• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
উত্তপ্ত রাজশাহী, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি
মরুদ্যানের মতো তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। বইছে লু-হাওয়া। বৈশাখের এই দিনগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাটছে আগুন তাপে। দুঃসহ এই গরম যেন কোনোভাবেই কাটছে না। তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই নিচে নামছে না। কেবলই ওপরেই উঠছে। গেল ১ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে এই অঞ্চলে শুরু হয়েছিল গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দুই সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর চলতি বছরে ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ২০০৫ সালের এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  তাই অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিরূপ প্রকৃতির কাছে যেন হার মানছে সবকিছুই। থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। এপ্রিলজুড়ে তপ্ত মৌসুম পার করছেন রাজশাহীর মানুষ। সবশেষ তিন দিনেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমের গতকাল পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববারও (২১ এপ্রিল) একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ২৪ এপ্রিল ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পদ্মাপাড়ের এই মরু শহর। টানা তাপপ্রবাহ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে এখানে।  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এই রাজশাহীতে। ওই দিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার এই রেকর্ড আর ভাঙেনি।  তবে দেশে এবারের চলমান অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আগের সেই সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া আপাতত এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর ২-১ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।  তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  এ দিকে টানা তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। খরতাপে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। বৃষ্টির জন্য হাহাকার থামছেই না। দুঃসহ এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে আজও ‘সালাতুল ইসতিসকার’ আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় থাকা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে এই সালাতুল ইসতিসকারের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তওবা করে সকল পাপ থেকে পানাহ চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে টানা তৃতীয় দিনের মতো নামাজ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে।
২ ঘণ্টা আগে

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি 
চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে ওষ্ঠাগত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষের জনজীবন। গরমে অস্বস্তি বেড়েছে কয়েক গুণ।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছাঁয়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। কেউ আবার পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়। তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।  চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গতকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।   
৪ ঘণ্টা আগে

নওগাঁয় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি 
নওগাঁ জেলায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস। যা জেলায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক জানিয়েছেন, আজ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাতাসের আদ্রতা ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। আকাশ পরিষ্কার থাকায় রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী কয়েক দিন জেলায় বৃষ্টির কোনো আগাম বার্তা নেই। দেশে যেহেতু হিট অ্যালার্ট চলছে, তাই খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়াই ভালো।  এদিকে তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন জেলার নিম্ন আয়ের মানুষ। তাপমাত্রা বেশি থাকায় দৈনন্দিন কাজ করতে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেক স্থানে কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন তারা। তীব্র গরমে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে অনেকে। জেলায় বর্তমানে ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তীব্র তাপমাত্রায় অতি হয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। বৃষ্টির জন্য দুই হাত তুলে প্রার্থনা করেছেন তারা।  তীব্র গরমে বেশি পরিমাণে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ছাড়াও হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন তারা।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি
চুয়াডাঙ্গায় গতকালের তুলনায় কয়েক ডিগ্রি কমেছে তাপমাত্রা। তবে, অব্যাহত রয়েছে তীব্র তাপদাহ। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জীবন।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে সূর্যের চোখ রাঙানিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এ জেলার জনপদ। দিনের মতোই থাকছে রাতের তাপমাত্রা। তীব্র তাপদাহে শান্তি নেই কোথাও। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে মানুষ। পুকুর ও সেচ পাম্পের পানিতে গোসল করে শান্তি খুঁজছেন অনেকে। দিন ও রাতের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য না থাকায় দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে এখানকার জনজীবন। আরও কয়েকদিন এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে, বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। তীব্র তাপদাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।   
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৬

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি
কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত ও পানিবাহিত রোগীর সংখ্যা। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।   এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আরও কয়েক দিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশির ভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে চুয়াডাঙ্গা।  চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা যায়, দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিরিয়ে নিচ্ছেন অনেক শ্রমজীবী মানুষ। এদিকে তীব্র তাপদাহে জনসাধারণকে সচেতন করতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে পথচারী ও এলাকাবাসীকে সতর্ক করছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৬

এসি ছাড়াই যে কাজে ঘরের তাপমাত্রা কমবে ৫ ডিগ্রি
এই গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। সারারাত ঘুম হচ্ছে না। তার মধ্যে লোডশেডিংও বাড়ছে। এ অবস্থায় ঘরের মধ্যেও টেকা যাচ্ছে না। তার ওপর দিনের বেলায় ক্লান্তি মারাত্মক বাড়ছে। এ রকম অবস্থা সামাল দিতে অনেকেই সারাদিন এসি চালিয়ে রাখছেন। কিন্তু তাতে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু জানেন কি, কয়েকটি সহজ রাস্তা অবলম্বন করলে, ঘরের তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে যেতে পারে।  মনে রাখবেন, কয়েকটি সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই ঘরের তাপমাত্রা বেশ খানিকটা কমানো যেতে পারে। জেনে নিন, এমনই সহজ কয়েকটি রাস্তা। এগুলো মেনে চললে হয়তো আপনার রাতের ঘুম আর একটু ভালো হতে পারে। জেনে নিন ঘর ঠান্ডা রাখার কয়েকটি টিপস-  শোওয়ার ঘরে কেমন আলো: মনে রাখবেন, আলো ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দেয়। তা যদি এলইডি হয়, সেটিও তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শোওয়ার ঘরে যতটা কম পাওয়ারের আলো লাগান। এতে ঘর ঠান্ডা থাকবে। সম্ভব হলে একদম কম পাওয়ারের আলো জ্বালান এই ঘরে। ভারী পর্দা ব্যবহার করুন: শোওয়ার ঘরের দরজা এবং জানলায় ভারী পর্দা লাগান। দরজা-জানলা খোলা রাখা অবস্থায় এই পর্দা টেনে দিন। এতে বাতাস চলাচল করবে ঠিকই, কিন্তু তাপ কম আসবে। এতে ঘর কিছুটা হলেও ঠান্ডা থাকবে। বরফের ব্যবহার: একটি পাত্রে কিছুটা বরফ নিন। সেটি ফ্যানের নিচে বা টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন। এতে গরমে ঘরের বাতাস কিছুটা ঠান্ডা হতে পারে। তবে এর সামনে বসবেন না। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। সকালে দরজা খোলা, জানলা বন্ধ: দিনের বেলা ঘরের দরজা খুলে রাখুন। কারণ, দরজা বন্ধ রাখলে ঘর গুমোট হয়ে যাবে। আর জানলা রাখুন বন্ধ। রাতের বেলা জানলা খুলে দিন, এতে বাতাস আসবে। রাতে সম্ভব হলে দরজাও খুলে রাখুন। তাতে ঘর আরও কিছুটা ঠান্ডা থাকবে। অ্যাডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন: ছোট ফ্ল্যাট হলে বাথরুম আর রান্নাঘরে দরকার মতো এগজস্ট পাখা চালিয়ে রাখুন। এতে বাড়ির ভিতরে হাওয়া চলাচল ভালো হবে। তাতে গরমের অনুভূতি কিছুটা কমবে। সুতির চাদর: ঘরে সুতির চাদর ব্যবহার করুন। এই ধরনের চাদরই বিছানায় পাতুন বা সোফার কভার হিসাবে ব্যবহার করুন। এই নরম চাদর তাপ এখটু কমায়। এতে ঘর ঠান্ডা থাকতে পারে সামান্য হলেও।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৮

আজও ৪০ ডিগ্রি ছাড়াতে পারে ঢাকার তাপমাত্রা
কাঠফাটা রোদে তপ্ত চারপাশ। তাপমাত্রার এ পারদ প্রতিদিনই বাড়ছে। তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অস্বস্তিকর গরমে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়। গত কয়েকদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহে পুড়ছে সারাদেশ। যা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েকদিন। সেই ধারাবাহিকতায় আজও ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়তে পারে।   রোববার (২১ এপ্রিল) আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সারাদেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে। আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরও  জানানো হয়েছে, সোমবার (২২ এপ্রিল) ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া মোংলায় ৪১ দশমিক ৭, ঈশ্বরদীতে ৪১ দশমিক ৬, খুলনায় ৪১ দশমিক ২, আরিচা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে ৪০ দশমিক ৮, সাতক্ষীরায় ৪০ দশমিক ৩ ও টাঙ্গাইলে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬

সৌদির চেয়েও ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেশি ঢাকায়
বৈশাখের খরতাপে পুড়ছে দেশ। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশব্যাপী জারি রয়েছে হিট অ্যালার্ট। অসহনীয় গরমে অসুস্থ হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ইতোমধ্যে তীব্র দাবদাহের কারণে হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে শনিবার। এদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে; ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এদিন ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই যখন অবস্থা, তখন গরমের দেশ সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু সৌদিই নয়, শনিবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর কোনোটিরই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল না। আবহাওয়াভিত্তিক অ্যাপ ‘অ্যাকুওয়েদার’-এর তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২০ এপ্রিল) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি জর্ডানের রাজধানী আম্মানের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি, ইরাকের বাগদাদের তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি, লেবাননের রাজধানী বৈরুতের তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি, কাতারের দোহারে তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে এদিন। এছাড়া ফিলিস্তিনের জেরুজালেমে ২১ ডিগ্রি, বাহরাইনের রাজধানী মানামার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি, ইরানের তেহরানে ২৬ ডিগ্রি, সিরিয়ার আলেপ্পোতে ২৫ ডিগ্রি, তুরস্কের আঙ্কারায় ১১ ডিগ্রি, ইরাকের বসরাতে ৪০ ডিগ্রি ও সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।  সেইসঙ্গে সৌদির জেদ্দাতে ৩৩ ডিগ্রি, কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটিতে ৩৬ ডিগ্রি, ওমানের মাস্কাটে ২৮ ডিগ্রি, ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে ২৫ ডিগ্রি এবং ইসরায়েলের তেলআবিবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ অন্য যেকোন সময়ের রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছে। এপ্রিলের পাশাপাশি মে মাসও উষ্ণতম মাস হতে যাচ্ছে এবার। মে মাসে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫

ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার
গরম তীব্র থেকে অতি-তীব্র আকার ধারণ করছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। ঢাকায়ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। আজকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার (২০ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঢাকায় শুরু হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। খুলনা বিভাগের কোনো কোনো অঞ্চলে শুরু হয়েছে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ। আগামী দু’তিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেছা গণমাধ্যমকে বলেন, আজকে যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬৪ সালে যশোরে ৪৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। কাজী জেবুন্নেছা আরও বলেন, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বছর ঢাকায় সবচেয়ে বেশি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনগুলোতে সিলেট এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে দু-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আসলে বলার মতো তেমন কোনো বৃষ্টি এ মাসের বাকি দিনগুলোতে নেই। আগামী দু’তিনদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা মোটামুটি এরকমই থাকবে। ভারী বৃষ্টির কোনো পূর্বাভাস নেই। তিনি বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কিছুটা কমে আসছে, আগের তুলনায় এখন জলীয়বাষ্পের পরিমাণ কমে আসছে। এটি একটি ভালো দিক। অস্বস্তি কিছুটা কম হবে। তবে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। এর আগে, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। শুক্রবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনিতেই প্রচণ্ড গরমে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। তাপমাত্রা আরও বাড়লে মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও সাতদিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সংস্থাটি জানায়, রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে। সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে। বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় শুক্রবারের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রার বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।  আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনই তাপমাত্রা এক ডিগ্রি করে বাড়ছে। তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে যশোরে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে শহরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা রাস্তা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে।  যদিও আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি আরও বাড়বে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়