• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
দেশে পুরুষের তুলনায় নারী বেশি
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর ভিত্তিতে ১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে প্রাক্কলিত বাংলাদেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ ৯০ হাজার। যেখানে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশের পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৩১ লাখ ৯০ হাজার বেশি। রোববার (২৪ মার্চ) পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিবিএসের মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ। অর্থাৎ দেশে পুরুষের চেয়ে নারী সংখ্যায় প্রায় ৩২ লাখ বেশি। এসডিআরএস ইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রকল্পের আওতায় ২০১২টি নমুনা এলাকা থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩-এর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, এক বছরের ব্যবধানে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে। ২০২৩ সালে জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার ১.৩৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিল ১.৪০ শতাংশ। এ সময় প্রতি হাজার জনসংখ্যায় স্থূল মৃত্যুহার ৬.১, যা ২০২২ সালে ছিল ৫.৮। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহার প্রতি হাজারে ৩৩ এবং প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে মাতৃমৃত্যুর অনুপাত ১৩৬ জন, যা ২০২২ সালে ছিল ১৫৩ জন। ২০২৩ সালে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০২২ সালের (৬৩.৩%) তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৬২.১ শতাংশ। জন্ম নিয়ন্ত্রণের অপূর্ণ চাহিদা ২০২২ সালের (১৬.৬২%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ১৫.৫৭ শতাংশ হয়েছে। খানার আকার ২০২২ সালের ন্যায় ২০২৩ সালেও অপরিবর্তিত রয়েছে যা ৪.২ জন। তবে, ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে নারী খানাপ্রধানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে এটি ছিল ১৭.৪%, যা ২০১৩ সালে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৮.৯%। এছাড়া, শিক্ষা, কর্মে কিংবা প্রশিক্ষণে নেই এমন তরুণের সংখ্যা ২০২২ সালের (৪০.৬৭%) তুলনায় হ্রাস পেয়ে ২০২৩ সালে ৩৯.৮৮ শতাংশ হয়েছে। ৫+ বয়সী মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী জনসংখ্যার হার ২০২৩ সালে হয়েছে ৫৯,৯ শতাংশ। তবে, ১৫+ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এ হার ২০২২ সালের (৭৩.৮) তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৪.২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ১৫+ বছর বয়সীদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হার ৫০.১ শতাংশ। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, সর্বশেষ ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ। সেই হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ১৫ লাখ। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারি ভিত্তিতে দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩৫ লাখ। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বশেষ চূড়ান্ত জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। ফলে দেশে নতুন করে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৯ জন। অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী  শহীদুজ্জামান সরকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন ও পরিসংখ্যান অধিদপ্তারের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু।
২৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৩

পুরুষদের তুলনায় বাংলাদেশি নারীরা বেশি একা
মানুষ সামাজিক জীব। তাই তারা সমাজে একাকী বাস করতে পারেনা। তারা সামাজিকভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বের অর্ধেক মানুষ মনে করেন তারা একা নন। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ১৪২টি দেশে জরিপ চালিয়ে এমনই একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে মেটা-গ্যালাপ। সংস্থাটির মতে, বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় নারীরা বেশি একাকীত্বে ভোগেন। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ মানুষ মনে করেন তারা একা নন। বেশি একাকীত্বে ভোগেন ৩৯ শতাংশ, আর কিছুটা একাকীত্বে ভোগেন ২০ শতাংশ মানুষ। নারী ও পুরুষদের মধ্যে তুলনামূলক হিসেবে মেটা-গ্যালাপ জানায়, বাংলাদেশের ৩৭ শতাংশ পুরুষ একাকীত্বে ভোগেন। কিছুটা একাকী পুরুষের সংখ্যা ১৯ শতাংশ। নিজেদের একাকী মনে করেন না বাংলাদেশের ৪২ শতাংশ পুরুষ। আর বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ নারী একাকীত্বে ভোগেন। কিছুটা একাকীত্বে থাকেন ২০ শতাংশ নারী। এ ছাড়া নিজেদের একাকী মনে করেন না বাংলাদেশের ৩৮ শতাংশ নারী।  গবেষণা সংস্থাটি বলছে, বিশ্বের ১৪২টি দেশের প্রায় ৩২০ কোটি  (৭২ শতাংশ) মানুষ নিজেদের সামাজিকভাবে যুক্ত বলে মনে করেন। আর নিজেদের একাকী মনে করেন ৬ শতাংশ মানুষ। আর ৭৩ শতাংশ পুরুষ নিজেদের সামাজিকভাবে যুক্ত বলে মনে করেন। আর নারীদের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৭২ শতাংশ। তবে মঙ্গোলিয়ায় এই সংখ্যা পুরুষ ৯৬ শতাংশ আর নারী ৯৪ শতাংশ। গবেষণার ব্যাপারে মেটার জ্যেষ্ঠ গবেষক আনিয়া দ্রাবকিন বলেন, মানুষদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক রাখাই আমাদের প্ল্যাটফর্মটির প্রধান কাজ। বিশ্বের সব সম্প্রদায়কে এক করায় আমাদের লক্ষ্য।  
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:২৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়