• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ধনী শহর হয়েও দুবাই কেন পানিতে তলিয়ে গেল
ভারী বৃষ্টি ও তীব্র জলাবদ্ধতায় বিপর্যস্ত বিশ্বের অন্যতম অত্যাধুনিক শহর দুবাই। যে শহর কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরায়, সে শহরে আচমকা এমন বৃষ্টিতে স্তব্ধ বিশ্ববাসী। শহরটির বাসিন্দারা কখনও ভাবেনি প্রকৃতির এমন খেলায় নিজেদের হার মানতে হবে। দামি দামি সব গাড়ি এখন খেলনা গাড়ির মতো অথৈই জলে ভাসছে। থইথই পানিতেই প্লাস্টিকের নৌকা দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায় শহরের বাসিন্দাদের। ভয়াবহ বন্যায় শহরটি বিদ্যুৎ, ইন্টারনেট ও পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমনকি বিশ্বের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে খ্যাত দুবাই বিমানবন্দরের শতশত ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ৭৫ বছরে এমন বৃষ্টি দেখেনি আরব আমিরাতের মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিশ্বের এই ধনী দেশটির জন্য এ বৃষ্টিপাত ঠিক কতটা অস্বাভাবিক ছিল বা এর কারণগুলো আসলে কী? এমন পরিস্থিতিতে নেটিজেনরা দাবি করছেন, কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে গিয়েই হয়তো এমন ভয়াবহ বন্যা ঘটিয়েছে দুবাই। বছরে গড়ে ১০০ মিলিমিটারের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের শহর দুবাই সাধারণত শুষ্ক থাকে। আর তাই পানির সংকট কমাতে প্রযুক্তির সাহায্যে কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো হয়। এটি মূলত আকাশে মেঘ দেখা গেলে উড়োজাহাজ দিয়ে মেঘের উপর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সিলভার আয়োডাইডের মতো ছোট ছোট কণা। এর ফলে খুব সহজেই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তা বৃষ্টিতে পরিণত হয়। নেটিজেনরা কৃত্রিম বৃষ্টিকে দায়ী করলেও দেশটির আবহাওয়াবিদদের বড় অংশই এসব গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের দাবি, কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে বাতাসের সমস্ত জলীয় বাষ্পকে কাজে লাগানো হয়। এই প্রযুক্তি দিয়ে সারা বছরে ১০ থেকে ১৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি মেলে। কিন্তু সেখানে ২৪ ঘণ্টার কম সময়ে ২৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ। এদিকে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটিতে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর বিমানগুলো মঙ্গলবার নয়, রোববার এবং সোমবার মোতায়েন করা হয়েছিল।  তবে জলে থৈ থৈ দুবাইকে ফের শুকনো করাও কঠিন। কারণ অত্যাধুনিক এ শহরে বিশাল বিশাল অট্টালিকা, পাঁচ তারকা হোটেলসহ বিলাসবহুল নানা স্থাপনা থাকলেও নেই  যথেষ্ট সংখ্যক নর্দমা।  শহরের কেন্দ্রে যেসব নর্দমা আছে তাতেও অল্প বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আবার শহরের কোথাও সবুজের ছোঁয়া না থাকায় মাটি জল শুষে নেবে, তেমন পরিস্থিতিও নেই।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:২৪

ভেনিস কি শেষ পর্যন্ত তলিয়ে যাবে
ইটালির স্বপ্নময় শহর ভেনিস গোটা বিশ্বের পর্যটক আকর্ষণ করে আসছে৷ কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন৷ একাধিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনিসের সুরক্ষার উদ্যোগ চলছে৷ ১,৬০০ বছর আগে থেকেই ভেনিস গোটা বিশ্বের বিস্ময়ের কারণ৷ বন্যা ও কোনো এক সময়ে সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ভয়ও ততই পুরানো৷ পানি থেকে সুরক্ষার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে ৭৮টি ইস্পাতের প্রাচীর সৃষ্টি করা হয়েছে, যা প্রয়োজনে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখবে৷ সেই ব্যবস্থার পোশাকি নাম এমওএসই বা মোজে৷ ভেনিসের বন্যা সুরক্ষা কমিশনর এলিজাবেতা স্পিৎস বলেন, মোজে না থাকলে ২০২২ সালের ২২শে নভেম্বর ভেনিস অপূরণীয় ধ্বংসলীলার শিকার হতো৷ ইতিহাসে দ্বিতীয় উচ্চতম বন্যার স্তর সত্ত্বেও কিছুই ঘটেনি৷ আমরা উপহ্রদ ও ভেনিস বাঁচাতে পেরেছিলাম৷ এলিজাবেতা ৫০ বারেরও বেশি ফ্লাড গেট খাড়া করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ মোজে বার বার কাজে লাগানো হচ্ছে৷ এবার সেটি পুরোপুরি চালু হয়ে গেছে৷ তিনি বলেন, আমরা এখন জানি, যে মোজে এমন এক নমনীয় হাতিয়ার, যা সব সময়ে এবং একই সঙ্গে বন্ধ করা হয় না৷ আজ আমরা বন্যা ও বাতাস সম্পর্কে আরো বেশি জানি৷ সে কারণে আমরা বন্যার মোকাবিলা করতে পারি৷ উপহ্রদ ও সমুদ্রের মধ্যে পানির আদানপ্রদান নিশ্চিত করতে মোজে প্রণালী আংশিকভাবেও খাড়া করা যায়৷ বিশ্ব জলবায়ু পরিষদের পূর্বাভাস অনুযায়ী শহরের পানির স্তর চলতি শতাব্দীর শেষে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে৷ গেয়র্গ উমগিসার নামের এক সমুদ্রবিজ্ঞানীর মতে, মোজে প্রণালীর মাধ্যমে ভেনিস শুধু কিছুটা বাড়তি সময় পেয়েছে৷ ভেনিস রক্ষা করতে মোজে কি যথেষ্ট। এই মুহূর্তে বা আগামী দশ, বিশ বা তিরিশ বছর পর্যন্ত অবশ্যই সেটা কাজে লাগবে৷ পানির স্তর ৫০ সেন্টিমিটার বেড়ে গেলে সেই প্রণালীকে ৩০০ থেকে ৪০০ বার খাড়া করতে হবে৷ অর্থাৎ দিনে একবার তো বটেই৷ তখন সেই প্রণালীর সীমা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ কারণ মোজে সেটা পারবে না৷ কাঠামো হিসেবে তো নয়ই, উপহ্রদের পক্ষেও সেটা সম্ভব হবে না৷ উপহ্রদে পানির আদানপ্রদান জরুরি৷ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রে মার্কো সিগোভিনিও উপহ্রদের ইকোসিস্টেম নিয়ে গবেষণা করছেন৷ জীববিজ্ঞানী হিসেবে তিনি মনে করেন যে মোজে প্রণালী কত ঘনঘন খাড়া করা হচ্ছে, উপহ্রদের উপর সেই সংখ্যা কোনো বড় প্রভাব ফেলছে না৷ কিন্তু আগামী দশকগুলিতে উপহ্রদ আরো ঘনঘন এবং আরো বেশি সময়ের জন্য সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন রাখলে সেই পরিস্থিতি বদলে যাবে৷ মার্কো মনে করেন, এমনও হতে পারে, যে এই উপহ্রদ লবণাক্ত রাখার অর্থ আছে কি না, কোনো এক সময়ে আমাদের সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখার কারণে সমুদ্র ও উপহ্রদের মধ্যে আদানপ্রদানের ছন্দ ভেঙে যাবে, যে চক্র ভেনিসের জন্য অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ এভাবে উপহ্রদের তলদেশ সৃষ্টি হয়৷ কোন প্রাণী ও উদ্ভিদ সেখানে থাকতে পারে, সেটাও এভাবে স্থির হয়৷ আমাদের কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ বলা বাহুল্য, ভেনিসের মানুষ দুটোই চাইবেন৷ সেন্ট মার্ক্স স্কোয়্যার ভেনিসের সর্বনিম্ন অংশ৷ সেখানেই সবার আগে বন্যার পানি আসে৷ বর্তমানে সেই অংশটিকে উঁচু করার উদ্যোগ চলছে৷ গেয়র্গ উমগিসার বলেন, ধরা যাক, জায়গাটিকে ১১০ সেন্টিমিটার উঁচু করা হলো৷ তখন সেন্ট মার্ক্স চত্বর আর পানির নীচে চলে যাবে না৷ কারণ ১১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বন্যা এড়ানো যাবে৷ উচ্চতা আরো বাড়লে মোজে তা সামলে নেবে৷ মোটকথা সেন্ট মার্ক্স চত্বরে আর কখনো বন্যা দেখা যাবে না৷ সেই সঙ্গে সাহসেরও প্রয়োজন৷ উমগিসার মনে করিয়ে দিলেন, যে গত দেড়শো বছরে ভেনিস ২০ সেন্টিমিটার নেমে গেছে৷ অতিরিক্ত পরিমাণ ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণেই এমনটা ঘটেছে৷ তবে সেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তরই ভেনিসকে সর্বনাশের হাত থেকে বাঁচাতে পারে৷ যে পানি পাম্প করে বার করা হয়েছে, সেটা আবার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে ফিরিয়ে দিলে ভেনিস সত্যি আবার ৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উঁচু হয়ে যেতে পারে৷ অর্থাৎ গত দেড়শো বছরে আমরা যে ৩০ সেন্টিমিটার হারিয়েছি, হুবহু সেই আগের অবস্থা মানে শূন্যে পৌঁছানো যাবে৷ তবে এই সমুদ্র গবেষকের মতে, ভেনিস অনন্তকাল টিকে থাকতে পারবে না৷ কোনো এক সময়ে উপহ্রদটিকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই হবে৷ তখন ভেনিসের মানুষকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করে উমগিসার বলেন, দুটিই রক্ষা করা সম্ভব নয়৷ কোনো একটির প্রতি মনোযোগ দিতে হবে৷ উপহ্রদ নাকি শহর হিসেবে ভেনিস রক্ষা করা উচিত? অবশ্যই ভেনিস৷ ভেনিস একটাই আছে৷ কঠিন সিদ্ধান্ত বটে৷ ভেনিসের মানুষ যত দেরিতে সম্ভব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছেন৷
৩১ মার্চ ২০২৪, ১৪:৪৪

নৌকা এমনিতেই তলিয়ে যাবে : কাদের সিদ্দিকী
কৃষকশ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের সম্মানে গামছা মার্কায় দাঁড়িয়েছি। এই মার্কা বাসাইল-সখীপুরের মার্কা। এটা আমার একার মার্কা নয়। বর্তমান প্রার্থী নৌকা মার্কার, নৌকা তো একটা জিনিস। নৌকা চালাতে মাঝি মাল্লা লাগে, একটা মাঝি-মাল্লাও নেই। সব নেমে গেছে গা, নৌকা এমনিই তলিয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে নির্বাচনী পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি সকালে এক কথা, বিকেলে অন্য কথা বলতে শিখিনি। যে কয়দিন বেঁচে থাকব, কাউকে ভয় করে বেঁচে থাকব না। আল্লাহ-রাসুলকে ভয় করে একদিন বেঁচে থাকলে এটাই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ বাঁচা হবে। কোনো শক্তিধরের কাছে মাথা নত করে এক শ বছর বাঁচার চাইতে আল্লাহ রাব্বুলের ভরসায় একদিন বাঁচা, আমার কাছে বড় কাজ। বঙ্গবীর আরও বলেন, ‘কালকে নাকি এখানে (আওয়ামী লীগ) প্রার্থীর সভা হয়েছে। হাতে পায়ে ধরে ভোট চেয়েছে। আজকে পায়ে ধরবে, ভোট শেষে ঘাড়ে ধরবে। আমি পায়ে ধরে ভোট চাইব না, জীবনে ঘাড়েও ধরি নাই। আমার এই বয়সে ঘাড়ে ধরতেও চাই না।’ তিনি বলেন, আমি আমার বড় ভাইকে (আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী) দেখে রাজনীতিতে এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে পেয়েছিলাম। আর বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসে আমি এই দেশকে, দেশের মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখেছি। আমার কাছে মা যেমন, মাটিও তেমনি। টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের প্রার্থী কাদের সিদ্দিকীর নির্বাচনী পথসভায় সভাপতিত্ব করেন বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান টিপু। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনসুর আল মামুন আজাদ সিদ্দিকী, কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মিনী নাসরিন সিদ্দিকী, বড় মেয়ে ব্যারিস্টার কুঁড়ি সিদ্দিকী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষকশ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম খান ও উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি জাহাঙ্গীর বিন জাফর।
০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়