• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মাছ কেটে জীবন চলে তাদের
পায়ে বটি রেখে কাঠের ওপর সারাক্ষণ মাছ কাটেন। এই মাছ কাটতেই দিন শুরু হয়, মাছ কাটতে কাটতেই দিন কাটে। অন্যের মাছ কাটা পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এই শ্রমজীবীরা। যদিও এ পেশায় আসার পেছনে রয়েছে নানা ঘটনা। মাছের আকার ভেদে কেজিপ্রতি মাছ কাটতে তারা নেন ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে দিনে আয় হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এই টাকা থেকে বসার জায়গা, ময়লা ফেলা ও ছাই কিনতে দৈনিক খরচ হয় ৯০ টাকারও বেশি। পরিবারের উপার্জনক্ষম যখন নারী তখন এই সামান্য আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। যদিও সপ্তাহের বন্ধের দিনগুলোতে বাজারে ক্রেতা বেশি থাকায় কিছুটা বাড়তি আয় হয়। তাই সপ্তাহের বন্ধের দিনের আশায় থাকেন তারা। তাই ঠান্ডা-জ্বরে অসুস্থ হলেও কাজে আসেন এই মাছ কাটিয়ারা।  কর্মব্যস্ত এই শহরে বিত্তবান ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে বাজার থেকে কাটানোর প্রবণতা বাড়ছে। গৃহস্থালির কাজে সময় বাঁচাতে মাছ কাটার জটিলতা এড়িয়ে যান তারা। এমনিতে সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। বাসায় কাজের লোকের সমস্যা রয়েছে। মেয়েরা রান্নাবান্না আর ঘরের জরুরি কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তাই সময় বাঁচাতে, বাজার থেকে মাছ কিনে পরিষ্কার করে নিয়ে যায় তারা। এতে করে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না। তাই এই মাছ কাটিয়াদের চাহিদা বাড়ছে। সময় বাঁচাতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে বাজার থেকে ছোট ও বড় মাছ কাটিয়ে নেন চাকরিজীবী ও মেসে থাকা লোকজন। এ পেশায় যেমন হতদরিদ্র নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে করছে স্বাবলম্বী তেমনি ব্যস্ত নগরীর মানুষের গৃহস্থালির কাজকেও সহায়তা করছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের এই খোলা স্থানে মাছ কাটায় নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের।  
১১ ঘণ্টা আগে

তুমি আমার জীবন এত সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা : পরীমণি (ভিডিও)
চিত্রনায়িকা পরীমণির একমাত্র ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে ডিভোর্সের পর রাজ্যকে ঘিরেই তার সব। কাজের বাইরে পুরো সময়টা ছেলেকেই দেন এই নায়িকা। রাজ্যর বাবা-মা বলতে এখন পরীমণিই।  শুধু তাই নয়, প্রায় সময়ই ছেলের সঙ্গে নানান খুনসুটিতে মেতে ওঠেন পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গেও সেসব শেয়ার করতেও ভোলেন না এই নায়িকা। এমনকি সময় সুযোগ পেলেই ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন পরীমণি। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। ফের ছেলেকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।   মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ছেলের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করে পোস্ট দেন পরীমণি।    ক্যাপশনে চিত্রনায়িকা লিখেছেন— ‘খোদা! তুমি আমার জীবন এতো সুখে ভরিয়ে দিলে খোদা! আমাকে আরও শত শত দিন এভাবে বাচঁতে দিও তুমি। পরীপুণ্য’। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি লাভ ইমোজি। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, পরীমণি বসে আছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। আর পরীমণি খুব আরাম করে সেটা উপভোগ করছেন।  ভিডিওটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই ৯১ হাজারেরও বেশি প্রতিক্রিয়া পড়েছে নেটিজেনদের। রীতিমতো মন্তব্যের ঝড় উঠেছে পরীমণির কমেন্টসবক্সে। একজন লিখেছেন, মা আর সন্তানের ভালোবাসা অটুট থাকুক আজীবন। চিত্রনায়িকার আরেক ভক্ত লেখেন, পরীপুণ্যের ভালোবাসা। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর গোপনে বিয়ে করেন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। খবরটি প্রকাশ্যে গত বছরের ১০ জানুয়ারি। একই দিন আরও ঘোষণা করেন, সন্তান আসছে তাদের ঘরে। এরপর ২২ জানুয়ারি পারিবারিক আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও করেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট পরীমণির কোলজুড়ে আসে রাজ্য। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভেঙে যায় তাদের ঘর।     
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০৯

যৌন জীবন নিয়ে শ্রীলেখার বিস্ফোরক মন্তব্য
টালিগঞ্জে ঠোঁটকাটা রমণী হিসেবে পরিচিতি আছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের। তার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। মাঝে মাঝেই যাকে তাকে আক্রমণ করে বসেন কথা দিয়ে। এবার আর সে পথে হাঁটলেন না অভিনেত্রী। উল্টো খোলাখুলি কথা বললেন নিজের যৌন জীবন নিয়ে। সম্প্রতি টলিউড অভিনেত্রী মমতা শঙ্করের ‘শাড়ির আঁচল’ মন্তব্যে তোলপাড় টলিপাড়া। নারীবাদীদের একটা বড় অংশের দাবি ওই বক্তব্যে ‘দেহ পসারিনী’ বা ‘যৌনকর্মী’দের অপমান করেছেন। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সামনে খুলে দিলেন নিজের যৌন জীবন। পুরুষ যৌন কর্মীর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বলেন, হতেই পারে। যে মহিলার বর তার সঙ্গে কিছু করছে না, কিংবা যে মহিলার ইচ্ছে হয়েছে। আমার জিগালোর দরকার নেই, আশা করছি তোমারও দরকার নেই। অভিনেত্রী বলেন, আমি এখন স্পিরিচুয়াল হয়ে গেছি। জীবনের এই ধাপটায় এসে আমি যার তার সাথে আমি পারব না। আমার প্রায় দেড়-দুই-বছর হলো জীবনযাপন নেই। অভিনেত্রীর জীবনে এসেছিল বিদেশি পুরুষ। মিষ্টি প্রেমের গল্পও রয়েছে।  সে গল্প ফাঁস করে অভিনেত্রী বলেন, কথাবার্তা হয়। ডেভিড বলে স্প্যানিশ-আমেরিকান। খুব মিষ্ট একটা ব্যাপার হয়েছিল, ছোট্ট লাভস্টোরি গোছের। আমার জীবনে ভালো লাগাটা জরুরি।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০০

টিকটক ট্রলে দুর্বিষহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের জীবন
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় একটি যোগাযোগমাধ্যম টিকটক। বিশেষ করে রক্ষণশীল পরিবারের নারীরা এটি ব্যবহার করে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলে থাকেন। তাদের বেশিরভাগ মতামতই নারীবাদকেন্দ্রিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি নারীদের স্বাধীন মত প্রকাশের ঠিক এই ব্যাপারটিই পছন্দ নয় হাসান সাঈদ নামে ফ্রান্স প্রবাসী বাংলাদেশি এক তরুণের। বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি নারীদের অনলাইনে বুলিং করায় মত্ত সে। তার ভয়াবহ বুলিংয়ের শিকার হয়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে প্রবাসী বহু নারীর জীবন।  যুক্তরাজ্যে এমন বেশ কয়েকজন নারীর সন্ধান পেয়েছে বিবিসি। হাসানের ট্রলের শিকার ওই নারীদের অনেকে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, তাদের মানসিক অবস্থা এতটাই বিপর্যস্ত যে মাঝেমধ্যেই আত্মহত্যার চিন্তা নাড়া দিয়ে উঠছে মাথায়।   মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। তাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের পুলিশ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী ওই নারীরা। সুযোগে ক্রমেই আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে প্যারিসের উপকণ্ঠে বসবাসরত বাংলাদেশি ওই তরুণ। এমনকি অনেক নারীকে ধর্ষণ ও হত্যারও হুমকি দিচ্ছে সে।   যুক্তরাজ্যের ইয়র্কশায়ারে বসবাস করেন সুলতানা (ছদ্মনাম)। তিনি জানান, নারীবিদ্বেষ ও বাজে সম্পর্কের বিষয়ে টিকটকে আওয়াজ তোলেন তিনি।  ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলের শিকার হন তিনি। মূলত ট্রলের শিকার হওয়া তার এক বন্ধুর পক্ষে কথা বলার পর তিনিও হাসানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন। হাসানের ট্রল এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে সামাজিকভাবে হেয় হয়ে মানসিকভাবে একেবারে ভেঙে পড়েন সুলতানা। নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছিল, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। আমি কান্না করেছি। খেতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। মনে হচ্ছিল, এখানে আর থাকতে চাই না।’ তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি কাজে ছিলাম। এ সময় আমার কয়েকজন টিকটক ফলোয়ার আমাকে খুদে বার্তা পাঠান। তারা জিজ্ঞাসা করছিলেন, আমি হাসানের সেই ভিডিওগুলো দেখেছি কি না। সেই ভিডিও ও পোস্টগুলোতে লোকজন কমেন্ট করছিল। আমাকে নিয়ে তারা হাসাহাসি করছিল। এ ধরনের নিপীড়ন দুই বছর ধরে চলে। এটা এমন এক অভিজ্ঞতা, যা তিনি কখনো ভুলতে পারব না।’ সুলতানা বলেন, ‘আমার মানসিক স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। সুস্থ হতে থেরাপি নিয়েছি। ট্রলের ঘটনাগুলো আমার অসুস্থতা বাড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি তা আমাকে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিস-অর্ডারের দিকে ঠেলে দিয়েছে।’ ভুক্তভোগীরা বলেন, নারীদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ পছন্দ করেন না রক্ষণশীল অনেক পুরুষ। নারীদের যেকোনোভাবে থামিয়ে দিতে চান তারা। এ জন্য অনলাইন বুলিংকে বেছে নেয় তারা। হাসান সাঈদ নামে প্যারিস প্রবাসী ওই যুবক ওই দলভুক্ত একজন।  হাসান মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তার শিকারদের ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করেন। এরপর সেগুলো গ্রিন স্ক্রিনে নিয়ে ট্রল ভিডিও তৈরি করেন। পরবর্তীতে টিকটক লাইভে এসে ভুক্তভোগী নারীদের চেহারা ও অন্যান্য বিষয়ে মজা করেন। নারীদের ধর্ষণ ও হত্যার হুমকিও দেন তিনি। হাসানের আরেক শিকার মাসুমা নামে যুক্তরাজ্যের ওয়েলসের এক নারী। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি তিনি টিকটিকে রান্নার ভিডিও বানান এবং অনলাইনে একটি দোকান চালান। একদিন এমন একটি লাইভ চলার সময় হাসান সেখানে উপস্থিত হন এবং তাকে তার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে বলেন। মাসুমা তাতে রাজি না হলে হাসান তাকে ‘ফাঁসিতে ঝোলানোর’ হুমকি দেন। এরপর মাসুমা একটি ভিডিও শেয়ার করে অন্যদের এ যুবকের বিষয়ে জানান এবং তার একাউন্টের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান। তাতে হাসান আরো রেগে যান এবং তাকে নিয়ে আজেবাজে ভিডিও বানানো শুরু করেন। একটি ভিডিওতে মাসুমাকে দেখিয়ে বলেন যে তিনি একজন যৌনকর্মী। মাসুমার অনুসারীরা রিপোর্ট করলে টিকটিক থেকে তার ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়। তবে ওই ঘটনা জীবনের বড় এক ক্ষতি করে গেছে বলে মনে করেন এ তরুণী। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু নারীরাই নয়, হাসানের অনলাইন বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন পুরুষরাও। এসব ট্রলের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীরা বিভিন্নভাবে প্রতিকার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। এমনই একজন কামরুল ইসলাম। হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে এসব বুলিং বন্ধ করার আহ্বান জানান এ ভুক্তভোগী। এতে উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে কামরুলের পুরো পরিবার নিয়ে ট্রল শুরু করেন হাসান। এসব ভিডিও সরাতে পরে কামরুল টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তারা তাকে সাফ জানিয়ে দেন, এসব তাদের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেনি। তাই ভিডিওগুলো সরানো হবে না। কামরুল এরপর পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেন। এতেও ট্রল না থামায় তিনি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন। দূতাবাস ফরাসি আইনজীবী ম্যাথিউ ক্রোইজেতের সঙ্গে কামরুলের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কামরুলের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে প্যারিসের সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরে অভিযোগ করেন এ আইনজীবী। কিন্তু এ মামলার কোনো রায় এখনো হয়নি। মামলার হালনাগাদ তথ্য জানতে প্যারিসের কেন্দ্রীয় পুলিশ স্টেশন ও আদালতে যোগাযোগ করে বিবিসি। কিন্তু এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিউত্তর পাওয়া যায়নি।  
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৩

এনআইডিতে নতুন ডিজি, জীবন বীমায় এমডি
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব আলম তালুকদার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধনের (এনআইডি) মহাপরিচালক (ডিজি)। অন্যদিকে, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুজ্জামানকে জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (১ এপ্রিল) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জানা গেছে,  জীবন বীমা করপোরেশনে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার ছয়জন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নুজহাত ইয়াসমিনকে জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এবং পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. ছায়েদুজ্জামানকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ইকোনোমিক মিনিস্টার মো. মাহমুদুল হাসানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংযুক্তি, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. রেজানুর রহমানকে বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছে। অন্যদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব জোবায়দা বেগমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৩

বাইরের জীবন এত কঠিন জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম : জল্লাদ শাহজাহান
আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান বলেছেন, ৪৪ বছর কারাবন্দি থেকে বাইরে এসে নানা প্রতারণায় পড়ে মনে হচ্ছে কারাগারেই ভালো ছিলাম। কারাগারের বাইরের জীবন এত জটিল কেন? জীবন এত কঠিন হবে জানলে কারাগারেই থেকে যেতাম। সোমবার (১ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। শাহজাহান বলেন, ৪৪ বছর পর জেল থেকে ফিরে এক অন্যরকম দেশ দেখছি। এ সমাজে চলতে গিয়ে প্রতারণার মধ্যে পড়তে হচ্ছে আমাকে। আমি কল্পনাও করতে পারিনি। বাইরের লোকের সম্পর্কে আমার এমন ধারণা ছিল না, তারা এতটুকু নির্দয় হতে পারে আমার জানা ছিল না। আমি জানতাম না এত প্রতারক বাংলাদেশে রয়েছে।  তিনি বলেন, জেল থেকে বের হয়ে নানাভাবে প্রতারিত হয়েছি। সাথী আক্তার নামের ২৩ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছি। মেয়েটি আমার সব টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো আমার নামে মামলা দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহজাহান বলেন, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য দরকার খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার কোনোটিই আমি পাচ্ছি না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিত্তবানদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আমাকে থাকার ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। তিনি বলেন, আমার কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই, আয়-রোজগার নেই, অর্থের জোগানদাতা নেই, নিজের থাকার জায়গা নেই। আমি চরম অর্থনৈতিক সংকটে আছি।  ৪৪ বছর কারাভোগ শেষ করে এসে আমি এখন বাইরের মানুষদের বুঝতে পারছি না।  জল্লাদ শাহজাহান বলেন, আমি প্রতি জায়গায় প্রতারণার খপ্পরে পড়ছি। গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিয়ে করে সেখানেও সর্বস্বান্ত হয়েছি। বিয়ের কাবিন ৫ লাখ টাকা হলেও আমার কাছে থাকা ১০ লাখ টাকা স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে আমার স্ত্রী সাথী আক্তার ফাতেমা ৫৩ দিনের মাথায় পালিয়ে গেল। পালিয়ে গিয়ে আমার নামে যৌতুকের মামলা দিলো। আমি থানায় মামলা দিতে গেলেও বউয়ের নামে মামলা করা যায় না বলে আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। পরে আইনজীবীর সহযোগিতায় রোববার (৩১ মার্চ) আদালতে আমার স্ত্রী, শাশুড়িসহ ৬ জনের নামে মামলা করেছি। তিনি বলেন, জেল থেকে বের হওয়ার পর আমার ভাগনে নজরুল আমাকে অটোরিকশা কিনে দেবে বলে আমার টাকা মেরে দেয়। এরপর চায়ের দোকান দিই, আমার সঙ্গে থাকা ছেলেটি ৩০ হাজার টাকা ও মোবাইল চুরি করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, একজন নারী আমার জীবনের শেষ জমানো টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে এবং আমাকে যৌতুকের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অথচ আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেওয়ার সময় স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়েছে, যার সব প্রমাণ আমার হাতে রয়েছে। শাহজাহান বলেন, কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর কারাগারে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছ থেকে আশীর্বাদ হিসেবে পাওয়া টাকাসহ মোট ১৮ লাখ টাকা আমি সাহায্য হিসেবে পাই। সেই টাকা দিয়েই মূলত আমি বিয়ে করে এখন সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। আমি এখন কীভাবে বাঁচব, আমার জীবন কীভাবে চলবে, কোথায় থাকব কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন খেয়ে না খেয়ে অনাহারে আমার জীবন চলছে। এই জল্লাদ বলেন, আমি এখন দুই অথবা তিন দিন পর ভাত খাই। আমি আমার উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপির কাছে গিয়েছি কিন্তু কেউ কাজ দেয়নি, সাহায্য-সহযোগিতা করেনি। এভাবে চলতে থাকলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। জল্লাদ শাহজাহান বলেন, শেখের বেটির কাছে আমার চাওয়া, ঘৃণ্য অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে আমাকে একটি আবাসন ও জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত যেন চলতে পারি সেজন্য সহজ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন। সমাজের বিত্তবানদের কাছেও আমার একই দাবি। আমার এ অসহায়ত্বের অবসান চাই। দয়া করে আমাকে বাঁচান।
০১ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৮

জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে চাঁদপুরে সভা
কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে চাঁদপুরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে শহরের বাবুরহাট এলাকায় পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে জেলা পুলিশ এ আলোচনাসভার আয়োজন করে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। তিনি বক্তব্যে বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য, দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার জন্য, মানুষ যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য, সাধারণ মানুষ যেন রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। এসপি বলেন, এসব পুলিশ সদস্যরা দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে, সংকটে, দুর্যোগে এবং রাষ্ট্রের যে কোনো প্রয়োজনে জীবনের সর্বোচ্চ ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে, তার ওপর যে দায়িত্ব, যে দায়িত্বের শপথ সে নিয়েছিল। সেই শপথ সমুন্বত রাখার জন্য নিজের জীবনের রক্ত ঢেলে দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছি, গণতন্ত্র সমুন্বত রাখার জন্য সময়ে সময়ে রক্ত দিয়েছি। দেশে যখন জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছিল, সে জঙ্গিবাদ দমনের জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। যখন করোনার নামে মহামারির আবির্ভাব হলো তখন পুলিশ সামনের সারিতে কাজ করতে গিয়ে তাদের জীবন দিয়েছে। রাষ্ট্রের অপরাধীদের ধরতে গিয়ে জীবনের মায়া নিয়ে কখনো পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে আসেনি। বরং তাদের ধরতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে পুলিশ হামলার শিকার হয়েছে এবং শাহাদাত বরণ করেছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর আমরা মার্চ মাসে এ দিবস পালন করি। শাহাদাত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের আবেদনগুলো গুরুত্বসহকারে শুনি এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্ট করি। আমাদের নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকে এ আয়োজন করা। তাদের যে কোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ তাদের পাশে আছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিবিআই চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তফা কামাল রাশেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সঞ্চালনায় ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) মো. খায়রুল কবীর। অনুষ্ঠানে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের হাতে উপহার সামগ্রী তুলেদেন পুলিশ সুপারসহ অন্যান্যরা। এসব পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মধ্যে দুজন সদস্য তাদের চলমান পারিবারিক পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৭

সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা, সংকটাপন্ন শিশুর জীবন
এবার হবিগঞ্জে সিলগালাকৃত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনার সময় তামিম আহমেদ (১২) নামের এক শিশুর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। তাকে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে অবস্থিত কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। গত ১৫ দিন আগে অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করেছে প্রশাসন। জানা গেছে, বুধবার বিকেলে উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে তামিম আহমেদকে খতনার জন্য বাজারে আনা হয়। এ সময় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সুহুল আমিন ও চিকিৎসক ডা. জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আব্দুস শহীদকে ৫ হাজার টাকায় তামিমের খতনা করে দেওয়ার কথা বলে। এরপর হাসপাতালের তালা খুলে তামিমকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান তারা। হঠাৎ শিশুর চিৎকারে তার পরিবার অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখেন মালিক ও চিকিৎসক তামিমকে চড় মারছেন। তারা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী আহত শিশুকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে পাঠান। এ সময় হাসপাতালের মালিক স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে খবর প্রকাশ করলে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেন।  বুধবার রাতেই আহত শিশুর চাচা হারুন মিয়া নবীগঞ্জ থানায় কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও চিকিৎসকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, খতনা করার সময় আমার ভাতিজার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার জানান, অনুমোদন ও বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ১৫ দিন আগে কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছিল। কী জন্য প্রতিষ্ঠানটি খুলে এমন ঘটনা ঘটানো হলো তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নবীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুক আলী জানান, আহত শিশুর চাচা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আমরা এখনও শিশুটিকে দেখতে পারিনি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
০৭ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতে পছন্দ করি : জয়া আহসান
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ও দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। ইতোমধ্যে ঢালিউড-টালিউড মাতিয়ে অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন বলিউডেও। পর্দায় ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে নিজেকে ফুটিয়ে তোলেন এই নায়িকা। সাবলীল অঙ্গভঙ্গি আর অভিনয় দক্ষতায় বরাবরই দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান তিনি। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে নিজের কাজ ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন জয়া। এ সময় অভিনেত্রী জানান, ব্যক্তিগত জীবন সবসময় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।  ক্যারিয়ারে একাধিক সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে জয়ার মুকুটে। তবে কাজের জায়গায় সফলতা পেলেও ব্যক্তিজীবনে সিঙ্গেলই রয়ে গেছেন তিনি। যদিও একসময় ভালোবেসে মডেল ফয়সালের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন জয়া।  তবে বিয়ের ১৩ বছরের মাথায় জয়া-ফয়সালের সংসারে বেজে ওঠে বিচ্ছেদের সুর।  ২০১১ সালে দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই তারকা দম্পতি। বিবাহবিচ্ছেদের পর পুরোদমে ক্যারিয়ারেই ফোকাস করেন জয়া। মনোযোগী হন অভিনয়ে। বাংলাদেশ-ভারত দুই জায়গাতেই সমানতালে কাজ করে যাচ্ছে তিনি। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একেবারেই কথা বলতে পছন্দ করেন না জয়া। এ প্রসঙ্গে জয়া বলেন, জয়া আহসান বলেন, সাধারণত এই সময়ে নারীরা নিজের মূল ফোকাস থেকে সরে যায়। কিন্তু আমি কাজেই মনোযোগ দিয়েছিলাম। আমার কাজ আমাকে সান্ত্বনা দেয়। যার ফলে আমি কাজকে এতটা ভালোবাসি। অভিনেত্রী আরও বলেন, সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতূহল অনেক বেশি। মানুষ সবসময়ই আমার সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু এ বিষয়-ব্যক্তিগত জীবন আমি সবসময়ই আড়ালে রাখতেই পছন্দ করি। 
০৫ মার্চ ২০২৪, ১১:২০

‘ফারাক’ বইটি হতে পারে জীবন রক্ষার হাতিয়ার
কানাডার টরেন্টো শহরের স্থানীয় একটি হোটেলে প্রবাসী লেখক মোস্তফা আকন্দ ও নেসার আহমেদ প্রণীত ফারাক গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন অন্টারিওর প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় উপনেতা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এমপিপি ডলি বেগম।  শনিবার (২ মার্চ) আলোচনা অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও কানাডা প্রবাসী আসমা আহমেদ। ডলি বেগম তার বক্তৃতায় বলেন, টরেন্টোতে বাংলাদেশীদের মধ্যে প্যারিন্টং একটি জটিল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘ফারাক’ বইটির লেখকদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা কমিউনিটির জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। টরেন্টোতে বাঙালী যুবকদের আত্মহত্যা বিষয়ে তারা গবেষণা করেছেন কয়েক বছর আগে। খুব ভালো কাজ ছিলে সেটা।   তিনি আরও জানান, সম্পূর্ণ বাংলায় লিখিত ফারাক বইটি টরেন্টো বাঙালী কমিউনিটির প্যারেন্টসদের প্যারেন্টিং সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। কমিউনিটির সবাইকে বইটি পড়া উচিত। ফারাক গ্রন্থটির ওপর আলোচনায় অংশ  নিয়ে  বাংলাদেশের জনপ্রিয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও টরেন্টো ভিত্তিক অনলাইন পত্রিকা নতুন দেশের সম্পাদক শওগাত আলী সাগর বলেন, ফারাক গ্রন্থটি লেখকদ্বয়ের প্যারেন্টিং বিষয়ের ওপর লিখিত একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ যেখানে আমাদের প্যারেন্টিং এর চ্যালেঞ্জগুলোকে গল্পের ঢংয়ে সন্নিবেশিত করা হয়েছে। গল্পগুলো সুখপাঠ্য। পড়তে পড়তে মনে হবে আমি এই শহরেরই কোন গল্পের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছি আর  মানসিক স্বাস্থ্য ও প্যারেন্টিং বিষয়ে শিখছি। এই শিক্ষণটা আমাদের ও আমাদের সন্তানদের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে সাহায্য করবে। টরেন্টো প্রবাসী কবি, গল্পকার ও টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের স্পেশাল নিডস্ শিশুদের শিক্ষিকা সঙ্গীতা ইয়াসমিন বইটির ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, শুধু সন্তান জন্ম দিলেই বাবা-মা হওয়া যায়না। বাবা-মা হতে গেলেও কিছু দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ থাকা দরকার হয়। ‘ফারাক’ অনেকটা গবেষণা-ধর্মী তথ্য সম্বলিত এবং বাস্তব ঘটনার প্রতিচ্ছবি নিয়ে রচিত গ্রন্থ। সেসব ঘটনা বিশ্লেষণ করলেই আমাদের মত হাজারো বাবা-মা অন্তত নিজেদেরকে প্রশ্ন করতে শিখবেন। এই গ্রন্থ পাঠে যদি নিজে থেকেই আমরা কিছু শিক্ষণ নিতে পারি সেটা আমাদের সবার জন্য মঙ্গল। না-ও যদি পারি, তবুও আমরা আমাদের মুদিত চক্ষুকে মুক্ত করতে পারি! সুস্থ থাক জগতের সব সন্তান। সুখি হোক পরিবার। ঘুচে যাক সব দূরত্ব! যেখানে আছে 'ফারাক'। টরেন্টোর আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন বলেন, কোন বই যে এভাবে লেখা যায়, আমি  কখনো দেখিনি। বইটি প্যারেন্টিং এর ওপর লিখিত বই। কিন্তু লেখকদ্বয় গল্প বলেছেন আর প্যারেন্টিং শিখিয়েছেন। শেষে প্যারেন্টিংয়ের ওপর একাডেমিক আলোচনাও করেছেন। বইটি পড়া শুরু করলে আপনি শেষ না করে ছাড়তে পারবেন না। কমিউনিটির মানুষদের বইটি পড়া  উচিৎ। টরেন্টোর চিকিৎসক নিলান্জনা দত্ত বলেন, মোস্তফা আকন্দর লেখা আমার খুবই ভালো লাগে।  তিনি আমাদের সমাজের সমস্যাগুলোকে এমন সুন্দরভাবে তার লেখা গল্পে তুলে ধরেন যে, মনেই  হয়না এটা কোন তথ্যবহুল আলোচনা। আর বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদের প্রফেশনাল লেবেল  অনেক উঁচু। ফারাক বইটি সবাইকে পড়ার আহবান করছি। অন্টারিওর গুয়েলফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মাহতাব শাওন বলেন, ফারাক নামটাই একটা সার্থক নাম। আপনারা বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন যে কেন এই নামটি রাখা হয়েছে? বইটির পটভূমি আমার জানা। যে গবেষণা লেখকদ্বয়কে বই লিখতে উৎসাহ যুগিয়েছে সেই গবেষণাটির সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা ছিল। কয়েক বছর আগের টরেন্টোর বাঙালী তরুণদের আত্মহত্যার কাড়ন অনুসন্ধানের গবেষণার মুল ফলাফল ছিল মা-বাবার সাথে সন্তানের যোগাযোগের অভাব’ বা প্যারেন্টিং ইস্যু। এ বিষয়টি কখনো আমাদের কমিউনিটিতে এড্রেস করা হয়নি। তিনি সবাইকে বইটির অষ্টম অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ার অনুরোধ করেন।  সমাজসেবা মূলক কাজের উদ্যোক্তা ড্যানিয়েল হাকিম সবাইকে ফারাক বইটি পড়তে অনুরোধ করে বলেন, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের প্যারেন্টিং স্টাইল চেঞ্জ হয়নি। বাবা-মা ও সন্তানদের মধ্যে সম্পর্ক এর ফারাক তৈরিতে এটাই ভূমিকা রাখছে। বইটা আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সেই দূরত্ব পুরনে সহায়তা করতে পারে। প্রথম আলোর প্রাক্তন সাংবাদিক ও কানাডা প্রবাসী লেখক সুব্রত নন্দী বলেন, আমরা আগে জানতামই না যে প্যারেন্টিং বলে একটি বিষয় আছে। যাদের ক্ষতি হয়ে গেছে তাদেরতো গেছেই। আর আমাদের যাদের এখনো সুযোগ আছে, তারা যদি গুড প্যারেন্টিং করতে পারি তাহলে আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি হবেনা। আমি মনে করি, সবাইকে বাচ্চাদেরকে সময় দিতে হবে। আমাদেরকে চাপিয়ে দেয়ার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। টরেন্টোর বিশিষ্ট সমাজকর্মী মোস্তফা কামাল বলেন, বাবা মা হিসেবে আমাদের চিন্তার জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। তারা যেভাবে চায় সে মোতাবেক সহায়তা করতে হবে। তাহলেই দূরত্ব কমবে। টরেন্টো ভিত্তিক অলাভজন দাতব্য সংস্থা বেঙ্গলী ইনফরমশেন এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসের (বিআইইএস) নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘ফারাক’ বইটিতে যে বিষয়গুলো তুলে আনা হয়েছে তার গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যত টাকা পয়সার মালিকই হয়না কেন, বাচ্চারা যদি ঠিকমত বেড়ে না ওঠে তাহলে সব সম্পদ অর্জন বৃথা হয়ে যাবে। নিজের সন্তানদেরকে লালনপালন করতে গিয়ে তিনি কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন, এবং তা তিনি কীভাবে মোকাবেলা করেছেন- তার বিবরণ তুলে ধরেন। সমাজকর্মী বদিউজ্জামান মুকুল বলেন, ‘এলিফ্যান্ট ইন দ্য রুম’ এখন আমাদের ঘরের মধ্যে হাতি। এটাকে আর গুরুত্বহীনভাবার অবকাশ নেই। সন্তানরা বাবা-মাকে হত্যা করছে। কেন? একটু ভাবুন। যেভাবে সন্তান লালন-পালন করছেন ঠিক আছে তো ? আপনি বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় থাকলে ‘ফারাক’ বইটি আপনাকে সহায়তা করতে পারে। কারণ বইটির গল্পগুলো খুবই বাস্তব এবং আমার প্রফেশনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। টরেন্টোর নারী উদ্যোক্তা সাবিনা শারমিন বলেন, ‘ফারাক’ হতে পারে কারো কারো জন্য জীবন রক্ষার হাতিয়ার। আপনি আপনার ঘরের মধ্যে কোন দানবকে বড় করে তুলছেন নাতো? ঢাকার ঔশি মেয়েটি কেন তার বাবামাকে হত্যা করল? মুল কারণ প্যারেন্টিং। তার বাবা-মা তাকে কীভাবে মানুষ করেছেন। তাকে কতটুকু সময় দিয়েছেন? তা নিয়ে কী আমরা ভেবেছি? ফারাক কেন সৃষ্টি হল? অনেক প্রশ্ন।  নিজেকে প্রশ্ন করুন। টরেন্টো ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের  শিক্ষক ডঃ ফখরুদ্দীন, লেবানিজ-আমেরিকান কবি ও দার্শনিক কাহলিল জিবরানের একটি কবিতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, তোমাদের সন্তানেরা তোমাদের নয়। তারা সময়ের সন্তান। তারা তোমাদের মাধ্যমে পৃথিবীতে এসেছে।  তোমরা তোমাদের সন্তানদের নিজের সম্পত্তি মনে করিও না। অর্থাৎ সন্তান হলেই যে সব কিছু তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে হবে তাদের মতামতের কোন দাম দেয়া যাবেনা-এটা ঠিক নয়। তারা ছোট হতে পারে কিন্তু তারাও সব বোঝে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অন্টারিওর নিবন্ধিত সমাজকল্যাণ কর্মী ও উপন্যাসিক জাকারিয়া মুইনুদ্দিন বলেন, আমাদের বাঁচতে হলে জানতে হবে, অনুশীলন করতে হবে। মেন্টাল হেলথ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্যারেন্টিং আমাদের শিখতে হবে। ফারাক প্যারেন্টিং শিখতে সহায়তা করবে নিশ্চয়ই। বইটির সহ-লেখক নেসার আহমেদ উপস্থিত অতিথিদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ফারাক’ বইটি সময়োপযোগী বই। বইটি গল্প সমৃদ্ধ হলেও সবগুলো গল্পই সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে লেখা। সময়ের সাথে সাথে আমাদের নিজেদের প্যারেন্টিং স্টাইলে পরিবর্তন আনতেই হবে। বইটি আমাদের সেই পরিবর্তন আনতে সহায়কের ভূমিকা পালন করবে।  মোস্তফা আকন্দ বইটির ওপর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আমরা সবাই আমাদের বাচ্চাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ চাই। কিন্তু নতুন দেশ নতুন সময়ের চাহিদারে সাথে তাল মিলিয়ে আমরা নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করতে ইস্ততঃবোধ করি। ফলে আমাদের সাথে আমাদের সন্তানদের ফারাক তৈরি হয়। নতুন দেশের রীতিনীতি ও সংস্কৃতির সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে না পারলে আমরা পিছিয়ে পড়ব। বিদেশী সংস্কৃতি ও আমাদের সংস্কৃতির চাপে আমাদের বাচ্চারা স্যান্ডউইচ বেবি হিসেবে বেড়ে উঠবে অথবা হারিয়ে যাবে। আমাদেরকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমরা কী করবো।কারণ বাচ্চাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। বইটি বাবা-মায়েদের পয়েন্টিং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়ক হবে সন্দেহ নেই। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো মতামত ব্যক্ত করেন,  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টর এডভোকেট ও কানাডা প্রবাসী আক্তার মোসাম্মাৎ, ক্যানবাংলা টেলিভিশনের কর্নধর ড, মো. হুমায়ন কবির চৌধুরী, পিল ডিসট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের সিনিয়র শিক্ষক এমডি হাসান তারিক, বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা সেলিমা আহমেদ, আবাসন ব্যবসায়ী নাসিমা পারভীন ও মেফিল্ড হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী মেহরীন মুস্তারীসহ অনেক।
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:০৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়