়ে চলমান সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে। সব সেক্টরে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিকদের সামাজিক মর্যাদা, স্বাস্থ্য ও সেইফটি নিশ্চিতকল্পে জাতীয় শ্রমনীতি-২০১২, জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি-২০১০, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা-২০১৩, বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এবং কার্যক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। শিল্প-কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরকে অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়েছে। শ্রমিক ও তাদের পরিবারের কল্যাণে বিভিন্ন সেবার সম্প্রসারণ ও জোরদারকরণে আমরা শ্রম পরিদপ্তরকে সম্প্রতি অধিদপ্তরে রূপান্তর করেছি। শ্রমিক ভাই-বোনদের যে কোনো সমস্যা সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ, অভিযোগ নিষ্পত্তি ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক টোল ফ্রি হেল্প লাইন (১৬৩৫৭) চালু করা হয়েছে। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি, মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক-মালিক পরস্পর সুসম্পর্ক বজায় রেখে জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হবেন। মে দিবসের চেতনায় দেশের শ্রমিক-মালিক ঐক্য জোরদার করে শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণ ও দেশের সার্বিক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তথা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, এটাই হোক আমাদের মে দিবসের অঙ্গীকার।
০১ মে ২০২৪, ১১:০২

পহেলা মে যেভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হলো
বিশ্বের অনেক দেশেই ‘মে ডে’ পরিচিত প্রাচীন এক বসন্তের উৎসব হিসেবে। কিন্তু বর্তমানে এটা বেশি পরিচিত শ্রম দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে। বিশ্বজুড়ে শ্রমিকদের ঐতিহাসিক সংগ্রাম ও অর্জনের কথা মনে করিয়ে দিতেই দিনটি পালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছর কাজের পরিবেশ আরও ভালো করা এবং ট্রেড ইউনিয়নকে আরও শক্তিশালী করার দাবিতে বিশ্বজুড়ে এদিন নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি হতে দেখা যায়। শুরুর দিকে এই দিবসটি বিভিন্ন সামাজিক ও সমাজতান্ত্রিক সংস্থা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো পালন করতো। যদিও এই দিবসের পেছনের আসল প্রতিবাদটি হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে, কিন্তু সেখানে এটি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার পালন করা হয়ে থাকে। কীভাবে এর শুরু? ১৮৮৬ সালে ব্রিটিশ সমাজ সংস্কারক রবার্ট ওয়েনের এক চিন্তা থেকে, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রেড ইউনিয়নগুলো দিনে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে এক বিরাট প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে। রবার্ট ওয়েন ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি পূরণে স্লোগান ঠিক করেন, ‘আট ঘণ্টা কাজ, আট ঘণ্টা বিনোদন এবং আট ঘণ্টা বিশ্রাম’। সবচেয়ে বড় আন্দোলনটা হয় পহেলা মে শিকাগোতে, যেখানে প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক সমবেত হন। সে সময় কারখানায় কোন নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা বা বিশ্রাম ছাড়াই টানা কাজ করে যাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। আর সেসময় শিকাগো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পকারখানা ও ইউনিয়ন সংগঠনগুলোর কেন্দ্র। পরবর্তী কয়েক দিনে এই আন্দোলনকে ব্যবসায়ী ও রাজনীতি মহল পছন্দ না করলেও, আরও হাজার হাজার ক্ষুব্ধ শ্রমিক ও আন্দোলনকারী এতে উক্ত হতে থাকেন। এ সময় কিছু নৈরাজ্যবাদীও এতে যোগ দেন যারা কোন রকম নিয়ম ও আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক কাঠামো স্বীকার করেন না। উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে, পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদর মধ্যে সংঘর্ষ দেখা দেয়, একজন মারা যায় ও অনেকে আহত হয়। পুলিশি নিষ্ঠুরতায় ক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত বিক্ষোভকারী এবং শ্রমিক নেতারা পরদিন ৪ই মে শিকাগোর বিখ্যাত হেমার্কেট স্কয়ারে কর্মসূচির ডাক দেয়। এ সময় আজও পরিচয় জানতে না পারা এক ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়েন। ওই বিস্ফোরণের ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সাতজন পুলিশ সদস্য নিহত হয় এবং ৬৭ জন কর্মকর্তা আহত হয়। চারজন বিক্ষোভকারীও নিহত হয় এবং ৩০ জনেরও বেশি আহত হয়। এই ঘটনা পরে পরিচিতি পায় হে মার্কেট ম্যাসাকার হিসেবে। পরবর্তীতে আট জন নৈরাজ্যবাদী খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং তাদের দোষ ঠিকভাবে প্রমাণের আগেই তাদের অনেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এই ঘটনাগুলোর স্মরণে, ১৮৮৯ সালে ২০ দেশের সমাজকর্মী, শ্রমিক নেতা ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর এক আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে পহেলা মে তারিখ 'মে দিবস' পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অন্যান্য দেশও মে দিবস পালনে যোগ দেয় শিকাগোর এই সংঘাত পরবর্তী কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন বামপন্থী দলগুলোর জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করতে থাকে। দক্ষিণ ইউরোপে প্রথম মে দিবস পালনে এগিয়ে আসে স্লোভেনিয়ান এবং ক্রোয়াটরা, যারা সেসময় অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কাজের নিচু পরিবেশ, অল্প বেতন এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টার প্রতিবাদে ১৮৯৩ সালে সার্বিয়ার শ্রমিকরা এক মে দিবস র‍্যালি বের করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যখন দ্রুত শিল্প কারখানায় উন্নতি ঘটতে থাকে, তখন রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পরও বিশ্বজুড়ে শ্রমিকরা মৌলিক চাহিদা পূরণে সংগ্রাম করতে থাকে। জার্মানিতে ১৯৩৩ সালে নাৎসি পার্টি ক্ষমতায় আসার পর শ্রমিক দিবসের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। একইসাথে এই ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে ফ্রি ইউনিয়ন তুলে দেয়া হয় এবং জার্মান শ্রমিক আন্দোলনও থামিয়ে দেয়া হয় (যদিও ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর আবারও ট্রেড ইউনিয়ন গঠিত হয়)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়ের পর বৈশ্বিক মানচিত্র বদলে যায়। বিশ্বে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিভক্তি বেশি করে চোখে পড়তে থাকে। বিভিন্ন সমাজতান্ত্রিক দেশ যেমন কিউবা, সে সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চীনে বছরের পর শ্রমিক দিবস পালিত হয়ে এসেছে এবং এ দিনের ছুটিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। সাধারণত এদিন বিরাট সমাবেশের আয়োজন করা হত, যেমনটা মস্কোর রেড স্কয়ারে দেখা যেত। সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও রাষ্ট্রের শীর্ষ ব্যক্তিরা যোগ দিতেন। এদিন একইসাথে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর শক্তিমত্তাও প্রদর্শন করা হত। সমাজতান্ত্রিক নেতারা বিশ্বাস করতেন এই নতুন ঘোষিত ছুটি ও উৎসব ইউরোপ এবং আমেরিকার শ্রমিক শ্রেণীকেও উদ্বুদ্ধ করবে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে এক হয়ে লড়াইয়ে। সমাজতান্ত্রিক ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোশ্লাভিয়ার গল্পটাও ছিল একই রকম। সেখানে ১৯৪৫ সাল থেকে মে দিবসের দিন সরকারি ছুটি পালিত হয়ে আসছে। দিনটি উদযাপনে মিছিল ও সামরিক র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয় এবং একইসাথে রাষ্ট্রীয় প্রচারণার জন্য বেছে নেয়া হয় দিনটিকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে শ্রমিক ও ইউনিয়নগুলি আরও ভালো কাজের পরিবেশের দাবিতে মে দিবস ঘিরে র‍্যালি ও সমাবেশ করে। বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতার সাথে লড়াইয়ে শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়টি এখনো গুরুত্বের সাথে দেখা হয়ে থাকে। বেকারত্ব কমলেও এবং কাজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আসলেও, আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন – আইএলও তাদের ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বলছে, বেশিরভাগ জি-২০ দেশে গত বছরের মুদ্রাস্ফীতির সাথে তাল রেখে মূল বেতন ভাতা দিতে পারে নি। আইএলও বলছে, গত বছর ক্রয়ক্ষমতা (পিপিপি) অনুযায়ী চরম দারিদ্রসীমায় থাকা শ্রমিক যাদের আয় দিনে ২.১৫ ডলারেরও কম, তাদের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০ লাখ বেড়ে গিয়েছে। আর সহনীয় দারিদ্র্য সীমায় থাকা শ্রমিকের সংখ্যা (ক্রয়ক্ষমতা অনুযায়ী যারা দিনে ৩.৬৫ ডলারের কম আয় করেন) বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮৪ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে আইএলও। -বিবিসি।
০১ মে ২০২৪, ০৯:২৩

সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার
মহান মে দিবস উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) এক বিবৃতি প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাই হোক মে দিবসের অঙ্গীকার।’ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বিবৃতিতে এ দাবি ব্যক্ত করেন।    বিবৃতিতে নেতারা বলেন, আগামীকাল মহান মে দিবস। বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। এদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে মে দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। যদিও আমাদের দেশে অন্যান্য পেশাজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়লেও সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা বর্তমান বাজারের তুলনায় অনেক কম ও অনিয়মিত। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাতেও সাংবাদিকরা পিছিয়ে আছেন উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকারের স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নীতি থাকলেও তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অনেকের অনীহা দেখা গেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা শোষণ-বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা বিষয়গুলো জানলেও এসব ক্ষেত্রে কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই প্রেক্ষাপটে মে দিবসের চেতনা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের সকল আইনসঙ্গত অধিকার বাস্তবায়নে আন্তরিক হওয়ার জন্য গণমাধ্যম মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন, এখনও গণমাধ্যমে অনৈতিক ও আইন বহির্ভূতভাবে ছাঁটাই করা হচ্ছে। অবিলম্বে ছাঁটাই বন্ধ ও সাংবাদিকদের পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধের দাবি জানান।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

ছবির ছোট্ট মেয়েটি একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
তারকাদের নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই ভক্তদের। বিশেষ করে তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে বেশ আগ্রহ তাদের। প্রিয় তারকার ছোটবেলার লাইফস্টাইল কেমন ছিল, কোথায় পড়ালেখা করেছেন, প্রেম-বিয়েসংক্রান্ত এবং পর্দার বাইরে তাদের জীবন কেমন― সবই যেন আগ্রহের তালিকায় বাসা বাঁধে ভক্তদের মনে।  এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছোট বেলার ছবি শেয়ার করেছেন একসময়ের জনপ্রিয় এক অভিনেত্রী। মুহূর্তেই সেই ছবিটি নজর কাড়ে নেটিজেনদের। জানেন কে এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী।   সোমবার (২৯ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছোট বেলার দুটি ছবিটি শেয়ার করেন শোবিজের একসময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তী। জানা গেছে, এদিন ছিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস। ১৯৮২ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস পালন করে আন্তর্জাতিক নৃত্য পরিষদ। ১৯৮২ সালে নৃত্য দিবসটি ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভ করে।  মূলত এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরের ২৯ এপ্রিল নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয় দিবসটি। এবার সেই নৃত্য দিবসে নিজের ছোটবেলার নৃত্য সাজের ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন শ্রাবন্তী। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন— ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসের শুভেচ্ছা।’ দুটি ছবির মধ্যে প্রথমটি ছোটবেলার, আর দ্বিতীয়টি ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরবর্তী সময়ের।  দেশের এক গণমাধ্যমে ছোটবেলার ছবিটি সম্পর্কে শ্রাবন্তী বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো ‘নতুন কুঁড়ি’ অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের সময় ছবিটি তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, একসময় নাট্যাঙ্গনে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন শ্রাবন্তী। বড়পর্দায়ও খ্যাতির কমতি ছিল না তার। ‘রং নাম্বার’ সিনেমার মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এই অভিনেত্রী।  
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩

চট্টগ্রামে বর্ণিল আয়োজনে বন্দর দিবস উদযাপন
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বর্ণিল আয়োজনে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরুর দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে প্রতি বছর ২৫ এপ্রিল এ আয়োজন করা হয়। তৎকালীন ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া সরকার ১৮৮৭ সালে পোর্ট কমিশনার্স অ্যাক্ট প্রণয়ন করে যা ২৫ এপ্রিল ১৮৮৮ সালে কার্যকর হয়। বন্দরের পতাকা উত্তোলন করেন সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুঁইসেল বাজানো হয়।   পতাকা উত্তোলনের পর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন বন্দর চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি সবার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।   চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বন্দর দিবস উপলক্ষে চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।   এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বন্দর দিবস উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বন্দর চেয়ারম্যান।      
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৫

স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন
বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে স্বাধীনতা দিবস জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতা ২০২৪। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আহমেদুর রহমান। তিন দিনব্যাপী এ  প্রতিযোগিতায় বিকেএসপি, বাংলাদেশ পুলিশ, কোয়ান্টামসহ জুনিয়র-সিনিয়র বিভাগে ৩৫ টি দল/ক্লাবের  প্রায় ৫০ জন পুরুষ ও মহিলা জিমন্যাস্ট অংশ নিচ্ছে। মূলত, আগামী ১২-২০ মে উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান (সিনিয়র এবং জুনিয়র) জিমন্যাস্টিকস  প্রতিযোগিতার  দল  নির্বাচনের বাছাইপর্ব হিসেবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান।   ফেডারেশন সভাপতি শেখ বশির আহমেদের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী  অনুষ্ঠানে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের(বিওএ) মহাসচিব  সৈয়দ শাহেদ রেজা।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়